• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিয়ে না করেও ৩ সন্তানের মা মিমি চক্রবর্তী
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। অভিনয়ের পাশাপাশি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠেও। শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার নতুন সিনেমা ‘আলাপ’। তার সময়ের অনেকেই বিয়ে করে সংসারী হলেও তিনি এখনও সিঙ্গেলই রয়ে গেছেন। তবে বিয়ে না করলেও ৩ সন্তানের মা মিমি। সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন মিমি। টালিউডের অন্যতম মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর বলা হয় তাকে। অভিনয় থেকে তার রূপ, স্টাইল বহু ভক্তের মন কাড়লেও তিনি এখনও কারও মনের রানি হতে পারেননি। ব্যক্তিগত জীবনে এখনও সিঙ্গেল মিমি। কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি? এমন প্রশ্ন রীতিমতো বাসা বেঁধেছে তার ভক্তদের মনে। এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার খবর দেওয়ার আগেই জানালেন তিন সন্তানের মা এই অভিনেত্রী।  এ প্রসঙ্গে মিমি বলেন, আমি তো সংসার করছি। সবাই বিয়ে বা প্রেমকে তো সংসার বলে সেটা তো আমার আছে। আমার বাবা-মায়ের দায়িত্ব আছে, তিনটি সন্তান আছে। আর কী চাই? আমি ভালোই আছি। তবে যদি পরে কখনো কোনো সম্পর্কে যাই জানাব।  প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মে মাসেই মুক্তি পাচ্ছে মিমি অভিনীত সিনেমা ‘আলাপ’। সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকি। সিনেমায় তার বিপরীতে রয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— স্বস্তিকা দত্ত, কিঞ্জল নন্দ। সূত্র : এবিপি আনন্দ   
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৪

ড্র করেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে রিয়াল মাদ্রিদ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে লাইপজিগে ১-০ গোলে ব্যবধারে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে কোনো রকম ড্র করেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ঘরের সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে প্রায় পুরোটা সময়ই ভুগেছে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটি। পুরো ম্যাচে ১১টি শট নিয়ে মাত্র তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে রিয়াল। যেখানে লাইপজিগ নেয় ২০ শট, লক্ষ্যে ছিল চারটি। ঘরের মাঠে শুরুটা ভালো হয়নি রিয়ালের। অপরদিকে লাইপজিগ ছিল ছন্দে। বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে তারা। তবে ৪১তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত দলটি। জাভি সিমন্সের বুলেট গতির শট ঠেকিয়ে দেন আন্দ্রে লুনিন।   বিরতির পরও আগের মতো খেলতে থাকে দুই দল। গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬৫ মিনিট পর্যন্ত। জুডে বেলিংহ্যামের বাড়ানো বল বক্স থেকে জালে পাঠিয়ে রিয়ালকে এগিয়ে নেন ভিনিসিয়ুস। যদিও সমতায় ফিরতে খুব বেশি দেরি করেনি লাইপজিগ। তিন মিনিট পর সতীর্থের ক্রসে দারুণ হেডে ম্যাচের স্কোরলাইন ১-১ করেন লাইপজিগ ডিফেন্ডার অরবান। সমতায় ফেরার পর আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয় লাইপজিগ। যদিও শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে থেকে শেষ আট নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪১

২২ বিয়ে করেও দুঃখ কাটেনি ভিক্ষুক নূরুল ইসলামের!
