• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পা ধরে কাঁদলেন নিবন্ধনধারীরা
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পেতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ১-১৫তম (অনূর্ধ্ব ৩৫) নিবন্ধন সনদধারী ফোরাম। এ সময় তাদের সঙ্গে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম কথা বলতে আসেন। তাকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মানববন্ধনকারীরা। তাদের অনেকে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পা ধরেও কাঁদেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘যাদের সনদের মেয়াদ তিন বছর অতিক্রম হয়ে গেছে আমরা আবেদনের সুযোগ দিতে পারি না। এমন কোন আইন নেই। তবে সরকার চাইলে বিষয়টি সমাধান করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। আমাকে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আপনাদের বিষয়টি আমি অনুধাবন করেছি। তবে আমার হাতে কিছু করার নেই। আদালত যদি আদেশ দেন অথবা রাজনৈতিকভাবে যদি এটার সমাধান করা যায়, তাহলে আবেদনের সুযোগ দিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’ এদিন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলার এক পর্যায়ে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের প্রবেশ পথে বসে পড়েন এবং সেখানে অবস্থান নেন ১-১৫তম নিবন্ধনের সনদধারীরা।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৮

ছেলের মাথায় টেস্ট ক্যাপ দেখে কাঁদলেন বাবা
ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেননি বিরাট কোহলি। তৃতীয় ম্যাচে ফেরার কথা থাকলেও পুরো সিরিজ থেকেই নিজেতে সরিয়ে নিয়েছেন এই তারকা ব্যাটার। এতে দলে সুযোগ পেয়েছে সরফরাজ খান। তৃতীয় ম্যাচের একাদশেও সুযোগ পেয়েছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজকোট টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ভারত। এর মধ্যে অভিষেক হয় দুজনের। সরফরাজকে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ অনিল কুম্বলে। এদিন ছেলের অভিষেক দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না বাবা নওশাদ খান। কিছুক্ষণ মুখে হাসি থাকার পর ঠিকই চোখ দিয়ে জল বের হয়ে পড়ল। অনিল কুম্বলে বলেন, সরফরাজ যেভাবে তুমি উঠে এসেছ, তাতে সত্যিই আমি গর্বিত। আমি নিশ্চিত তোমার বাবা ও পরিবার অনেক গর্বিত। আমি জানি তুমি কঠোর পরিশ্রম করেছে। কিছু হতাশা ছিল বটে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঘরোয়া মৌসুম জুড়ে তুমি যা রান করেছ, সেজন্য বাহবা প্রাপ্য। আমি নিশ্চিত, আজ অনেক কিছুই দারুণ স্মৃতি হিসেবে রাখবে তুমি। একটি দীর্ঘ ক্যারিয়ারের শুরু এটি।   সেই মুহূর্তটি কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন নওশাদ। টেস্ট ক্যাপ পেয়েই প্রথমে তার কাছে যান সরফরাজ। ছেলেকে জড়িয়ে ধরার পর টেস্ট ক্যাপে চুমু খান তিনি। বাবার পরে মাকেও জড়িয়ে ধরেন সরফরাজ়। সরফরাজ জাতীয় দলের জন্য নিজেকে যোগ্য করেছেন অনেক আগেই।  ২০১৯ সাল থেকে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য পারফর্মও করছেন সরফরাজ। ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২ টানা দুই মৌসুমে রঞ্জি ট্রফিতে তিনি করেছেন ৯০০–এর বেশি রান। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৬৬ ইনিংসে তার গড় ৬৯.৮৫, যা ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ গড় ৯৫.১৪ স্যার ডন ব্রাডম্যানের।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৯

ঘোড়ার গাড়িতে ইমামের রাজকীয় বিদায়, কাঁদলেন এলাকাবাসী
