• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পর্যটকের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা সৈকত 
ঈদের দ্বিতীয় দিনে হাজার হাজার পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত। আগত পর্যটকরা সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ছোট-বড় ঢেউয়ে সাঁতার কেটে আনন্দে মেতেছেন। অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড়ে মেতেছেন। অনেকে আবার ঘোড়া চড়ে, ওটারবাইক কিংবা মোটরবাইকে চড়ে সৈকতের বিভিন্ন পর্যটনস্পট ঘুরে দেখছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।  আগত পর্যটকদের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে সকল পর্যটন স্পটগুলোতে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্ট, শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন মহিলা মার্কেট, রাখাইন পল্লী, জাতীয় উদ্যান, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন, সৈকতের ঝাউবাগানসহ পর্যটন স্পটগুলো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। ঘুরতে আসা পর্যটক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসলাম। সকাল থেকে পুরো সৈকত মুখর। অনেক লোক এসেছে, বেশ ভালো লাগছে। তবে প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আবাসিক হোটেল সি ভিউ এর ম্যানেজার সোলায়মান ফরাজী বলেন, আজকে পর্যটকের সংখ্যা অনেক। শনিবার থেকে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এবারের ঈদের ছুটিতে আমাদের শতভাগ রুম বুকিং হয়েছে। আশা করছি, সামনের পুরো সপ্তাহজুড়ে ভালো পর্যটক পাবো। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, ঈদের ছুটি উপলক্ষে আজকে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক এসেছেন। প্রচন্ড গরমেও পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর গোটা সৈকত। ছাতাবেঞ্চ ব্যবসায়ী নাসির খলিফা বলেন, আজকে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। শনিবার পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক হাসান মারুফ বলেন, আজকে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আমরা বুকিং করে না এসে বিপদে পরে গেছি। হোটেলে রুম পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণত সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, প্রায় হোটেলের ৮০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখনও পর্যটকরা ফোনে রুম বুকিং দিচ্ছেন।  কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে সাদাপোশাকে পুলিশ সার্বক্ষণিক ডিউটিতে আছে। এখানে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয় সে ব্যাপারে আমরা সর্বদা সতর্ক রয়েছি। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের সেবায় পৌরসভা প্রস্তুত আছে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটক বেড়েছে। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা মহাসড়ক ফোর লেন বাস্তবায়িত হলে আরও পর্যটক বাড়বে।  কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আজকে কুয়াকাটা পর্যটকে মুখর। কাল-পরশু কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলাপাড়া থানা, মহিপুর থানা, কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ, ফায়ারসার্ভিস, মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২২

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত জোড়া কচ্ছপ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এবার ভেসে এসেছে দুটি মৃত কচ্ছপ। যার একটির ওজন প্রায় ৪০ কেজি অন্যটির ওজন ৩৫ কেজি।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ১১টার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের পশ্চিম দিকে স্থানীয়রা কচ্ছপ দুটিকে দেখতে পেয়ে ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য কে এম বাচ্চুকে জানান। পরে কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটি, বনবিভাগ ও ইকোফিশের সমন্বয়ে কচ্ছপ দুটি বালুচাপা দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, মূলত কদিন আগে সমুদ্রে জেলিফিশের আদিক্য বেড়ে যাওয়া কারণে কচ্ছপ তীরে আসতে পারে। কারণ এ ধরনের কচ্ছপগুলো জেলিফিশ খেতে পছন্দ করে। আজকে যে কাছিম দুটি আসছে তার বৈজ্ঞানিক নাম লেপিডোসেলিম ওলিভাসিয়া (Lepidochelys olivacea) এরা সাধারণত ৫০ বছরের অধিক সময় বেঁচে থাকে। আমাদের কর্মীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কচ্ছপগুলোর পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের চোটে কচ্ছপ দুটোর মৃত্যু হয়েছে। কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু জানান, একটি কচ্ছপের লেজে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং রক্তক্ষরণ হচ্ছে, মনে হচ্ছে কোনকিছুর সাথে আটকে মারা গেছে। এর আগে ২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে বেশকিছু কচ্ছপের দেখা মিলছিল এই সৈকতে তবে ২৪ সালে এই প্রথম। সামুদ্রিক প্রাণীর এই মৃত্যুগুলো আমাদের সমুদ্র পরিবেশের জন্য বেশ হুমকি। বনবিভাগ মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যদের কাছে তথ্য পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আমার ফোর্সসহ দ্রুত চলে আসি। একটি কচ্ছপ একটু দূর্ঘন্ধ ছড়াচ্ছে তাই তাদের সহযোগীতায় মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।       
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৪

