• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
প্রবাসী আয়ে কর আরোপের পরামর্শ আইএমএফের
সরকারকে প্রবাসী আয়ের ওপর কর আরোপের পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।  ঢাকা সফরে আসা আইএমএফের মিশন বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে ‘ইনকাম ট্যাক্স এক্সপেনডিচার’ শীর্ষক তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র। একইভাবে সরকারের বিভিন্ন ধরনের বন্ড, এমনকি শেয়ারবাজার থেকে আয়ের ওপর দেওয়া করছাড়ও বাতিল করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। প্রসঙ্গত, দেশে রিজার্ভ সংকটের এই সময়ে রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগের অংশ হিসেবে বর্তমানে রেমিট্যান্সের ওপর পুরোপুরি কর অব্যাহতি রয়েছে। তাছাড়া প্রবাসী আয়ের ওপর ২.৫৮ শতাংশ নগদ প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ব্যক্তি খাতের করদাতারা বর্তমানে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসাসহ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা মোট বেতনের এক-তৃতীয়াংশ কর অব্যাহতি পান। এই সুবিধাও বাতিল করার সুপারিশ করেছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। এছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ভাতার ক্ষেত্রেও কর অব্যাহতি বাতিলের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।  এনবিআরের কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, আইএমএফ চাইলেই রাতারাতি এসব সুবিধা তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না। এর সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি জড়িত। তাই দেশের বাস্তবতার আলোকেই সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:০০

ড. ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর দিতেই হবে
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১১ সাল‌ থেকে টানা ৫ বছরে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টের আয়কর বাবদ এই অর্থ পরিশোধ করতেই হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। কর ফাঁকিসংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দিয়েছিল। বিবৃতিতে তারা কর বকেয়ার বিষয় স্পষ্ট করে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছিল। ইউনূস সেন্টার বলছে, প্রফেসর ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের অর্জিত টাকা। বিবৃতিতে বলা হয়, তার (ড. ইউনূস) উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রিলব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ, সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে। এতে আরও বলা হয়েছে, তিনি জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি বা শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ২টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করেছেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:৪৮

কর নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে হবে  
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, কর ও ভ্যাট কোনো বোঝা নয়।এটি দেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হওয়ার মাধ্যম। কর ও ভ্যাট শব্দটি দীর্ঘদিন জনমনে যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে, তা দূর করতে হবে।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাজেট শীর্ষক এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আমদানি নির্ভরতা, সিজন পরিবর্তন ও সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও করের বোঝাটাই সবার কাছে মাথা ব্যথার কারণ, সবাইকে এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, কর ও ভ্যাট শব্দটি দীর্ঘদিন জনমনে যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে, তা দূর করতে হবে। জনগণের কর ও ভ্যাটের টাকায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। কর দেওয়ার অর্থ হলো দেশের উন্নয়নের অংশীদার হওয়া। দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে নিতে কর প্রদানের ক্ষেত্রে সবার দায়িত্বশীলতা ও ইতিবাচক মানসিকতা ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, বিগত চার বছরে ২১ লাখ থেকে ৩৬ লাখে করদাতা এবং ২ লাখ থেকে ৫ লাখে ভ্যাটদাতা উন্নীতকরণ করা হয়েছে। ধীরে ধীরে কর নেট ও ভ্যাটের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। আয়কর ও ভ্যাট প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। আলোচনা সভায় আগামী বাজেটে সহজ ও ব্যবসাবান্ধব আয়কর ব্যবস্থা, আয়কর ও ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি, কর ব্যবস্থার সম্পূর্ণ অটোমেশন, স্থানীয় শিল্পায়ন উৎসাহিতকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দাবি জানানো হয়।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুর চেম্বারের সভাপতি মো. আকবর আলী।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীতি) মো. মাসুদ সাদিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর চেম্বারের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী,  রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, নীলফামারী চেম্বারের সভাপতি এস এম শফিকুল আলম ডাবলু,লালমনিরহাট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি মোড়ল হুমায়ূন কবীর, কুড়িগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহমুদ নবী মুন্না, রংপুর উইমেন চেম্বারের সভাপতি আনোয়ারা ফেরদৌসি পলি, রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম, গাইবান্ধা চেম্বারের সহসভাপতি আব্দুর রশীদ, সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু ও রংপুর জেলা বিড়ি মালিক সমিতির কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল, ব্যবসায়ী রশিদুস সুলতান বাবলু প্রমুখ।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০

