• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নওগাঁয় ক্যান্সার কর্নারের দাবিতে মানববন্ধন
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ক্যান্সার কর্নার নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে নো-ক্যান্সার পেশেন্ট হেল্প সেন্টার ও ইম্প্রেশন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন চলে। নো-ক্যান্সার পেশেন্ট হেল্প সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সাকিল রাব্বানীর নেতৃত্বে মানববন্ধনে কৃষক, ছাত্র, ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠী এবং সাধারণ জনসাধারণ অংশ নেন। এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মরণঘাতী ক্যান্সার রোগের যদি প্রাথমিক চিকিৎসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে হয় তাহলে রোগীরা তাদের রোগ প্রতিরোধে বিশেষ সহযোগিতা পাবে। পত্নীতলা উপজেলায় প্রাথমিক এবং শনাক্তকারী মোট ১ হাজার ৭৬০ জন ক্যান্সার রোগী রয়েছে। রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে উপজেলায় ক্যান্সার কর্নার নির্মাণ হলে প্রাথমিকভাবে তারা উপকৃত হবে। তাই ক্যান্সার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ক্যান্সার কর্নার নির্মাণ করার জোর দাবি জানান জনসাধারণ।   মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে আদিবাসী নেতা নরেন পাহান, কৃষক নেতা মোখলেসুর রহমান, সংগঠনের সদস্য রাশেদ রানাসহ ভুক্তভোগী ক্যান্সার রোগী ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৪

আজ বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস / দেশে আক্রান্ত শিশুর ৭৮ শতাংশেরই ব্লাড ক্যান্সার
আজ বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস। শিশু ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০২ সালে চাইল্ড ক্যানসার ইন্টারন্যাশনাল (সিসিআই) দিবসটি পালন করে আসছে। প্রতিবছরের মতো এবারও সারাবিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য– ‘যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসায় শিশু ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব’। দিবসটি উপলক্ষে সকালে র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ডহুড ক্যান্সার (আইসিসি) বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর ৪ লাখের বেশি শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন, যার ৫ শতাংশ শিশু। আক্রান্তদের ১০ শতাংশের কম রোগী চিকিৎসার আওতায় আসছে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, বলছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ২০ লাখের বেশি ক্যান্সার রোগী রয়েছেন, যাদের ৫ শতাংশই শিশু। এসব শিশুর ৭৮ শতাংশই আবার ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। শিশুদের বেশির ভাগ ক্যান্সার জন্মগত হলেও পারিপার্শ্বিক পরিবেশও কম দায়ী নয়। রক্তে সেলগুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হওয়ায় শিশুরা বেশি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শিশু ক্যান্সারের চিকিৎসা শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক। এসব রোগীর চিকিৎসায় রয়েছেন মাত্র ৪৭ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।  উন্নত দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার সুযোগ হলে ৮০ শতাংশ শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে, মধ্যম আয়ের দেশে এ হার ৬০ শতাংশ। জিনগতভাবে শিশুরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় বড় একটি অংশ শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। আবার শনাক্তদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে মাঝপথে হাল ছেড়ে দিচ্ছেন। মাত্র ৩০ শতাংশ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করছে।  জানা গেছে, বিএসএমএমইউর শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছে ৪ হাজার ৭৮০ জন। এতে দেখা গেছে, সেবাগ্রহীতা শিশুদের ৭৮ শতাংশ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। টিউমার ক্যান্সারে ৮ দশমিক ৬ ও অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৩ শতাংশ। অথচ ২০১৮ সালের তথ্য পর্যালোচনায় সেবাগ্রহীতা শিশুদের ৩৩ ভাগ ব্লাড ক্যান্সারের রোগী পাওয়া যায়। বিএসএমএমইউর শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এটিএম আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, অতিরিক্ত মোবাইলে আশক্তি, নগরায়ণ, বায়ু ও পানিদূষণের কারণে শিশুদের