• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরিবহন শ্রমিক : আমাদের ক্ষোভ বনাম বাস্তবতা
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। এই উৎসবের আমেজ এখন সর্বজনীন। ঈদের এই আনন্দের শুরুটা হয় প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপনে বাড়ির পথে যাত্রা করার সময় থেকে। আমাদের এই ঈদযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ গণপরিবহনের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপাররা। আর তাদের রক্তে রঞ্জিত হল কিনা আমাদেরই হাত! গণমাধ্যমে খবর, বাড়তি ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে যাত্রীদের বেধড়ক পিটুনিতে ইতিহাস পরিবহনের বাসচালক ও সুপারভাইজর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়ার ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ (ডিইপিজেড) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীরা এমন বর্বর হতে পারে, ভাবা যায়?  এ ঘটনায় যথারীতি দুটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে: ১. পরিবহন খাত কতটা নিয়ন্ত্রণহীন হলে যাত্রী-শ্রমিকের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে? এভাবে ভাবতে গেলে অবশ্য যাত্রী কর্তৃক পরিবহন শ্রমিক হত্যার বিষয়টি হালকা হয়ে যায়। ২. বেশি ভাড়া চাইলেই মেরে ফেলতে হবে? হামলা করতে হবে? উত্তর অবশ্যই না। এসব প্রশ্নের উত্তর ভাবতে ভাবতে এবার কিছু বিষয়ে আলোকপাত করা যাক। পরিবহন শ্রমিকরা বাড়তি ভাড়া চাওয়াটা আইনত বৈধ না হলেও কোন যুক্তিতে আসলে তারা এটা দাবি করছে? এটার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? সহজ করে যদি ভাবি, তাতে কিছু ব্যাপার উঠে আসে। আপনার আমার যেমন ঈদ আনন্দ আছে, তাদেরও তা আছে। আর প্রিয়জনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য এই সময়ে আমাদের যে বাড়তি খরচ রয়েছে, পরিবহন শ্রমিকরা নিশ্চয়ই এর বাইরে নয়। এখন আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন, তবে এই মাসে বাড়তি বিক্রি কিংবা মুনাফা থেকে রমজান-ঈদের বাড়তি খরচ মেটাতে পারবেন। সবথেকে বড় কথা আপনি ব্যবসায়ী হিসেবে খুব সহজে এসব খরচের যোগান দিতে পারেন। আর চাকরিজীবীদের জন্য বেতনের সাথে বোনাস তো আছেই। দেশে বর্তমানে অর্ধ কোটিরও বেশি গণপরিবহন শ্রমিক রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যাদের বাড়তি কোনো আয়ের নিয়মতান্ত্রিক কোনো সুযোগ নেই। দৈনিক যে মজুরি, সেটাও চলার জন্য যথেষ্ট নয়।  বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্যমতে, দেশে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধিত মোটরযান ৫৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৪১টি। এ সংখ্যা থেকে ব্যক্তিগত শ্রেণির ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪টি গাড়ি বাদ দিলে আর থাকে ৫৪ লাখ ৩০৭টি। এর মধ্যে বাস ৫৪ হাজার ১৫৮টি, কাভার্ডভ্যান ৪৭ হাজার ৬৪টি, মাইক্রোবাস ১ লাখ ২০ হাজার ৯৩টি, মিনিবাস ২৮ হাজার ৩০৯টি, হিউম্যান হলার ১৭ হাজার ৩৮৭ এবং মোটরসাইকেল আছে ৪২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩০টি। ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ, ২০০৬ সালের শ্রম আইন এবং সর্বশেষ সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী নিয়োগপত্র, বেতন, মজুরি, বোনাস, ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি অতিপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ থাকলেও বেশিরভাগ বেসরকারি পরিবহন মালিক অতি মুনাফার লোভে চালক-শ্রমিকদের এসব বিষয় নিশ্চিত করেন না। অর্থাৎ আইন থাকলেও রাষ্ট্রীয় তদারকি অভাবে তার বাস্তবায়ন নাই। অন্যদিকে কল্যাণ তহবিলের নামে শ্রমিকদের কাছ থেকে শ্রমিক সংগঠন নিয়মিত যে চাঁদা নেয় তা থেকেও দুর্দিনে তেমন কোনো সাহায্য পান না তারা। তাই কোনো দিন গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের কাটাতে হয় মানবেতর জীবনযাপন। অনেকটা দিনে এনে দিনে খাওয়ার মত সাদামাটা জীবন। মোদ্দাকথা মালিক, শ্রমিক সংগঠন ও সরকার সব পক্ষেরই উদাসীনতার বলি দেশের অন্যতম বৃহৎ এ খাতের শ্রমিকেরা।  