• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিনে আজ কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় স্ত্রী জেৎসুন পেমাসহ ১৪ জন সফরসঙ্গী নিয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের পর সড়ক পথে দুপুর সাড়ে ১২টায় ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এ সময় তিনি ধরলা নদীর তীরবর্তী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানের জন্য নির্ধারিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জায়গা পরিদর্শন শেষে সড়ক পথে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের রাজার নিজ দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সফরসূচি থেকে জানা গেছে, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় পৌঁছান। ঢাকায় অবস্থানকালে কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ তিনটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজা ওয়াংচুক ঢাকা থেকে বিমানে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে সড়কপথে কুড়িগ্রাম যাবেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে প্রস্তাবিত ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এর জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করবেন। এরপর তিনি জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর পথে ভারত হয়ে ভুটান ফিরে যাবেন। জেলার বিশিষ্টজনরা বলছেন, ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তার সফর জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক বিকাশে এক মাইলফলক সৃষ্টি করবে। যৌথ এই অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে কুড়িগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জোন হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দরিদ্রতম জেলার তকমা উঠে গিয়ে মানুষের জীবনমানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে কুড়িগ্রামে বেকারত্বের দুঃখ ঘুচে যাবে। বাইরে থেকে যদি ইনভেস্টমেন্ট হয়, বায়াররা আসেন তাহলে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করলে এখানে মাল্টিপল ডেভলপমেন্ট হবে।’ কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সাইদুল আরীফ জানান, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত জায়গায় ১৫ মিনিট অবস্থান করবেন ভুটানের রাজা। তারপর সড়ক পথে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানে ফিরে যাবেন তিনি। রাজার ভ্রমণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৪

প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে শীতের প্রভাবে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে এ জেলার মানুষ। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেলাজুড়ে জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে। ব্যহত হচ্ছে সাধারণ জীবনযাত্রা।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এ জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ফলে জেলার ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণির লোকজন রয়েছেন চরম বিপাকে।  সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রচণ্ড শীতে নিম্ন আয়ের ও সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে গিয়ে এবং গরম পানি করতে গিয়ে দগ্ধের ঘটনা ঘটলেও মানুষ আগুনের তাপ নিচ্ছেন। দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা তেমনটা বাড়েনি।  এ শীতের প্রকোপে জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগী। এদের অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ।তবে হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় গাদাগাদি করে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় শীতে কষ্টে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষজন। নদী পাড়ে হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন এখানকার মানুষ।  এদিকে গত এক সপ্তাহ যাবৎ জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। যা আগামী আরও দুদিন অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানা গেছে।  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যে ৬৭ হাজার কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে আরও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সেগুলো বণ্টন করা হবে। 
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৭

শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম
প্রচন্ড শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রামের জনপদ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। শীতে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। দিন ও রাতের তাপমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।  শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও পড়ুন : বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা, মাঘের শীতে কাবু মানুষ   শীতের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত নানা রোগে। শীতের প্রভাব পড়েছে কৃষিক্ষেত্রেও। কনকনে ঠান্ডার জবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু পাখিরাও। অপরদিকে ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো চাষ। শীতের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে বোরোর বীজতলা।  কৃষকরা জানান, বোরো মৌসুম শুরু হলেও একদিকে কনকনে ঠান্ডায় জমিতে রোপণ করতে পারছেন না চারা। অন্যদিকে কুয়াশায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বীজতলা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তাদের। আরও পড়ুন : হিমালয়ের দেশ নেপাল   গত এক সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৫৭ জন শিশু।  কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাসজুড়েই তাপমাত্রা এমন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৩-৪ দিন পরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৫

কুড়িগ্রাম কাঁপছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্ন-আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে।  বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে; যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ ব্যাপারে তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার রাজারহাট কৃষি আবহওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।  এর ফলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার নির্দেশ প্রদান করেন।  এদিকে, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামছুল আলম ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারনে সকল মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন।সেই সাথে সকল শিক্ষার্থীকে বাসায় বসে পড়াশুনা করার নির্দেশ প্রদান করেন। এ অবস্থায় হাঁড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জেলার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় প্রভাবে মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। সকাল থেকে কুড়িগ্রামের জেলা সদরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু থাকলেও পরে সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রাথমিক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সাময়িক ছুটি ঘোষণা করে।  এদিকে, গত এক সপ্তাহের হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডায় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। এতবেশি ঠান্ডায় কাজে যেতে দেরি হচ্ছে শ্রমজীবীদের। নদনদী তীরবর্তী মানুষজনও হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন। 
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৯

ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রাম
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। দুদিন থেকে কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থাকছে চারদিক। সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ফলে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে এ জেলায়। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলছে যানবাহন। শীত বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। শিশু বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত রোগে।  সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুদিন থেকে জেলায় সন্ধ্যা নামলেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। রাতভর থাকে তীব্র শীতের প্রকোপ। সকালে কুয়াশা আর বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া শিশিরে নাজেহাল হয়ে পড়েছে দিন মুজুর শ্রেণির মানুষ। ঘন কুয়াশায় চলতি ইরি মৌসুমের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। শ্রমিক আমিনুর ইসলাম জানান, শীত আর কুয়াশা থাকায় সকাল সকাল কাজে যোগ দিতে পারছেন না তারা। অনেকটা বেলা হওয়ার পর তাদের কাজে যোগ দিতে হচ্ছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এখন প্রতিদিন তাপমাত্রা কমে আসবে এবং ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের তীব্রতা বাড়বে এ জেলায়। 
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়