কুয়াকাটা সৈকতে ‘বিচ হাফ ম্যারাথন’ অনুষ্ঠিত
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘বিচ হাফ ম্যারাথন’ সম্পন্ন হয়েছে। ‘সবার অংশগ্রহণ, হ্রাস পাবে প্লাস্টিক দূষণ’ প্রতিপাদ্যে এ ম্যারাথনের আয়োজন করে বাংলায় বিজ্ঞান চর্চা ও বিকাশে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কসমিক কালচার ট্রাষ্ট।  শুক্রবার (১ মার্চ) সূর্যোদয়ের পূর্বেই সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয় এ ম্যারাথন। আড়াই’শ অপেশাদার ও শৌখিন দৌড়বিদ ২১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন এবং ১০ কিলোমিটার পাওয়ার রান ম্যারাথন ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করেন। দৌড়বিদরা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌড় শুরু করে লেম্বুরবন পর্যন্ত যায়, সেখান থেকে পুনরায় জিরো পয়েন্টে ফিরে আসেন।  বয়সভিত্তিক ২১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথনে যুবকদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন আমির উদ্দিন এবং নারীদের মধ্যে দিলারা। ১০ কিলোমিটার পাওয়ার রান দৌড়ে প্রথম হয়েছেন মো. মাহফুজ আহমেদ এবং নার্গিস জাহান ওহাব।  প্রবীণদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন ইকবাল। এ ছাড়া ২১ কিলোমিটারে প্রথম রানার-আপ ছিলেন লুৎফর এবং ১০ কিলোমিটারে প্রথম রানার-আপ মুহতাসীন আল কাফি বিজয়ের হাসি হেসেছেন। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির কুয়াকাটা সৈকতকে ম্যারাথন দৌড়ের জন্য বেচে নেওয়ায় খুশি অংশগ্রহণকারীরা। ১০ কিলোমিটার রানের প্রথম স্থান অধিকারকারী মো. মুহতাসিন আল কাফি বলেন, আমি আমার জীবনে ধ্যান-জ্ঞানে সব সময় রেচটাকে প্রাধান্য দেই। আমার এসএসসি পরীক্ষা চলমান; তবুও আজ পরীক্ষা বন্ধ থাকায়, আমি এ ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছি।  অপরদিকে প্রবীণ হাফ ম্যারাথনে পুরুষ প্রথম স্থান অধিকারী লুৎফর রহমান বলেন, আমি আমার পুরো জীবনের ফোকাস দিয়ে আসছি ম্যারাথনের উপর। আজ এ ইভেন্টের মাধ্যমে পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।  আয়োজক প্রতিষ্ঠান কসমিক কালচারের জনসংযোগ সমন্বয়ক জুলিয়েট রোজেটি বলেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি এই সামাজিক উদ্যোগ জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাত্যহিক জীবনে প্লাস্টিকজাত পণ্য ব্যবহার হ্রাসকরণে সবার অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়েই বৈশ্বিক দূষণ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হবে। সমুদ্র সৈকতে এই ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী সব রানার, স্থানীয় জনসাধারণ ও পর্যটকদের মাঝে পরিবেশ দূষণ কমাতে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি। কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত বরিশাল ম্যারাথনের রেস ডিরেক্টর থিওডোর যোয়েল কর্মকার বলেন, ম্যারাথন মানুষের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সৃজনশীলতা বিকাশে এবং পারস্পরিক ঐক্য-সম্প্রীতি-সহযোগিতা প্রকাশের একটি কার্যকর মাধ্যম। তাই এই আয়োজনটি মানুষের অনেক বৈচিত্র্যের মাঝেও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ, যা আমাদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতির সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরিতে অনুপ্রাণিত করবে। কসমিক কালচার ট্রাস্টের সভাপতি ডক্টর অনিস মণ্ডল বলেন, প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে রানার, স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধিই হচ্ছে এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুয়াকাটা সৈকতে ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছে।  কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত রানারদের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে আয়োজনটি সম্পন্ন হয়েছে। এমন আয়োজন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাকে আবারও বিশ্ব দরবারে পরিচিত করবে। এর ফলে কুয়াকাটার প্রতি দেশ-বিদেশের মানুষের আকর্ষণ বহুগুণে বাড়বে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৪

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ৫ ফুট লম্বা ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে একটি ৫ ফুট লম্বা ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছে। এর মাথা ও পিটের অংশের চামড়া উঠানো রয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কুয়াকাটার গঙ্গামতি এলাকায় ৩৩ কানি পয়েন্টে ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয় জেলেরা। ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি এটি সকালের জোয়ারে পানিতে ভেসে এসেছে। পরে আমাদের কমিটির টিম লিডারকে জানাই। সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, সমুদ্রের পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ায় সামুদ্রিক প্রাণীগুলো এভাবে মারা যাচ্ছে। আজকে ভেসে আসা ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির পুরুষ ডলফিন। তবে বেশ লম্বা সময় পরে ফের এ ডলফিনটি আসলো। আমরা এটা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছি, কেন প্রতিবছর এমন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বনবিভাগকে অবগত করে আমাদের সদস্যরা নিরাপদ স্থানে ডলফিনটিকে মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এ উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি ডলফিন নিয়ে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যাতে এ মৃত্যুর কারণগুলো বের করা হয়। চলতি বছরে এটাই প্রথম সৈকতে আসা মৃত ডলফিন।    
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৮