রং-বেরঙের বেলুন দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফুলের তোড়া। এলাকার সকল মুসল্লিরা তৈরি হয়ে এসেছেন মসজিদে। পুরো আয়োজনটি ছিল কাপাশপাড়া বাইতুল নূর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ ওয়াজউদ্দিন শেখের বিদায় সংবর্ধনায়। ১৯৯০ সালে শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের কাপাশপাড়া বাইতুল নূর জামে মসজিদে ইমামতি শুরু করেন হাফেজ ওয়াজউদ্দিন শেখ। ৩৫ বছর ইমামতি পর ৭৫ বছর বয়সে বার্ধক্যেজনিত কারণে অবসর নিয়েছেন তিনি। বিদায়বেলায় স্থানীয়দের কাছ থেকে পেলেন এমন রাজকীয় সংবর্ধনা। ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন এলাকাবাসী। কাপাশপাড়া বাইতুল নূর জামে মসজিদের সামনে মুসল্লি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা ওয়াজউদ্দিন শেখকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয়রা ফুলেল শুভেচ্ছা, নগদ টাকা ও নানা উপহারসামগ্রী দেয়। হাফেজ ওয়াজউদ্দিন শেখ উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের উপসী গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিন শেখের ছেলে। তার ছয় মেয়ে ও এক ছেলে। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাফেজ ওয়াজউদ্দিন শেখ দীর্ঘ ৩৫ বছর ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। যখন তিনি কাপাশপাড়া বাইতূল নূর জামে মসজিদে ইমামতি শুরু করেন তখন মসজিদটি ছিল ছোট একটি টিনের ছাউনি। তখন গ্রামবাসী তাকে বছরে ২২ মণ ধান দিতেন। পরে মাসে অল্প বেতনে তিনি ইমামতি চালিয়ে গেছেন। দীর্ঘদিন ইমামতি শেষে বার্ধক্যের কারণে আজ তিনি অবসর নেন। নিজের অনুভূতি প্রকাশে করতে গিয়ে হাফেজ ওয়াজউদ্দিন শেখ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমি যখন এখানে আসি মসজিদটি জানালার কপাট ছাড়া ছোট একটি টিনের ঘর ছিল। বর্তমানে মসজিদটি এখন দোতলা ও টাইলস হয়েছে। এলাকার সকলে আমাকে অনেক সম্মান দেখিয়েছে। আল্লাহ তাদের সবাইকে ভালো রাখুক। মসজিটির সভাপতি রাশেদুজ্জামান চপল খান বলেন, আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুক, ভালো রাখুন এটাই আমাদের কামনা। মসজিদ কমিটির সভাপতি রাশেদুজ্জামান চপল খান বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য বেদনার। কেননা আমরা আমাদের আত্মার আত্মীয়কে বিদায় দিচ্ছি। যিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর আমাদেরকে দ্বীনি শিক্ষায় আলোকিত করেছেন। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুন, ভালো রাখুন এটাই আমাদের কামনা।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৩

বিয়েতে কাঁদলেন আমির খান, ভিডিও ভাইরাল
বর-কনে বেশে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ইরা খান ও নূপুর শিখর। ইরার পরনে সাদা রঙের গাউন, নূপুর পরেছেন স্যুট-কোট। ক্রিশ্চিয়ান ঐহিত্য মেনে শপথ পাঠের পর বর-কনে পরস্পরের ঠোঁটে চুম্বন করেন। তারপর আংটি বদল করেন তারা। বিয়ের প্রতিটি অধ্যায় শেষ হওয়ার পর উপস্থিত অতিথিরা হাততালি দেন। এ সময় অতিথিদের সারিতে প্রাক্তন স্ত্রী রীনার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমির খান। মেয়ের বিয়ের দৃশ্য দেখতে দেখতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। একপর্যায়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ব্যক্তিগত জীবনে রীনা দত্তের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন আমির খান। এ সংসার আলো করে জন্ম নেয় কন্যা ইরা খান। কয়েক দিন আগে বাবার জিম ট্রেইনার নূপুর শিখরের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেন ইরা। বুধবার (১০ জানুয়ারি) ধর্মীয় রীতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই দম্পতি। রাজস্থানের উদয়পুরে বসেছিল তাদের বিয়ের আসর। এর আগে সংগীতশিল্পী মিশাল কিরপালানির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ইরা খান। প্রায় দুই বছর প্রেম করার পর ভেঙে যায় এই সম্পর্ক। এরপর বাবার জিম ট্রেইনার নূপুর শিখরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ইরা। ২০২০ সালে করোনা সংকটের কারণে ভারতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ সময় তার বাবা আমির খানের বাড়িতে ছিলেন ইরা খান। ওই সময়ে নূপুরের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয় ইরার। প্রথমে দোটানায় থাকলেও নূপুরের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হন ইরা। বুঝতে পারেন তিনিও নূপুরকে নিয়ে ভাবেন। ধীরে ধীরে তাদের প্রেমের সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয়; যা গতকাল পরিণয় পেয়েছে।               