• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ক্যানসার আক্রান্ত অভিনেত্রী আফরোজার পাশে দাঁড়ালেন ফারহান
বর্তমান সময়ের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। কেবল অভিনয় নয়, তারকা খ্যাতির বাইরে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্যও বেশ মানবিক তিনি। সহকর্মী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অসংখ্য মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেতা। এদিকে, ছোটপর্দার পরিচিত মুখ আফরোজা হোসেন গত দুই বছর ধরে জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত। এবার এই অভিনেত্রীর চিকিৎসায় দুই লাখ টাকা অর্থ সহায়তা করলেন ফারহান। তিনি ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে তাকে ভারতে নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ভারতের চিকিৎসক জানান, তার ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মেরুদণ্ড নার্ভের জরুরি একটি অপারেশন করাতে হবে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে নিজের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারছেন না অভিনেত্রী। তার কয়েকজন সহশিল্পী পাশে দাঁড়ালেও চিকিৎসা ব্যয় চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন এই অভিনেত্রীর পরিবার। এ অবস্থায় তার পাশে দাঁড়ালেন ফারহান। সহকর্মী আফরোজার চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন নগদ ২ লাখ টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করে দীর্ঘ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী মনিরা মিঠু। তিনি লেখেন, ফারহানের সঙ্গে শুটিং চলাকালীন সময়ে আফরোজা আপার অসুস্থতার কথা কিছুটা বলি তাকে। এরপর তিনি রীতিমতো আগেব প্রবণ হয়ে পড়েন। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, মিঠু আপা কত টাকা শর্ট পরেছে? আমি তাকে বলি সম্ভবত ২ লাখ রুপি। এরপর ফারহান ৩০ সেকেন্ডের মতো ভেবেই আমার হাতে ২ লাখ টাকা ক্যাশ দিয়ে দিলেন। তখন গ্রিনরুমে উপস্থিত আমাদের সবার চোখে পানি। সঙ্গে সঙ্গে আফরোজা আপার ছেলেকে ফোন করে ফারহানকে ধরিয়ে দিলাম, আপার ছেলে নাঈম হাউমাউ করে কাঁদছে। তখন ফারহান আপন ভাইয়ের মতো সান্ত্বনা দিচ্ছে। ফারহান এবং তার পরিবারের জন্য আমাদের কলিজার ভেতর থেকে দোয়া ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সেই অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে। আফরোজা আপাও ভালো আছেন। আল্লাহ মহান, এভাবেই মানবতার জয় হোক। প্রসঙ্গত, এর আগে মুশফিক আর ফারহান তার ম্যানেজার কাম-সহকারী রওশন আলম রায়হানের মৃত্যুর পর তার দিশেহারা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রয়াত সহকারীর স্বপ্ন পূরণে ঈশ্বরদীর (পাবনা) চরকুরুলিয়া গ্রামে একতলা ছাদের চার রুমের একটি বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি ছোট পর্দার জ্যেষ্ঠ অভিনেতা আলাউদ্দিন লালের চিকিৎসার দায়িত্বও নিয়েছিলেন। এছাড়াও আড়ালে তিনি অসংখ্য মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮

ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন ট্যাবলেট আনছে ভারত, দাম হাতের নাগালেই
ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন এক ওষুধ আনতে যাচ্ছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার (টিএমসি)। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা রোগীর দ্বিতীয়বার ক্যানসার আক্রান্ত হওয়া ঠেকাবে।  ঘোষণা অনুযায়ী, এই চিকিৎসায় যে ট্যাবলেট ব্যবহার করা হবে, তার দামও থাকছে হাতের নাগালে, মাত্র ১০০ রুপি। খবর ভারতের বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভির। নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ ক্যানসার চিকিৎসক রাজেন্দ্র বাদভে। গবেষণা দলে যুক্ত এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাদের আবিষ্কৃত নতুন ট্যাবলেটটি যে শুধু দ্বিতীয়বারের মতো ক্যানসার আক্রান্ত হওয়া থেকে ঠেকাবে, তা নয়; এর সঙ্গে ক্যানসারের চিকিৎসার যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে, তারও প্রভাব কমবে রোগীর শরীরে।  