সাপ্তাহিক কিংবা সরকারি ছুটির দিন, আমাদের জীবনে সব থাকলেও এ খাতের মানুষগুলো কখনো সেসব ছুটির স্বাদ নিতে পারেন না। আমাদের গতিময় জীবনকে নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য বছরের প্রতিটা দিন নিরাপদ কোনো ভবিষ্যৎ না থাকা সত্ত্বেও তারা শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। বিরামহীন ঘাম ঝরিয়ে যাওয়া এই মানুষগুলোরও ইচ্ছে হয়, এই ঈদে প্রিয়মুখে হাসি ফোঁটাতে, প্রিয়জনদের সাথে ঈদ কাটাতে। আমাদের মত ঘরে থেকে পরিবার, স্বজন কিংবা বন্ধুদের সাথে ঈদ উদযাপনের সুযোগ যদিও তাদের নেই। এতে যে আমাদের ঈদযাত্রা, ছুটিতে ঘুরাঘুরি বন্ধ হয়ে যাবে! নিজেদের ঈদ আনন্দ বিসর্জন দেওয়ার বিনিময়ে এই মানুষগুলো শুধু চেয়েছে বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানদের চেহারায় ঈদ আনন্দ দেখতে। যৎসামান্য ঈদ উপহার পরিবারের সদস্যদের দিতে। আর এটা নিশ্চিত করতে বাড়তি যে অর্থের প্রয়োজন সেটার যোগান আসলে কোথায়? না পাচ্ছে বিধিসম্মত কোন বেতন-বোনাস, না আমরা দিচ্ছি কোন বকশিস? তাই হয়তো কিছু টাকা বাড়তি নেয় ভাড়া হিসেবে। তাতে যদি ঈদ আনন্দটা পাওয়া যায়। সেটা অবশ্য বছরের পর বছর ধরে আমরা দিয়ে আসছি। যদিও তাদের চাওয়ার ধরন খুব একটা সুন্দর না। এটাকে আবদারের চেয়ে অধিকার হিসেবে দেখিয়ে ফেলে। এটাও তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। প্রয়োজন আছে বলেই যে যাত্রীদের কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া আদায় করবে সেটা কখনো কাম্য নয়। ঠিক এ জায়গায় আমরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠি, অপরাধ জেনেও তাদের গায়ে হাত তুলছি।   আচ্ছা, আমরা কি কখনো ভেবেছি, পরিবহন শ্রমিকদের ত্যাগ, বঞ্চনার কথা। অনেক না পাওয়ার জীবনে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি টাকা আদায়ের পেছনের কথা। হয়তো ভাবি না। আমরা শুধু খিটখিটে মেজাজের পরিবহন শ্রমিকদের রূঢ় আচরণটাই দেখি। আমাদের চোখে এরা আজন্ম লোভী, শিষ্টতাহীন, অশিক্ষিত এক শ্রেণি, তাইতো? লোভ, শিষ্টাচারের আর শিক্ষার কথাই যেহেতু এসেছে তাহলে বলুন, দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী বড় পদের বড়কর্তারা কি লোভহীন? তবে হাজার কোটি টাকা যায় কোথায়? যখন সেবা প্রত্যাশী হিসেবে তাদের কাছে যান তখন কতটাই বা শিষ্টাচার উনারা প্রদর্শন করেন? এখানেই আমরা চুপ, নীরবে মেনে নিই সব। যত প্রতিবাদ আর ক্ষোভ এসব দুর্বল, কম শিক্ষিত মানুষগুলোর উপর। তাদের কাছ থেকে সুন্দর আচরণ প্রত্যাশার আগে কখনো ভেবে দেখি না যে, হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষগুলোর বিদ্যার দৌড়ই বা কতটুকু? যেখানে শিক্ষিত বড় কর্তাদের উচ্চতর ডিগ্রি, বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ থাকার পরও সদয় আচরণ অনিশ্চিত, সেখানে লেখাপড়া না জানা, ন্যূনতম প্রশিক্ষণ না পাওয়া এই পরিবহন শ্রমিকদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত ব্যবহার আশা করা কতটা সমীচীন? আর আমরা নিজেরাই বা তাদের প্রতি কতটা সম্মান দেখাই? সর্বশেষ কবে তাদেরকে ‘আপনি’ সম্বোধন করেছি তা মনে আছে? কখনো তাদের জিজ্ঞেস করেছি, ‘শুভ সকাল! কেমন আছেন?’ এসব আমরা ভাবতেও পারি না। সবমিলিয়ে আস্থা আর সম্মানের জায়গায় বিশাল পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে সহজে অনুমেয়, উভয় পক্ষের মনে এ ক্ষোভের জন্ম একদিনে হয়নি। দিনে হাড়ভাঙা পরিশ্রম আর রাতের বেলা বাসের করিডোর কিংবা ছাদে মশার কামড়ে ঘুমানো। ভাসমান এ জীবন যাদের তাদের জন্য এগিয়ে আসতে হবে রাষ্ট্রকে। পরিবহন খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে শুধুমাত্র দুর্ঘটনা রোধে আইন করে চালক-সহকারীর শাস্তি নিশ্চিত করলেই হবে না। সেইসাথে প্রয়োজন তাদের জীবনমান উন্নয়নে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যার অংশ হিসেবে শ্রমিকদের যথাযথ মজুরি, বোনাস, চিকিৎসাভাতা, ইনসুরেন্সের, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি নিশ্চিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নজরদারি ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাতে মালিকপক্ষ ও সরকার উভয় পক্ষের ভূমিকা থাকবে। অর্থের যোগান মালিকপক্ষ দিবে, আর পৃষ্ঠপোষকতা থাকবে সরকারের। এর পাশাপাশি যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পরিবহন পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীদের সাথে সুন্দর আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। এই ব্যাপারে যাত্রীদেরও সচেতন করার কর্মসূচি হাতে নেওয়া যেতে পারে। সবমিলিয়ে বলা যায়, রাষ্ট্রপক্ষ সরব হলে মালিকপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোও তাদের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসবে। তাতে যাত্রী-শ্রমিক অসন্তুষ্টি দূর হয়ে পরিবহন খাতে সত্যিকারের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। সৃষ্টি হবে ন্যায্য ভাড়া আদান-প্রদানের পরিবেশ।  লেখক : বিভাগীয় প্রধান, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
