• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে
বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের অপচেষ্টা ও হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আদালতে দায়েরকৃত মামলায় ৭ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে আদালতে এ আদেশ দেন তিনি। আদালত সূত্রে জানা যায়, বরগুনা প্রেস ক্লাবের অধিকাংশ সদস্য বার্ষিক শিক্ষা সফরে ভারতে অবস্থানরত অবস্থায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মাসুদ তালুকদার ও কথিত সাংবাদিক মুশফিক আরিফের নেতৃত্বে বরগুনা প্রেস ক্লাবে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা চালায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল। এ ঘটনায় আহত হন বরগুনা প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার সোহেল হাফিজ, যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার ফেরদৌস খান ইমন এবং সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম মিরাজসহ ৭ জন সংবাদকর্মী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে বরগুনা প্রেস ক্লাব। আজ ধার্য তারিখে আদালতে আসামিরা হাজির হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ জামিন নামঞ্জুর করে বরগুনা জেলা শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের মৃত নজরুল শরীফের ছেলে মুশফিকুল ইসলাম (মুশফিক আরিফ), পাথরঘাটা উপজেলার বাঁশতলা নাসনা পাড়া গ্রামের হামিদ মোল্লার ছেলে এম হারুন অর রশিদ রিংকু, বরগুনা সদরের খাজুরতলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেন হাওলাদারের ছেলে সগীর হোসেন, বরগুনা সদরের পাজরাভাঙ্গা গ্রামের পিন্চু শরীফের ছেলে শাজনুস শরীফ, বরগুনা পৌরসভার আব্দুল কাদের সড়কের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে আল-আমিন, পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ রূপদোনের গ্রামের মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে জাফরুল হাসান রুহান (রুদ্র রুহান) ও বরগুনা পৌরসভার থানা পাড়ার মোশাররফ খানের ছেলে রাকিবুল হাসান রাজন খানকে কারাগারে পাঠানোর  নির্দেশ দিয়েছেন।        বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের ও আসামি পক্ষে এ কে এম অ্যাডভোকেট এ কে এম শফিকুল ইসলাম নেছার। বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার বলেন, বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনার ১৩ দিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রেসক্লাবের দায়েরকৃত মামলার ১ নম্বর আসামি কথিত সাংবাদিক মাসুদ তালুকদার। এই স্বাভাবিক মৃত্যুকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হত্যা মামলা দায়ের করে স্বার্থন্বেষী ওই মহলটি। এ ছাড়াও বরগুনা প্রেসক্লাবের প্যাড ও লোগো ব্যবহার করে আসামিরাসহ বাইরের কিছু তথাকথিত সাংবাদিকদের নিয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের নামে একটি ভুয়া কমিটির ঘোষণা করে।
১০ ঘণ্টা আগে

চট্টগ্রামে রাইফেল ক্লাব ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকার রাইফেল ক্লাবের ইউসিবি ব্যাংক ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।  শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যায় ইফতারের পর খবর আসে নন্দনকান রাইফেল ক্লাব ভবনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ৪টি ইউনিট সেখানে পাঠানো হয়। পরে আরও দুটি ইউনিট যুক্ত হয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণে সর্বমোট ৬টি ইউনিট কাজ করছে।  আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউসিবি ব্যাংকের জুবিলী রোড শাখার ব্যবস্থাপক (অপারেশনস) মো. মইনউদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুনের ঘটনা ঘটে। এ সময় ব্যাংক বন্ধ ছিল। নিরাপত্তাকর্মী থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আছেন। এখনো ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৮

