• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কায়সার কামালকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন ব্যারিস্টার খোকন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট বারের নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।  সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির হল রুমে করা এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আইন সম্পাদক ও ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামালকে একহাত নিয়েছেন ব্যারিস্টার খোকন। তিনি বলেন, কায়সার কামাল সরকারের এজেন্ট হয়ে বার নির্বাচনে কাজ করেছে। সে একটা অর্বাচীন ও কুলাঙ্গার। সময় এসেছে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার। এ সময় কায়সার কামালের নৈতিক স্খলনের বিষয়টি বিএনপির স্থায়ী কমিটিকে অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়ে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই বার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এর আগে, রোববার (২১ এপ্রিল) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আপনাকে মনোনীত করে। বিগত দুই বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দু’জন প্রার্থী, প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মজুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে ৮ মার্চ সমিতির অডিটোরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদের মারধর ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের দু’জন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক্ত আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরও তিনজন আইনজীবী ফোরাম নেতাকে আসামি করে গত ৯ মার্চ শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালনকারী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী ও ওই নির্বাচনে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) যথাক্রমে গত ৯ ও ১০ মার্চ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তার করে তাদের ডিবি অফিসে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা উভয়েই দুই সপ্তাহ কারাভোগ করেন। তাদের কারাগারে রেখে গত ১০ মার্চ লুট হয়ে যাওয়া ব্যালট পেপার গণনার নাটক সাজিয়ে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাকে সভাপতি পদে ও অ্যাডভোকেট ফাতিমা আকতার, অ্যাডভোকেট মো: শফিকুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফজলে এলাহী অভিকে নামকাওয়াস্তে সদস্য পদে বিজয়ী দেখানো হয়। উপরোক্ত পরিস্থিতি নিয়ে গত ২৪ মার্চ আপনার উপস্থিতিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সম্পাদকদের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনিসহ বিজয়ী ঘোষিত তিনজন সদস্যকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২০২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে বিগত ২৭ মার্চ তারিখে দেওয়া এক চিঠিতে আহ্বান জানানো হয়। সংগঠনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সদস্য পদে বিজয়ী ঘোষিত তিনজন ফোরাম সদস্য দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকলেও সংগঠনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আপনি (খোকন) গত ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এছাড়া, আপনি একই দিন সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সক্রিয় উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভার মাধ্যমে দল থেকে বহিষ্কৃত ও দলছুট কিছু সদস্যকে দিয়ে দল ও এর দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে বিষোদগার করিয়েছেন। এছাড়া আপনি আপনার বক্তব্যে আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে অবমাননাকর ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মানবেন না বলে ঘোষণা করেছেন, অবৈধভাবে ঘোষিত আওয়ামী লীগ দলীয় তথাকথিত একজন সম্পাদকের হাতে হাত রেখে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/ সম্পাদকদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে আপনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে আপনার এহেন কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থী হিসেবে গণ্য করে সর্বসম্মতভাবে আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৭

