• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরী চলে যাওয়ার তিন বছর
ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরীর চলে যাওয়ার তিন বছর পূর্ণ হলো বুধবার (১৭ এপ্রিল)। ২০২১ সালের আজকের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে একাধারে কবরী ছিলেন অভিনেত্রী, সংগঠক, নির্মাতা, প্রযোজক ও রাজনীতিক। ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্ম নেন কবরী। তার আগের নাম ছিল মিনা পাল। অভিনেত্রীর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজারে। তার বাবা কৃষ্ণদাস পাল ও মা লাবণ্য প্রভা পাল।  ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন কবরী। কাজ করেন টেলিভিশনে। এরপর দ্রুত সময়ে যুক্ত হন চলচ্চিত্রে। ১৯৬৪ সালে মাত্র নির্মাতা সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে মিনা পাল থেকে কবরী হয়ে ওঠেন তিনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকাই চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে হিসেবে পরিচিতি পান এই নায়িকা।    ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হয় কবরীর। এরপর ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘দেবদাস’, 'অধিকার', ‘বেঈমান', ‘সারেং বউ’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘দীপ নেভে নাই’, ‘সুজন সখি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’সহ তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই কিংবদন্তি।      ৫০ বছরের বেশি সময়ে চলচ্চিত্রে রাজ্জাক, ফারুক, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল ও বুলবুল আহমেদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। ঢাকার চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী।  ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কবরী। যুক্ত ছিলেন অসংখ্য নারী অধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে। ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’ প্রকাশ পায়।  মৃত্যুর আগে সরকারি অনুদান পাওয়া ছবি ‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমায় কাজ করছিলেন কবরী। সিনেমায় তিনি নিজেও অভিনয় করেন। এখানেও কবরী তুলে ধরার চেষ্টা করেন নতুন মুখ নিশাত সালওয়াকে। এর শুটিং ছিল প্রায় শেষ পথে। পাশাপাশি চলছিল ডাবিং ও সম্পাদনার কাজ। তবে ছবিটি পুরোপুরি শেষ করে যেতে পারেননি কবীর। বছর দুয়েক আগে তার ছেলে শাকের চিশতী সিনেমাটির শুটিং পুরো সম্পন্ন করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন।  ব্যক্তিগত জীবনে প্রথমে চিত্ত চৌধুরীকে বিয়ে করেন  কবরী। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি সফিউদ্দীন সরোয়ারকে বিয়ে করেন। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পাঁচ সন্তানের মা ছিলেন   কবরী।  অভিনয় ক্যারিয়ারে সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি স্বরূপ ছয়বার বাচসাস পুরস্কার, একবার বিসিআরএ অ্যাওয়ার্ডস এবং দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন কবরী। ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।   
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৯

বড় পর্দায় পা রাখছেন কিংবদন্তি আশা ভোঁসলের নাতনি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারকা পরিবারের সন্তানরাও তাদের দেখানো পথেই হাঁটেন। সেই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে রুপালি পর্দায় পা রেখেছেন সুহানা খান, খুশি কাপুর, সারা আলী খান, সোনম কাপুরসহ আরও অনেকেই। এবার শোবিজে পা রাখতে যাচ্ছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলের নাতনি ভোঁসলে ডেবিউ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাতনির রুপালি পর্দায় অভিষেকের বিষয়টি একটি পোস্টের মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন আশা ভোঁসলে। তবে কোন সিনেমায় ও কোন চরিত্রে দেখা যাবে ভোঁসলে? এমন প্রশ্ন রীতিমতো রহস্যে্র জট বেঁধেছে গায়িকার ভক্তদের মনে। এক্স হ্যান্ডলে আশা ভোঁসলে লেখেন, আমার নাতনি ভোঁসলে আসন্ন গ্র্যান্ড এপিক ‘দ্য প্রাইড অব ভারত ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখতে দেখে আমি ভীষণ আনন্দিত। আমি আশা করি সিনেমার ইতিহাসে ও নিজের প্রত্যাশিত স্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে এবং ওকে ও সন্দীপ সিংকে শুভেচ্ছা জানাই। সিনেমাটি নির্মাণ করবেন পরিচালক সন্দীপ সিং। তিনি বলেন, ভোঁসলের সঙ্গে কাজ করতে পারার জন্য আমি অত্যন্ত সম্মানিত এবং সম্পূর্ণভাবে সৌভাগ্যবান বোধ করছি। লতা মঙ্গেশকরজী-আশা ভোঁসলেজির নাতনি তিনি। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি নাচেও বেশ পারদর্শী। আশা করছি ‘রানি সাই’ চরিত্রটি তিনি সুন্দরভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।  প্রসঙ্গত, ‘দ্য প্রাইড অব ভারত ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ’ সিনেমার জন্য বিশাল আকারে সেট তৈরি হচ্ছে। এটি ২০২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা। কারণ এদিন দিন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ জয়ন্তী।   সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস    
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৬

