• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কাবা থেকে ৩ কিলোমিটারেরও বেশি দূর গেলো তারাবির কাতার
সৌদি আরবের পবিত্র কাবা শরীফে তারাবির নামাজ আদায়ের জন্য শুক্রবার (২২ মার্চ) জড়ো হয়েছিলেন লাখ লাখ মানুষ। মুসল্লিদের নামাজের কাতার কাবার গ্র্যান্ড মসজিদ পেরিয়ে তিন কিলোমিটারেরও বেশি দূরের মাআলা এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। শনিবার (২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ। মাআলা এলাকায় মানুষের নামাজ পড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ড্রোন থেকে তোলা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার অলি-গলিতে হাজার হাজার মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তারাবির নামাজ আদায় করছেন। ভিডিওতে যতদূর চোখ যায়, শুধু মুসল্লি আর মুসল্লি। এসময় মূল সড়কে যানবাহন চলাচল করতেও দেখা যায়। আল মাআলা মক্কার একটি প্রসিদ্ধ এলাকা। সেখানে রয়েছে মক্কার অন্যতম পুরোনো কবরস্থান ‘আল মাআলা কবরস্থান’। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর অনেক সঙ্গী এবং ইসলামিক ব্যক্তিত্ব এই কবরে শুয়ে আছেন। পবিত্র রমজান মাস এলে মক্কায় লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওমরাহ পালন করতে মক্কায় ছুটে আসেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২০:২৫

রমজানের আগে ৯০০ পণ্যের দাম কমাল কাতার
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আসন্ন রমজানের আগেই ৯০০ পণ্যের দাম কমাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। গত ৪ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন মূল্য তালিকা, যা রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে। রোববার (১০ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১১ মার্চ থেকে। তার আগেই কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নয় শতাধিক পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। কাতারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। কাতারে এবারে রমজান মাস উপলক্ষে মূল্যছাড় দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে দুধ, দই এবং দুগ্ধজাত পণ্য, টিস্যু পেপার, পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, রান্নার তেল ও ঘি, পনির, হিমায়িত সবজি, বাদাম, বোতলজাত পানি, জুস, মধু, মুরগি, রুটি, টিনজাত খাবার, পাস্তা, ভার্মিসেলি, গোলাপ জলসহ আরও অনেক কিছু। ২০২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০তে, ২০২৩ সালে সেটি আরও বাড়িয়ে ৯০০র বেশি পণ্যের দাম কমায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতারি কর্তৃপক্ষ।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৬:২০

কাতার সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
কাতারে সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (৬ মার্চ) তিনি দেশে ফিরেছেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। আইএসপিআর জানায়, সফরকালে তিনি কাতারের রাজধানী দোহাতে ৪ মার্চ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স (ডিআইএমডিএক্স-২০২৪)’-এ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে স্ব-স্ব স্থল বাহিনীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি, পেশাদারি সম্পর্ক উন্নয়ন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, সংঘাতপূর্ণ সমস্যা মোকাবিলা, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং স্থল বাহিনীগুলোর আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান) এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সেনাবাহিনী প্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সরকারি সফরে কাতার যান।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫২

কাতার গেলেন সেনাপ্রধান
সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। রোববার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সফরকালে সেনাপ্রধান কাতারের রাজধানী দোহাতে অনুষ্ঠিতব্য ৪ মার্চ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ‘দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স (ডিআইএমডিএক্স-২০২৪)’ এ অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া শফিউদ্দিন আহমেদ কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান) এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য স্ব স্ব স্থল বাহিনীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি, পেশাদারি সম্পর্কন্নোয়ন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, সংঘাতপূর্ণ সমস্যাগুলো মোকাবিলা, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং স্থল বাহিনীগুলোর আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা। সম্মেলন শেষে আগামী ৬ মার্চ সেনাপ্রধান বাংলাদেশে ফিরবেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৮

গুপ্তচরবৃত্তি / ১৮ মাস পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ ভারতীয়কে ছেড়ে দিলো কাতার
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দীর্ঘ ১৮ মাস কাতারের কারাগারে থাকা ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক ৮ কর্মকর্তা অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। এরমধ্যে ৭ জন ইতোমধ্যে নিজ দেশে ফিরেছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, কাতারে বন্দি আট ভারতীয়র ফিরে আসার বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত সরকার। তারা দাহরা গ্লোবাল কোম্পানির হয়ে কাজ করতেন। আটজনের মধ্যে সাতজন ইতোমধ্যে ভারতে ফিরে এসেছেন। এসব ভারতীয়দের মুক্তি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত কাতারের আমির নিয়েছিলেন। আমরা সেটিকে স্বাগত জানাই। মুক্তি পাওয়া ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা হলেন— ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক এসব কর্মকর্তা দেহরা গ্লোবাল নামের এ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাতারের নৌবাহিনীর হয়ে কাজ করতেন। সেখানে কাজ করার সময় এসব কর্মকর্তা ইসরায়েলের কাছে গোপন তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের ২০২২ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই তারা কারাগারে বন্দি ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে এই ৮ ভারতীয়কে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন কাতারের একটি আদালত। এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তাকে ছাড়িয়ে নিতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে ভারত। পরে বছরের শেষ দিকে তাদের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়। সবশেষ ভারতের ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতায় তাদের সবাইকে ছেড়ে দিলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১০