১০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৮

ফাঁস হওয়া ফোনালাপ, তামিমের লাইভের পর নেটিজেনদের ক্ষোভ
নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) সার্কাস বোর্ড নামে পরিচিতি দিয়েছিল সমর্থকরা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটটাকেই সার্কাসে পরিণত করেছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা। যার মূল কেন্দ্রে ছিলেন তামিমের বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া এবং বিশ্বকাপের আগে সাকিবের দেওয়া সাক্ষাৎকার। এবার নতুন করে সার্কাসে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান। যেখানে সার্কাসটির ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালন করেছে দেশের একটি মোবাইল আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে হৈচৈ পড়েছিলো দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। মূলত একটি মোবাইল আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠানের প্রচারকে কেন্দ্র করেই এই ফোনালাপ ফাঁস করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দেশের বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে প্রকাশ করা আলোচিত সেই ফোনালাপ। যেখানে তামিমকে বলতে শোনা যায়, মুশফিক এটা কোনো কাজ করছে রে মিরাজ? ফাইনালের পরে আমাদের মিটিংয়ে কী কথা হইছে? আমি তোরে ওই সময় একটা কথা বলছিলাম না যে আমরা চেষ্টা করব যে ৭০ থেকে ৮০ পারসেন্ট আমরা যেন সেইম টিম থাকতে পারি। ঠিক আছে? আর এই কথায় আমার বেইসই ছিল তুই মুশফিক সবাই–সহ। ঠিক না? এখান থেকে দেশের ক্রিকেট ভক্তরা ভাবতে শুরু করে আসন্ন বিপিএলের জন্য নতুন দল গড়ছেন মুশফিক। তাই তামিম হয়তো মুশফিকের উপর মেজাজ হারিয়েছেন। মূলত সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্বের পর মুশফিক কেন্দ্রিক এমন ফোনালাপ সকলের আগ্রহ বাড়ায়।  তবে বুধবার (২০ মার্চ) ফেসবুক লাইভে এই ফোন আলাপকে নগদের বিজ্ঞাপন কেন্দ্রিক বলে দাবি করেছেন তামিম ইকবাল। লাইভে তামিম জানান, ঈদ উপলক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। যেখানে ২৪ জন গ্রাহককে জমি উপহার দেওয়া হবে।  ‘সেই ক্যাম্পেইনে জয়ের জন্য দুইজন বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে। যেই দলেই মুশফিককে রেখেছিলেন তামিম। তবে মুশফিক বের হয়ে গেছেন।’ এ সময় তার সঙ্গে লাইভে যুক্ত ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সবশেষ যুক্ত হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।  তবে এই লাইভের পর তামিম-মুশফিকদের নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন সমালোচনা। আপাত দৃষ্টিতে কোনো ক্রিকেটার বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত হতেই পারেন। তবে ভক্তদের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা এবং আবেগকে ব্যবহার করে কোনো প্রচার করা কতটুকু যৌক্তিক তা নিয়ে ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি প্রথম দিকে বিজ্ঞাপন কেন্দ্রিক মনে হলেও পরের তামিমের বেশ কয়েকটি মন্তব্য মানুষকে বিশ্বাস করতে উৎসাহিত করে এটি সম্পূর্ণ ক্রিকেট কেন্দ্রিক আলোচনা। তামিম অভিমান বলেন, তিনি জাতীয় দলে থাকলে বা অধিনায়ক হিসেবে থাকলে তার সঙ্গে কেউ এরকম ব্যবহার করতো না। আজ সবাই সুযোগ নিচ্ছে, যদি ক্যাপ্টেন থাকতাম তাহলে তো তোরা এটা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাই, তাই তোরা এসব করছো। ‘অসুবিধা নাই মিরাজ, সময় আমারও তো আসবে। একটা কথা শোন পৃথিবীটা গোল তুই ওই সাইডে আমি এই সাইডে, কালকে আমি ওই সাইডে বসবো তুই এই সাইডে আসবি। বিষয়টা ভুলে যাইস না, তোর বড়ভাইকেও বলে দিস।’ তামিম ইকবালের লাইভ শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে। যেমন তানজিল আহমেদ নামের একটি ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, আমাদের ক্রিকেট নিয়ে কোন আশা নেই। এই জিনিস মরে গেছে। যে কতটুকু বেঁচে আছে সেটা আপনাদের আবেগ বিক্রি করে।  ‘এই আবেগ বিক্রি করে সাকিব-মাশরাফিরা তাদের আখের গুছিয়ে নিয়েছে৷ এই আবেগ পুঁজি করে তামিম-মুশফিকরা বিজ্ঞাপনের জন্য নিজেদের বিক্রি করে দিতে দ্বিধা করে না। এটা এখন আর খেলা না, স্রেফ একটা ব্যবসা।’ অন্যদিকে তামিমের ইকবালের লাইভ চলাকালীন সময়ে আব্দুল্লাহ আল মেহেদী নামের আরেক একটি ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশে ক্রিকেটে নেতিবাচক মার্কেটিংও প্রশ্ন তুলেছেন। মন্তব্যর ঘরে তিনি লিখেছেন, আর কোন দেশের ক্রিকেটারদের এইসব নেগেটিভ মার্কেটিং করতে দেখলাম না আপনাদের ছাড়া। একবার সাকিব, একবার আপনারা।  বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বয়কটের ট্যাগ দিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, জনগণ যেইদিন থুথু দেয়া শুরু করবে ওইদিন মার্কেটিং কি জিনিস টের পাবেন। জনগণকে নিয়ে ফাইজলামি করার ফলাফল টের পাবেন ওইদিন। ফাইজলামির একটা লিমিট থাকা দরকার। প্রফেশনালি ক্রিকেট বাদ দিয়ে ফুল টাইম অভিনেতা হইতে পারতেন। আপনারা সন্দেহাতীতভাবেই ওইটা ভালোই পারেন। #ripbdcricket
২১ মার্চ ২০২৪, ১২:২৭

নিপুণকে নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন মালেক আফসারী
গেলবার নিপুণকে সাপোর্ট করেছিলাম। তখন ভেবেছিলাম জায়েদ খানকে কোণঠাসা করতে পারলেই চলচ্চিত্রের বিরাট উন্নয়ন হবে। কিন্তু তা কিছুই হয়নি। হয়েছে বিদেশি সিনেমা আমদানি। ১০ লাখ টাকা ১৮ সমিতি ভাগ করে নিয়েছে। নিপুণ আপনি এই দীর্ঘ সময়ে কিছু করতে পারেননি। সবচেয়ে বড় কষ্টের, আপনার কাছের মানুষই দূরে সরে গেছে। সবাই এখন ডিপজল-মিশার প্যানেলে। ২ বছর আগে ডি এ তায়েব নিপুণকে সাপোর্ট করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এখন বলে না। কারণ, এই ২ বছরে নিপুণ কিছুই করতে পারেনি। নিপুণ নিজেকে নিজে প্রশ্ন করুন, উত্তর পেয়ে যাবেন। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণের পক্ষ ছেড়ে মিশা-ডিপজলের পক্ষ নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কথাগুলো বলেছেন ঢাকাই সিনেমার ‘মাস্টার মেকার’ খ্যাত নির্মাতা মালেক আফসারী। এ সময় প্রশ্ন রেখে ‘উল্টা পাল্টা’ সিনেমার এই পরিচালক বলেন, গত ২ বছরে শিল্পী সমিতি কী করেছে? এটা নিয়ে বড় একটি প্রশ্ন। গতবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনকেও হার মানিয়েছিল। নিপুণ আপনি ২ বছরে কী করলেন? আপনি তো আপনার সভাপতিকেই ধরে রাখতে পারলেন না। এখন আপনি সভাপতি পাচ্ছেন না। আর আপনার সভাপতি এসব কী বলে? এ কথাগুলো কি আপনার বিরুদ্ধে যাচ্ছে না। নিশ্চয়ই যাচ্ছে। শিল্পী সমিতির ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে ‘ঠেকাও মাস্তান’র মালেক আফসারী বলেন, আপনারা গত দুই বছরে একটা সফল সাধারণ মিটিং করতে পারেননি। কাউকে এক করতে পারেননি। খালি দ্বন্দ্ব আর দ্বন্দ্ব। দুই বছর এটিই চলছে। নিপুণ আপনি কথা দিয়েছিলেন ছয়টি সিনেমা করবেন। নানা শাহ দুটি সিনেমা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাকে কেউ সহযোগিতা করেননি। আমি নিজেও জানি আপনি ছয়টি সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই সিনেমাগুলো হয়েছে? যোগ করে তিনি আরও বলেন, আপনার এক বক্তব্যে বলেছিলেন—একজন প্রযোজক এনে ‘সুজন মাঝি’ নামে একটি সিনেমা বানিয়েছেন। সেটি তো লো বাজেটের সিনেমা ছিল। বর্তমান যুগে যুগে এ ধরনের সিনেমা চলে কি না, সেটা আপনার বোঝা উচিত। আর এ ধরনের সিনেমা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির কী উপকার হবে, সেটি আপনিই ভালো জানেন। আরও দুঃখের কথা, আপনি বলেছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে আনবেন, সেটিও পারেননি। সবচেয়ে বড় কষ্টের নায়িকা শাহনূর, সুচরিতা ম্যাডাম আপনার বিরুদ্ধে বলছেন। কেন এমন হয়েছে জানি না। তবে আপনি কিন্তু সফল হননি এটা কিন্তু বোঝা যায়। এ সময় ‘হীরা চুনি পান্না’ সিনেমার অভিনেতা ডিপজলের প্রশংসা করে পরিচালক মালেক আফসারী বলেন, টাকা-পয়সা তো অনেকেরই আছে। কয়জন দেয়। ডিপজল সাহেব নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। এ জন্য তাকে আমি সাপোর্ট করব। শাকিব খান নির্বাচনে না আসায় খুশি হয়েছি। মানুষ হিসেবে ডিপজল সাহেবের জবাব নেই। তিনি এবার নির্বাচন করবেন। আমি তার পক্ষে। তিনি সবার বিপদে সবসময় পাশে থাকেন। বর্তমানে অধিকাংশ শিল্পীর হাতে কাজ নেই। এদের মধ্যে কেউ তার কাছে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসেনি কখনো। সাভারে একটি জেলে বস্তি আছে সেখানকার গরিব মানুষদের বিপদে কিন্তু এই ডিপজল সাহেবই পাশে থাকেন। সর্বশেষ তিনি বলেন, সমিতি দিয়ে সিনেমার উন্নতি হবে না। সমিতি হচ্ছে সদস্যদের ভালো-মন্দ দেখার জন্য। শিল্পীদের বিপদে পাশে থাকবে। এ ছাড়া কিছুই না। ১৮ সমিতি যদি মিলে একটি সিনেমা উপহার দিতে পারত তাহলে আজ গর্ব নিয়ে বলতে পারতাম। সিনেমা বানাতে হবে সিনেমার মতো। ২০ থেকে ৪০ টাকার এইগুলো কি সিনেমা। আজকাল এই টাকায় নাটকই তৈরি হয়।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৬

