• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ইসরায়েলকে আর অস্ত্র দেবে না কানাডা
গাজায় সংঘাতের জেরে ইসরায়েলে আর প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম রপ্তানি করবে না কানাডা। দেশটির সরকারের একটি সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মার্চ মাসের শুরুর দিকে কানাডার পার্লামেন্টে একটি অভিযোগ জমা দেন দেশটির আইনজীবীদের একাংশ এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয়রা। তারা বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলমান থাকা অবস্থায় দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা কানাডার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। পরে অভিযোগটি আমলে নিয়ে সোমবার একটি রেজোল্যুশন পাস করে দেশটির পার্লামেন্ট।  রেজোল্যুশনে বলা হয়, কানাডা ইসরায়েলে সামরিক যোগাযোগ সরঞ্জাম বা এই জাতীয় সরঞ্জাম ব্যতীত কোনো প্রকার প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম পাঠাবে না। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামের দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে রেজোল্যুশনে। এদিকে রেডিও কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসরায়েলে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডিয়ান ডলার এবং ২০২১ সালে ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডিয়ান ডলার সমমূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করেছে দেশটি। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাস। ওইদিন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশপাশি আরও প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে তারা। হামাসের ওই হামলার পর গাজায় অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩২ হাজার নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
২০ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

যে পেশায় দক্ষ হলেই যাওয়া যাবে কানাডা
বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে কানাডায়। তাই প্রয়োজন অধিকসংখ্যক দক্ষ নার্স, চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট। বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। তবে এসব নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ হতে হবে। তাই বাংলাদেশে বিশ্বমানের নার্সিং শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কানাডা। নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীরা দক্ষ হলেই সহজে কানাডা যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস এই আগ্রহ প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি উন্নত ও বিশ্বমানের নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।  এ পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ নার্স ও চিকিৎসক রয়েছেন উল্লেখ করে কানাডীয় হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ৯৫ হাজার শিক্ষিত নার্স আছে, যারা বিশ্বের যে কোনো দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে তাদের আরও বেশি দক্ষ ও বিশ্বমানের করতে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। এ জন্য দক্ষ প্রশিক্ষকও দরকার। এ ক্ষেত্রে কানাডা সরকার বাংলাদেশে যে উন্নতমানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তা প্রশংসনীয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান। এছাড়াও আলোচনায় কানাডা হাইকমিশনের হেড অব কোঅপারেশন অ্যান্ড কাউন্সিলর জো গুডিংস এবং ভারপ্রাপ্ত রাজনৈতিক কাউন্সিলর সিয়োভান কার উপস্থিত ছিলেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩৪

বিদেশি শিক্ষার্থীদের যে বিধিনিষেধ দিলো কানাডা
বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করছে কানাডা। রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীর আগমন এবং তার জেরে দিন দিন আবাসন সংকট তীব্র হতে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা সরকার। এমনকি বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করে দেশটিতে অবস্থান করছেন, তাদেরকেও কাজের অনুমোদনপত্র (ওয়ার্ক পারমিট) দেওয়া হচ্ছে না। খবর রয়টার্সের। কানাডার অভিবাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রবেশে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার, যা গতবছরের চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম। তবে এই বিধিনিষেধ স্থায়ী নয়। অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার জানিয়েছেন, আগামী ২ বছর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা জারি থাকবে।   তিনি আরও জানান, নতুন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিভিন্ন প্রাদেশিক সরকারের সঙ্গে কাজ করবে অটোয়ায় আসীন কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক মিলার বলেন, সম্প্রতি কানাডায় বেশ কিছু সাইনবোর্ড সর্বস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের কোনো যোগাযোগ নেই এবং শিক্ষা, ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থীদের সুবিধা সংক্রান্ত সরকারের যেসব নীতি বা মান রয়েছে, সেসবের কোনোটিই প্রতিষ্ঠানগুলো মানছে না। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও তারা অতিরিক্ত ফি রাখছে। এই প্রতারণা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।  অতিরিক্ত অভিবাসীদের কারণে আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য পরিষেবা খাতেও চাপ বাড়ছে। দুই বছরের মধ্যে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসবে বলে আমরা মনে করছি। কানাডার বিদেশি শিক্ষার্থীদের অ্যাডভোকেসি সংস্থা কাসার পরিচালক ম্যাথুজ সালমাসি সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার সীমিত না করে সরকারের উচিত ছিল শিক্ষা প্রশাসনকে শক্তিশালী এবং আবাসন সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তবে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশটির প্রথমসারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। 
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া জানাল কানাডা
বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে বলে হতাশা প্রকাশ করেছে কানাডা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) কানাডা সরকারের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে এই হতাশা ব্যক্ত করে। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতার ঘটনায় নিন্দাও জানিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটি।  মঙ্গলবারের এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে এবং নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময়কালে ঘটে যাওয়া ভয়ভীতি দেখানোর মতো কাজ ও সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে। যারা এসব সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সকলের প্রতি আমরা সহানুভূতি জানাচ্ছি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কানাডা হতাশা প্রকাশ করছে যে, এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ ছাড়া গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং মৌলিক স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকল পক্ষের সাথে স্বচ্ছভাবে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে কানাডা, যা হবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। একটি কার্যকর বিরোধী দল, স্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা শক্তিশালী এবং সুস্থ গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে কানাডাও ছিল এবং আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখতে কানাডা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। এর আগে, বাংলাদেশের নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি’ বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাজ্য বলেছে বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু মানদণ্ড মেনে নির্বাচন হয়নি’। পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে দেশ দুইটি। পরে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান সব রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী দলের হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মীর গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিনের অনিয়মের প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের মতো মনে করে, এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না এবং আমরা দুঃখিত যে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু মানদণ্ড মেনে নির্বাচন হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্য। নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না বলেও অভিমত দেশটির। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর। মানবাধিকার, আইনের শাসন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এসব মানদণ্ড যথাযথভাবে মানা হয়নি। এ ছাড়া নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়নি বলে বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না।  
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়