এশিয়ান কাপ ফাইনাল / তিন পেনাল্টিতে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন কাতার
শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে এশিয়ান কাপে অংশ নিয়েছিল কাতার। ফাইনালে জর্ডানের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। শিরোপা জয়ে লড়াই কাতারকে ৩-১ গোলের ব্যবধারে পরাস্থ করে টানা দুইবার এশিয়ান কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে মধ্য পাচ্যের দেশটি। তবে তিন গোলের প্রতিটিই পেনাল্টি থেকে এসেছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কাতার ও জর্ডান। এই ম্যাচে তিন পেনাল্টিকে গোলে রূপ দেন আকরাম আফিফ।  সেই সঙ্গে জর্ডানের রূপকথা থামিয়ে এশিয়ান ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটও ধরে রেখেছে তার দল। এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে আফিফকে বক্সে পেছন থেকে আব্দল্লাহ নাসিব ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন আফিফ। বলের লাইনে ঝাঁপালেও গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি গোলরক্ষক। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে উদযাপন শুরু হয় লুসাইলের আঙিনায়। ৩২তম মিনিটে আফিফের কর্নারে লুকাস মেন্দেসের হেড গ্লাভসের ছোঁয়ায় ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন ইয়াজিদ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগটি নষ্ট হয় জর্ডানের। আলি ওয়ানের আড়াআড়ি ক্রসে মৌসা তামারির প্লেসিং শট মোহাম্মদ ওয়াদের গায়ে লেগে ব্লকড হয়।  এতে ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কাতার। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ শাণাতে থাকে জর্ডান। কাতারের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৬৭তম মিনিটে স্পট কিক থেকে সমতায় ফেরে জর্ডান। ডান দিক থেকে হাদ্দাদের বাড়ানো ক্রস প্রথম ছোঁয়ায় দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আল নিয়ামাত। বারশামের কিছুই করার ছিল না। তবে সমতায় থাকতে পারে বেশিক্ষণ কারণ, ছয় মিনিট পরইবক্সে মোহাম্মাদ ইসমাইলকে মাহমুদ আল মুরাদি ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ফের লক্ষ্যভেদ করেন আফিফ। ম্যাচের ১৩ মিনিটের যোগ করা সময়ের শুরুতেই আফিফ আক্রমণে ওঠেন। বলে প্রথম স্পর্শ জোরে হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান এই ফরোয়ার্ড। এক পর্যায়ে তার সাথে সংঘর্ষ হয় ছুটে আসা গোলরক্ষকের সাথে। অফসাইডের পতাকাও ওঠে। কিন্তু কাতার ভিএআর চেকের আবেদন জানাতে থাকে। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আরেকটি সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূরণের সাথে কাতারের জয়ও একরকম নিশ্চিত করে দেন আফিফ। এতে পঞ্চম দল হিসেবে এশিয়ান কাপে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হলো কাতার। এর আগে এই কৃতিত্ব আছে কেবল জাপান, সৌদি আরব, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৪৭

ইরানকে কাঁদিয়ে এশিয়ান কাপের ফাইনালে কাতার
চলমান এশিয়ান কাপ টুর্নামেন্টে ফেভারিট দল হিসেবে অংশ গ্রহণ করেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কাতার। শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে আবারও ফাইনালে উঠেছে দলটি। সেমিফাইনালে শক্তিশালী ইরানকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে কাতার।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইরানের মুখোমুখি হয় কাতার। ম্যাচের শুরুতেই ইরানকে এগিয়ে নেন সর্দার আজমাউন।  ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই দারুণ এক বাইসাইকেল কিকে জাল খুঁজে নেন আজমাউন। এরপর গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। সমতায় ফিরতেও সময় নেয়নি কাতার। ১৭তম মিনিটে সতীর্থের পাওয়া বল দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন জাবের আবদুলসালাম। ৪৩তম মিনিটে কাতারকে এগিয়ে নিয়ে যান আফিফ। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কাতার। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে সমতায় ফিরতে আক্রমণ করতে থাকে ইরান। ৫১তম মিনিটে হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি পায় ইরান। সেখান থেকে সফল স্পট কিকে সমতা নিয়ে আসেন জাহানবাখশ। এরপর আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে খেলা গড়ালেও গোল পাচ্ছিল না কোনো দল।   তবে ৮২তম মিনিটে গিয়ে কাতার আবারও এগিয়ে যায়। আলমোয়েজ আলি গোলটি করার পর আরও এক ধাক্কা খায় ইরান। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ভিএআর মনিটরে দেখে ইরানের খলিলজাদেহকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। তবুও লড়াই থামায়নি তারা। তবে শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি দলটি। ৩-২ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতার।  আগামী শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জর্ডানের শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামবে কাতার। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে রাত ৯টায়।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩

সরকারি সফরে কাতার গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান
কাতার অলিম্পিক কমিটি ও লোকাল অর্গানাইজিং কমিটির প্রেসিডেন্ট জোয়ান বিন হামাদ আল-থানির আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে কাতার গেলেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কাতার সফরকালে ১৮তম এএফসি এশিয়ান কাপ কাতার-২০২৩ এর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা উপভোগ এবং ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ দোহা-২০২৪ এর বিভিন্ন ইভেন্ট পর্যবেক্ষণ করবেন। পাশাপাশি সেনাপ্রধান বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। সফর শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৯

কাতার থেকে ১৫ বছরে ১০ লাখ মে. টন গ্যাস পাবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহে ১৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কাতার এনার্জি ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সিলারেট এনার্জি। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৫ বছরে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ মেট্রিক টন এলএনজি সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি।  নর্থ ফিল্ড সম্প্রসারণ প্রকল্পে ইউরোপীয় ও এশীয় অংশীদারদের সঙ্গে কাতার এনার্জির করা সিরিজ চুক্তির সর্বশেষ চুক্তি এটি। কাতার এনার্জির প্রধান নির্বাহী সাদ আল-কাবি এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নতুন এই চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। একইসঙ্গে এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জ্বালানির চাহিদা মিটবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে তারা আরও খানিকটা এগিয়ে যাবে।’ প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এক্সিলারেট এনার্জি ২০২৬ ও ২০২৭ সালে ৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এলএনজি এবং ২০২৮ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে বাকি দেড় লাখ মেট্রিক টন এলএনজি কিনবে। এরপর বাংলাদেশের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে এই তরল গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এক্সিলারেট এনার্জির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ড্যানিয়েল বুসটস গত সেপ্টেম্বর মাসে বলেছিলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘ মেয়াদে এলএনজি সরবরাহবিষয়ক আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছেন তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, কাতার এনার্জি সম্প্রতি ইউরোপীয় ও এশীয় দেশগুলোর কাছে এলএনজি সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।  সম্প্রতি নর্থ ফিল্ড এক্সপ্যানশন বা সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে দেশটি। ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে কাতারের এলএনজি উৎপাদন ১২৬ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত হবে, বর্তমানে যা ৭৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন। প্রসঙ্গত, বিশ্বের অন্যতম বড় এলএনজি সরবরাহকারী দেশ কাতার। বাংলাদেশে তারা সবচেয়ে বেশি এলএনজি সরবরাহ করে। এলএনজি শিল্পে প্রাকৃতিক গ্যাসকে অন্তর্বর্তীকালীন পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, ভবিষ্যতেও যার চাহিদা থাকবে।  
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৪

কাতার ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল নতুন চুক্তি
গাজা ইস্যুতে ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে কাতার। এর আওতায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওষুধ এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের বিনিময়ে হামাসের কাছে জিম্মি ইসরায়েলিদের কাছে ওষুধ সরবরাহ করা হবে। কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে। কাতার এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলি বন্দীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের বিনিময়ে গাজা উপত্যকার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে মানবিক সহায়তা ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসনে পর্যুদস্ত ফিলিস্তিনিদের কী ধরনের ও কী পরিমাণে সহায়তাসামগ্রী দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। জানা গেছে, ওষুধ ও সাহায্য বুধবার দোহা ছেড়ে গাজায় পাঠানোর আগে মিসরে যাবে। তারপর রাফাহ ক্রসিং পার হয়ে সেগুলো গাজায় পৌঁছাবে। এর আগে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রাইসিস সেন্টার প্রধান ফিলিপ্পে লালিয়ত জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে আলাপ-আলোচনার পর এই চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা আশা করছি, এই সমঝোতা আরও বেশি জিম্মির মুক্তির পথ প্রশস্ত করবে। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার প্রতিশোধস্বরূপ গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েলি। ১০৩ দিন ধরে চলা এই আগ্রাসনে গাজায় ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি।   ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘোষিত এক মানবিক বিরতির সাত দিনে মোট ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বাকি ১৩২ জন এখনও তাদের হাতে আটক রয়েছে।  
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়