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সঙ্গে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের চুক্তি স্বাক্ষর
জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের মধ্যে (স্বাস্থ্যসেবা) সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. এম ফখরুল ইসলাম, এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হোসেন, এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ডা. রুহুল আমিন, বারাকাহ স্পেশালাইজড হাসপাতালের  প্রজেক্ট এডমিনিস্ট্রেটর মো. নজরুল ইসলাম শাওন, ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (বিপণন ও মিডিয়া ইনচার্জ) এইচ এম দুলাল, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (কর্পোরেট) মো. হিরো মিয়া, এক্সিকিউটিভ সাদ আবদুল্লাহ এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব ভূঁইয়া, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, আহ্বায়ক স্বাস্থ্য ও সদস্য কল্যাণ উপকমিটি বখতিয়ার রাণা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কল্যাণ সাহা প্রমুখ। ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. এম ফখরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় আমরা সাংবাদিকদের পাশে থাকতে চাই। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, আজ থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ও পরিবারের জন্য ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে সর্বোচ্চ ছাড়ে সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এই চুক্তির মাধ্যমে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সকল সদস্য সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ফ্যামিলি মেম্বারসহ ইনসাফ বারাকাহ কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবায় ডিসকাউন্ট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৯

ভারতে ফিরে গেলেন আগরতলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দরা
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দরা বাংলাদেশ সফর শেষে নিজ দেশে ফিরে গেছেন।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তপথে দেশে ফিরে গেছেন। এর আগে, সকালে ত্রিপুরা রাজ্যের ১৩ সদস্যের সাংবাদিক প্রতিনিধি দল আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে গোপালগঞ্জ থেকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছেন। এ সময় তাদেরকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশু। এ সময় আরটিভি আখাউড়া প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ভিআইপি লাউঞ্জে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় কৃতজ্ঞতা চিত্তে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে মহিউদ্দিন মিশু বলেন, ত্রিপুরার জনগণ যে অবদান রেখেছে তা অনস্বীকার্য। ভৌগোলিক, ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান কারণে আমরা এক এবং অভিন্ন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরার মধ্যে আত্মার সম্পর্ক, যেন আমরা একে অপরের আত্মার আত্মীয়। পূর্বোত্তর ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ত্রিপুরা রাজ্য সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং কূটনৈতিক যে সম্পর্ক রয়েছে তা প্রশংসনীয়। রাজ্যের ১৩ সদস্যসের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলটি গত শনিবার সকালে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তপথে জাতীয় প্রেসক্লাবের আমন্ত্রণে ৪ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশ সফরকালে দলটি জাতীয় প্রেসক্লাব ছাড়াও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ছাড়াও বিভিন্ন গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সহসভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত দে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রণব সরকার এ সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৭

জয় পেয়ে যা বললেন চিত্রনায়িকা পলি
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা রিয়ানা রহমান পলি। ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের নজর কাড়েন তিনি। বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরেই রয়েছেন পলি। রুপালি পর্দায় তাকে এখন দেখা না গেলেও চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা মেলে তার।  এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন পলি। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য এই সমিতির নির্বাচনে ২৪৬ ভোট পেয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দ্বিতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছেন তিনি। সভাপতি প্রার্থী কামাল মো. কিবরিয়া লিপুর প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেন এই নায়িকা।   জানা গেছে, দেশের চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্টদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচনে ২৬৬ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সামসুল আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী কামাল মো. কিবরিয়া লিপু পেয়েছেন ২০৪ ভোট। এদিকে জয়ে পেয়েই দেশের এক গণমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন পলি। উচ্ছ্বসিত হয়ে চিত্রনায়িকা বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত করতে পারব না। টানটান উত্তেজনায় নির্বাচনটি হয়েছে। ভেবেছিলাম এমন হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতায় জয় পাব না। আমায় দোয়া এবং ভালোবাসায় রেখেছে ভোটাররা। এ জয়ে আমি অনেক খুশি। ভোটারদের প্রতি অফুরান্ত ভালোবাসা। এই এক বছর ভালো কাজ করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ভোটের আগে পলি বলেছিলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে ক্লাবটির আরও উন্নয়ন করবেন। নিকেতন থেকে ক্লাব গুলশান-বনানীর মতো জায়গায় নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান। সেখানে আরও সুন্দর পরিবেশ এবং একটি বাড়ি নিয়ে পুরো ক্লাব সাজানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাচ্চাদের খেলাধুলার স্থান এবং বড়দের জন্যও বিলিয়ার্ড খেলার স্থানও থাকবে।    এ ছাড়া বড় কনফারেন্স রুম এবং রেস্টুরেন্ট তো থাকবেই। সুযোগ পেলে রাতারাতি ক্লাবের পরিবর্তন আনতে চান পলি। নির্বাচনের আগে তার দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। পলি বলেন, আমি লিপু ভাইয়ের প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছি। কিন্তু সামসুল আলম ভাইয়ের প্রথম প্রযোজিত ও পরিচালিত সিনেমার নায়িকা আমি। তাদের দুজনেরই সিনেমা করেছি। মালাবদলের নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই। আলম ভাইয়ের প্রতি সম্মান ছিল, আছে ও থাকবে। আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে ক্লাবটি আরও এগিয়ে নেব। আশা করছি, তারাও আমাকে সহযোগিতা করবেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিএফডিসিতে বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে অনুষ্ঠিত হয় প্রযোজক সমিতির এই নির্বাচন।    
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫২

