• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ছেলের মুক্তির খবর শুনে আবেগাপ্লুত বাবা-মা
‘ছেলেকে ছাড়া ঈদের দিন আমরা আনন্দ করতে পারি নাই। ছেলে কখন খুশির সংবাদ দেবে সে অপেক্ষায় থাকতাম। আজ টিভিতে দেখতে পেলাম আমার ছেলেসহ সবাই মুক্তি পেয়েছে। এ কাথাটা টিভিতে শোনার পর আজ মনে হচ্ছে, আজকে আমাদের ঈদের দিন। তারপর ছেলে সকালের দিকে কল দিয়ে বলে বাবা ভালো আছি চিন্তা করো না। যেদিন আমার ছেলে আমার বুকে আসবে, সেদিন আরও বেশি আনন্দ হবো। মনটা ভরে যাবে আনন্দে।’  আবেগে আপ্লুত হয়ে এ কথাগুলো বলছিলেন নাবিক সাব্বিরের বাবা হারুন অর রশীদ।   নাবিক সাব্বিরের মুক্তির খবর শুনে তার পরিবারে খুশির বন্যা বইছে। সাব্বিরের বাসায় যেন আজ ঈদের আনন্দ লেগেছে।  পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিক সাব্বির হোসনের টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে। নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে থেকে এসএসসি পাস করে। টাঙ্গাইল শহরের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামের পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন।  সাব্বিরের মা সালেহা বেগম বলেন, ‘সাব্বিবের সঙ্গে একটু কথা হয়েছে। বলেছে মা চিন্তা করো না আমরা মুক্তি পেয়েছি, সবাই ভালো আছি। এ কথা শোনার পর যেন মনটা ভরে গেল। ঈদের দিন আনন্দ করতে পারি নাই, ছেলের চিন্তায়। একটা মাস কিভাবে কেটেছে তা বলতে পারবো না। আজ যখন ছেলে কল দিয়ে বললো, মুক্তি পেয়েছি, ভালো আছি। কথাটা শোনার পর থেকে আজ যেন ঈদ মনে হচ্ছে। ছেলেকে কাছে পেলে আনন্দটা আরও বেশি বেড়ে যাবে, খুশি হবো।’  সাব্বিবের বোন মিতু আক্তার বলেন, ‘ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। সকালে এক-দুই মিনিটের মতো আমার ভাইয়ের সঙ্গে আমি ও বাবা-মা কথা বলেছি। আমার ভাই বলেছে, আমরা সবাই ভালো আছি ও সুস্থ আছি। এ কথা শোনার পর আমাদের খুব ভালো লাগছে। খুব খুশি লাগছে। তবে আনন্দটা আরও বেড়ে যাবে আমার ভাই আমাদের কাছে আসলে। কবে দেশে আসবে তা এখনও বলতে পারছি না। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া, সুস্থভাবে মুক্তি পেয়েছে। ঈদের দিন আমাদের আনন্দ ছিল না, আজ আমাদের ঈদের দিনের মতো লাগছে।’  নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, এখনও সাব্বিরের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়নি।  উল্লেখ, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ওই জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারামিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। 
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৯

ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন মা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিখোঁজ সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেছেন এক মা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে নিহত স্কুলছাত্র হাসিব মোল্যার (১৮) পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। জানা যায়, নিহত হাসিবের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদীতে। নিখোঁজের একদিন পর খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছেলের মরদেহ পাওয়া গেছে শুনে মারা যান তার মা হেলেনা বেগম (৪৫)। হাসিব মোল্যা পূর্ব সদরদীর বাস্তখোলা গ্রামের ফরহাদ হোসেন মোল্যার ছেলে। তবে হাসিবের পরিবার জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ বছর ধরে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া নামক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। বাবা ফরহাদ হোসেন ডেমরা এলাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। হাসিব ডেমরা এলাকার একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র।  এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভা এলাকার ছিলাধরচর বাস্তুখোলা গ্রামে নিহতদের স্বজনরা। এ ব্যাপারে হাসিবের চাচা মো. বিপ্লব মোল্যা বলেন, ঈদের নামাজ পড়তে বন্ধুদের নিয়ে বাসা থেকে বের হয় হাসিবুল। এরপর হাসিবুল মোল্যা আর বাসায় ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ ছিল। হাসিবকে তার বন্ধুরা ডেকে নিয়ে হত্যা করে খালে ফেলে দিয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।   এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার ডেমরার একটি খাল থেকে হাসিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছি। সেখানে দেখা গিয়েছে হাসিবসহ তিন বন্ধু মিলে মদ নিয়ে ঘুরছেন। পরে একটি বাড়িতে গিয়ে তিন বন্ধু মিলে মদ পান করেন। ওই রাতেই কাউকে না বলেই হাসিব বাড়ি থেকে বের হন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে একটি ব্রিজে বসেন।  ওসি আরও বলেন, সেখান থেকে খালের পানিতে পড়ে হাসিবের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। আপাতত থানাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৪