গবেষক দলের দাবি অনুযায়ী, রোগীর শরীরে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের মতো চিকিৎসাপদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ৫০ শতাংশ কমে আসবে এই ট্যাবলেট সেবনে।  গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই ওষুধ তৈরির জন্য মানুষের ক্যানসার কোষ ইঁদুরের মধ্যে ঢোকানো হয়েছিল। এরপর ইঁদুরগুলোর শরীরে টিউমারের জন্ম নেয়। এরপর সেই ইঁদুরগুলোর অপারেশন হয়, কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশনও হয়। দেখা গেছে, এই ক্যানসার কোষ যখন মরে যায়, তা ক্রোমাটিন নামে ছোট ছোট বস্তুতে পরিণত হয়ে রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্যত্র চলে যায় এবং পরবর্তী সময়ে সুস্থ কোষে প্রবেশ করে ক্যানসার সেলে পরিণত করতে পারে। পরবর্তী ক্যানসার সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে ১০ বছর ধরে গবেষণা করেছেন ভারতের এই বিজ্ঞানীরা।  তবে, এখনই মানবদেহের ওপর এই ওষুধের ট্রায়াল শুরু করার সময় আসেনি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাব ইঁদুর এবং মানুষ- উভয়ের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে, তবে প্রতিরোধ পরীক্ষাটি শুধুমাত্র ইঁদুরের উপর করা হয়েছে। মানবদেহে পরীক্ষা শেষ করতে আরও প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগবে। গবেষণাটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। গবেষণা চলাকালে বিভিন্ন সময়ে অনেকেই মনে করেছিল এটি সময় এবং অর্থের অপচয়। কিন্তু আজ সবাই খুশি এবং উত্তেজিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বড় একটি সাফল্য হয়ে ধরা দিতে যাচ্ছে তাদের নতুন আবিষ্কারটি।    
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫১

ক্যানসার জয় করে গানে ফিরলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী গিটারিস্ট
এমন একটা সময় ছিল যখন গানে উন্মাতাল ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী গিটারিস্ট শারমিন আহমেদ মিন্নি। তার গান নিয়ে তিনি ঘুরে বেরিয়েছেন দেশ বিদেশের বড় বড় মঞ্চে। হঠাৎ করেই গান থেমে যায় তার। শরীরে বাসা বাঁধে মরণব্যাধি ক্যানসার। মরণব্যাধি ক্যানসার জয় করে পাঁচ বছর পর গানে ফিরলেন মিন্নি। ‘বোঝাপড়া’ গানের মিউজিক ভিডিও দিয়ে আবার ফিরে আসলেন তিনি ও তার ব্যান্ড ‘নির্বাসন’।  গত পাঁচ বছর ধরে ব্যান্ডটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে দীর্ঘদিন পর আবারও নতুন চমক নিয়ে ফিরলো ব্যান্ডটি। রক ঘরানার ব্যান্ড নির্বাসন এবার তাদের নতুন গান প্রচার করলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ইউটিউবে। নির্বাসন ব্যান্ডের ‘বোঝাপড়া’ শিরোনামে গানটি লিরিক ও সূর করেছেন মইন জাকি এবং কণ্ঠ দিয়েছেন শারমিন আহমেদ মিন্নি। মিউজিক ভিডিওতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিন্স এ আর ও জেবা জান্নাত। শারমিন আহমেদ মিন্নি বলেন, আমরা শিল্পীরা সব সময় চাই সকলের মধ্যে থাকতে। আমাদের দেশে ব্যান্ড গানের অনুরাগী আছেন অনেক যা গননা করা যাবে না এবং তাদের জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। রক মিউজিক প্রেমিরা চায় ব্যান্ডগুলো বেঁচে থাকুক, নতুন নতুন গান নিয়ে আসুক। আমি সেটাই চেষ্টা করি দর্শক স্রোতাদের যতটা সম্ভব বিনোদন দেওয়ার। এটা সত্যি আমার কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ। আসলে এই গানটা ছোট-বড় সকলের খুব পছন্দ হবে। তার ওপর গানের কম্পোজিশন এবং মিউজিক ভিডিও তারিফ করার মতই হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৮

ব্রিটেনের রাজা চার্লসের ক্যানসার