রোজার শুরুতে লেবু-শসার দামে আগুন, ক্ষুব্ধ ক্রেতা
রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয় শসা ও লেবু। চাহিদা বিবেচনায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা রোজাকে ঘিরে অস্থির করে তুলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। রোজা শুরুর একদিন আগে থেকে ইফতারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান লেবুর বাজারে চড়া মূল্য বিরাজ করছে। দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু। শুধু লেবু নয় শসার বাজারেও আগুন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ)  রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসা প্রথম রমজানেই বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। মাঝারি মানের শসা গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও সেটিও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। আর নিম্ন-মানের শসা গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। গতকাল যে লেবু ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে মঙ্গলবার তার এক হালির দাম ৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা। আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। এ ছাড়া ইফতার তৈরিতে প্রয়োজনীয় ধনে পাতা, কলা, পেঁয়াজ, মরিচ সবকিছুই রোজার প্রথম দিনে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষকে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে, তেমনি ইফতারের আয়োজনেও হিমশিম অবস্থা। ইফতার তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচা বাজারের দাম জানতে চাইলে দোকানি জানালেন সোমবারের তুলনায় বেড়েছে দাম। অজুহাত, সরবরাহ কম। কিন্তু চাহিদা বেশি। সে কারণে দামও বেড়েছে। এদিকে বাজারের এমন হুলুস্থুল পরিস্থিতিতে কেনাকাটা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা। বেশ কয়েকজন ক্রেতা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তারা তুলনার চেয়ে কম কিনছেন। বাজারের এই পরিস্থিতিতে একজন ক্রেতা বলেন, গতকাল যে বেগুন ৬০ টাকায় বিক্রি হইছে আজ সেসব ১২০ টাকার নিচে বিক্রি করছেন না বিক্রেতারা।  এক জন ক্রেতা বলেন, সবকিছুই দামি! কি কিনবো আর কি কিনবো না সেই অঙ্ক মেলে না। সবসময় চেষ্টা করছি এক কেজি প্রয়োজন থাকলেও আধা কেজি দিয়ে চালাতে। তাও পারছি কই? রাতারাতি সব বদলে যায় আমাদের দেশে। বদলায় না শুধু ক্রেতাদের অসহায় অবস্থা।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪২

তারকাশূন্য শিল্পী সমিতির বনভোজন, সদস্যপদ ঘিরে ক্ষোভ
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটিকে ঘিরে। বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন নেতৃত্বাধীন ২০২২-২৪ মেয়াদের কমিটি নানা কারণে সমালোচিত। যার শুরুটা ভোটে পরাজিত হয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়ে সাধারণ সম্পাদক পদ দখল করা নিপুণকে ঘিরে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বনভোজন মানেই জাঁকজমক আয়োজন। বিগত দিনে এমন চিত্র দেখা গেলেও দুই বছর ধরে দেখা যাচ্ছে তার বিপরীত চিত্র। সদ্য সমাপ্ত রঙিন পর্দার তারকাদের বনভোজন ছিল সাদাকালো। ক্রমশ জৌলুস হারাচ্ছে শিল্পী সমিতির আয়োজন। তারকাদের বনভোজন এবারও ছিল তারকাশূন্য। খাবার ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনার ছাপ উপস্থিত শিল্পীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে। এতে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করলেও কেউ কেউ ফিঁসফাঁস করেছেন আরেকটু যত্ন পাবার আশায়। এ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। তবে মূল ঘরানার ব্যস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের না দেখে অনেকেই হতাশ হন। বিভাজনের চিত্র ফুটে উঠে। অভিযোগ ওঠে অনেকের দাওয়াত না পাওয়ার ব্যাপারেও। তাদের একজন দুই মেয়াদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েও চেয়ারে বসতে পারেননি তিনি। জায়েদ খান অভিযোগ করেছেন- দাওয়াত পাননি। তবে অন্য অনেকেই দাওয়াত পেলেও আসেননি, যদিও এর কারণ জানা যায়নি। এ আয়োজনে সমিতির সদস্যদের দেখা না গেলেও অচেনা মানুষদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল পিকনিক স্পট। ঢাকার