‘বাউন্ডুলে মানুষের সন্তানের খবর নেওয়ার দরকার আছে নাকি’
সিনেমা করতে গিয়ে প্রেম এরপর হুট করেই বিয়ে করে বসেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমণি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান শাহীম মুহম্মদ পূর্ণ। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর পরীমণির কাছেই বেড়ে উঠছে পূর্ণ। মা হিসেবে ছেলের প্রতি সব দায়িত্বই পালন করছেন পরী।  অন্যদিকে ছেলের পাশে দেখা যায় না বাবা শরিফুল রাজকে। পরীর অভিযোগ, সন্তানের কোনো খোঁজ নেন না এই নায়ক। এমনকি ঈদের দিনেও ছেলেকে দেখতে যাননি রাজ। গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন এই অভিনেতা নিজেই।  ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে রাজের তিনটি সিনেমা। ছবি তিনটি হলো ‘কাজলরেখা’, ‘ওমর’ ও ‘দেয়ালের দেশ’। সিনেমার মুক্তিকে কেন্দ্র করেই গণমাধ্যমে কথা বলেছেন রাজ। সেখানে জানিয়েছেন, ঈদের দিন ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি।  এ বিষয়ে রাজ বলেন, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেখা করা সম্ভব হয়নি। অস্বীকার করার উপায় নেই, বিচ্ছেদের পর আমার আর পরীর মধ্যে সম্পর্কটা স্বাভাবিক জায়গায় নেই। বিষয়টি এমন একটি জায়গা এখন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে হবে। এ ব্যাপারে আমার আইনজীবী সেভাবে আমাকে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই আমাকে চলতে হবে। তবে এখন পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আছে আমার সন্তান। সে হাসিখুশিতে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে। এটাই আমার সন্তানের জন্য দরকার ছিল। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। এবারের ঈদ নিজের গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাটিয়েছেন রাজ। সেখানেই মেতেছেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়। অভিনেতা বলেন, ‘চাঁদরাতেই এখানে এসেছি। অনেক দিন পর এলাম। বন্ধুদের অনেকে ঢাকায় থাকে, তারাও ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছে। এখন সবাই একসঙ্গে আছি আমরা। স্কুলবন্ধুদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে।’ অন্যদিকে ঈদের দিন ছেলেকে নিয়েই কাটিয়েছেন পরীমণি। বাবা হিসেবে রাজ কোনো খোঁজ নিয়েছেন কি না ছেলের, এমন প্রশ্নে এই নায়িকা বলেন— ‘একজন বাউন্ডুলে মানুষের সন্তানের খবর নেওয়ার দরকার আছে নাকি? আর আসলেও কি আমি দেখতে দেব? সন্তানের ঈদ উপহারের বিষয়টি সে বুঝে কি না, সেটাও একটা ব্যাপার।’
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪১

মা হওয়ার খবর গোপন রাখার কারণ জানালেন অভিনেত্রী
চলতি বছরের  মার্চর মাসের ৪ তারিখে পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী আরতি ছাবরিয়া। সন্তান জন্মলাভের পরেও বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন এই অভিনেত্রী। ভক্তদের সঙ্গে সুখবরটি শেয়ার করেছেন ঠিক একমাস পরে। অভিনেত্রীর মা হওয়ার খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। প্রশ্ন উঠে― কেন এত দেরিতে মা হওয়ার খবর জানালেন আরতি? ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪১ বছর বয়সে মা হলেও অন্তঃসত্ত্বা ও মা হওয়ার খবর লুকিয়ে রেখেছিলেন অভিনেত্রী আরতি। সন্তানের নাম ইউভান। তবে এই সুখবর এতদিন গোপন রাখার পেছনে রয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। এ বলি তারকা জানিয়েছেন, এবারই প্রথম নয়। এর আগেও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তিনি। তখন গর্ভেই মৃত্যু হয় সেই সন্তানের। এ কারণে তখন মানসিকভাবে একদমই ভেঙে পড়েছিলেন আরতি। এছাড়া গর্ভপাত হওয়ার পর ব্যক্তিজীবনে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এ জন্য দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর কাউকে জানাতে চাননি।  এ ব্যাপারে আরতি বলেন, আমি এটা নিয়ে দ্বিধা বোধ করি না কখনো। এটাই তো স্বাভাবিক। আমিও একজন মানুষ। মানুষের ধারণা তিনি একজন অভিনেত্রী, তার জন্য এটা সহজ। টাকা দিয়েই সব হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এই যন্ত্রণা ভোলার নয়। এর চিকিৎসা শরীরকে শেষ করতে পারে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের ওষুধের খারাপ প্রতিক্রিয়ায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলাম আমি। আর ৪১ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দেয়া সহজ নয়, যতটা ২০ বা ৩০ বছর বয়সে সম্ভব।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৩৭

