• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কিডনি দিয়ে স্বামীকে বাঁচানো ববিতার প্রাণ গেল ছিনতাইকারীদের হাতে
স্বামীর দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রায় ছয় মাস আগে নিজের একটি কিডনি দিয়ে সুস্থ করেছিলেন ববিতা আক্তার (৩৭)। তবে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারলেন না। এক সপ্তাহ আগে ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হয়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন তিনি। ঢাকার সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ববিতা আক্তার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার নাদিম মণ্ডলের স্ত্রী। এর আগে ১৫ এপ্রিল সাভার উপজেলার আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে রিকশায় ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হয়েছিলেন ববিতা আক্তার। তার দেবর মো. কাদের হৃদয় বলেন, ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ফুচকা খেতে যান ববিতা আক্তার। রাত আটটার দিকে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে দুজন ছিনতাইকারী এসে ববিতার হাতের ব্যাগ ও গলায় থাকা সোনার চেইন টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান ববিতা। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ১৭ এপ্রিল ভুক্তভোগী গৃহবধূর দেবর মো. কাদের হৃদয় বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সোমবার ওসমান গণি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিলন ফকির। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে

আরসিসি-এসবিএফ কিডনি এন্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালের স্থাপত্য নকশা নিয়ে আলোচনা
রাজশাহীতে আরসিসি-এসবিএফ কিডনি এন্ড স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনের লক্ষ্যে স্থাপত্য নকশা এবং দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে নগর ভবনের মেয়র দপ্তরকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় রাসিক মেয়রকে এসবিএফ এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, রাজশাহীতে আরসিসি-এসবিএফ কিডনি এন্ড স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনের লক্ষ্যে গত ২৪ ডিসেম্বর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী  রাজশাহী মহানগরীর ১১নং ওয়ার্ডের হেতেমখা নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র ব্যবহারের জন্য অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনকে প্রদান করবে রাসিক। প্রথম পর্যায়ে সেখানে স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে সেখানে অত্যাধুনিক বহুল ভবন নির্মাণ, কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা হবে। উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন-বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সভায় অংশগ্রহণ করেন সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের হেড অফ অপারেশনস্ আল-ইমরান সরকার, পরিচালক (উন্নয়ন) আবদুল্লাহ আল-মামুন, পরিচালক (অর্থ) আলিমুর রহমান, এসবিএফ পরিচালিত ইমদাদ-সিতারা খান কিডনী ডায়ালাইসিস সেন্টার, রাজশাহী এর প্রধান নেপ্রোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোনায়ারুল ইসলাম; পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহী শাখার উপপরিচালক আব্দুর রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামান, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ১৫নং ওয়ার্ড কাইুন্সলর আব্দুস প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সাহেল মো. নূর-ঈ-সাঈদ, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমেদ আল মঈন পরাগ প্রমুখ। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৩

সারাহর কিডনি নেওয়া শামীমাও মারা গেলেন
সারাহ ইসলামের মরণোত্তর কিডনি নেওয়া শামীমা আক্তার মারা গেছেন। এর ফলে ‘ব্রেন ডেড’ ওই তরুণীর কিডনি নেওয়া দুই নারীরই মৃত্যু হলো। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে শামীমার মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়। শামীমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল। তিনি বলেন, শামীমা শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিলেন। কিছুদিন আগে তার ভাই আমাদের জানান, শামীমার ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে। পরে তিন সপ্তাহ আগে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কোনো উপায় না দেখে চার দিন আগে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরমধ্যে তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। আমরা তার ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম, কিন্তু উন্নতি হয়নি। সবশেষ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করেন বিএসএমএমইউ চিকিৎসকরা। ওই রাতেই তার কিডনি  শামীমা আক্তার এবং হাসিনা নামে দুই নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। সেসময় দেশে প্রথমবারের মতো এই ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্টকে সফল বলে দাবি করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এর মাত্র ৯ মাস পর অক্টোবরে হাসিনা মারা যান। তবে শামীমা আক্তার বেঁচে ছিলেন। এখন তিনিও না ফেরার দেশে চলে গেলেন। অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়