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, মানুষ খুশি না : কাদের সিদ্দিকী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাই মানুষ সন্তুষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম হলরুমে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে মিট দ্য প্রেসে তিনি এ মন্তব্য করেন। কাদের সিদ্দিকী বলেন, সংসদ আছে, সংসদ সদস্যের কোনো মর্যাদা নেই। রাজনীতি আছে, নেতাদের মূল্যায়ন নেই। আমেরিকা এই নির্বাচন মেনে নিয়েছে কি না তা দেখার বিষয় না। তবে আমার দেশের মানুষ খুশি হলো কি না এইটা বড় বিষয়। তবে আমি জানি, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি ও মানুষ খুশি না। তিনি বলেন, নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কেন্দ্রে যায়নি, তাদের ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের পাঁচ ভাগও ভোট দিতে যায়নি। আর যারা অন্য দল করে তাদের এক ভাগ ভোটারও ভোট দিতে যায়নি। সখীপুর বাসাইলে ২৯ থেকে ৩০ হাজার ভোট চুরি করা হয়েছে। যারা ডিউটিতে ছিল প্রাথমিকের শিক্ষকরা তারা যদি চুরি করে, তাহলে জাতি তাদের কাছ থেকে কি শিখবে? তিনি আরও বলেন, সরকার স্বস্তিতে নেই। ভোট যদি ৭০ ভাগ হতো, তাহলে ভালো হতো। কিন্তু কোথাও ২৫ ভাগ ভোটও হয়নি। সরকার স্বস্তিতে থাকার জন্য মানুষের আস্থা কুড়াতে চাচ্ছে। এই সংসদ চলে না, তবে জোর করে চালানো হচ্ছে। কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি নির্বাচন করেছি ঠিকই। কিন্তু নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। কিন্তু কথা হলো চোরের বিচার চোরের কাছে দেব নাকি? তাই কোথাও অভিযোগ দিইনি। আমি যদি সত্যিকারের হেরে গিয়ে থাকি তাহলে বঙ্গবন্ধু হেরে গিয়েছেন। জাতি যদি মনে করে মুক্তিযোদ্ধাকে চায় না, দেশ স্বাধীন চায় না? তাহলে বলব, আমি হেরে গেছি আর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুও হেরে গিয়েছেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৪

শেষ সময়ে চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার আজই শেষ দিন। আনুষ্ঠানিকভাবে আগামীকাল (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শেষ হচ্ছে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী এবং সমর্থকরা। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয় যানজট। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এ যানজট দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি আটকে নির্বাচনী শোডাউন এবং প্রচার-প্রচারণায় দেখা দেয় যানজট। এ ছাড়া আজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গুলিস্তানের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে টিএসসি পর্যন্ত র‍্যালির কারণেও যানজট সৃষ্টি হয়।  এ ছাড়া রাজধানীতে গত কয়েক দিন ধরে চলছে নির্বাচনবিরোধী প্রচারণা। এ অবস্থায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনবিরোধী কর্মসূচি। এতে হাইকোর্ট পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। এদিকে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি নির্বাচনের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় অনেকেই অফিস শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন। এতেও রাজধানীজুড়ে গাড়ির চাপও রয়েছে বেশ। এতে যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দের সময় ছিল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়