• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘জিয়া-সায়েম-মোশতাকের ক্ষমতা দখল ছিল অবৈধ’
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আমরা পঞ্চম সংশোধনী মামলায় বলেছি, জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেব, খন্দকার মোশতাক তারা যে কাজটি করেছিলেন তা ছিল বেআইনি। পঞ্চম সংশোধনী মামলায় তখন বিচারপতিরা বলেছেন, অবৈধ এবং পঞ্চম সংশোধনী মামলায় যতগুলো কাজ হয়েছে সেগুলোও ছিল অবৈধ। শুক্রবার (১ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। আপনারা যে কাজটি করেছেন এই কাজটি বাংলাদেশে আমরা বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। এই কারণে আপনারা হলেন শ্রেষ্ঠ সন্তান।  প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি যখন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলাম চেয়ারম্যান হিসেবে তখন আমার মনে পড়তো আমার সামনে মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষ্য দিচ্ছেন। আমার কোর্টে বিচার হয়েছে আলী আহসান মুজাহিদ, মীর কাশেম আলী, এইচ এম কামরুজ্জামান, মাওলানা ইউসুফ। ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি, তারা কখনো সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বাড়িয়ে কথা বলতেন না। তারা বলেছেন, আমি এটুকু করেছি।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে আবেগের তাড়নায় হোক বা বঙ্গবন্ধুর মায়ার কারণেই হোক; যারা অস্ত্র হাতে নিয়ে এ বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করেছেন, একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্ত্র দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে একটি অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে জারি করেছিল; তাদের বিরোধে যারা অস্ত্র ধরে ছিল, তাদের সেইদিনের অ্যাকশন আর আমাদের পঞ্চম সংশোধনী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে কথা বলেছেন, কাজ তো একটায়। আমরা কলমে করেছি আর তারা অস্ত্র হাতে নিয়ে চেষ্টা করেছে। ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা দখল বেআইনি ছিল। এ বেআইনি কাজটি তারা জাজমেন্ট দিয়ে বলেছেন, বেআইনি। একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনীর সাহায্যে করেছে, এটাও ছিল বেআইনি। উল্লেখ্য, রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের সভাপতি আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার প্রমুখ।
০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

ক্ষমতা প্রয়োগে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। আদালতের হস্তক্ষেপগুলি যেন সাংবিধানিকতার নীতি, ক্ষমতা ভারসাম্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পরিচালিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষমতার সঙ্গে দায়িত্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আবার ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে এবং ক্ষমতার যাতে অপব্যবহার না হয় সেদিকে কঠোরভাবে খেয়াল রাখতে হবে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে ‘একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশিয়ার সাংবিধানিক আদালত: বাংলাদেশ ও ভারত থেকে শিক্ষা’ শীর্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।   বিচারকদের উদ্দেশ্যে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বিচার বিভাগকে সামিল হতে হবে। দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি আশা করেন, বিচার প্রার্থীরা অত্যন্ত কম খরচে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ন্যায় বিচার পাবে এবং বিচারকগণ তাদের মেধা ও মননশীলতার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। সরকার বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তার যাত্রা শুরু করেছে এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এটা মানুষের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং স্বল্প সময়ে বিচার প্রার্থীদের ন্যায়বিচার প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির ক্রান্তিকালে যখনই প্রয়োজন হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট তার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধানকে রক্ষা করেছে। শান্তি ও সঙ্কটে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের অভিভাবক ও রক্ষক হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ষড়যন্ত্রকারীদের সেই নীল নকশা বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দু’টি বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের নিজ নিজ যাত্রায় অনন্য পথ অতিক্রম করেছে। ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ও সহমর্মিতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সম্প্রসারিত হচ্ছে। দু’দেশের বিচার বিভাগ, বিচারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশের বিচার বিভাগ, বিচারক ও জনগণ উপকৃত হতে পারে বলে মত দেন তিনি। সূত্র: বাসস
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৫

গ্রাম আদালতের জরিমানার ক্ষমতা বাড়ছে
গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা নির্ধারণ করছে সরকার। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, এখন থেকে দুই পক্ষের চার জনের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সভাপতি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আগে এটা পরিষ্কার ছিল না। তিনি আরও বলেন, গত বছর এই আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এটি সংসদে উপস্থাপন না হয়নি। এর মধ্যে নতুন সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। ফলে নতুন মন্ত্রিসভা থেকে অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন নতুন মন্ত্রিসভা এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে, সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ‌গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে জরিমানা করার ক্ষমতা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করেছিল সরকার।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৮

ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অপসারণের দাবি জানিয়ে পার্লামেন্টে চিঠি দিয়েছেন দেশটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।  ৪০ জনেরও বেশি সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা, খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা এই দাবি জানিয়েছেন। এতে ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, নেতানিয়াহুকে ইসরায়েলের ‘অস্তিত্বের’ জন্য হুমকি মনে করছেন ওই নাগরিকরা। তাই দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে তারা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে নেতানিয়াহুর ইসরায়েলের বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমিয়ে সংশোধনী আনার বিতর্কিত প্রচেষ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করেছে দাবি করা হয়। এর ফলেই ৭ অক্টোবরের হামলা হয়েছে।   চিঠিতে বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, নেতানিয়াহু এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, যার ফলে ১ হাজার ২০০–এর বেশি ইসরায়েলি এবং অন্যদের নৃশংস গণহত্যা, সাড়ে ৪ হাজারের বেশি আহত এবং ২৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি এখনো হামাসের হাতে বন্দি। এসব হতাহতের রক্ত নেতানিয়াহুর হাতে লেগে আছে। চিঠিটি বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ এবং শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আইনসভা নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাকে  পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ইসরায়েলের বৈদেশিক এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার চারজন সাবেক পরিচালক, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুই সাবেক প্রধান এবং তিনজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রয়েছেন।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৯

যত কলাকৌশল করুক ক্ষমতা টিকবে না : জয়নুল আবদিন
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এটা দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। এটা লজ্জার। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। মামলা-হামলা-জেলজুলুম করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, কোনো লাভ হবে না। এই সরকার যত কলাকৌশল করুক না কেনো তারা এ রকম ভুয়া পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। জনগণ অবশ্যই তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করবে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সংবিধান মানে না দাবি করে নবম সংসদের বিরোধী দলের প্রধান হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন এমপি ছয়শ জন। ২৯ তারিখ পর্যন্ত এই সংসদ (একাদশ), সেই সংসদের সদস্য এখনো বহাল আছেন। কি করে সম্ভব? সংবিধানের কোন আইনে লেখা আছে এরা শপথ করতে পারবেন? আমি বলতে চাই, আপনারা (সরকার) সংবিধান মানেন না, সংবিধানের কথা বলে আর বাংলাদেশের মানুষকে অপমান কইরেন না। দয়া করে সংবিধান মতো চলেন, পদত্যাগ করেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তথ্য ও গবেষণাসহ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরীসহ অনেকে।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৯

চলার ক্ষমতা হারাতে পারেন মায়োসাইটিস রোগে!
হঠাৎ করে হাতে-পায়ে অক্ষমতা দেখা দিলে অথবা ধীরে ধীরে অঙ্গ সঞ্চালন বিকল হলে, প্রায় পঙ্গু হয়ে শয্যাশায়ী এমন পরিস্থিতি হলে বুঝতে হবে হয়তো বড়সড় অসুখই বাসা বেঁধেছে শরিরে। মায়োসাইটিস এমনই এক অসুখ। অনেক কারণেই হতে পারে।  জেনে নিন মায়োসাইটিস রোগের লক্ষণ এবং করণীয়গুলো- চিকিৎসকদের তথ্যমতে, রোগী বেশ কিছুক্ষণ চেয়ারে বসে আছেন, যেই উঠতে যাবেন মনে হবে শরীর আর চলছে না।’ যদি খাদ্যনালির পেশি কিংবা ডায়াফ্রাম পেশিতে এই সমস্যা হয়, তবে খাবার খেতে বা শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। ঠিক মতো চিকিৎসা না হলে, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থেকে মৃত্যুর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কোন কোন লক্ষণে চেনা যায় এই রোগ? প্রথম প্রথম দেহের বিভিন্ন অঙ্গে শুরু হয় ব্যথা। হাত, পা, ঘাড়ের পেশিতে যন্ত্রণা হয়। তবে যে কোনো পেশিতেই বাসা বাঁধতে পারে এই রোগ। পেশি এতই দুর্বল হয়ে যায় যে, রোগী মাঝেমধ্যেই পড়ে যেতে পারেন। একটানা দাঁড়িয়ে থাকলে কিংবা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে ক্লান্ত লাগে শরীর। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া – কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো খেলে তার প্রভাবে পেশিতে প্রদাহ শুরু হতে পারে। ট্রমা বা ইনজুরি – শারীরিক ট্রমা বা আঘাত থেকে পেশিতে মায়োসাইটিস হতে পারে। এই ধরনের মায়োসাইটিসের চিকিৎসা আলাদা। ক্যানসার – মারণরোগে আক্রান্ত হলে তার প্রভাবে শরীরের অটোইমিউন রিঅ্যাকশন বেড়ে যায়। ফলত পেশিতে প্রদাহ তৈরি হয়। একে বলা হয় প্যারানিওপ্লাস্টি সিনড্রোম। ফলে হাঁটাচলায় সমস্যা শুরু হয়। এছাড়া বয়সজনিত কারণেও বয়সকালে মায়োসাইটিস হতে পারে। অনেক সময় কোনও সিফুড খেয়ে তা থেকে পয়জনিং হয়ে এমন হতে পারে। অথবা কারও কারও ক্ষেত্রে কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়া থেকে সংক্রমণ হয়েও এমন হয়। যে লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান হতে হবে-  পেশির দুর্বলতা – এই অসুখ শরীরের বিভিন্ন পেশিতে প্রভাব ফেলে। যার জেরে প্রতিদিনের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। পেশিতে ব্যথা – অসহ্য পেশিতে ব্যথা হয়। পেশি শিথিল হয়ে যাওয়া – এক্ষেত্রে পেশি শিথিল হয়ে পড়ে। তাই কোনও অঙ্গই নাড়ানো যায় না। ত্বকে র‌্যাশ – এক্ষেত্রে স্কিনে লাল লাল র‌্যাশ বের হয়। যা খুবই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যায়। এক্ষেত্রে চোখের ওপরের পাতায় র‌্যাশ বের হতে পারে। নীলচে একটা প্রদাহ তৈরি হয়। এতে হিলিওট্রোপ র‌্যাশ বলে। জয়েন্ট পেইন – এই অসুখ হলে শরীরের গিরায় গিরায়ও কারও কারও ক্ষেত্রে ব্যথা হয়। অনেকেই তাই আর্থ্রাইটিস ভেবে ভুল করেন। ক্লান্তি – পেশি দুর্বল হলে, ব্যথা শুরু হলে তা থেকে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে প্রতিদিনের কাজ ব্যাহত হয়। এই সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে রোগীর হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায় সঙ্গে নিশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়। এতটাই সমস্যা হয় যে ভেন্টিলেশনের দরকার হয়। রোগ নির্ণয়ে- এই রোগ নির্ণয় করতে গেলে রোগীর পেশিতে বায়োপসি করার দরকার পড়ে। এছাড়া কিছু রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করার দরকার পড়ে। ইমেজিং টেস্ট ও ইলোকট্রোমায়োগ্রাফি করেও রোগ নির্ণয় করা হয়। তবে কখন কার কী টেস্ট দরকার সেটা চিকিৎসক রোগীর অবস্থা বুঝে নির্দেশ দেন। চিকিৎসা- চিকিৎসকরা জানান, মূলত ইমিউনো সাপ্রেসিভ ও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা হয় এই রোগের। তবে রোগের প্রকারভেদ রয়েছে। রোগের প্রকৃতি এবং রোগী চিকিৎসায় কতটা সাড়া দিচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই। কখনো কখনো সারা জীবনও ওষুধ খেতে হতে পারে রোগীকে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৭

ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে আ.লীগ : রিজভী 
ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (১৪ জানুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। আরও পড়ুন : নিজে কোনোদিন দুর্নীতি করিনি, করতেও দেব না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী   রিজভী বলেন, আগে ভোটকেন্দ্রে গরু-ছাগলসহ চতুষ্পদ প্রাণীরা বিচরণ করলেও এবারের নির্বাচনে নতুন সংযোজন বানর। আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থীরাও এই নির্বাচনকে তামাশার নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে। তিনি বলেন, এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ কৃত্রিম আনন্দ-ফুর্তিতে মেতে থাকার চেষ্টা করলেও তাদের মনে শান্তি নেই। প্রতিনিয়ত তাদের মনে ক্ষমতা হারানোর ভয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তারা এখন ষড়যন্ত্র তথ্য খুঁজছেন। আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতায় সুর পাল্টাচ্ছে চাপদাতারা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   রিজভী আরও বলেন, একদলীয় একতরফা ভুয়া নির্বাচনে ভোটাররা যায়নি। ৭ জানুয়ারিতে জনগণ আপনাদের চূড়ান্তভাবে লালকার্ড দেখিয়েছে। জাল ভোট ও অনিয়মের হাজারো চিত্র ভাইরাল হয়েছে। শিশুরাও দেদার সিল মেরেছে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩০

এবার দিনের ভোট রাতে হয়েছে বলার ক্ষমতা নেই : শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবার দিনের ভোট রাতে হয়েছে বলার ক্ষমতা নেই। কারণ, ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসতে পারছে বলেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ ব্যহত করতে পারবে না। অনেকেরই অনেকরকম স্বপ্ন আছে। অনেকেই নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ যেন ভোট দিতে না যায়, সেজন্য তাদের ঠেকাতে চেয়েছিল। তারপরও ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে, এটা সোজা কথা নয়। কারণ, এককভাবে আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সমমনা দল যখন নির্বাচন করেছে, তখন আরেকটি দল নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন কেউ বলতে পারবে না যে, দিনের ভোট রাতে হয়েছে বা ভোট কারচুপি হয়েছে। এসব বলার কোনো ক্ষমতা নেই। কারণ, অত্যন্ত স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটা জনগণ দেখেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা দিয়েছি। তারা নির্বাচন পরিচালনা করেছে এতে আমরা কোনো রকম হস্তক্ষেপ করিনি বরং সহযোগিতা করেছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন থেকে শুরু করে সবকিছুই ছিল নির্বাচন কমিশনের অধীনে। যাতে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। এর আগে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে উদ্যানের চারদিকে জড়ো হন ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা। দুপুর দেড়টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন প্রবেশ গেট দিয়ে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে শুরু করে। পরে শেখ হাসিনা সমাবেশ মঞ্চে উঠলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা পতাকা নেড়ে তাকে স্বাগত জানান। মঞ্চে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়