‘ওমর’ প্রসঙ্গে দর্শনা বললেন, ‘নানা সমস্যা’
আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তির তালিকায় রয়েছে প্রায় এক ডজন সিনেমা। সেই তালিকায় রয়েছে নাট্যনির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের পঞ্চম সিনেমা ‘ওমর’। এরই মধ্যে সিনেমাটির পোস্টার ও ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। তবে প্রকাশিত পোস্টার হতাশ করেছে সিনেপ্রেমীদের। জমেনি ট্রেলারও। মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমাটি দর্শক মহলে কতটা সাড়া ফেলবে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের সিনেমা মানেই আলোচনা-সমালোচনা। ‘ওমর’ সিনেমার পোস্টারে কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ ও চিত্রনায়ক মান্নাকে উৎসর্গ করা হয়েছে। যদিও সিনেমাটিতে তাদের সংশ্লিষ্টতা কী, তা পরিষ্কার নয়। এ নিয়ে রাজের ভাষ্য—‘সিনেমা দেখলেই দর্শক বুঝতে পারবেন, কেন তাদের উৎসর্গ করা হয়েছে। তবে এটাকে প্রচারণার কৌশল হিসেবেও দেখছেন কেউ কেউ। ‘ওমর’ সিনেমায় অভিনয় করছেন পরীমণির সাবেক স্বামী শরিফুল রাজ। এই অভিনেতা কাজের চেয়ে ব্যক্তি জীবনে সমালোচনার শীর্ষে। তার সহশিল্পী কলকাতার দর্শনা বণিক। সবাই সিনেমাটি নিয়ে প্রচারণায় সরব থাকলেও নীরব ভূমিকায় দর্শনা। নেই সিনেমাটির প্রচারণা। কিন্তু কেন? বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রী বলেন, আসলে নানা কাজের ব্যস্ততার কারণে প্রচারণায় থাকতে পারছি না। ভিসাও করা হয়নি। তাছাড়া নানা সমস্যা। ভিসা করতে দেবো আমার হাতে সেই সময় নেই। শোনা যাচ্ছে, পরিচালকের সঙ্গে আপনার ঝামেলা হয়েছে সে জন্য প্রচারণায় নেই। উত্তরে দর্শনা বলেন, আমাদের কোনো ঝামেলা হয়নি। আমাদের শুধু পেশাদার সম্পর্ক। এর বেশি কিছু না। আমি সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী। জাহিদ হাসান, মৌসুমী ও মোশাররফ করিম—এই তিন নন্দিত অভিনয় শিল্পীকে নিয়ে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ নির্মাণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা ‘প্রজাপতি’। সিনেমাটির নির্মাণকাজ শেষ করলেও দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল এর অন্যান্য কাজ। ২০১১ সালে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়। শুরুতেই হোঁচট খান এই নির্মাতা। এরপর ২০১৪ সালে ‘তারকাটা’, ২০১৬ সালে ‘সম্রাট’, ২০১৮ সালে ‘যদি একদিন’ সিনেমা মুক্তি পায়। রাজ নির্মিত এসব সিনেমা প্রচারের দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও আশানুরূপ দর্শক টানতে পারেনি। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, আরিফিন শুভ, বিদ্যা সিনহা মিমকে নিয়ে কাজের সুযোগ পেলেও নিজের কারিশমা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন নির্মাতা রাজ।   ‘ওমর’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, এরফান মৃধা শিবলু, আবু হুরায়রা তানভীর ও নাফিস আহমেদ প্রমুখ। প্রেক্ষাগৃহ সংকট এবং এক ডজন সিনেমার ভিড়ে নতুন মুখ নিয়ে ‘ওমর’ দর্শক মহলে কতটা সাড়া ফেলবে তা সময় বলে দেবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৯

‌‘মাদক বিস্তারে একটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমরা চলে এসেছি’
‘যেভাবে মাদক বিস্তার লাভ করছে, তাতে একটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমরা চলে এসেছি’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। আমরা মাদক উৎপাদন করি না। বিভিন্ন দেশ থেকে এসব মাদক আসে। এর ক্ষতির শিকার হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ। আমাদের সব স্বপ্ন তাদের হাতে। তাদের যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি, আমাদের সব স্বপ্ন বিফলে যাবে। যেভাবে মাদক বিস্তার লাভ করছে, তাতে একটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমরা চলে এসেছি। ঐশীর কথা আমাদের নিশ্চয় মনে আছে। সে জায়গা থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তিনভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। মূল টার্গেট চাহিদা ও সাপ্লাই কমানো। যে কারণে আমরা সর্বাত্মকভাবে প্রচার করছি— এর ভয়াবহতার বিষয়ে। নেশা করলে সমাজে ও মানসিকভাবে ধিক্কৃত হতে হয়। একটা পরিবারে যদি কোনো মাদকাসক্ত সন্তান থাকে সেক্ষেত্রে সেই পরিবারের যে কী অবস্থা হয়, তা আমরা জানি। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’ সব ধরনের অভিযান এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে যেসব অভিযান চলছে, যারা যারা অভিযানগুলো করছেন, তারা নিজস্ব আঙ্গিকে নিজ নিজ দায়িত্বে করছেন। সেজন্য আমরা চিন্তা করছি, সবাইকে এক ছাতার নিচে নিয়ে এসে এককভাবে এসব অভিযান পরিচালনা করার।’
২১ মার্চ ২০২৪, ২২:০৯

বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একইসঙ্গে তাদেরকে রাজনৈতিক বিরোধীদল হিসেবেও গণ্য করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি জাতীয় সংসদেই নেই, সে কারণে রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদল হিসেবে গণ্য হতে পারেন না। গত ২৮ অক্টোবর বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ বিভিন্ন ধরনের হামলার প্রেক্ষিতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছিল। আদালত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অনেককেই মুক্তি দিয়েছেন। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আলদুহাইলানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। সাক্ষাতে আলোচনার বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্দি প্রত্যাবর্তন চুক্তি করতে আগ্রহী সৌদি সরকার। এ ক্ষেত্রে আপত্তি নেই বাংলাদেশেরও। প্রস্তাব পাওয়ার পর সরকার ভেবে দেখবে বিষয়টি। চুক্তি হলে দুই দেশে থাকা অপরাধীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সহজ হবে। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশি কেউ অপরাধ করলে তারা তাদের ফিরিয়ে দিবে এবং সে দেশের কেউ আমাদের দেশে অপরাধ করলে আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে দেব। এরপর মিয়ানমার সংকট প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের অস্থিরতা নিয়ে আমরা শঙ্কিত না। রোহিঙ্গাদের পাঠানোর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি খুব দ্রুত মায়ানমারের অবস্থা ভালো হবে এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিবে। সীমান্ত দিয়ে আর কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩১

‘গত বছর এক লাখ ২০ হাজার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার’
২০২৩ সালে সারাদেশে এক লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বর্তমান সময়ের আলোচিত মাদকদ্রব্য ইয়াবার অনুপ্রবেশ ঘটে মিয়ানমার থেকে। ভারত থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ অনুপ্রবেশ করে। সব সংস্থা সারাদেশে ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনে। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদক নির্মূলে সারাদেশে অভিযান পরিচালনাসহ চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ হ্রাস ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা প্রদানসহ বহুবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সব আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত ৫ বছরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলার মধ্যে ১০ হাজার ২৫৯টি মামলা বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিচারিক আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৮২ হাজার ৫০৭টি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুসারে মাদকসহ আটক হওয়ার তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। এ বিধানের আলোকে অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলাগুলোর তদন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯

ড. কামাল আবদুল নাসেরের সঙ্গে নিউইয়র্ক প্রবাসীদের মতবিনিময়
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসী লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সুধীজনের সঙ্গে এক ‘আন্তরিক সন্ধ্যায়’ মিলিত হন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিল ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কম্যুনিটির বিভিন্ন অঙ্গনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা ও গভীরতা উল্লেখপূর্বক বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে সবাইকে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে তিনি সেগুলোর চর্চা অব্যাহত রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রের  মূলধারার মধ্যে প্রসারের মাধ্যমে ‘সাংস্কৃতিক কূটনীতি’ জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপট উল্লেখপূর্বক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।  ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে তার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রবাসীদের সেবার মান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। মতবিনিময়কালে আমন্ত্রিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।  যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিরাজমান কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন। নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করায় তিনি উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। শিক্ষা ও সংস্কৃতির মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উপদেষ্টার দায়িত্ব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীরকে অর্পণ করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি জনাব তৌফিক ইসলাম শাতিলও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।  কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা তার স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্পকে বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।  সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৪

সেনবাগে যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা / আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল চৌধুরী 
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আহ্বায়ক পদে সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবু এবং যুগ্ম আহ্বায়কের পদে কামাল উদ্দিন চৌধুরীসহ মোট ২১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে কাদরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ফিরোল আলম ভূঁইয়া রিগান সদস্য করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট ও যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব স্বাক্ষরিত এক পত্রে নতুন এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট বলেন, সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি আগামী তিন মাসের জন্য নতুন এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৫