আরটিভিতে খবর প্রচারের পর অবৈধ সেমাই কারখানাতে অভিযান
বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির বিষয়ে খবর প্রচারের একদিন পরেই দিনাজপুরের হিলির সেমাই কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় ও সহকারী কর্মকর্তা লায়লা আক্তার। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দুটি সেমাই কারখানার মালিককে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা করা সেমাই কারখানা দুটি হলো, রিমা লাচ্ছা সেমাই এবং মারুফ আকাশ লাচ্ছা সেমাই। রিমা লাচ্ছা সেমাইয়ের মালিক আব্দুর রাজ্জাককে ৫০ হাজার এবং মারুফ আকাশের মালিক হাবিবুর রহমানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন, হাকিমপুর উপজেলার খ্রটামাধবপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে অবৈধ সেমাই কারখানা তৈরি হয়েছে। সেখানে নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি করা হচ্ছিল, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  তিনি বলেন, অভিযানের সময় সেমাই তৈরিতে ব্যবহৃত নোংরা তেল, ডালডা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৪

নিউইয়র্কে বসেই স্বামী হারানোর খবর পেলেন খালিদের স্ত্রী
নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার স্ত্রী শামীমা জামান সন্তানসহ নিউইয়র্কে আছেন। সেখানে বসেই জেনেছেন জীবনসঙ্গী হারানোর কথা। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসায় বুকে ব্যথা অনুভব করার পরপর জ্ঞান হারালে খালিদকে কমফোর্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার প্রথম নামাজে জানাজা রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেওয়া হবে খালিদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। সেখানে জানাজা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার তাকে দাফন করা হবে। আশির দশকের প্রথম দিকে জনপ্রিয় ব্যান্ড চাইমের মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন খালিদ। ব্যান্ডটির হয়ে বেশ কিছু অ্যালবামে গেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে নব্বই দশকে সলো ক্যারিয়ারেও সফলতা পান। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণে ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’, ‘নাতি খাতি বেলা গেল’, ‘কীর্তনখোলা নদী’, ‘ঘুমাও’– এর মতো বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ। প্রিন্স মাহমুদ, জুয়েল-বাবুর সুরে তার গানগুলো শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে আগেই। তবে ২০১০ পরবর্তী সময়গুলোতে গানে অনিয়মিত ছিলেন খালিদ। দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান নিউইয়র্কে। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে শোবিজ অঙ্গনে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৩

‘সম্পূর্ণ অসত্য’ খবর ঠেকাতে মেসির ভিডিও বিবৃতি
দুই সপ্তাহ আগে মেজর লিগ সকার প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে লিওনেল মেসিকে খেলানো হয়নি। বিষয়টি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। ইনজুরির কারণে মেসিকে খেলানো না হলেও রাজনৈতিকভাবে চীনকে খাটো করার কারণেই এমনটি করা হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। আটবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসির জন্য চাইনিজ সমর্থকদের মধ্যে অন্য ধরনের এক উত্তেজনা কাজ করে। কিন্তু গত ৪ ফেব্রুয়ারি হংকং একাদশের বিপক্ষে প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচটিতে ইন্টার মায়ামির বেঞ্চে মেসিকে দেখে সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হন। এই ম্যাচের প্রায় ৪০ হাজার টিকেট নিমিষেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি এক হাজার হংকং ডলার ব্যয় করেও ৩৬ বছর বয়সী মেসির খেলা দেখতে অনেকেই মাঠে ছুটে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রিয় ভক্তকে দেখতে না পেয়ে মায়ামি কোচ জেরার্ডো মার্টিনো ও মালিক ডেভিড বেকহ্যামকে উদ্দেশ করে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। তারা টিকেটের অর্থও ফিরিয়ে দিতে আয়োজকদের কাছে দাবি জানান।  মেসির অনুপস্থিতিতে অনেকেই চীনকে খাটো করার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। কয়েকদিন পর জাপানে প্রীতি ম্যাচে ৩০ মিনিটের জন্য মাঠে নেমেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। কিন্তু সব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে এক ভিডিও বার্তায় মেসি বলেছেন, সবাই জানে আমি সবসময়ই প্রতি ম্যাচে খেলতে চাই। এমন যদি আগে থেকে জানা থাকতো যে মূল দলে আমি থাকতে পারছি না, তবে হয়তো-বা হংকং সফরে দলের সঙ্গে যেতাম না। এখানে রাজনৈতিক কোনো কারণই নেই। ভিডিওতে মেসি আরও বলেছেন, চীনের সঙ্গে তার অত্যন্ত ভালো ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। শুধু ইনজুরিই তার না খেলার মূল কারণ। অ্যাবডাক্টর পেশির ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি তিনি। মেসির এই ভিডিও বার্তা পোস্টের সঙ্গে সঙ্গেই সমর্থকরা দ্রুত তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ মেসিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে অনেকেই আবার মেসির না খেলার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৩

