কুষ্টিয়ায় যুবককে হত্যা : সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার ছাত্রলীগ নেতা সজীবের
কুষ্টিয়ায় খুন করে মরদেহ ১০ টুকরো করে পুতে রাখার আলোচিত ঘটনার মামলায় ২ আসামির তিন দিনের রিমাণ্ড শেষ হয়েছে। আসামি ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা সজীব শেখ রিমান্ডে হত্যার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেননি। একই সঙ্গে তার রিমান্ডে থাকা আরেক আসামি ইফতিও নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।
এ ২ আসামির তিন দিনের রিমান্ড শেষে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) আদালতে হাজির করা হলে বিকেলে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা।
রিমান্ডে নেওয়া আসামি সজীব শেখ (২৪) কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এবং ইফতি খান হাউজিং সি ব্লকের আওলাদ খানের ছেলে।
সজীব শেখ কিশোর গ্যাং গ্রুপে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাকে বহিষ্কার করে। এরপর থেকে তিনি কুষ্টিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে চলাচল করতেন। ইফতির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
আলোচিত মিলন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাজু মোহন বলেন, মিলন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সজীব ও ইফতির বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে আজ আদালতে হাজির করা হয়।
এসআই সাজু মোহন আরটিভিকে বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মিলনকে হত্যার দায় স্বীকার করেননি সজিব ও ইফতি। তারা উল্টাপাল্টা তথ্য দিয়েছেন। অন্য চারজন যারা আগেই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তারা তাদের সম্পৃক্ততার বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু নিজেদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন সজিব ও ইফতি। তাই তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় মোট গ্রেপ্তার হওয়া ৬ আসামির মধ্যে ৪ আসামি আগেই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত রোববার ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- কুমারগাড়া এলাকার ফয়সাল আহমেদ (২৫), দেশওয়ালীপাড়ার কাজী লিংকন (৩২), সদর উপজেলার কান্তিনগর গ্রামের জনি প্রামাণিক (২১) ও হাউজিং ডি ব্লকের সজল ইসলাম (১৮)।
দাবি করা চাঁদা না দেওয়ার কারণে মিলন হোসেনকে হত্যার পর মরদেহ ১০ টুকরো করে পদ্মার চরে পুঁতে ফেলা হয়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়ার হরিপুরের পদ্মা নদীর চরের চার স্থান থেকে মরদেহের ১০ টুকরো উদ্ধর করে পুলিশ। মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহির মাদি এলাকার মাওলা বক্সের ছেলে। তিনি আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। এ কাজে তিনি মাসে বেশ ভাল আয় করতেন বলে জানা গেছে। গত ১০ মাস আগে বিয়ে করেন। স্ত্রী মিমিকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০০