• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় ১০ জেলে আটক
প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের গহীন অরণ্যে নদীতে কাঁকড়া ধরার অপরাধে মালামালসহ ১০ জেলেকে আটক করেছেন বনবিভাগের সদস্যরা।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে সুন্দরবনের নোটাবেকী অভয়ারণ্য এলাকা থেকে জেলেদের আটক করা হয়। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) এ কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটকৃতরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনকুড়ি গ্রামের আবু সাইদ, আজিকুল ইসলাম, মহসীন মোল্যা, আবুল কালাম, আরাফাত হোসেন, রিকাব আলী, মোজাফ্ফার মোড়ল, আবু হানিফ ও বিল্লাল হোসেন। পরে আটককৃত জেলেদের কাছ থেকে পরে বন আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। বনবিভাগের সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের গভীন অরণ্যে প্রজনন মৌসুমে কয়েকজন জেলে কাঁকড়া আহরণ করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ভোর ৬টার দিকে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) হাবিবুল ইসলামের নেতৃত্বে বনবিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনের নোটাবেকী অভয়ারণ্য এলাকার একটি নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ১০ জেলেকে আটক করা হয়। পরে জেলেদের ব্যবহৃত ২টি নৌকা ও ৪০০ কেজি মা কাঁকড়াসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত কাঁকড়াগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) এ কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী জানান, আটককৃত জেলেদের বন আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা 
প্রজনন মৌসুমের কারণে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জেলেদের কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমতিপত্র) বন্ধ রাখা হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরবনের পশ্চিম ও পূর্ব এই দুই বিভাগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল করিম জানান, প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া রক্ষা করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাস সুন্দরবনের নদী-খালে কাঁকড়া ডিম পাড়ে। এ সময়কালে কাঁকড়ার প্রজনন নির্বিঘ্ন রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া কাঁকড়ার যখন ডিম হয়, তখন কাঁকড়া ধরা খুবই সহজ হয়ে থাকে। কারণ এ সময়ে কাঁকড়া খুব ক্ষুধার্ত থাকে। এদের সামনে যে খাবার দেওয়া হয়, তাই খাওয়ার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসে। যদি এ সময় কাঁকড়া শিকার না করা হয়, তাহলে পরের বছর বেশি কাঁকড়া উৎপাদন সম্ভব। কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনে বনরক্ষীদের টহল জোরদার করা হয়েছে।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়