অসুস্থ প্রেমিকার জন্য জোভানের কাণ্ড
এ প্রজন্মের জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিম সায়রা তটিনী। সম্প্রতি চট্রগ্রামে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত নাটকে অভিনয় করেছেন তারা। নাটকটির নাম ‘এক জীবনে’।  নাটকটিতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান-তটিনী। এতে একেবারেই অন্যরকমভাবে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন রিফাত আদনান পাপন। নির্মাতা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের প্রযোজনায় ‘এক জীবনে’ নাটকটির গল্পে এক অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর ভালোবাসার গল্পে নিজেদের চরিত্র মেলে ধরেছেন জোভান-তটিনী। যেখানে ভালোবাসার মানুষটিকে ঘিরে রয়েছে পাগলামি। অসুস্থ প্রেমিকাকে মানসিকভাবে স্বস্তিতে রাখার পাশাপাশি তাকে তার ভালোবাসার সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে নাটকের গল্পে। এ প্রসঙ্গে তটিনী বলেন, বর্তমান সময়ে যেসব নাটক হয়, ‘এক জীবনে’ তার থেকে কিছুটা ভিন্ন। নির্মাতা রিফাত আদনান পাপন ভীষণ যত্ন নিয়ে নাটকটি বানিয়েছেন। আর জোভানের সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতাটাই অসাধারণ ছিল। সব মিলিয়ে দারুণ একটা কাজ হয়েছে।   নির্মাতা পাপন বলেন, ভালোবাসার এমন বিরল দৃষ্টান্ত সত্যিই নাড়া দিয়েছিল আমাকে। সেই সময় থেকেই গল্পটা মাথা নিয়ে ঘুরছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়ের অভাবে কাজটি করা হয়নি।   তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যেখানে কাউকে ভালোবেসে মানুষ কমিটমেন্টে যেতে ভয় পায়। সেখানে ভালোবাসার মানুষটা হয়তো বাঁচবে না জেনেও তার সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার মতো পাগলামি করার সাহসটা সত্যিই অভাবনীয়। প্রসঙ্গত, জোভান-তটিনী ছাড়া ‘এক জীবনে’ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন সুষমা সরকার, শিল্পী সরকার অপু, সমাপ্তি মাশুক, অর্পণ, বাপ্পী বাশার, নিশুসহ আরও অনেকে।   
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৫

বিসিবি সভাপতি হওয়ার প্রসঙ্গে যা বললেন নাফিসা কামাল
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই জোর আলোচনা চলছে, কে হচ্ছেন বিসিবির পরবর্তী সভাপতি। সেই তালিকায় বিসিবির ২৫ পরিচালকের পাশাপাশি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে নিয়েও গুঞ্জন আছে। এমনকি সভাপতি হতে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।  এবার বিসিবি বসের দৌড়ে নতুন করে আলোচনায় বিপিএলের অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামাল। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখও খুলেছেন তিনি।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মাসকো সাকিব ক্রিকেট একাডেমিতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা। সেখানে তিনি (নাফিসা) বলেন, এটা তো একটা প্রক্রিয়া, এটা তো আগ্রহ থাকলে হয় না। একটা প্রক্রিয়া ফলো করতে হয়। আপনারা সবাই জানেন, কিভাবে বোর্ডে আসতে হয়। তো ওরকম সময় হলে তখন বুঝব, এখন চিন্তা করছি না। সামনে বিপিএলের ম্যাচ আছে, এগুলো নিয়ে এখন চিন্তাই করতে পারিনা। এখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আমার মেইন ফোকাস। কুমিল্লার বিদেশি খেলোয়াড়রা কবে আসবে, এ বিষয়ে নাফিসা জানান, বিদেশি ক্রিকেটাররা প্রতিবারের মতো আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবে। পিএসএলের খেলোয়াড়দের আমরা পাচ্ছি ওই টুর্নামেন্ট শুরুর আগ পর্যন্ত, তারপর এসএ লিগ ও আইএল টি-টোয়েন্টির খেলোয়াড় পাচ্ছি। আগামী ম্যাচ থেকে আমাদের পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা থাকবে। নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ (মূলত আরও দুই ম্যাচ বাকি) হলো, এখন তারাও ফ্লাই করছে। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে আগামী ১৯ জানুয়ারি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে দুর্দান্ত ঢাকা। দিনের আরেক ম্যাচে মাঠে নামবে সিলেট ও চট্টগ্রাম।  এবার গ্রুপ পর্বের ৪২ ম্যাচগুলো প্রতিদিন দুটি করে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি এলিমিনিটর ও প্রথম কোয়ালিফাই ম্যাচটিও একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন দুপুর দেড়টায় প্রথম ম্যাচ শুরু হবে ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে। তবে শুক্রবার ম্যাচগুলো দুপুর ২টায় ও সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে। বিপিএলের সবচেয়ে সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জিতেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এবারও ফেভারিট তকমা নিয়েই মাঠে নামবে তারকা-বহুল দলটি। এবার নেতৃত্ব নির্বাচনে বড় চমক দেখিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লিটন দাসকে নতুন অধিনায়ক করা হয়েছে। দলকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন করলেও অধিনায়কত্ব পাননি দলটির সফলতম অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫১

বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত কুমিল্লার
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবচেয়ে সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জিতেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে বিপিএলের দশম আসর। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াবে ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্ট। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এবারও ফেভারিট তকমা নিয়েই মাঠে নামবে তারকাবহুল দলটি। তবে আসর শুরুর দুই আগে আবারও পুরনো দাবি তুলে ধরেছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারী নাফিসা কামাল। মূলত টুর্নামেন্টের আয়োজক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোনো পেশাদার মডেল না থাকা এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো রাজস্ব আয়ের ভাগ না পাওয়ায় আগামী বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) গুলশানে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তার দাবি, এভাবে চলতে থাকল আমরা (কুমিল্লা) পরেরবার থেকে আর বিপিএলে থাকব না। নাফিসার ভাষ্যমতে, হ্যাঁ, এটা শতভাগ সত্য। রাজস্ব ভাগাভাগি না হলে আমরা আগামী বিপিএলে থাকবো না। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স টিকিট রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস ও মিডিয়া রাইটসের একটা অংশ চায়। তিনি যোগ করেন, আমি আগামী বছর বিপিএল করব কি না; নিশ্চিত নই। এখন যেভাবে হচ্ছে, এভাবে হলে আমার মনে হয় না আমার পক্ষে দল করা সম্ভব হবে। এ বছর একটা মিটিং করতে চেয়েছিলাম (বিসিবির সঙ্গে)। গত বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও প্রেস কনফারেন্সে আমি এটাই অনুরোধ করেছিলাম—একটা মিটিং। মিটিং হলে রংপুরের মালিকপক্ষও বসবে। চট্টগ্রাম, ঢাকা—সবাই বসবে। সবাইকে সমান সম্মান দেওয়া উচিত। তারা সবাই কমবেশি বিনিয়োগ করছে। সবাইকে সম্মান দেওয়া উচিত। ব্রডকাস্টিংয়ের রাজস্বতে পিছিয়ে থাকার হতাশা ব্যক্ত করে নাফিসার মন্তব্য, আমরা কত আগে বিপিএল শুরু করেছি। অথচ এত বিশাল জনসংখ্যা নিয়েও আমরা ব্রডকাস্টিংয়ে অনেক পিছিয়ে। বিসিবি যদি আমাদের টিকিট রাইটসের ৫০ শতাংশও দেয়, তাহলে একটি টিকিটও অবিক্রিত থাকবে না। কিন্তু বিসিবি সেই রাইটস আমাদের দেয় না। মিডিয়া, গ্রাউন্ড রাইটসের বেলাতেও একই পন্থা অনুসরণ করা হচ্ছে। পরিকল্পনাগত ত্রুটির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে তার ভাষ্য, কাগজে-কলমে যেভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট চলা উচিত। সেটা আমাদের বিপিএলে প্রযোজ্য নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের যেসব রাইটস পাওয়া উচিত, আমাদের সেটা পাওয়া হয় না। বিপিএল শেষ হওয়ার পর যখন হিসাব করি, স্পন্সরের কাছ থেকে যে টাকাটা আসে আর আমি যে খরচটা করি, খুব ভালো হয় যদি দুটি মিলে যায়, সমান সমান যদি হয়। ব্যালেন্স ইজ ইকুয়াল। মাঝে-মধ্যে আমরা একটু বেশি দেই, কিন্তু অতটা বেশিও নয়। নাফিসা আরও যোগ করেন, শুধু ভালোবাসা থেকে এটা সম্ভব নয়। এটা আপনারা সবসময় বলেন যে, ‘আউট অব লাভ’ আমরা করছি। ভালোবাসার জায়গা থেকে আমরা করছি কাজটুকু… অনেক বেশি পরিশ্রম করছি, চেষ্টা করছি। যেটা বাকি দলগুলো করছে না। কিন্তু স্পন্সর তো আমাদেরকে পেতে হয়, আর্থিক দিক ঠিক রাখতে হয়। আমাদের টাকাটা তো আনতে হবে। নিজেদের পকেট থেকে তো পুরো বিপিএল চালাতে পারব না। এটা খুব মিথ্যা হবে যদি আমি বলি যে, আমাদের পকেট থেকে পুরো বিপিএল চালাচ্ছি। এটা সম্ভবই নয়।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়