অদূরে আশুলিয়া প্রিয়াঙ্কা শুটিং হাউজে শনিবার (২ মার্চ) এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। ঢাকাই চলচ্চিত্রের শিল্পী সমিতির পিকনিক তার নিজস্বতা হারিয়েছে, গেল বছর শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজন কেন্দ্র করে কথাগুলো বলেছিলেন চিত্রনায়িকা নূতন। ক্রমশ তার কথা বাস্তবায়ন হতে দেখা যাচ্ছে। বনভোজনে এদিন ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ ছাড়াও তাদের ক্যাবিনেটের শাহনূর, সাইমন সাদিক, রিয়াজ, ইমন, জেসমিন, যাদু আজাদসহ বর্তমান সংসদ সদস্য ও শিল্পী সমিতির সদস্য ফেরদৌসকে দেখা গেছে। এদিকে শনিবার বিকেলে সাংস্কৃতিক আয়োজনে প্রযোজক আরশাদ আদনানকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদের কাগজ দেওয়া হয়। তিনি আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এমপির হাত থেকে রিসিট গ্রহণ করেন। এ সময় শিল্পীদের মধ্যে আরশাদ আদনানের সদস্য পদ পাওয়ার কারণ নিয়ে ফিঁসফাঁস ওঠে। অনেক সিনিয়র শিল্পী ও কুশলীর মাঝে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ এ নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগও করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্পী সমিতির একাধিক নেতা সাংবাদিকদের কাছে অসহায় জবাব দিয়েছেন। তারা বলেছেন- এমন কিছু হবে সেটা আমাদের সঙ্গে আলাপ করা হয়নি। এটা বিব্রতকর! যদিও আরশাদ আদনান কোন সিনেমায় অভিনয় করেছেন, এর কোনো ধারণা মঞ্চ থেকে দেননি বর্তমান কমিটির নেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিজের প্রযোজিত ‘ইউটার্ন’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন আরশাদ আদনান। অনুসন্ধানে তার আর কোনো সিনেমার খবর পাওয়া যায়নি।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৮

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের নিয়ে সংসদে ক্ষোভ ঝাড়লেন হানিফ
মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নীতিনৈতিকতা নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন তিনি। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন হানিফ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, প্রজ্ঞা, মেধা ও দক্ষতায় গত ১৫ বছরে আমাদের দেশের যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এখন আমাদের এই উন্নয়নকে ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। উন্নয়ন ধরে রাখার জন্য সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের সততা, নীতিনৈতিকতা, মূল্যবোধ চরম অবক্ষয়ের দিকে চলে যাচ্ছে। এখান থেকে যদি বের হয়ে আসতে না পারি তাহলে উন্নয়ন ধরে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। মাহবুবুলউল আলম হানিফ বলেন, কয়েকদিন আগে দুই শিশু খৎনা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে। আরেকটি শিশু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু ঝুঁকিতে ছিল। এই অবস্থা কেন হয়েছে, এটায় জাতি অবাক হলেও আমি কিন্তু খুব একটা বিস্মিত হইনি। কারণ চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্ণধারকে নিয়ে যখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখি হয়, তার অনৈতিকতা, স্বজনপ্রীতি নিয়ে, নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে নানান ধরনের লেখালেখি হয়। তখন কিন্তু সেই চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা হারিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ যে পদ উপাচার্য, সেই উপাচার্যের বিষয়েও কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য চলে আসছে। কেউ স্বজনপ্রীতির সঙ্গে জড়িত, কেউ নানান অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। এমনকি অনেক উপাচার্যের অডিও রেকর্ডও চলে আসছে গণমাধ্যমে। এটা যদি সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে হয়, তাহলে সেই জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে, তার নীতিনৈতিকতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই থাকে না। গ্রিক দার্শনিক প্লেটো এক বলেছিলেন, একটি দেশের মানুষ যেমন হবে রাষ্ট্র তেমনি হবে। মানুষের চরিত্র দ্বারাই রাষ্ট্র গঠিত হয়। আজ আমাদের শিক্ষিত ও সর্বোচ্চ ব্যক্তিদের যদি নীতি নৈতিকতার অবস্থা এই হয়, তাদের যদি এই মূল্যবোধ হয়, তাহলে এই রাষ্ট্রের চরিত্র অবক্ষয়ের দিকে যাবে। এসময় হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তার উন্নয়ন অগ্রগতি ধরে রাখার জন্য এখন আমাদের এ সমাজের যে নীতিনৈতিকতা, সততা অবক্ষয়ের মধ্যে যাচ্ছে সেটাকে কীভাবে আবার আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করা প্রয়োজন। আশা করি প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫১