ক্যান্সার বাড়ছে। তবে ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় অধিকাংশ রোগী চিকিৎসার বাইরে থাকছে। যারা আসছে, তারও শেষ সময়ে। একটি সেমিনারে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন ভারতের চেন্নাইয়ের গ্লেনিগেলস হেলথ সিটি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক হেমাটো অনকোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. পোন্নি শিবপ্রকাসম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত ৮০ শতাংশের বেশি শিশু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের বাসিন্দা। তবে আক্রান্ত শিশুর ৮০ শতাংশ থেকে যাচ্ছে শনাক্তের বাইরে। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত শিশুর ৮০ শতাংশ সুস্থ হয়ে ওঠে। এদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সারে শিশু মৃত্যুর হার ৬০ ভাগ কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শিশুদের ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ-২০৩০ ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে শিশুদের ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ৬০ ভাগ কমিয়ে আনতে হবে। সেটি নিশ্চিত করতে হলে সব রোগীর জন্য সারাবিশ্বে সর্বোত্তম মানের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করতে হবে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪২

দেশে প্রতি বছর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ১৫ হাজার নারী
বর্তমান বিশ্বে সাড়ে ১০ কোটি নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রতি বছর এই রোগে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন ১৫ হাজারের বেশি  বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের বেশি নারী এবং দুই শতাংশের মতো পুরুষ। গড়ে প্রতি বছর এই ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন সাড়ে ৭ হাজার মানুষ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সাত্তার হলরুমে ‘বিশ্ব ক্যান্সার দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানায় ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশ। এর আগে দুপুরে সোসাটির পক্ষ থেকে জাতীয় শহীদ মিনার থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে প্রেসক্লাব পর্যন্ত ক্যান্সার বিষয়ক জনসচেতনতামূলক র‌্যালি ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী পালন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়। বিশেষ করে সাড়ে ১০ কোটি নারী বর্তমানে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। দ্বিতীয় এ মরণব্যাধিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে সচেতনতা ও শিক্ষার অভাব এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকে বাংলাদেশে ক্যান্সার ও এ রোগে মৃত্যুর হার বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হয়েছে। আলোচনা সভায় জানানো হয়, আমাদের জীবনযাপনের ধরন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে, এ কারণেও ক্যান্সারে  হতে পারে। এছাড়া কারও পরিবারে স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলেও পরবর্তী প্রজন্ম এর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যেসব মেয়ের ১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব হয় ও দেরিতে মেনোপজ বা ঋতু বন্ধ হয়, তারাও ঝুঁকিতে থাকেন। সেইসঙ্গে তেজস্ক্রিয়তাও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণায় দেখা যায়, যারা দেরিতে সন্তান নেন, যাদের সন্তান নেই বা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন না, শাকসবজি বা ফলমূলের চাইতে যাদের খাদ্যাভ্যাসে চর্বি ও প্রাণিজ আমিষ বেশি এবং প্রসেসড ফুড বেশি খান এবং যাদের অতিরিক্ত ওজন, তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছেন বা হরমোনের ইনজেকশন নিচ্ছেন, এমন নারীরাও ঝুঁকির মধ্যে আছেন। একইসঙ্গে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। বিশেষ করে ৫০ বছর বয়সের পর এই ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়। তখন আর করার কিছু থাকে না। স্তন ক্যান্সার সাধারণত দুভাবে শনাক্ত করা যায়- ১. স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে। ২. রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে। স্ক্রিনিং আবার দুভাবে করা যায়- ১. নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করা, ২. ডাক্তার বা নার্সের সাহায্যে পরীক্ষা করা।  স্তন রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও প্রধানত দুটি পদ্ধতি রয়েছে- ১. মেমোগ্রাম বা স্তনের বিশেষ ধরনের এক্স-রে ও ২. স্তনের আলট্রাসনোগ্রাম। এছাড়া এমআরআই এবং বায়োপসির মাধ্যমেও স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়ে থাকে। স্তন ক্যান্সার সনাক্তকরণের পরবর্তী পর্যায় হলো এর সঠিক চিকিত্সা করা। স্তন ক্যান্সারের যে চিকিত্সাগুলো প্রধানত রয়েছে সেগুলো হলো সার্জারি,  কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও হরমোন থেরাপি।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৬