View this post on Instagram                       A post shared by Varinder Chawla (@varindertchawla)
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০২

ফেসবুক লাইভে কাঁদলেন আ.লীগ নেতা
দীর্ঘদিন এমপির সঙ্গে থেকেছি। নৌকার পক্ষে শপথ করিয়ে নেওয়ার পরেও কেন সে বিদ্রোহী ভোট করে আমার নিরীহ সাওয়ালকে (সন্তান) মেরেছে। নৌকার ভোট করার কারণে আমার মেয়েকে এভাবে মেরে অজ্ঞান করেছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের সমর্থকদের হামলায় গুরতর আহত (অচেতন) অবুঝ শিশুকন্যাকে অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় ফেসবুক লাইভে এসে বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বোন বেবি আক্তার ও তার সহযোগী শাফিনুর নাহারসহ কয়েকজন আমার বাড়ির পাশে এসে  শিশুটিকে মেরে শেষ করে ফেলেছে।  এমপি এনামুলের ১৫ বছর রাজনীতি করেছি। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বাইরে কাউকে না যেতে। তিনি আমাদের নৌকার বিপক্ষে না যাওয়ার জন্য শপথও করিয়েছেন। সঙ্গত কারণে আমরা নৌকার বাইরে যেতে পারিনি। তিনি নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করছেন। এই ক্ষোভে তিনি মহিলা সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার মেয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, মেয়ের ওপর হামলা হওয়ার পর হারিমকুৎসা থেকে মেয়েকে নিয়ে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। কিন্তু সেখানে অক্সিজেন লাগিয়ে মেয়েকে নিয়ে এখন রাজশাহী মেডিকেলে যাচ্ছি। আপনারা সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।  লাইভে এসে তিনি আরও বলেন, হায়রে এমপি এনামুল। আপনার জন্য কী করিনি। আপনি হাত জাগিয়ে শপথ করিয়েছেন যে, দলের থেকে যে নির্দেশ আসবে সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমাদেরকে কাজ করতে হবে। নৌকার বিজয় করে ঘরে ফিরতে হবে।  এই শপথ করিয়ে নিয়ে আপনি আজ কেন বিদ্রোহী? আজ কেনো আমরা মার খাচ্ছি? যেই শাফিনুর আপনার বিরুদ্ধে ঝাটা মিছিল করল, আপনি তাকে বুকে টেনে নিলেন। আর আপনার যারা পক্ষে ছিল তাদের ওপর এবং তার সন্তানদের ওপর হামলা করেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলব, বঙ্গবন্ধুর নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি, আর স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুলের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। জানতে চাইলে নৌকার রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগে এমপি এনামুল ভেবেছিল সে এবারও নৌকা প্রতীক পাবে। এজন্য তিনি ওই সময় দলীয় নেতাকর্মীদের শপথ পড়িয়েছিলেন যে, নৌকার বাইরে আপনারা কেউ যাবেন না। নেতাকর্মীরা হাত তুলে শপথ করেছিলেন। এখন যখন এনামুল নৌকা পায়নি তখন নেতাকর্মীরা স্বভাবতই নৌকার পক্ষে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এতে উনি খেপে গিয়ে নৌকার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বাগমারাকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক জানান, আমার কর্মী-সমর্থকরা কারও ওপর হামলা করছে এটি সত্য না। বরং একের পর এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপরই কালামের সমর্থকরা হামলা চালাচ্ছে।  
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়