ব্রিটেনের রাজা চার্লসের ক্যানসার ধরা পড়েছে। তাই জনসমক্ষে সব ধরনের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন তিনি। সোমবার (৫ ফেব্রয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাকিংহাম প্রাসাদ। তবে তার কী ক্যানসার হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। বাকিংহাম প্রাসাদের বিবৃতিতে বলা হয়, চিকিৎসায় সেরে ওঠার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে ৭৫ বছর বয়সী রাজা চার্লসের। যত দ্রুত সম্ভব তিনি আবার স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনে ফিরবেন। গত মাসে তিন রাত হাসপাতালে কাটিয়েছেন চার্লস। সে সময় তার প্রোস্টেটের চিকিৎসা করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাকালে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয় বলেও জানিয়েছে বাকিংহাম প্রাসাদ। প্রসঙ্গত, মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের রাজা হিসেবে অভিষেক ঘটে চার্লসের।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৬

ক্যানসার হাসপাতালের ৬ থেরাপি মেশিনের ৫টিই বিকল
‘রেডিওথেরাপি’ যা ক্যানসার চিকিৎসায় অত্যন্ত জরুরি। রেডিওথেরাপির মাধ্যমে ক্যানসার কোষকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সময়মতো থেরাপি না নিলে ক্যানসার শরীরে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থাকে। কিন্তু জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৬টি থেরাপি মেশিনের ৫টিই নষ্ট, ফলে তিন মাসেও রোগীদের রেডিওথেরাপির সিরিয়াল মিলছে না।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের রেডিওথেরাপি কক্ষের সামনে রোগীদের ভিড় দেখা গেছে। মাগুরা থেকে স্ত্রীকে রেডিওথেরাপি দিতে নিয়ে এসেছেন রফিক আজাদ। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর শরীর বেশ কিছুদিন খুব খারাপ। দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ঘুরছি। বেসরকারি হাসপাতালে থেরাপি নেওয়ার সক্ষমতা নেই আমাদের। সেই সঙ্গে ঢাকা শহরে থাকার মতো অবস্থাও নেই। আগামীকাল থেরাপি না নিয়েই বাড়ি ফিরতে হবে মনে হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগী বলেন, গত সপ্তাহে দুই দিন থেরাপি দিয়েছি, বাকি ৫ দিন দিতে পারিনি। এই সপ্তাহের শুরুর দিনেই দেওয়া হয়নি।  জানা গেছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের রেডিওথেরাপি মেশিন সংকট। দুটি মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত হলেও এক বছরে কেনার প্রক্রিয়ায় শেষ হয়নি। বর্তমানে সেবাপ্রত্যাশী ছয় শতাধিক রোগী। মেশিন নষ্ট হওয়ায় দিনে সর্বোচ্চ ১০০ জনকে রেডিওথেরাপি দিতে পারছে প্রতিষ্ঠানটি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে কমপক্ষে ৭টি রেডিওথেরাপি মেশিন দরকার। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক নিজামুল হক বলেন, রেডিওথেরাপির মেশিনগুলো ব্যয়বহুল। একেকটা মেশিনের দাম ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা হলেও সরকার এগুলোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। মেশিন কেনার প্রক্রিয়া আছে। বললেই তো রাতারাতি এ সংকট পূরণ হবে না।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৭

২২ লাখ ক্যানসার রোগী বাংলাদেশে
বাংলাদেশে ২২ লাখ ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী রয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ক্যানসার সচেতনতামূলক এক বিশেষ গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান। উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতি বছর ক্যান্সারে দেড় লাখ রোগী মারা যাচ্ছে। আমরা ২০৩০ সালে যখন এসডিজি অর্জন করব, তখন বিশ্বের ৭৭ শতাংশ ক্যানসার রোগী হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। আর বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ রোগী থাকবে এই অঞ্চলে। সুতরাং আমরা খারাপ অবস্থায় আছি। তিনি বলেন, খারাপ অবস্থায় থাকার কারণ হলো আমরা রোগকে অবহেলা করি।  