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আজ
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আজ। প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি দিবসটি পালিত হয়। বিশ্ব জুড়ে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান রোগে পরিণত হয়েছে। উন্নত-আধুনিক দেশ থেকে পিছিয়ে পড়া কোনো দেশই এর বাইরে নয়। প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বিশ্বে প্রতি বছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করে। বিশেষ করে সাড়ে ১০ কোটি নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সচেতনতা এবং সুষ্ঠু জীবনযাত্রা দিয়ে একটি বড় অংশের ক্ষেত্রে ঠেকিয়ে রাখা যায় এ মারণরোগ। তাই ক্যান্সার নিয়ে আশঙ্কার বদলে সচেতনতার প্রসার বেশি জরুরি। আর সেই কারণেই, প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস।  চিকিৎসকরা মনে করেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং সেক্ষেত্রে চিকিৎসা সহজ হয়। ক্যান্সারের লক্ষণগুলো নির্ভর করে ক্যান্সারটি কোথায়, এটি কতটা বড় এবং এটি কাছাকাছি কোনো অঙ্গ বা টিস্যুকে কতটা প্রভাবিত করে। ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথমে আসে ১৯৯৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। ২০০০ সালে প্যারিসে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দিবসটি ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোল নামের একটি বেসরকারি সংস্থার নেতৃত্বে পালন করা হয়। দিবসটি  উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো মারাত্মক ও প্রাণঘাতী এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা।   দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ ক্যান্সার ফাউন্ডেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে শোভাযাত্রা, ক্যান্সারবিষয়ক পোস্টার ও ফেস্টুন প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, ক্যান্সার রোগী ও সারভাইবারদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্যতম।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮

ক্যান্সার আক্রান্ত এহসানকে ম্যাচসেরার টাকা অনুদান বিজয়ের
বিপিএলে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেয়েছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। পরে ম্যাচসেরার পুরো টাকা অনুদান হিসেবে এক ক্যান্সার লড়াকু, বিসিবির হাই-পারফরম্যান্স ইউনিটের কোচ জাফরুল এহসানকে দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তাকেই এই জয় উৎসর্গ করেছে দলটি।  ম্যাচসেরা হিসেবে এক লাখ টাকা পুরস্কার পাওয়ার পর বিজয়ের মন্তব্য, ম্যাচ শুরুর আগে আমাদের একটা কথোপকথন হয়। আমাদের এহসান (স্যার) এখন হাসপাতালে আছেন, ক্যান্সার রোগী। আমরা প্রথমেই ভেবেছিলাম এই ম্যাচ জিতব ও তাকে উৎসর্গ করব এবং দলের যে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হবে, সেটা আমরা তার জন্য কন্ট্রিবিউট করব। এটা (পুরস্কারের টাকা) তাকে কন্ট্রিবিউট করছি।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করে ১৮৭ রানের বিশাল পুঁজি পায় ফরচুন বরিশাল। তবে বিশাল এই রান মাত্র ১৮ ওভারেই তাড়া করে ফেলে খুলনা। ওপেনিংয়ে নেমে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন বিজয়। এ ছাড়া ২২ বলে ৫৩ রানের ক্যামিওতে জয়ের পথ সহজ করেন এভিন লুইস। এদিকে ম্যাচসেরা হওয়া ম্যাচ জয়ের পুরো কৃতিত্ব লুইসকে দিয়েছেন এই ওপেনার। বিজয়ের ভাষ্য, আপনারা তো লুইসের খেলা দেখলেন। আসলে লুইসই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। আমরা শুধু ক্যারি করেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে আমি শুধু ক্যারি করেছি। খেলাটা আসলে পুরোটাই ইউটার্ন করিয়ে দিয়েছে লুইস। মিরপুরে এই রান তাড়া করা সহজ নয়। কিন্তু ও খেলাটা শেষ করে দিয়েছে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়