বিচ্ছেদ ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা না যেতেই ফের কাঞ্চনের বিয়ের খবর
কয়েক বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে টলিউড অভিনেতা ও তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার (১০ জানুয়ারি) এ দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেন কলকাতার একটি আদালত।  ‘কৃষ্ণকলি’খ্যাত ভারতীয় বাংলা টেলিভিশন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক, ২০২১ সালে এমন অভিযোগ করে শোরগোর ফেলে দিয়েছিলেন কাঞ্চনের স্ত্রী পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ‘প্রেমিকাকে’ বিয়ে করতে যাওয়ার খবর চাউর হয়েছে। একটি সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ৬ মার্চ বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। শ্রীময়ীর এটা প্রথম বিয়ে, তবে কাঞ্চনের তৃতীয়। ইতোমধ্যে বিয়ের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করেছেন শ্রীময়ী। ঠিক করে ফেলেছেন মেকআপ আর্টিস্ট, চলছে শপিং। পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় কাঞ্চনের দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসকে বিয়ে করেছিলেন কাঞ্চন। সেই বিয়ের পরিণতিও ডিভোর্স। শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে কাজের বাইরে অন‌্য কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি কাঞ্চনের। কিন্তু পরকীয়ার অভিযোগে কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে বহুবার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন নেটিজেনরা। কটূ কথাও শুনেছেন তারা। তবু বারবার একসঙ্গে দেখা গেছে এ জুটিকে। সমালোচকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কাঞ্চনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন শ্রীময়ী। কয়েক মাস আগে তাদের গোপন বিয়ের গুঞ্জনও উঠেছিল। যদিও তা অস্বীকার করেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৩

১০ মাস পর বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেত্রী
তারকাদের বিয়ের খবর গোপন রাখার বিষয়টি নতুন নয়। বিয়ে করলেও নিজেদের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে ভক্তদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখেন সেই খবর। এই যেমন, গেল বছরের মে মাসে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী স্নিগ্ধা মোমিন। সে সময় বিষয়টি গোপন রাখলেও ১০ মাস পর সুখবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। স্নিগ্ধা বলেন, ২০০৯-১১ থেকে আমাদের জানা শোনা ছিল। এটাকে প্রেমও বলা যায়। পরে গত বছর দুই পরিবার মিলে কাবিন করে রাখে আমাদের। এ মাসেই আমাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে। আনুষ্ঠানিকতা হলে তো সবাই জানবে। তাই ভাবলাম আগেই সবাইকে জানাই। স্বামী সম্পর্কে স্নিগ্ধা মোমিন জানান,  বরের নাম বর্ষণ রেজাউল। গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। একটি ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত তিনি। ২০১৫ সালে একটি বেসরকারি টিভিতে প্রচারিত ‘পালকী’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে পরিচিতি পান স্নিগ্ধা। এ ছাড়াও ক্যারিয়ারে  ৭০টির বেশি একক নাটকে কাজ করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম থেকে শুরু করে অনেকেই বিপরীতে। 
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৯

ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বাবার মৃত্যু
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবাও মারা গেছেন।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ছেঁউড়িয়া মণ্ডলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- উপজেলার ছেঁউড়িয়া মণ্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হারান মণ্ডলের ছেলে কাবিল (৭০) ও কাবিলের ছেলে আবিদুল (৪৫)। স্থানীয়রা জানান, সকালে নিজের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবিদুল। প্রথমে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। এদিকে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ বাড়িতে পৌঁছালে বাবা কাবিল মিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনিও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়