• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সেই গোল্ডেন মনিরের খালাস নিয়ে যা বললেন আদালত
মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে অস্ত্র মামলায় খালাস দিয়েছেন আদালত। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) করা একটি অস্ত্র মামলায় সম্প্রতি এ রায় দিয়েছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। মনিরের আইনজীবী দবির উদ্দিন বলেন, রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, মনিরকে হয়রানির উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা করা হয়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, অস্ত্র মামলায় মনির হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা সাপেক্ষে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আদালতের রায়ের তথ্য অনুযায়ী, র‍্যাব মামলায় বলেছিল, ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর মনির হোসেনের বাড্ডার বাসায় র‍্যাব অভিযান চালিয়েছিল সকাল ৬টায়। এ সময় বাসার তৃতীয় তলায় শয়নকক্ষের তোশকের নিচ থেকে ম্যাগাজিনভর্তি একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল না। অস্ত্র আইনে মামলার পর মনিরকে আদালতের অনুমতি নিয়ে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৬ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। আদালত বলেছেন, পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মনির ও তার স্ত্রীর নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র ছিল। তাই নিজের ও স্ত্রীর নামে দুটি বৈধ অস্ত্র থাকা অবস্থায় আরেকটি অবৈধ অস্ত্র ঘরে রাখার ঘটনা স্বাভাবিক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় মনির হোসেনের রাজধানীর বাড্ডার বাসার শয়নকক্ষে খাটের তোশকের নিচ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আদালত আরও বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক আবদুল মালেক আদালতকে বলেছেন, তদন্তের সময় তিনি জানতে পারেন, মনির ও তার স্ত্রীর নামে দুটি লাইসেন্স করা অস্ত্র ছিল। অর্থাৎ আবদুল মালেকের সাক্ষ্য থেকে স্পষ্ট যে মনির ও তার স্ত্রীর নামে দুটি বৈধ অস্ত্র ছিল। বৈধ অস্ত্র থাকা অবস্থায় আরেকটি অবৈধ অস্ত্র ঘরে রাখার ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য নয়। রায়ে বলা হয়েছে, পাবলিক সাক্ষী এমাদ ও মোবারকদের উপস্থিতিতে মনিরের বাসার শয়নকক্ষ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের অভিযোগ সমর্থন করে না। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের তথ্য বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়, মনিরের বাসায় সকাল সাড়ে ৬টায় নয়; অভিযান চালানো হয় রাত সাড়ে ১০টায়। বিশেষ উদ্দেশ্যে মনিরের বাসায় অভিযান চালানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের মামলাটি সাজানো। অন্য সাক্ষীরা মনিরের শয়নকক্ষ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়। মনিরের বাসা থেকে উদ্ধার অস্ত্রের ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে কোনো তথ্য নথিতে উল্লেখ নেই। আবার মামলা করতে দেরি হয় ১৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। এত বিলম্বের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয়। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসায় অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, চার লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, ৮ লাখ টাকার বেশি মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা, ৬০০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনসহ বাড্ডা থানায় পৃথক তিনটি মামলাও করা হয়। পরে মনিরের অবৈধ সম্পদ ও অপরাধলব্ধ আয়ের তথ্য-প্রমাণ পেয়ে ২০২২ সালের ১১ মে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে পুলিশ। এ মামলার তদন্ত এখন শেষ হয়নি। এ ছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে

সিরাজগঞ্জে খালাস হচ্ছে ভারত থেকে আসা টিসিবির পেঁয়াজ
সিরাজগঞ্জ রেল ইয়ার্ডে ট্রেন থেকে খালাস করা হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুর বিভাগের টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজি দরে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে এ পেঁয়াজ। সোমবার (১ এপ্রিল) ভোর পাঁচটার দিকে ৪২টি ওয়াগনে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হয়ে সিরাজগঞ্জ রেল ইয়ার্ডে পৌঁছায় পেঁয়াজবাহী ভারতীয় ট্রেনটি। ভারতের সঙ্গে আমদানির চুক্তিকৃত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান এটি। টিসিবির যুগ্মপরিচালক বগুড়া অঞ্চল প্রতাপ কুমার জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ১ হাজার ৬৫০ টনের প্রথম চালানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুর বিভাগের টিসিবি ডিলারদের নিকট হস্তান্তর করা হচ্ছে।আমদানিকৃত পেঁয়াজের ১ হাজার টন ঢাকা, ৪৪০ টন চট্টগ্রাম ও ২১০ টন গাজীপুরের ডিলারদের মাঝে বিতরণ করা হবে। এই পেঁয়াজ মঙ্গলবার থেকে খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। ঈদুল ফিতরের আগে আমদানির চুক্তিকৃত বাকি পেঁয়াজও দেশে এসে পৌঁছাবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৪

পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল খালাস, সাশ্রয় হবে ৮০০ কোটি টাকা 
আমদানি করা জ্বালানি তেল জাহাজ থেকে দ্রুত ও সাশ্রয়ী খরচে খালাস করার জন্য গভীর সমুদ্রে ডাবল পাইপলাইনের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে এসপিএম প্রকল্পের আওতায় এবার কক্সবাজারের মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পরিবহনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মহেশখালী থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) তেল আসতে সময় লেগেছে ৩০ ঘণ্টা। গত বছরে ১৪ নভেম্বর গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সংশ্লিষ্টরা জানান, ১১ দিনে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল খালাস করা যায়, সেটির সময় কমে আসবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায়। প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর লাইটার জাহাজে তেল পরিবহনের প্রয়োজন হবে না। ফলে পরিবহন খরচের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।  গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পাইপলাইনের মাধ্যমে সকাল ৮টায় মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল থেকে পাম্প শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ইস্টার্ন রিফাইনারির ৪০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ট্যাংক টার্মিনালে তেল পৌঁছায়। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে ৬০ হাজার টন ডিজেল নেওয়া হয়েছিল।  ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে এসপিএম ব্যবহার করে জ্বালানি তেল আমাদের রিফাইনারিতে নেওয়া শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সাগরের তলদেশ দিয়ে দুটি পাইপলাইন বসানো হয়েছে। এই পাইপ দুটির মাধ্যমে মহেশখালীর কুতুবদিয়া চ্যানেলে অবস্থানকারী বড় বড় জাহাজ থেকে তেল সরাসরি রিফাইনারিতে আনা হবে। মো. লোকমান বলেন, এখন থেকে মাদার ওয়েল ট্যাংকার থেকে লাইটারেজ জাহাজে করে রিফাইনারিতে আনতে হবে না। ফলে জ্বালানি রিফাইনারিতে আনতে সময় অনেক কমে আসবে, খরচও কমবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছে, গত বছরের ২৬ জুন মহেশখালীর অদূরে গভীর সাগরে স্থাপিত এসপিএম ব্যবহার করে পাইপলাইনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে তেল খালাসের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা পিছিয়ে যায়। এরপর গত ৩ জুলাই এমটি হোরে নামক জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর কালারমার ছড়ায় স্থাপিত ট্যাংকে তেল পরিবহনের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হয়। এর পাঁচ দিনের মাথায় কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে পাইপলাইনে সরাসরি তেল পরিবহন কার্যক্রম পিছিয়ে যায়। ত্রুটি সারানোর পর বিশেষায়িত বয়া ব্যবহার করে গত ৩ ডিসেম্বর জাহাজ থেকে ৮৩ হাজার টন ক্রুড অয়েল এবং ৭ ডিসেম্বর ৬০ হাজার টন ডিজেল পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে নেওয়া হয়।  জ্বালানি বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমদানীকৃত ক্রুড অয়েল ও ফিনিশড প্রডাক্ট স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে এবং নিরাপদে খালাস করার জন্য ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীনস্থ কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। গভীর সাগরে নোঙর করা মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটারেজ না করে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসের জন্য সরকার ৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে ‘ ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার অদূরে গভীর সমুদ্রে নির্মাণ করা হয় ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’। সেখান থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত অব শোর এবং অন শোর মিলে মোট ২২০ কিলোমিটার ডাবল পাইপলাইন স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ১৪৬ কিলোমিটার অফ শোর পাইপলাইন এবং ৭৪ কিলোমিটার অন শোর পাইপলাইন রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় পাইপলাইন ছাড়াও মহেশখালীতে এক লাখ ২৫ হাজার টন ক্রুড অয়েল ৮৩ হাজার টন ডিজেল সংরক্ষণের ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা ক্রুড অয়েল ও ডিজেল ওই দুটি ট্যাঙ্কে সংরক্ষণ করে সেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী দুটি পাইপলাইনের একটি দিয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ক্রুড অয়েল পাঠানো হবে। আরেকটি পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল পাঠানো হবে পদ্মা অয়েল কোম্পানি, যমুনা অয়েল কোম্পানি ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পতেঙ্গা গুপ্তখালের প্রধান ডিপোতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি)কর্মকর্তারা জানান, পাইপলাইন চালু হলে অবিশ্বাস্য কম সময়ে কুতুবদিয়া থেকে পতেঙ্গায় জ্বালানি তেল পৌঁছে যাবে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। বছরে অন্তত ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহনের সেকেলে ধারণা পাল্টে বিশ্বমানে উন্নীত হবে। বছরের পর বছর বহির্নোঙরে নোঙর করা মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটারেজ করে তেল পরিবহন করা হয়েছে। এখন সেই খরচটি পুরোপুরি বেঁচে যাবে। অন্যদিকে একটি জাহাজ থেকে তেল খালাস করতে আগে ১৫ দিন সময় লাগত, তা এখন ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় নেমে আসবে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৫:০১

২৫ যুক্তিতে খালাস চেয়ে রোববার আপিল করবেন ড. ইউনূস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের সাজা বাতিল চেয়ে রোববার আপিল আবেদন করবেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন। একইসঙ্গে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে জামিন চাইবেন তারা। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আপিল আবেদনে ২৫টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চাওয়া হবে বলে এসময় জানিয়েছেন তিনি।  শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. ইউনূসের। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান ইউনূসসহ চারজন। এই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। তাই রায় হাতে পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী আপিল আবেদনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, আমরা রোববার আপিল করবো। আপিলের সব প্রস্তুতি চলছে। এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্যান্যরাও উপস্থিত থাকবেন। বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম বাতিল করে এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন তিনি। আপিলে শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে সাজা মওকুফ করে চার আসামির খালাস চাওয়া হবে।   ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বলা হচ্ছে-এ মামলা করেছে শ্রমিক। কিন্তু আসলে তা করেছে সরকার। এ নিয়ে সারা বিশ্বের মিডিয়া কথা বলছে। সংশ্লিষ্ট রায় অবৈধ। সেটা বাতিল চেয়েছি আমরা। সেইসঙ্গে ড. ইউনূসের জামিন চাওয়া হয়েছে আপিল আবেদনে।’ গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের স্থায়ী না করা, ছুটি নগদায়ন না করা, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দেওয়ার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইনের দুই ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ড. ইউনূসসহ ৪ জনকে। ড. ইউনূসের আইনজীবী বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে মামলার বাদী শ্রমিকেরা। এ ছাড়া রায়ের ক্ষেত্রেও ফ্যাক্টসের সঙ্গে ফাইন্ডিংসের মিল নেই। তাই খালাস চেয়ে আপিলে তুলে ধরা হয়েছে ২৫টি যুক্তি। শ্রম ট্রাইব্যুনালে আপিল করার পর আইন অনুযায়ী নোটিশ যাবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে। তবে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আইনজীবীও নিয়োগ করতে পারেনি সরকারি সংস্থাটি।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩০

অস্ত্র মামলায় রিজেন্টের সাহেদের খালাস
অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। সাহেদের পক্ষের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, এটি আসল অস্ত্র নয়। রাষ্ট্রপক্ষ বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেনি। আদালত তার আপিল মঞ্জুর করে খালাস দিয়েছেন। এর আগে, ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত। মামলায় সাহেদকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি সাজা একত্রে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। পরে হাইকোর্টে আপিল করেন সাহেদ। ২০২০ সালের ১৫ জুলাইয়ে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে সংস্থাটি। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়