পর্যটকের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা
ছুটির দিনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সাগরকন্যা হিসেবে পরিচিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শীতের রেস কাটতে না কাটতেই সৈকতে গোসল ও উল্লাসে মেতে উঠেছে হাজারও পর্যটক। রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মামুন-রিয়া বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এখানে একসঙ্গে অনেক পর্যটক দেখে বেশ ভালো লাগছে। তবে কুয়াকাটার রেস্টুরেন্টে খাবারের মান আরও ভালো করা দরকার। এদিকে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছে এদিন। ফলে তাদের ব্যবসাও জমে উঠেছে। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর এত বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরাও অনেকটা উচ্ছ্বসিত। এভাবে প্রতিনিয়ত সৈকতে পর্যটক থাকলে ব্যবসায়ীরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে। ইতোমধ্যে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল হক ডাবলু বলেন, শুক্রবার পর্যটকের চাপ একটু বেশি রয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে টহল টিম কাজ করছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে আমরা কাজ করছি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৮

কুয়াকাটা সৈকতে পরিবেশ দূষণ রোধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত
‘প্লাস্টিক বর্জ ফেলবো না, পরিবেশ দূষণ করবো না’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের নাগরিকদের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষম করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সমুদ্র সৈকতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বেসরকারি সংস্থা নজরুল স্মৃতি সংসদ (এমএসএস)। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শাহাবুদ্দিন পান্না, সমকালের সাংবাদিক জাকির হোসেন, আমতলী বকুল নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌসি আক্তার, ওয়ার্ল্ড ভিশন আমতলী অফিসের ম্যানেজর সুরভী বিশ্বাস, তাজমেরী লিখন, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে এনএনএস এর শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনকালে বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জানমাল রক্ষা ও ঝুকিঁ মোকাবিলায় আমরা কাজ করছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র উপকূলের মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে।  তারা আরও বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আসছে। এখানে প্লাস্টিক বর্জের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক বর্জ না ফেলতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন বলে এনজিও সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান। 
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৩

পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ভ্রমণপিপাসু হাজার হাজার পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠছে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্যতায় মন্দাভাব কাটিয়ে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত।  শীতের তীব্রতা কাটিয়ে আগত এসব পর্যটকদের আনন্দ উচ্ছাসে মুখরিত ১৮ কিলোমিটার সৈকতসহ সকল দর্শনীয় স্থান। সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন অনেকেই। কেউ বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন চেনা প্রাকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। ঘুরছেন ঘোড়ায় কিংবা সৈকতের ওয়াটার বাইকে।  সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের কক্ষ ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি দুদিন হওয়ায় হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন ঘটেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত অবলোকনের পর পর্যটকরা ছুটে যান রাখাইনদের আদি কুয়া অথবা রাখাইন পল্লীতে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন রয়েছে নজরকাড়া প্যাগোডা। এই প্যাগোডা তথা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার-সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পাশে রয়েছে ২০০ বছরের প্রাচীনতম নৌকা। রাখাইন মহিলা মার্কেট, মিশ্রিপাড়ায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৌদ্ধ বিহার। ইকোপার্ক, লেম্বুরচর, শুটকিপল্লী, সমুদ্রপথে চর বিজয়, ফকিরহাটসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনে প্রস্তুত রয়েছে ট্যুরিস্ট বোট, স্পিডবোট। কেউ বিচে ছাতার নিচে বসে সাগরের জল আর সূর্য রশ্মির রঙিন খেলায় মেতে ওঠা অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করে।  ঢাকা থেকে আসা হাবিবুর রহমান রানা বলেন, একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করার দৃশ্য একমাত্র কুয়াকাটায় দেখা সম্ভব, যা সত্যিই বিমোহিত করার মতো। কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল সি প্যালেসের ম্যানেজার রুবেল বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত বছর তেমন ট‍্যুরিস্ট আসেনি। সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে আমাদের হোটেলের সকল রুম বুকিং হয়েছে এবং অন্যান্য হোটেলেও বেশ পর্যটক রয়েছে।  স্থানীয় ব্যবসায়ী আ. সোবাহান বলেন, এ বছরে আজকেই সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এভাবে পর্যটক আসলে আমরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো. রিমন বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে যাওয়ায় পর্যটক বেড়েছে, তবে শীত কমলে আরও বাড়বে। কুয়াকাটায় হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, এ বছরে আজকে ভাল পর্যটকের আগমন ঘটেছে। প্রায় হোটেলে রুম বুকিং রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আমরা সর্বদা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছি। কুয়াকাটার বিভিন্ন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়