• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে স্ত্রীর আত্মহত্যা
সাতক্ষীরা স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ইরানী আফরোজ তানু (২৭) নামের এক বিউটি শিয়ান গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) শহরের কামালনগরের ভাড়া বাড়ির নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন তিনি। তিনি পলাশপোল সবুজবাগ এলাকার হান্নান গাজীর মেয়ে। জানা গেছে, গত মাসে কামালনগর দক্ষিণপাড়ার এই ভাড়া বাড়িতে ওঠেন ইরানী। সাতক্ষীরা শহরে তিনি একটি বিউটি পার্লার চালাতেন। বিভিন্ন বিষয়ে ওই দম্পত্তির সঙ্গে কলহ লেগেই থাকত। এদিন দুই সন্তানকে বাইরে রেখে এসে বাড়ি এসে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলা অবস্থায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ইরানী। এরপর স্থানীয়রা তা জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। সাতক্ষীরা সদর থানার তদন্ত (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।   
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৪২

মেছোবাঘ উদ্ধারে ৯৯৯-এ কল
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী থেকে মেছোবাঘ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এতে সহায়তা নেওয়া হয়েছে স্থানীয়দের। পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে একজন নারী জানান, তাদের বাড়ির পাশে একটি মেছোবাঘ দেখা গেছে। সেটি লোকজনের তাড়া খেয়ে গাছের ওপর উঠে বসে আছে। মেছোবাঘটিকে উদ্ধার করা না হলে লোকজন পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে— এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল অঞ্জন বড়ুয়া কলাতলী থানায় বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই সালাউদ্দীন কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।  প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে কলাতলী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মেছোবাঘটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে বন বিভাগের কাছে সেটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২২

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সিআরআইয়ের ‘দ্য ফিয়ারলেস কল : থ্রি’
দেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত হয়েছে ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক প্রদর্শনী ‘দ্য ফিয়ারলেস কল’। রোববার (১৭ মার্চ) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এই শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা। ‘দ্য ফিয়ারলেস কল থ্রি’- নামে ডিজিটাল শিল্পকর্মটিতে ছিলেন এক ঝাঁক তরুণ শিল্পী। তারা হলেন, একেএম সালেহ আহমেদ অনিক, আরাফাত করিম, সুবর্না মোর্শেদা, সাবিহা হক, অনন্যা মেহপার আজাদ, অন্তরা মেহরুখ আজাদ, সায়েদ ফিদা হোসাইন, রিশান শাহাব তীর্থ, আপন জোয়ার্দার, মিতালি রায়, সুহাস নাহিয়ান এবং শুভ্র দাস। এই শিল্পকর্মটির কিউরেটর ছিলেন এমদাদুল হক তপু। গবেষণা সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছেন জন্মজয় দে ও নভেরা কাজী। দ্য ফিয়ারলেস কলের এবারের আসরে অ্যা জার্নি টুওয়ার্ডস ওয়ার্ল্ড পিস, ইনোসেন্ট মিলিয়নস, দ্য ইন্ড অব ওয়ার, ডেড অ্যাস ফেমিন স্প্রেড, হোয়াট ইফ, লেটার টু ইউএন, অ্যা ফিল্ম বাই সহ আরও বেশ কিছু চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়। এই শিল্পকর্মগুলোর মাধ্যমে দ্বন্দ্ব-বিশৃঙ্খলা, গণহত্যা এবং দুর্ভিক্ষ, বর্ণবাদ এবং উদাসীনতা, অসমতা এবং পক্ষপাতের ভরা এই বিশ্বে  একটি ‘পিস পার্ক’ ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন শিল্পীরা। যেখানে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে পটভূমি হিসেবে দেখানো হয়েছে। জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বাংলায় দেওয়া সেই ভাষণে বিশ্ব শান্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা এখনও প্রাসঙ্গিক।  ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘের ভাষণে বঙ্গবন্ধু দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ ও সম্পদের সঠিক বণ্টন এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। ১৯৪৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর দর্শন এবং নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্ক এবং তার রাজনৈতিক ভ্রমণ এই পার্কের পটভূমি হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়। প্রদর্শনীতে আসা এক বিদেশি চিত্রশিল্পী বলেন, আমি এখানে আছি ৪ সপ্তাহ ধরে। আমি জলরং নিয়ে এখানে কাজ করেছি। আমি কোপেনহেগেন থেকে এসেছি। আমি প্রদর্শনীতে যেতে পছন্দ করি। এটা খুব মজার কারণ একদল তরুণ তাদের জাতির পিতার ১৯৭৪ সালের ভাষণের ওপর ছবিগুলো এঁকেছে। আমি আপনাদের মাতৃভাষার বর্ণগুলাও পছন্দ করি। এটা আমার কাছে মনে হয় একটি চিত্রকর্ম। আরেক বিদেশি বলেন, এটা খুব ভালোভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। ইতিহাসকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।   প্রদর্শনীতে বিভিন্ন টাইপোগ্রাফি ও ছবির বুননে জাতির পিতার জীবন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। ২৩ বছরের ঔপনিবেশিক পরাধীনতা থেকে রক্তপাতের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর জীবনে রাজনৈতিক বাঁকের নানা দিকে তার সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কথা উঠে আসে শিল্পকর্মটিতে।  ২০১৫ সাল থেকে ৭ মার্চের ভাষণের দিনে জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন করতো ইয়াং বাংলা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে মধ্যে দুই বছর সেটি বন্ধ থাকে। এরপর গত বছর ও এ বছর আবারও আয়োজিত হয়েছে জয় বাংলা কনসার্ট। প্রথমবারের মত জয় বাংলা কনসার্টটি ঢাকার বাইরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান তরুণদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও গর্ব করার মতো ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত করতে জয় বাংলা কনসার্টের মতোই ইয়াং বাংলার বিকল্প এক আয়োজন এই শিল্পকর্ম প্রদর্শন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়