আহমেদ রুবেলের মৃত্যু, ক্ষোভ ঝাড়লেন অরুণা বিশ্বাস
সবাইকে কাঁদিয়ে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন গুণী অভিনেতা আহমেদ রুবেল। তিনি আর সবার মাঝে নেই, এখনও বিষয়টি মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে অভিনেতার সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্তদেরও। শোকাহত হৃদয়ে রুবেলকে শেষ বিদায় জানালেন তার স্বজন-সহকর্মীরা। প্রয়াত অভিনেতা রুবেলের মৃত্যুর পর তার সহকর্মী ফেসবুকে লিখেন, সিন্ডিকেটের নামে সব গুণী শিল্পীগুলোকে কাজ না দিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে জীবিত মেরে ফেলা হচ্ছে। আর মঞ্চে চলছে দাঁড়িয়ে হাহুতাশ। অসম্মান, অশ্রদ্ধা এসব পাওয়ার জন্য শিল্পীর জন্ম নয়।  রাগে ক্ষোভে অরুণা বিশ্বাস ফেসবুকে লিখেছেন, অখাদ্য-কুখাদ্য জোর করে গেলাচ্ছেন, বলছেন দর্শকের রুচি খারাপ। সিন্ডিকেটের নামে সব গুণী শিল্পীকে কাজ না দিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে জীবিত মেরে ফেলছেন, আর মঞ্চে দাঁড়িয়ে  হাহুতাশ। অসম্মান, অশ্রদ্ধা এসব পাওয়ার  জন্য শিল্পীর জন্ম নয়। তার এমন স্ট্যাটাসের পর গণমাধ্যমে সঙ্গে আলাপ  তিনি জানান, শক্তিমান অভিনয়শিল্পী আহমেদ রুবেলের মৃত্যু তাকে নাড়া দিয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ঢাকা ছেড়ে গাজীপুরের জয়দেবপুরে নিজ বাড়িতে গিয়ে থাকা শুরু করেন। আশির দশকের মাঝামাঝি কলেজ পড়তে ঢাকায় আসা আহমেদ রুবেল জীবনের দুই যুগ কাটান। অভিনয়ের ব্যস্ততা কমে যাওয়ায় নতুন কোনো কাজে যুক্ত হলে তবেই ঢাকায় আসতেন। এর বাইরে অন্য সময়টায় জয়দেবপুরের ছায়াবীথি এলাকায় থাকতেন। আহমেদ রুবেলের মতো অভিনয়শিল্পী সিন্ডিকেটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। তাই কাজের ব্যস্ততা কমে যায়। অরুণা বিশ্বাস আরও বলেন, কালকে দেখলাম পরিচালক আমিতাভ রেজা বলছেন, আহমেদ রুবেল মানুষটা খুব নিঃসঙ্গ ছিলেন। আমি তো বলব, আহমেদ রুবেলকে নিঃসঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। তাকে তো অনেক দিন ধরে কাজই দেওয়া হয়নি। তিনি যদি কাজের মধ্যে থাকতেন, আনন্দেই থাকতেন। মনটা সতেজ থাকত। অথচ আজ মরার পর কতশত নিউজ। কত অ্যাঙ্গেলের নিউজ। অথচ বেঁচে থাকা অবস্থায় যদি এর অর্ধেক গুরুত্ব দিয়েও যদি তার খবর নেওয়া হতো, তার ঢাকা ছেড়ে জয়দেবপুর চলে যাওয়া লাগত না। আমার ধারণা, এসব তাকে অনেক কুড়ে কুড়ে খেয়েছে। কোনো মানুষকে নিসঃঙ্গ করে দেওয়া অপরাধ, যা আহমেদ রুবেলের ক্ষেত্রে ঘটেছে। অথচ তিনি দেখতে সুন্দর, কী বলিষ্ঠ কণ্ঠ, কী অসাধারণ সংলাপ বলতেন—তার তো এভাবে নিঃসঙ্গ হওয়ার কথা নয়। প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আহমেদ রুবেল। তার পিতার নাম আয়েশ উদ্দিন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ইসলামপুরে নানার বাড়ি। পিতা–মাতার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে হলেও ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। বর্তমানে পরিবার নিয়ে গাজীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। ঢাকার অন্যতম নাটকের দল ‘ঢাকা থিয়েটার’ থেকে অভিনয়ের হাতেখড়ি আহমেদ রুবেলের। তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘স্বপ্নযাত্রা’। এটি নির্মাণ করেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এরপর হুমায়ূন আহমেদের ঈদনাটক ‘পোকা’–তে অভিনয় করেন। এতে ‘ঘোড়া মজিদ’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক হলো— ‘অতিথি’, ‘নীল তোয়ালে’, ‘বিশেষ ঘোষণা’, ‘প্রতিদান’, ‘নবাব গুন্ডা’, ‘এফএনএফ’ প্রভৃতি। ১৯৯৩ সালে ‘আখেরী হামলা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন আহমেদ রুবেল। এরপর ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘গেরিলা’, ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’, ‘শ্যামল ছায়া’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৬