এমনকি আমরা ব্রেস্ট ক্যানসারের রোগীকে চতুর্থ স্টেজে নিয়ে আসি। যার ফলে তাকে আর বাঁচানো যায় না। অথচ আর্লি ডায়গোনোসিস করলে অনেক রোগীকে বাঁচাতে পারতাম। উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিডনি, হার্ট ও ক্যানসারকে প্রাধান্য দিয়ে আট বিভাগে আটটি হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমরা বিভাগ অনুযায়ী রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারব। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির, বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিয়েশন অনকোলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী মোশতাক হোসেন ও এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৫

‘২০৫০ সালে বিশ্বে ক্যানসার রোগী বাড়বে ৭৭ শতাংশ’
বিশ্বজুড়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৩ কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১৮৫টি দেশের ৩৬ ধরনের রোগ বিশ্লেষণ করে এই পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার। এমন খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন। সিএনএন জানিয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ কোটি, সেই হিসাবে পরবর্তী ২৮ বছরে এই সংখ্যা ৭৭ শতাংশ বেড়ে যাবে। গবেষকরা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ২০২২ সালে বিশ্বে ফুসফুসের ক্যানসারের প্রভাব ছিল বেশি। ২০২২ সালে ২৫ লাখ ফুসফুসের ক্যানসার শনাক্ত হয়। যা ছিল মোট শনাক্তের ১২ দশকি ৪ শতাংশ। এরপরই রয়েছে কোলোরেক্টাল, প্রোস্টেট পাকস্থলীর ক্যানসার ও নারীদের স্তন ক্যানসার। বিশ্বে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তদেরই মৃত্যুর হার বেশি। ২০২২ সালে ক্যান্সারে মারা যাওয়াদের ১ দশমিক ৮ শতাংশের মৃত্যু হয় এই ক্যানসারে, যা মোট মৃত্যুর প্রায় ১৯ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যানসার গবেষণা এজেন্সি আরও বলছে, উন্নত দেশগুলোতে আক্রান্তদের সংখ্যা দেখা যায় বেশি। যেমন— মানব উন্নয়ন সূচকে (এইচডিআই) এগিয়ে থাকা দেশগুলোতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নত। আগামীতে সেখানে ১২ নারীর মধ্যে একজনের ক্যানসার শনাক্ত হবে। আর মারা যাবেন ৭১ জনের মধ্যে একজন। অপরদিকে মানব উন্নয়ন সূচকে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান তেমন উন্নত নয়। সেখানে ২৭ জনে একজন নারীর স্তন ক্যানসার ধরা পড়বে। পাশাপাশি প্রতি ৪৮ জনে একজনের মৃত্যুর হবে। মূলত দেরিতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সুযোগের অভাবে এসব দেশে শনাক্তের হার কম, কিন্তু মৃত্যুর হার বেশি। গবেষকরা বলছেন, ক্যানসারে আক্রান্তদের চিকিৎসায় রেডিয়েশন বা রেডিও থেরাপি ও স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টের মত সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও উন্নত দেশ আর অনুন্নত দেশের বৈষম্য রয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অসংক্রামক রোগ বিভাগের পরিচালক বেন্তে মিক্কেলসেন বলেন, বিশ্বজুড়ে ক্যানসারে আক্রান্তদের প্রতি বৈষম্য ও আর্থিক সুরক্ষার অভাবের ওপর আলো ফেলেছে এই গবেষণা। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশগুলো ক্যানসারের প্রাথমিক সেবা ও চিকিৎসা দিতে অক্ষম। আগামী বছরগুলোতে ক্যান্সার বাড়ার কারণ সম্পর্কে গবেষকরা নতুন সমীক্ষায় দেখিয়েছেন, স্থূলতা, তামাক ও অ্যালকোহল ব্যবহার এবং বায়ু দূষণের মতো পরিবেশগত কারণসহ বিভিন্ন কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত বাড়বে। গত জানুয়ারিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি। সেখানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু ক্যানসারের নির্দিষ্ট ধরনগুলোতে আক্রান্ত