• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নৌকা বাদ দিলেও ভোট চুরির প্রকল্প থেকে সরেনি সরকার: আমীর খসরু
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বাদ দিলেও আওয়ামী লীগ সরকার ভোট চুরির প্রকল্প থেকে সরে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। আমীর খসরু বলেন, নৌকা বাদ দিলেও সরকার ভোট চুরির প্রকল্প থেকে সরে আসেনি। যেখানে ভোটই নেই, সেখানে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে আরেকটা ধাপ্পাবাজি করতে যাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, সরকার একটা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতা দখল করলেও রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। ৯৫ শতাংশ জনগণ এই নির্বাচন ব্যবস্থাকে বর্জন করেছে। উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, নৌকা নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ার সাহস নেই বলেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নৌকাকে বাদ দিয়েছে। তারা দেখেছে, নৌকা যেখানে আছে জনগণ সেখানে নেই।  আমীর খসরু আরও বলেন, যারা ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, আজ তারা ইতিহাসও দখল করতে চায়, এটাকে মূলধন বানাতে চায় তারা। তারা শুধু জনগণের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে এমন নয়, প্রতিটা পদে পদে জনগণের অধিকার হরণ করেছে তারা। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বলতে বাংলাদেশে এখন কিছুই নেই। যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের টিকে থাকার একমাত্র অস্ত্র হচ্ছে ভয়ভীতি।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৮

‘দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে পারবে না’
বিএনপির চলমান সংগ্রাম অব্যাহত আছে, অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,  দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে এ অবৈধ সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখতে পারবে না। তাদের বিদায় নিতে হবে।   শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে নগরীর কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন রাজবাড়ী কমিউনিটি সেন্টারে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।  আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে এমন সরকার গঠন করবে, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, যাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ সেই সরকারের অপেক্ষায় আছে। তিনি বলেন, বিএনপির সংগ্রাম বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রাম। দেশের মালিকানা ফিরে পাওয়ার সংগ্রাম। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। যতদিন স্বৈরাচার পদত্যাগ না করবে, ততদিন এ সংগ্রাম চলবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারিতে কি হয়েছিল? ডামি প্রধানমন্ত্রী, ডামি এমপি, ডামি নির্বাচন। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে, বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছে।’  আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির ঘাঁটি। সুতরাং চলমান আন্দোলনে দক্ষিণ জেলাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে, আজ যে জাতীয় ঐক্য হয়েছে, যে ৯৫ শতাংশ মানুষ এ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের নিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে এ আন্দোলনকে সফল করবো। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এড. আশরাফ হোসেন চৌং রাজ্জাক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ প্রমুখ।
২২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৫

লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নাট্যনির্মাতার মৃত্যু
লন্ডনে বেপরোয়া এক গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারালেন বাংলাদেশি নাট্যনির্মাতা জি এম ফুরুখ। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১২টার দিকে ইলফোর্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরেক লন্ডন প্রবাসী জনপ্রিয় অভিনেতা স্বাধীন খসরু। লন্ডন পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সড়ক পার হওয়ার সময় গাড়িচাপায় গুরুতর আহত হন ফুরুক। এরপর পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার চার ঘণ্টা পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, রোববার (বাংলাদেশ সময়) জি এম ফুরুখের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে স্বাধীন খসরু লিখেছেন, প্রতিনিয়ত যত না জন্ম সংবাদ পাই তার থেকে অনেক বেশি পাই মৃত্যু সংবাদ! প্রিয় ছোট ভাই নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জি এম ফুরুখ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে রয়েল লন্ডন হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রায় চার ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করার পরও বাঁচানো যায়নি। তিনি জানান, অন্য একটি গাড়ি চাপা দেওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান জি এম ফুরুখ।   প্রসঙ্গত, প্রবাসী ফুরুখের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি লন্ডনে বসবাস করছিলেন। সেখানে বেশ কিছু স্থানীয় নাটকও নির্মাণ করেছেন। তবে তার নির্মাণে সিলেটি আঞ্চলিক ভাষার কয়েকটি নাটক ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্যও ছিলেন তিনি।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

