• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিয়ের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির
ময়মনসিংহে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেছে চাচা-ভাতিজির। নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহ সদরের উজান বাড়েরা গ্রামের আবদুর রহমান (৬২) ও তার ভাতিজি শেফালি আক্তার (৪৫)। তারা বিয়ের কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর পঁচাপুকুর পাড় এলাকায় একটি অটোরিকশাকে জামালপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দিলেএ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে দুর্ঘটনার পর ট্রেনটি আটকা পড়ায় সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় জামালপুর-ময়মনসিংহ রুটের ট্রেন চলাচল। রাত ১২টায় ট্রেনটি জমালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে জামালপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশন অতিক্রম করে জামালপুরের দিকে যাচ্ছিল। জংশনের কাছাকাছি এলাকায় মিন্টু কলেজ ও নতুন বাজার রেলক্রসিংয়ের মাঝে পঁচা পুকুরপাড় এলাকায় ক্রসিংয়ে ট্রেনটি একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রেনটি অটোরিকশার ২ যাত্রীকে প্রায় একশ গজ টেনে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নারী ও পুরুষের মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলেই একজন নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন। আবদুর রহমানের ভাই হাবিবুর রহমান জানান, ভাগ্নের বিয়ের কেনাকাটা করতে শেফালিকে নিয়ে শহরে গিয়েছিলেন আবদুর রহমান। জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরলে রাতেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তাদের আর বাড়ি ফেরা হয়নি।
১৩ ঘণ্টা আগে

হিলি সীমান্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদের কেনাকাটায় সরগরম সীমান্তের বিভিন্ন বাজারগুলো। ক্রেতাদের অভিযোগ সব জিনিসপত্রের দাম বেশি, তবুও প্রিয়জনদের মুখে হাসি ফোটাতে সবাই ছুটছে মার্কেটগুলোতে। তবে সাধ ও সাধ্যের ফারাকে কিছুটা বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। এই চিত্র দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের বাজারের। ঈদ উপলক্ষে বিভাগীয় ও জেলা শহরের বড় বড় মার্কেট উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটা করতে এ সীমান্তবর্তী হিলির বাজারে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠেছে ঈদবাজার। নানান বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখরিত দোকানগুলো। দোকানিরা হরেক রকমের ডিজাইনের পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন। নানান ডিজাইনের নতুন নতুন ঈদ পোশাক সাজিয়ে ক্রেতা আকর্ষণের প্রতিযোগিতা শুরু করেছে দোকানিরা।  সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। ক্রেতারা বিভিন্ন ঈদবাজারে ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দের পোশাক, জুতো, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও কেনাকাটায় তরুণী ও গৃহবধূদের প্রাধান্যই বেশি।  হিলি বাজারে ঈদ মার্কেট করতে আশা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, এ বছর পোশাকের দাম বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি। ফলে আমাদের সাধারণ ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবুও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আমরা মার্কেট করতে আসছি।  হিলি বাজারের দোকানি তওহীদুল ইসলাম বলেন, এ বছর বিক্রি কম হচ্ছে। আমরা যেভাবে আশা করছিলাম সেই রকম বিক্রি হচ্ছে না। রমজান মাস, আবহাওয়া অনেক গরম, যার ফলে দিনের বেলায় ক্রেতা সংখ্যা অনেক কম। তবে রাতের বেলায় ক্রেতা কিছুটা চোখে পড়ার মতো। আমরা সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতেছি। কয়েক দিন পরেই ঈদ, আশা রাখছি বিক্রি ভালো হবে।  এ দিকে হিলি বাজারের বাজার কমিটির সাধারণ সম্পদাক আরমান আলী বলেন, ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। হিলি বাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে পোশাকের দোকান আছে প্রায় একশটি। এবারের ঈদে এ বাজারে প্রায় ৩০ কোটি টাকার পোশাক, কসমেটিকস এবং মসলা জাতীয় পণ্য কেনাবেচার আশা ব্যবসায়ীদের।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৪