কাগজ ও পলিথিন দিয়ে তৈরি অনেকটা পাখির বাসার মতো জরাজীর্ণ এক কুঁড়ে ঘরে বসবাস ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভিক্ষুক মো. নূরুল ইসলামের। উপজেলার ভাইকান্দি গ্রামের বেরাক পুর এলাকায় তার বাড়ি। ভিক্ষা করেই চলে তার দুঃখ গাঁথা জীবনের জীবিকা। তবে তার ৭০ বছরের দীর্ঘ জীবনে দুঃখ ঘুচিয়ে সংসারী হতে চেষ্টা করেছেন বার বার। এজন্য তিনি একে একে বিয়ে করেছেন ২২টি। কিন্তু কোনো স্ত্রীই তার সংসারে টিকেনি বেশি দিন। এনিয়ে এলাকাবাসীসহ উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও ভিক্ষুক নূরুল ইসলামের মনের দুঃখ ঘুছেনি আজও। এনিয়ে প্রায়ই মনোকষ্টে বিরহের গান গেয়ে আপন মনে পথ চলতে দেখা যায় তাকে।   বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভিক্ষুক নূরুল ইসলাম শুয়ে আছেন নিজগৃহে বাঁশের তৈরি জরাজীর্ণ এক মাচার বিছানায়। কিন্তু তার এ ঘরটি এতটাই নিচু যে ওই ঘরে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ফলে নুইয়ে থেকেই ওই ঘরে প্রবেশ ও বাহির হতে হয়। তার ঘরের চারপাশে পুটলায় ঝুলে থাকতে দেখা গেছে সারিসারি প্লাস্টিকের বস্তা ও ব্যাগ। এতে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে নূরুল ইসলামের প্রয়োজনীয় নানা জিনিসপত্র।     কেমন আছেন? জানতে চাইলে নূরুল ইসলাম বলেন, ভালো না, জীবনে দুঃখ নিয়েই আছি। সুখ পাইলাম না। একটা ঘরের জন্য আমার সব বউ পালাইয়া গেছে গা। শুনছি কত মানুষ সরকারি ঘর পায় কিন্তু আমারে কেউ একটা ঘর দিল না।  এ সময় তার ২২ বিয়ের গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট বেলায় মানুষের বাড়িতে কাম (কাজ) করতাম। তহন আটা আনা, চার আনা ময়না দিত আর কালাই ভাজা খাওয়াইত। তহন আমার এক ফুফু বলে নূর ইসলাম তর কাছে আমার পাগলি বিয়া দেহালাই (দিয়ে দেই)। তখন আমি বিয়ে করে ঘর জামাই হই। তার নাম ছিল হাজেরা খাতুন। কিন্তু বিয়ের ২/৩ বছর পর বউ খালি ঝগড়া করে, এরপর আমি রাগ করে হেরে থইয়া (রেখে) আয়া পড়ছি। এরপর ভালা ও পাগলি মিলাইয়া ৭/৮ বিয়ে করি। কয়েক মাস থাইক্কা থাইক্কা সবাই চলে গেলে আমার প্রথম বউ আবার আমার ঘরে আসে। এরপর আমার চারটি সন্তান হয়। এর মধ্যে তিনটা সন্তান মারা গেছে। এহন একটি মেয়ে আছে। তার নাম শ্যামলা খাতুন, বিয়ে দিয়ে দিছি।     এরপর প্রথম বউ হাজেরা মারা গেলে অনেক পাগলি ধরে এনে বিয়ে করতে করতে ২২টি বিয়া করেছি। কিন্তু আমার ভাঙা ঘরে কেউ টিকলো না। এদের অনেককে শিকল ও দড়ি দিয়ে বাইন্ধা (বেঁধে) সঙ্গে সঙ্গে রাখছি। পরে সুযোগ পাইয়া সবাই পালাইয়া গেছে, বলতে বলতে আপন মনে গানে সুর ধরেন তিনি। সুরে সুরে বলেতে থাকেন- হতভাগা হইয়া আমি, থাকি আমি এই সংসারে।     জানা যায়, নূরুল ইসলামের বিয়ে করতে কোনো কাবিন লাগে না। মুন্সি দিয়ে তিনবার কবুল বলেই তিনি বিয়ে করেছেন একে একে ২২টি। স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন জানান, নূরুল ইসলামের প্রথম বউ মারা যাবার পর বিয়ে করা বেশির ভাগ বউ তার পাগলি ছিল। এরা কেউ বেশি দিন তার সংসারে থাকেননি।   নূরুল ইসলামের প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলী বলেন, ভালো-মন্দ মিলিয়ে নূরুল ইসলাম বিয়ে করছে ২২টি। কিন্তু তার কোনো ঘর নাই। তিনি খুব কষ্ট করে ভাঙা ঘরে থাকেন। তার একটি ঘর হলে ভালো হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। খোঁজখবর নিয়ে তার (নূরুল ইসলাম) জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৬

দুবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ অপু বিশ্বাস
ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘বিউটি কুইন’ খ্যাত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। এক দশকের বেশি সময়ে প্রায় ১০০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমা। রাজনৈতিক মাঠেও সরব হয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতেও দেখা গেছে তাকে। এবার জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বগুড়া ৬ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত হতাশ এই নায়িকা।  সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা আগেই প্রকাশ করেছিলেন অপু। সে সময় বলেছিলেন, আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলাম। এবারও মনোনয়ন কিনতে চাই। মনোনয়ন পেলে নারীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। সবাই জানেন, আমি মনে-প্রাণে আওয়ামী লীগ ধারণ করি। সে কারণেই সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন চাই। আমার বিশ্বাস, এই দায়িত্ব পালন করার মতো যোগ্যতা আমার আছে। এর আগে ২০১৯ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন অপু বিশ্বাস। কিন্তু সেবারও তার ভাগ্য সহায় হয়নি। এদিকে, অপু বিশ্বাসের পাশাপাশি মনোনয়ন কেনার দৌড়ে ছিলেন নিপুণ আক্তার, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, তানভিন সুইটি, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, শাহনূর, শামিমা তুষ্টি, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও নায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী বলেও জানিয়েছিলেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চূড়ান্ত হওয়া ৪৮ জন নারীর নাম ঘোষণা করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। তবে মনোনীত তালিকায় অভিনেত্রীদের কারও নাম নেই। একজনও এই আসনে মনোনয়ন পাননি। তবে শোবিজ থেকে অভিনেত্রী তারানা হালিম পেয়েছেন। এর আগে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৫৪৯ জনের সঙ্গে বৈঠক করেন। রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক, কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), জারা জেবিন মাহবুব (চাপাইনবাবগঞ্জ), রুনু রেজা (খুলনা), ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ফারজানা সুমি (বরগুনা), খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী) ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ), নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা), মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, আরমা দত্ত (কুমিল্লা), লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), শবনম জাহান (ঢাকা), পারুল আক্তার (ঢাকা), সাবেরা বেগম (ঢাকা), শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা), ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর), ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী, সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা), অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী) তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক, মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর) নির্বাচনের পরাজিত হয়েছিলেন, অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল) হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), রুমা চক্রবর্তী (সিলেট), ফরিদুন্নাহার লাইলী( লক্ষ্মীপুর) আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক, আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর), কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ফরিদা খানম (নোয়াখালী), দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক, ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), সানজিদা খানম (ঢাকা) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন, নাছিমা জামান ববি (রংপুর)। কানন আরা বেগমের নামটা স্বতন্ত্র থেকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের থেকে বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি গণতন্ত্রী পার্টির।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২২

ড্র করেও ফাইনালে লিভারপুল
ফুলহ্যামের সঙ্গে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ১-১ গোল ব্যবধানে ড্র করেও লিগ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। আগামী মাসে ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চেলসি।  এর আগে,  প্রথম লেগে ২-১ গোলে জয়ী হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। সেই সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ফুলহ্যামের বিদায় নিশ্চিত করেছে অল-রেডসরা। ক্রাভন কটেজে রুইস দিয়াজের গোলে ম্যাচের ১১তম মিনিটেই লিড নিয়েছিল সফরকারীরা। এই গোলের পরই সহজ জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল জার্গেন ক্লপের দল। কিন্তু বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করে তারা। এরপর ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে গোল করে ফুলহ্যামকে সমতা ফেরান ইসা ডিওপে। ম্যাচের শেষদিকে বেশ চাপ সৃষ্টি করলেও শেষ পর্যন্ত অবশ্য আর পেরে ওঠেনি ফুলহ্যাম।  আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ওয়েম্বলিতে চেলসির মোকাবিলার ম্যাচটি হবে অল-রেডসের ১৪তম লিগ কাপের ফাইনাল। ২০২২ সালের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। লিভারপুল রেকর্ড ৯ বারের মতো লিগ কাপে শিরোপা জিতেছে। অন্যদিকে সেমিফাইনালে চেলসি মিডলসব্রোকে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ ব্যবধানে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে। ২০১৫ সালে সর্বশেষ শিরোপা জয়ী চেলসি পাঁচবার লিগ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৯

হালখাতা করেও ধারের অর্ধেক টাকা তুলতে পারলেন না শিক্ষক
অনুষ্ঠিত হলো বহুল আলোচিত বন্ধুদের ধার দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আয়োজন করা হয় হালখাতা। তবে দিন শেষে ধার দেওয়ার অর্ধেক টাকা উত্তোলন করা হলো না সেই শিক্ষকের। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় এমএএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়াল তার বন্ধুদের দেওয়া ধারের টাকা সময় মতো তুলতে না পেরে হালখাতার আয়োজন করেন। এই হালখাতার আয়োজনের দিন তারিখ ঠিক করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেনাদারদের চিঠি দেন। সেই চিঠিতে দেওয়া নির্ধারিত দিন ১২ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হালখাতার আয়োজনে কোনো প্রকার কমতি ছিল না। আন্ধারীঝাড় বাজারের সিঙ্গাড়া হটস্পট নামের একটি দোকানে আয়োজন করা হয় এই হালখাতা। এ হালখাতা উপলক্ষে রঙ্গিন কাগজ দিয়ে সাজানো হয় দোকানটি। পাতা হয় চেয়ার টেবিল। ক্যাশ বাক্সের সামনে সাঁটানো হয় শুভ হালখাতার ব্যানার। ধারের টাকা পরিশোধে আসা ব্যক্তিদের আপ্যায়ন করা হয় মাংস বিরিয়ানি দিয়ে। প্রতিজনকে দেওয়া হয় প্যাকেট আকারে। কেউ খেয়ে গেছেন আবার কেউ নিয়ে গেছেন। টাকা পরিশোধের পর খাতা থেকে নাম কাটা গেছে তাদের। এই হালখাতায় আমন্ত্রিত ছিলেন শিক্ষক আব্দুল আউয়ালের বন্ধু-বান্ধব যারা তার নিকট থেকে ধার গ্রহণ করে ছিলেন। এছাড়া এ হালখাতা দেখতে উপস্থিত ছিলেন উৎসুক জনতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। হালখাতায় টাকা পরিশোধ করতে আসা সোলাইমান ইসলাম জানান, বেশ কিছুদিন আগে শিক্ষক আউয়ালের কাছে ৩ হাজার টাকা হাওলাত নিয়ে ছিলেন। হালখাতার চিঠি পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হলেও আজ হাল খাতা করলাম। বিরিয়ানি খেয়ে দেয়ে ধারের টাকা পরিশোধ করেছি। জব্বার মিয়া জানান, সাড়ে ৬ হাজার টাকা ধারে নিয়ে ছিলাম কয়েক মাস আগে মেয়ের স্কুলে ভর্তির জন্য। আজ হালখাতায় পরিশোধ করলাম। বিষয়টা ভালো লেগেছে। এতে ঋণ মুক্ত হলাম। একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আনোয়ারুল হক জানান, আউয়াল মাস্টারের মন অনেক বড়। তিনি বন্ধু বান্ধবদের টাকা ধার দিয়ে আনন্দ পান। সেই টাকা তোলার জন্য আজ হালখাতার আয়োজন করেছেন। বিষয়টি নেগেটিভলি না নিয়ে পজিটিভলি নেওয়া দরকার। কারণ ধার নিয়ে মানুষ এখন দিতে চায় না। সেটা তোলার জন্য এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করায় তাকে ধন্যবাদ। শিক্ষক আউয়াল জানান, দীর্ঘদিন যাবত ধার দেওয়া টাকা তোলার জন্য তিনি হালখাতার আয়োজন করেছেন। হালখাতার চিঠি পেয়েই অনেকে সঙ্গে সঙ্গেই টাকা পরিশোধ করেছেন। শুক্রবার হাল খাতার দিন অনেকে টাকা পরিশোধ করেছেন। আবার অনেকে আসেনি। তিনি আরও জানান, ৩৯ জনকে চিঠি দিয়েছিলাম। এদের মধ্যে ১৯ জন এসেছেন। মোট দেড় লাখ টাকা উঠেছে। এখনো দুই লাখের মতো টাকা উঠাতে পারি নাই। আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মণ্ডল হালখাতার আয়োজন দেখতে এসে জানান, ধার বা হাওলাত সমাজের একটি চিরাচরিত নিয়ম। মানুষ যতদিন থাকবে ততদিন এই পন্থা থাকবে। তবে হাওলাত নেওয়া টাকা ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আজকে হাওলাতের টাকা তুলতে হালখাতা করতে হচ্ছে। এটা বাংলাদেশে এর আগে হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি অবাক করার মতো। ডিজিটাল সময়ে ডিজিটাল বিষয়। তবে হাওলাতের টাকা সময় মতো ফেরত দেওয়া উচিৎ।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়