বাড়ছে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি জানিয়েছে, কমবয়সীরা এখন বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। ৫৫ বছরের কম বয়সী প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্যানসার আক্রান্তের হার ১৯৯৫ সালে ছিল ১১ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ। গবেষেণায় দেখা গেছে, ১৯৯১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশটিতে ক্যানসারে মৃত্যু কমেছে ৩৩ শতাংশ। তামাকের কম ব্যবহার, শুরুতেই শনাক্ত হওয়া এবং চিকিৎসায় দ্রুত উন্নতির ফলে মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৪

ক্যানসার আক্রান্ত মাকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন
পাকস্থলীতে ক্যানসার ধরা পড়ার পর আড়াই মাস ধরে চিকিৎসা চলছে টাঙ্গাইলের নাসরিন আকতার বেলীর। তবে চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে মধ্যবিত্ত পরিবারটি। এ অবস্থায় মাকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে তার মেয়ে ইশরাত আহমেদ অদিতি। সামাজিকমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, প্রায় আড়াই মাস আগে আম্মুর পাকস্থলীতে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। বর্তমানে চতুর্থ পর্যায়ে আছে ক্যান্সার। এ ছাড়া তলপেটের দুই পাশে পানির থলির মতো সিস্ট ধরা পড়েছে। ডাক্তার বলেছে, আগেই যদি অপারেশন করা হয় তাহলে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা অনেক বেশি। তাই কেমো থেরাপি দিয়ে ছোট করে আনার চেষ্টা করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় মাইনর ব্রেইন স্ট্রোকও ধরা পড়েছে। এ ছাড়া পায়ুপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে কেমো থেরাপির বদলে অপারেশন জরুরি হয়ে পড়েছে। ‘প্রতিনিয়ত অবর্ণনীয় কষ্টের সঙ্গে যোগ হয়েছে ওষুধ আর চিকিৎসা সেবার আকাশছোঁয়া খরচ। প্রতিদিন আম্মু ১৪টা ওষুধ খাচ্ছেন যা প্রায় ৪ হাজার টাকার মতো পড়ছে। এ ছাড়া দেহের শক্তি এবং দ্রুত ওজন কমে যাওয়ায় আলাদা খাবার এবং কিছু বিশেষ ইঞ্জেকশন আর স্যালাইন দিতে হচ্ছে যা আমার মতো সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য জোগাড় করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে।’ অদিতি আরও লিখেছেন, ইতিমধ্যে চিকিৎসা বাবদ ৬ লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত তা বাড়ছে। ডাক্তারদের মতে এই লম্বা সময়ের চিকিৎসা বাবদ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই বিশাল অংকের টাকা আমার পরিবারের একার পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব। তাই আমি সবার কাছে কম বেশি সাহায্য কামনা করছি, আপনাদের এই সাহায্যটাই এই মুহূর্তে আম্মুর জন্য অনেক বড় দোয়া হয়ে দাঁড়াবে। আমার মা অলক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অ্যাকাউন্ট নম্বর - ০৪৭০১০১১৭৫৬৩৭  পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, টাঙ্গাইল মেইন ব্র্যাঞ্চ  নগদ ও বিকাশ নম্বর- ০১৮৮৫৬৬৬৬৩২
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৫

ক্যানসার নিয়ে সুখবর দিলেন বিজ্ঞানীরা
অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী একটি বিশেষ প্রোটিনের খোঁজ পেয়েছেন। যা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেবে বলে দাবি করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা ‘কেইউ ৭০’ নামে একটি বিশেষ প্রোটিন আবিষ্কার করেছেন। যা একটি সুইচের মতো কাজ করে। প্রোটিনটি নষ্ট হয়ে যাওয়া ডিএনএকে শনাক্ত করতে পারে। তারপর সেই ডিএনএ’কে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অথবা নষ্টও করে দিতে পারে। এর ফলে কোলন ক্যানসারের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সি মিং ম্যান বলেন, ‘কেইউ ৭০’ নামের প্রোটিনটি আমাদের শরীরেই থাকে। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অংশ এই বিশেষ প্রোটিন। তবে তার পরিমাণ কতটা রয়েছে, তা দেখা জরুরি। কারণ এর পরিমাণ কম হলে রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তাই একজনের কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কতটা রয়েছে তা জানতে ‘কেইউ ৭০’ প্রোটিনের পরীক্ষা করা জরুরি। সেটার পরিমাণই বলে দেবে ক্যানসারের ঝুঁকি কতটুকু। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যানসারের মূল কারণ ডিএনএ নষ্ট হওয়া। এটিই কোষকে ক্যানসারাস করে তোলে। তাই নষ্ট ডিএনএকে খুঁজে বের করে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারলেই মরণব্যাধি এড়ানো যায়‌‌। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে আমেরিকায় এক লাখ ২৬ হাজার ২৪০ জন কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হন।‌ এর মধ্যে ৫১ হাজার ৮৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সূত্র: এবিপি আনন্দ
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪

মানবদেহে ক্যানসার নির্মূলকারী কোষের সন্ধান
অ্যালার্জি এবং অন্যান্য রোগপ্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানবদেহে এমন একটি ইমিউন কোষের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। এই কোষটি ক্যানসার নির্মূল এবং সার্স-কোভ-২-এর মতো ভাইরাসের সঙ্গেও লড়াই করতে সক্ষম।  ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই তথ্য পেয়েছেন মার্কিন গবেষকরা। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘সেলে’ এই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। হিউম্যান টাইপ-২ ইনন্যাট লাইমফোইড সেলস (আইএলসি২এস) নামের এই ইমিউন কোষটি মানবদেহের বাইরেও প্রসারিত করা যায় এবং এটি টিউমারের টিকে থাকার সক্ষমতাকে পরাজিত এবং ক্যানসার কোষকে নির্মূল করতে পারে। ‘কোষ পরিবারে আমরা আইএলসি-২ কোষকে নতুন সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেছি, যেটি যেকোনো ধরনের ক্যানসারকে সরাসরি নির্মূলে সক্ষম; যার মধ্যে রক্তের ক্যানসার এবং সোলিড টিউমারও রয়েছে’ এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিটি অব হোপের হেমাটোলোজি অ্যান্ড হেমাটোপোয়েটিক সেল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন বিভাগের প্রফেসর জিয়ানহুয়া ইউ। জিয়ানহুয়া ইউ আরও বলেছেন, ভবিষ্যতে এই কোষ উৎপাদন, ফ্রিজিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা এবং রোগীদের দেহে প্রয়োগ করা যাবে। টি-কোষ ভুক্ত থেরাপি যেমন সিএআর টি কোষ, যেটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে রোগীর নিজস্ব কোষের প্রয়োজন হয়, আইএলসি২এস কোষের ক্ষেত্রে এমনটি প্রয়োজন হবে না। এই কোষ শারীরিকভাবে সুস্থ কোনো দাতার কাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে।  মানবদেহের আইএলসি২এস কোষ পরীক্ষার জন্য প্রফেসর ইউ এবং তার দল প্রথমে একটি রক্তের নমুনা থেকে এই কোষকে আলাদা করেছেন। তারা অভিনব একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন। যেটি মানবদেহ থেকে সংগ্রহ করা আইএলসি২এস কোষকে ২০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে। এরপর তারা বাহ্যিকভাবে প্রসারিত করা এই কোষ সোলিড টিউমারে আক্রান্ত ইঁদুরের দেহে প্রবেশ করিয়েছেন। যারমধ্যে রয়েছে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার ও গ্লিওব্লাস্টোমা। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই প্রসারিত কোষ এসব টিউমারকে নির্মূল করতে পারে। তবে প্রফেসর ইউ জানিয়েছেন, আইএলসি২এস কোষটি ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর নিজস্ব কোষ থেকে নিতে হবে না। অর্থাৎ ক্যানসার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এই কোষ অন্য সুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। সূত্র: আইএএনএস
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়