রাজধানীতে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা
ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলের বিপণিবিতানগুলো।  শনিবার (৩০ মার্চ) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউসিয়া মার্কেট, চাঁদনি চক মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, মৌচাক মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।  সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, নারীদের শাড়ি, থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পোশাক, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানগুলোতে। মার্কেটের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।  রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করতে এলে মার্কেটে প্রচুর ভিড় থাকে। লোকজনের ভিড়ে পা ফেলা যায় না। সেজন্য আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা করতে নিউমার্কেটে এসেছি। তবে এখানে এসে দেখছি আরও অনেকেই কেনাকাটা করতে এসেছেন। মানুষের প্রচুর ভিড়। এখনও কিছু কিনিনি, ঘুরে ঘুরে দেখছি কী কেনা যায়। নিউমার্কেটের একজন বিক্রেতা জানান, গরম বাড়ছে, তাই গরমে পরার উপযোগী পোশাকগুলোই তারা তাদের দোকানে সাজিয়েছেন। ক্রেতারাও গরমে আরামদায়ক হবে এমন পোশাক কিনছেন। ঈদ সামনে তাই তাদের বিক্রিও বেড়েছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, অন্য যে কোনো বারের তুলনায় এবার ঈদের পোশাকের দাম অনেক বেশি। চাহিদার বিপরীতে অল্প কেনাকাটা করেই বাড়ি ফিরছেন অনেকে। বাচ্চাদের ঈদ কেনাকাটা আগেভাগে সেরে রাখতে পুরান ঢাকা থেকে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে এসেছেন মারিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, বাচ্চাদের তো ঈদের খুশিটা অনেক বেশি। তাই তাদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে চলে এসেছি। এখন ওদের পছন্দ অনুযায়ী, ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করার চেষ্টা করছি। তবে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। আমাদের জন্য হয়তো তেমন কিছু না কিনলেও চলে। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য তো না কিনলে হয় না। এদিকে ঈদ সামনে রেখে মধ্যবিত্তের শেষ ভরসা হয়ে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাতের বাজারগুলো। শখ ও সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব মিল ঘটাতেই নিম্ম আয়ের ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ ফুটপাতের দোকানগুলো। বিক্রেতাদের দাবি ফুটপাতের দোকানে দাম তেমন বাড়েনি। জসিম নামে রাজধানীর পান্থপথের ফুটপাতের দোকানের বিক্রেতা জানান, যাদের আয়-রোজগার কম তারাই মূলত ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা করতে আসেন। আমরাও তাদের কাছে সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করে থাকি। কারণ আমরা চাই সবাই আনন্দের সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করুক। ঈদে বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২১:১১

রাজধানীতে ক্রমেই জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। রমজানের ৭ম দিনে রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চাঁদনি চক, মৌচাক মার্কেট, ইষ্টার্ন প্লাজা, ফরচুন মার্কেট, বেইলিরোডসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। অনেকেই পরিবার নিয়ে এসেছেন। অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে আগে ভাগেই সেরে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা। পছন্দের পণ্যটি নিয়ে খুশি মনে ফিরছেন তারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি। অপরদিকে রোজার শুরুতে ক্রেতাদের এমন সমাগম দেখে ঈদে ভালো বিক্রির আশা দেখছেন বিক্রেতারা। প্রায় আট বছর ধরে মৌচাক মার্কেটে ব্যবসা করেন জুনায়েত হোসেন। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন,করোনাসহ নানা কারণে গত কয়েক বছর ব্যবসা ভাল হয়নি। এবার রমজানের প্রথম থেকেই মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। এবার আশা করছি ভাল ব্যবসা হবে। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী সোহরাব বলেন, এবার ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক উঠিয়েছি। রোজার শুরুতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবার বিক্রি ভাল হবে। রাজধানীর মালিবাগের ফরচুন মার্কেটে মেয়ের জন্য জুতা কিনতে এসেছেন আবেদা রহমান। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, এখানে বাচ্চাদের ভাল কলেকশন আছে। দাম একটু বেশি। কোয়ালিটি ভাল। বাচ্চাদের জিনিসের দাম আরেকটু কম হলে ভাল হতো। বেইলি রোডে আরটিভি নিউজের সঙ্গে কথা হয় কানিজ হুমায়রার সঙ্গে। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, আমার হাজব্যান্ড ব্যবসায়ী। খুব বিজি থাকেন। তাই তার জন্য একটা পাঞ্জাবী নিলাম। তবে গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি। কিন্তু পছন্দমত কিনতে পেরে খুশি তিনি। তিনি বলেন, এবার স্বাচ্ছন্দে কেনা কাটা করা যাবে। করোনার ঝামেলা নেই। আশা করি এবারের ঈদ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালভাবে কাটাবো। রাজধানীর রামপুরা থেকে পরিবারসহ কেনাকাটা করতে এসেছেন আবু বকর। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, রোজার শেষ সময় মার্কেটে অনেকে ভিড় থাকে। ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করা খুব কষ্টের।অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি যাব। তাই আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলছি। শুধু মার্কেটেই নয়, ফুটপাতেও বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। মগবাজার মোড়ে ফুটপাত থেকে গেঞ্জি কিনছিলেন আল আমিন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। থাকেন ইস্কাটন এলাকায়। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, আমরা ছোট চাকরি করি। তাই কম খরচে ফুটপাত থেকে পছন্দের কাপড় কিনছি। কি আর করবো। এছাড়া ইষ্টার্ন প্লাস, গ্লোব শপিং কমপ্লেক্স, নুরজাহান মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। এসব এলাকায় ঈদের পোশাকের পাশাপাশি নিত্যপণ্য কিনতেও দেখা গেছে অনেককে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়