তেজগাঁও রেলস্টেশনে পড়ে ছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার মহসিন
প্রায় দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি ফুটবলার মোহাম্মদ মহসিন। অবশেষে বাসায় ফিরেছেন তিনি। মহসিনের বাসায় ফেরার তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই কোহিনূর পিন্টু।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে তেজগাঁও রেলস্টেশন থেকে জিআরপি পুলিশ তাকে খুঁজে পেয়ে রিকশায় করে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। সকালেই ঠিকঠাক বাসার ঠিকানা অনুযায়ী রিকশাচালক মহসিনকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছেন।  মহসিনের নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় জিডিসহ বাসা সংলগ্ন এলাকা সহ আশপাশে পোস্টারিং করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। সেই সূত্রে হয়তো কেউ মহসিনকে চিনতে পেরেছেন বলে মনে করছেন ভাই পিন্টু।  পিন্টু বলেন, মহসিন কীভাবে তেজগাঁও রেলস্টেশনে গেলো, বোধগম্য হচ্ছে না। ওর পুরো শরীরে ধুলোবালুতে একাকার। ওখানেই মনে হয় পড়ে ছিল। জিআরপি পুলিশ আমাকে ফোন করেছিল। ওরাই রিকশা করে বাসায় পাঠিয়েছে। বাসায় আসার পর ওকে জিজ্ঞেস করেও কোনও সদুত্তর পাইনি। এসে শুধু বলেছে ক্ষুধা পেয়েছে। এখন গোসল করিয়ে খাওয়ানোর পর ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়ানো হয়েছে। এমনিতে মানসিকভাবে অসুস্থ জাতীয় দলের সাবেক তারকা গোলকিপার মোহাম্মদ মহসিন। সবসময় মালিবাগের আয়শা কমপ্লেক্সের বাসাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের চোখে চোখে থাকতেন।  মঙ্গলবার হঠাৎ করেই অন্যদের নজর এড়িয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি।  ৮০ ও ৯০-এর দশকে আবাহনী-মোহামেডানে খেলা একসময়ের স্টাইলিশ গোলকিপার মহসিনকে না পেয়ে তার ছোট ভাই কোহিনুর ইসলাম পিন্টু রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।     কানাডা থেকে এসে ঢাকার বাসায় দিনাতিপাত করছিলেন মহসিন। কিছু দিন আগেও চিকিৎসার অভাবে মহসিনের খারাপ অবস্থা ছিল। ক্রিকেট বোর্ড দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও সেরে ওঠেননি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৪

কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ৮১তম জন্মদিন আজ
আজকের দিনেই পৃথিবীতে এসেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই গীতিকবির ৮১তম জন্মদিন। একাধারে তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, রচয়িতা, গীতিকার ও সুরকার।       অসংখ্য কালজয়ী গানের গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। পাশাপাশি প্রায় ৪১টি চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই সেখানে গান লিখেছেন। বিবিসির জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা গান আছে ৩টি।    ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আলোয়ার। ৬০ বছরের সংগীতজীবনে ২০ হাজারের বেশি গান লিখেছেন তিনি। ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই গীতিকার। তার শূন্যতা আজও বহন করে চলেছে বিনোদন অঙ্গন।  ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। ১৯৬৭ সালে প্রথম ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন তিনি।  ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও দক্ষতা দেখান তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নান্টু ঘটক’। ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়   সিনেমাটি।  স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। ৫ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া, ২০২১ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে 'যৈবতী কন্যার মন' সিনেমার গানের জন্য সেরা গীতিকার হিসেবে পুরস্কার পান। ২০০২ সালে শিল্পে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। পরে ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত হণ তিনি। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কালজয়ী গানের তালিকায় রয়েছে— জয় বাংলা বাংলার জয়, আছেন আমার মোক্তার, এক তারা তুই দেশের কথা, গানের কথায় স্বরলিপি লিখে, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, এই মন তোমাকে দিলাম, ইশারায় শীষ দিয়ে, চোখের নজর এমনি কইরা, এই মন তোমাকে দিলাম, চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে ইত্যাদি। এছাড়া ‘স্বাক্ষর’, ‘শাস্তি’, ‘শ্রদ্ধা’, ‘ক্ষুধা’, ‘লাল দরিয়া’, ‘জীবনের গল্প’, ‘এই যে দুনিয়া’, ‘পাষানের প্রেম’, ‘হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ’, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’সহ আরও বেশকিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৮

কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির প্রয়াণের এক যুগ
বাংলাদেশের প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। একাধারে মঞ্চ, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকহৃদয় ছুঁয়ে গেছেন তিনি। অভিনয় জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বলা হয় এই অভিনেতাকে। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান হুমায়ুন ফরীদি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬০। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কিংবদন্তি এই অভিনেতার প্রয়াণের এক যুগ পূর্ণ হলো।           অসাধারণ সৃষ্টিকর্মে সবার হৃদয়ে এখনও অমলিন হয়ে আছেন হুমায়ুন ফরীদি। শুরুতে মঞ্চ ও টিভি নাটকে অভিনয়ে করে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এই অভিনেতা; যা আজও দাগ কেটে আছে তার ভক্তদের মনে। আশির দশকে নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেলের ‘হুলিয়া’ নামের একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় পা রাখেন হুমায়ুন ফরীদি। পরবর্তীতে বাংলা সিনেমার জগতে নিজেই এক অধ্যায় হয়ে ওঠেন এই অভিনেতা। একে একে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র।    ‘মাতৃত্ব’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান হুমায়ুন ফরীদি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেন।  ১৯৫২ সালের ২৯ মে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এ টি এম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৬৫ সালে পিতার চাকরির সুবাদে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু হুমায়ুন ফরীদির। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফরীদি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে জড়িয়ে পড়েন নাট্যাঙ্গনের সঙ্গে।  ১৯৭৬ সালে নাট্যজন সেলিম আল দীনের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় নাট্যোৎসব। আর হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন এর অন্যতম প্রধান সংগঠক। এই  উৎসবে ফরীদির নিজের রচনায় এবং নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘আত্মস্থ ও হিরন্ময়ীদের বৃত্তান্ত’ নামে একটি নাটক। ওই সময় নাটকটি সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। হুমায়ুন ফরীদির অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘ভণ্ড’, ‘ঘাতক’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘টাকার অহংকার’, ‘অধিকার চাই’, ‘সন্ত্রাস’, ‘দহন’, ‘লড়াকু’, ‘দিনমজুর’, ‘বীর পুরুষ’, ‘বিশ্ব প্রেমিক’, ‘আজকের হিটলার’, ‘দুর্জয়’, ‘শাসন’-সহ অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে। এছাড়া অভিনেতার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো— ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নিখোঁজ সংবাদ’, ‘হঠাৎ একদিন’, ‘পাথর সময়’, ‘সংশপ্তক’, ‘সমূদ্রে গাংচিল’, ‘কাছের মানুষ’, ‘মোহনা’, ‘নীল নকশাল সন্ধানে’, ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’, ‘ভাঙ্গনের শব্দ শুনি’। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৯

চলে গেলেন ফুটবল কিংবদন্তি বেকেনবাওয়ার
অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে জার্মানির হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ ফুটবলার বেকেনবাওয়ার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।  সোমবার তার পরিবারে পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বেকেনবাওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, খুব দুঃখের সঙ্গে আমরা ঘোষণা করছি, বাবা ও স্বামী ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ঘুমের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন। এ সময় পরিবার তার পাশে ছিল।  বিশ্ব ফুটবলে যে তিনজন ফুটবলার একইসঙ্গে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন, বেকেনবাওয়ার তাদের একজন। পশ্চিম জার্মানির হয়ে ১৯৭৪ সালে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতেন বেকেনবাওয়ার। এরপর ১৯৯০ সালে কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলেন তিনি।  জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব পর্যায়েও অসামান্য সফলতা আছে তার। সত্তরের দশকে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে হ্যাটট্রিক (১৯৭৩-৭৪, ১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম) ইউরোপিয়ান কাপও (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছেন বেকেনবাওয়ার।  মিডফিল্ডার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বেকেনবাওয়ার। পরে ডিফেন্ডার রূপে খেলে খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করেন। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণেও তিনি অবদান রাখতেন। ডিফেন্ডার হয়েও দুবার ব্যালন ডি’অর শিরোপা জিতেছেন তিনি।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়