ব্যারিস্টার খোকনের বক্তব্যে আপিল বিভাগের ক্ষোভ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ীদের শপথ নেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে ‘বর্তমান সংসদের এমপিদের শপথ নেওয়া অসাংবিধানিক হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ে অস্পষ্টতা রয়েছে’ গণমাধ্যমে এ বক্তব্য দেওয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে সতর্ক করেছেন আপিল বিভাগ। এদিন মামলাটি শুনানিতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানি করতে ডায়াসের সামনে আসলে প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো রায়ের বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলে আপনি রিভিউ করতে পারেন। পাবলিকলি রায় নিয়ে এসব কী বলে বেড়ান? এভাবে বলতে পারেন না। ব্যারিস্টার খোকন বলেন, রায়ে থাকা ফিকশন নিয়ে কথা বলেছি। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, রায়ের ব্যাখ্যা দেবে একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট। আপনি ব্যাখ্যা দেওয়ার কে? এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, আপনার মামলা আজ শুনা হবে না। পরে খোকন বলেন, তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করবেন। এর আগে, গত বছরের ১ আগস্ট একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর ২৯০ সংসদ সদস্যদের শপথকে অবৈধ বলে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।  পূর্ণাঙ্গ রায়ে আপিল বিভাগ সাফ জানিয়ে দেন, সংসদ অধিবেশন বসার দিন থেকেই সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শুরু হবে। ওই মামলায় আপিল বিভাগে লড়েছিলেন ব্যারিস্টার খোকন। রায় তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। েউ উল্লেখ্য, দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একাদশ সংসদের ২৯০ সদস্যের নেওয়া শপথের বৈধতা নিয়ে ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি একাদশ সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেওয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০

গণমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা মুখার্জি
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। ইন্ডাস্ট্রিতে ঠোঁটকাটা হিসেবেও বেশ পরিচিত তিনি। কথা বলতে যেন কাউকেই পরোয়া করেন না এই অভিনেত্রী। নানান বিষয়ে প্রায় সময়ই নিজের মতামত প্রকাশ করেন তিনি। এবার গণমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা।   সুযোগ পেলেই যেন স্বস্তিকাকে নিয়ে চর্চায় বসে যান নেটিজেনরা। যেন তাকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বলা যায়, বিতর্কের অপর নাম— স্বস্তিকা। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে খবরের কাগজে লেখা বেশ কয়েকটি শব্দ নিয়ে কথা বলেন স্বস্তিকা। এসময় রীতিমতো সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন এই অভিনেত্রী।  এ প্রসঙ্গে স্বস্তিকা বলেন, আমি যদি গাজা (ফিলিস্তিন) নিয়ে কথা বলি, সেটা নিয়েও কাগজে কেউ লিখলেন— ‘গাজা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন স্বস্তিকা’। এটা কি বিস্ফোরক? বিস্ফোরণ তো সত্যি সত্যি সেখানে হচ্ছে। নিজের সুবিধার জন্য কাগজের লোকজন ওইসব বিস্ফোরক, বিতর্ক শব্দগুলো খবরে জুড়ে দেয়। আমার বলা কথাগুলো খুব সাধারণ। বিশ্বাস করুন, আমি অসাধারণ কোনো কথা বলি না। তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ থাকে ভক্তদের। আর তাই স্বাভাবিক কারণেই তারকাদের নিয়ে লেখালেখি হয় গণমাধ্যমে।  বিষয়টি তুলে অভিনেত্রী বলেন, সংবাদমাধ্যম কীভাবে বিষয়টিকে তুলে ধরছে সেটাও ভেবে দেখা জরুরি। আমজনতার সামনে কোন খবরকে কীভাবে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে সংবাদকর্মীদের একটি বড় দায়িত্ব থাকে। আমি তো মনে করি, পাবলিক ফিগাররা জনগণের বাবার সম্পত্তি। আমাদের নিয়ে যখন খুশি যা ইচ্ছা বলাই যায়।  আমি এটা অনেকদিন আগেই মেনে নিয়েছি। এটা নিয়ে আর মাথা ব্যথা নেই। চল্লিশ উর্ধ্ব বয়স মানেই, অর্ধেক জীবন আপনি কাটিয়ে দিয়েছেন। মানুষ আমাকে নিয়ে কী বলল, কী লিখল তা নিয়ে যদি পড়ে থাকি তাহলে বাঁচব কখন? স্বস্তিকা বলেন, আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, পাবলিক ফিগার যদি ছেলে হয় আর সে দু’বার বিয়ে করে তাহলে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু একটা মেয়ে যদি দুবার বিয়ে করে, আর সে যদি পাবলিক ফিগার হয়, তাহলে তো সমালোচনার শেষ নেই তাকে নিয়ে। এটা আমাদের সমাজের নিয়ম। আমার জীবদ্দশায় তো এটা পাল্টাবে বলে মনে হয় না। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস   
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়