• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফ্রিল্যান্সারের সাড়ে তিন কোটি টাকা গায়েব, ৭ ডিবি সদস্য ক্লোজড
গভীর রাতে কার্যালয়ে তুলে নিয়ে চট্টগ্রামে এক ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবির এক টিমের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে ঘটনা সামনে আসার পর অভিযুক্ত ডিবি সদস্যদের ক্লোজড করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।  জানা গেছে, অনলাইন জুয়ার অভিযোগ তুলে আবু বকর সিদ্দিক নামে ওই ফ্রিল্যান্সারকে গত সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে দশটার দিকে ডিবি কার্যালয়ে ধরে নিয়ে যায় টিমটি। পরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তুলে নেয় দশ লাখ টাকা। এর বাইরেও কৌশলে তার বাইন্যান্স একাউন্ট থেকে  ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার সমমানের ক্রিপ্টোকারেন্সি সরিয়ে নেন ওই ডিবি কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে তার মুঠোফোন ও পকেটে থাকা টাকা-পয়সাও কেড়ে নেন তারা। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ওইদিন রাতে অক্সিজেন এলাকা থেকে তুলে মনসুরাবাদ ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয় তাকে। এরপর গভীর রাতে সেখানে কয়েকবার জোর করে তার মুঠোফোনে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। পরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আদায় করা হয় দশ লাখ টাকা। ওই টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নেওয়া হয় ভিন্ন দুইটি অ্যাকাউন্টে। এছাড়া তার বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট থেকেও সরিয়ে নেওয়া হয় ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আবু বকর সিদ্দিকের দাবি, দীর্ঘ ১৪ বছর ফ্রিলান্সিং করে অর্জিত তার সব অর্থ সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন ডিবির পরিদর্শক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এমনকি তাকে ও তার পরিবারকে মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতিও দেখানো হয়েছে। একইসঙ্গে আতঙ্কের মধ্যে আছেন জানিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন এ ফ্রিল্যান্সার।   এদিকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠায় পরিদর্শক রুহুল আমিনসহ তার দলের সাত সদস্যকে ক্লোজড করেছে সিএমপি। ডিবি হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে মুঠোফোন থেকে অর্থ ট্রান্সফার হয়, সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এজন্য গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের একটি কমিটি। পাশাপাশি কাউছার আহমেদ নামে এক যুবককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত এই কাউছারের একাউন্টেই পাঠানো হয় এই কারেন্সি এবং সে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিবি সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার মোছা. সাদিরা খাতুন বলেন, যেহেতু অভিযোগ এসেছে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি এবং টিমে যারা ছিল তাদেরকে ক্লোজ করে রেখেছি। তদন্ত কমিটি দেখবে, ডিবির হাতে মোবাইল আসার পর টাকাগুলো গেল, নাকি আগে বা কোন পর্যায়ে গেল। তিনি আরও বলেন, টাকাটা যার মোবাইলে গিয়েছে সেও ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবসা করে, এখন আমাদের দেখার বিষয় এর সঙ্গে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা কতটুকু, যদি আমাদের টিমের সদস্যরা এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।    
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৮

থানায় যুবককে পেটানোর অভিযোগে এসআই ক্লোজড
নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় এক তরুণকে পেটানোর অভিযোগে উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদারকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়েছে।     বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম। একই দিন দুপুরের দিকে থানায় আটক বড় ভাইয়ের খবর নিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ আল নোমান (২৩) উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের উত্তর কাদরা মজুমদার বাড়ির বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে জেলা শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগীর পরিবারও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শাহাদাত হোসেনকে বাড়ির পাশ থেকে বিনা কারণে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে তার ছোট ছেলে নোমান বড় ভাইয়ের খোঁজ নিতে থানায় যান। থানায় উপপরিদর্শক সঞ্জয় সিকদারের কাছে তার বড় ভাইকে আটকের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। ওই উপপরিদর্শকের সঙ্গে নোমানের কথা-কাটাকাটি হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে নোমানকে থানার একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বেধড়ক পিটিয়েছেন ওই উপপরিদর্শক। এতে নোমান অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদার বলেন, শাহাদাত হোসেনকে গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় আনার পর তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। নোমান নামে কাউকে তিনি চেনেন না। নোমানকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন, সেটিও তিনি জানেন না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, আটক ভাইয়ের খোঁজ নিতে যাওয়া তরুণকে থানায় পেটানোর অভিযোগ ওঠায় সেনবাগ থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদারকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড (সংযুক্ত) করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৩

শ্লীলতাহানির অভিযোগে সেই এএসআই ক্লোজড
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদক তল্লাশির নামে এক আদিবাসী গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সন্তোষ কুমারকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাতে এক আদেশে পুলিশ সুপার ওই এএসআইকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেন। আর গৃহবধূর শ্লীলতাহানির বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  এর আগে, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে অভিযুক্ত এএসআই সন্তোষ কুমার মাদক তল্লাশির নামে তাড়াশ উপজেলার দেশিগ্রাম ইউনিয়নের গুড়পিপুল যশাইপাড়া গ্রামের এক আদিবাসী গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় এক ভিডিও বার্তায় বিচার দাবি করেন ওই গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আরটিভি অনলাইনে ‘তল্লাশির নামে আদিবাসী নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপারের (এসপি) নজরে আসে। সংবাদটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিষয়টি সরেজমিন তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০

আরটিভিতে সংবাদ প্রচার, আখাউড়া বন্দরের ২ কর্মকর্তা ক্লোজড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার দুই কাস্টমস কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে আরটিভিতে সংবাদ প্রকাশের পর সেই দুই কাস্টমস কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান ফারুক ও শুল্ক গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সজিব পালকে ক্লোজড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে এক আদেশের মাধ্যমে আসাদুজ্জামান ফারুককে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সদর দপ্তর কুমিল্লা জনপ্রশাসন শাখায় সংযুক্ত করা হয়। অপরদিকে শুল্ক গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সজিব পালকে ঢাকায় তার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। কুমিল্লা সদর দপ্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান সরদারের স্বাক্ষরিত এক দপ্তরাদেশে তাদের সংযুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ পথে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছ থেকে নানা উপায়ে টাকা আদায় করা হয়। টাকা না দিলে করা হয় হয়রানি। আসাদুজ্জামান ফারুক ও শুল্ক গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সজিব পাল এ দুই কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক পাসপোর্টধারী যাত্রীকে মাদক চোরাচালানের প্রস্তাব দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও আসে আরটিভির হাতে। পরে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে আরটিভিতে প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। অবশেষে মঙ্গলবার বিকালে এক আদেশের মাধ্যমে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সংযুক্ত (ক্লোজ) করা হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়