‘আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাব’
আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আমীর খসরু বলেন, বিএনপির আন্দোলন গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। এটা কোনো দলের বা ব্যক্তির একক আন্দোলন নয়। এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাব। আন্দোলনের দাবি ছিল এ ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনে যাবে না। সে আহ্বানে বিএনপিসহ বাংলাদেশের সমস্ত রাজনীতিবিদ সাড়া দিয়েছে। শুধু গুটি কয়েক ভিক্ষুক রাজনীতিবিদ ছাড়া। প্রায়ই সমস্ত রাজনৈতিক শক্তি একপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, পেশাজীবী ও সাংবাদিক ভাইরাও এক পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ, দেশের জাতীয়তাবাদের পক্ষের শক্তি দেশপ্রেমী নাগরিকগণ, সবার অংশগ্রহণে এক বিশাল আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। এ আন্দোলন অব্যাহত আছে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে। জনগণের ভোট কেড়ে নেওয়া সন্ত্রাসী এ রেজিমের বিরুদ্ধে। কিছু সুবিধাবাদী লোক যারা জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। জনগণ অধিকার ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।   তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছিলাম তথাকথিত নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ অংশগ্রহণ করবে না। বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এটা কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচনে তো দুই পক্ষ থাকবে। যেখানে দুই পক্ষ থাকবে না সেটা নির্বাচন হতে পারে না। আমীর খসরু বলেন, যারা ভোট দিতে গেছে, তাদের স্থানীয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভয় দেখিয়েছে যাওয়ার জন্য। সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা ছিনিয়ে নেওয়ার ভয় দেখিয়েছে। সুবিধাবঞ্চিতদের কাছ থেকে সরকারি কার্ড পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এতকিছুর পরও বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে যায়নি। এটা হচ্ছে আন্দোলনের সুফল। অনেকে বলছে, ক্ষমতা নিয়ে নিয়েছে। ক্ষমতা তো অনেকভাবে নেওয়া যায়। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশসহ অনেক দেশে সামরিক বাহিনী ক্যু করে ক্ষমতা নিয়ে নেয়। আওয়ামী লীগ সে ক্যু করেছে। জনগণের তো এখানে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ক্ষমতা জোর করে দখল করা আর ক্ষমতায় যাওয়ার মধ্যে বিশাল ব্যবধান আছে। তিনি বলেন, আমাদেরকে জেলে নিয়ে সরকার মনে করেছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে। কিন্তু সেটা তারা করতে পারেনি। তাদের মনোবল শক্ত আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনোবল আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। এটাই রাজনীতি, রাজনীতির জয়। এটাই বিএনপির সফলতা।  তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক শক্তিশালী অবস্থানে আছে। কর্মীরা কর্মসূচির অপেক্ষায় আছে। সামনে রমজান মাস আসছে। আমরা রোজা রাখব, নামাজ পড়ব। সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির সব কর্মসূচিকে সফলভাবে পালন করতে হবে।   চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ম্যা মা চিং, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম।
০২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৮

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন আমীর খসরু
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় বেগম জিয়ার গুলশানের বাসভবনে যান তিনি। রাত ৯টার দিকে সেখান থেকে বের হন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ। এ ছাড়া বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর আইলিন লাউবেচার, ইউএসএআইডির এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার। বৈঠক শেষে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কিছু বলার নেই। তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, আমরা এসেছি। কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা সময় মত জানানো হবে। উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার হওয়ার সাড়ে তিন মাস পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান আমীর খসরু।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪১

মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন খসরু
ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে ঘণ্টাব্যপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দ্রুত গাড়িতে উঠে চলে যান মির্জা ফখরুল। এরপর বের হন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও শামা ওবায়েদ। সাংবাদিকরা বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কিছু বলার নেই। তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, আমরা এসেছি। কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা সময় মত জানানো হবে। বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর আইলিন লাউবেচার, ইউএসএআইডির এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ। এর আগে, শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকায় আসে মার্কিন প্রতিনিধি দলটি। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের ঢাকায় থাকার কথা রয়েছে। সফরকালে প্রতিনিধি দলটি ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতির জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া তারা তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট, সুশীল সমাজ, শ্রম সংগঠক এবং মুক্ত গণমাধ্যমের বিকাশে নিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৩

কারাগার থেকে বেরিয়েই যা বললেন ফখরুল-খসরু
সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মুক্ত হয়েই তারা জানান, ভোটাধিকার ফেরানোর আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একসঙ্গে জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। কারাফটকে নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময় তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান। ফখরুল বলেন, আমাদের আন্দোলনের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত রাখব। ৭ জানুয়ারির একপাক্ষিক নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি। তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। দেশের জনগণ সবসময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। ইনশাআল্লাহ এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফেরানোর চলমান আন্দোলনে চূড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রশক্তিকে কবজা করে ক্ষমতা দখল করেছে, বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নির্বাচনে নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যতদিন দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে ততদিন এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। এর আগে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বুধবার মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে জামিন দেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের। এই মামলার জামিনের আগে আরও ১০টি মামলায় তাদের জামিন হয়েছে। গ্রেপ্তার দেখানো সবকটি মামলায় দুই বিএনপি নেতার জামিন হওয়ায় তারা কারামুক্তি পেলেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারাদেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২ নভেম্বর রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হত্যার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩২

অবশেষে কারামুক্ত ফখরুল-খসরু
অবশেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কারামুক্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে তারা কারামুক্ত হন। এর আগে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বুধবার মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে জামিন দেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের। এই মামলার জামিনের আগে আরও ১০টি মামলায় তাদের জামিন হয়েছে। গ্রেপ্তার দেখানো সবকটি মামলায় দুই বিএনপি নেতার জামিন হওয়ায় তারা কারামুক্তি পেলেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারাদেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২ নভেম্বর রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হত্যার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৬

মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় জামিন পেয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিদের আইনজীবী জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় তাদের কারামুক্তিতে বাধা নেই। এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলায় তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। আদালত শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এ সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এ ছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনার পরদিন ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পরদিন ৩ নভেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের পর মির্জা ফখরুল বিরুদ্ধে ১১টি মামলা ও আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দায়ের করা হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৬

ফখরুল-খসরুর জামিন শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এদিন ধার্য করেন। আসামিদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এই মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেছি। আদালত শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এ ছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনার পর ওইদিনই মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের পর মির্জা ফখরুল বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমির খসরুর বিরুদ্ধে ১০ মামলা দায়ের করা হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলা ছাড়া তারা বাকি সব মামলাতেই জামিনে রয়েছেন বিএনপির এ দুই নেতা। এ মামলায় জামিন পেলে তাদের মুক্তিতে আর বাধা থাকবে না।   
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়