ফ্ল্যাট কেনায় প্রভাবশালীদের ভয়াবহ কর ফাঁকি
রাজধানীর ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট কেনায় ভয়াবহ কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। তালিকায় রয়েছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবী ও খেলোয়াড়। তাদের কারণে সরকার অর্ধশত কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। সম্প্রতি অনুসন্ধানে সিআইসি দেখতে পায়, ঢাকার অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি, গুলশান, বারিধারা ও বনানীতে জমি, ফ্ল্যাট বা ফ্লোর স্পেসের মূল্য আকাশছোঁয়া হলেও ডেভেলপার কোম্পানি ও ক্রেতা যোগসাজশ করে কম দাম দেখাচ্ছেন। বেশ কয়েকজন পেশাজীবী, ব্যবসায়ী শ্রেণির করদাতার বাণিজ্যিক ও আবাসিক স্পেস ক্রয়ে অর্ধশত কোটি টাকার কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। উত্তর গুলশানে দক্ষিণমুখী লেকের পাড়ে অবস্থিত একটি বহুতল ভবনে একজন চিকিৎসক ফ্ল্যাট কেনেন। ডাক্তারি পেশা থেকে অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধ করার জন্য ৪ হাজার ৩৭৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ১৩ কোটি টাকায় কিনলেও সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যে রেজিস্ট্রেশন নেন। বাকি সাড়ে ৮ কোটি টাকার সম্পদ খুব সহজেই বৈধ করে নিয়েছেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন ক্রিকেটার আবাসিক ভবনটিতে ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ফ্ল্যাট ক্রয় করলেও তিনি তা আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি। আবার একটি সিকিউরিটিজ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৯ হাজার ৭০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ৪৯ কোটি টাকায় কিনলেও ১০ কোটি টাকায় রেজিস্ট্রেশন নিয়েছেন। এতে ওই ব্যক্তি ৩৯ কোটি টাকার সম্পদের উৎসের ওপর কর ফাঁকি দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ফ্ল্যাট ক্রয়ে প্রায় ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করলেও এখনো আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি। অন্যদিকে একজন ব্যবসায়ী গুলশান ৫০ নম্বর রোডের বহুতল ভবনে প্রায় ২৮ কোটি টাকার স্পেস ক্রয় করলেও আয়কর রিটার্নে তা প্রদর্শন করেননি। অন্যদিকে বনানী-তেজগাঁও লিংক রোডের একটি বাণিজ্যিক ভবনে একটি সিকিউরিটিজ কোম্পানি স্পেস ক্রয়ে ৭৩ কোটি টাকা পরিশোধ করলেও অডিট রিপোর্টে প্রদর্শন করেছেন মাত্র ৫৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে পুরো বিনিয়োগের প্রায় ৭২ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়ে বৈধ করা হয়েছে। একই ভবনে আরেকটি কোম্পানি স্পেস কেনার ক্ষেত্রে খরচ করেছে ১৩ কোটি টাকা; কিন্তু অডিট রিপোর্টে তা প্রদর্শন করেনি। এমন রাজস্ব ফাঁকির আরও ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক তদন্তসংশ্লিষ্ট সিআইসির এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে যেসব ব্যক্তি ও কোম্পানি করদাতার আয়কর নথিতে তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের তলব করে বিনিয়োগের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। এ ছাড়া গুলশান, বনানী এলাকায় কর ফাঁকির আরও বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো পর্যালোচনা করতে একটি টিম কাজ করছে। এদিকে কালোটাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সহজ পথে পরিণত হয়েছে আবাসন খাত। এর কারণ হলো- স্বাভাবিক নিয়মে যেখানে একজন করদাতাকে নির্ধারিত করের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে টাকা বৈধ করতে হয়, সেখানে আবাসন খাতে ‘বিশেষ’ ব্যবস্থা রাখায় ২-৪ শতাংশ জরিমানা দিয়েই টাকা বৈধ করা যাচ্ছে। একটি গোষ্ঠী সেই সুযোগটাই নিয়ে তাদের কালো টাকা সাদা করছেন। এর ফলে সরকার অনেক কম কর আদায় করতে পারছেন। এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, এ ধরনের প্রভিশন চিরস্থায়ী ভিত্তিতে রাখা ঠিক নয়। অর্থনীতির প্রয়োজনে সাময়িকভাবে এ ধরনের সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলেও আবাসন খাত থেকে বেশি রাজস্ব আসছে না। তাই এ বিধান রাখার যৌক্তিকতা নেই। এতে সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হন এবং অপ্রদর্শিত অর্থ উপার্জনের বা অর্থ লুকানোর প্রবণতা তৈরি হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৮

বিক্ষোভের মুখে পাকিস্তানের বালতিস্তানে কর আদায় স্থগিত
পাকিস্তানে অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তান কর্তৃপক্ষ ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে কর আদায় স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো। এরপরই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি তিন সপ্তাহের জন্য অবস্থান ধর্মঘট স্থগিত করলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে বা বিলম্বের কৌশল অবলম্বন করা হলে তারা আবার বিক্ষোভ শুরু করবে। ফতুল্লাহ খান, বিশেষ সহকারী হুসেন শাহ ও নাসির জামানি এবং আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত সরকারি প্রতিনিধি দল দীর্ঘ আলোচনা করেছে। তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে যা অনুসারে গিলগিট বালতিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবিগুলি সম্বোধন করা হয়েছে। বর্তমানে অর্থ আইন ২০২৩ এর অধীনে কর আদায় করা হচ্ছে, যা মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ অনুসারে স্থগিত করা হয়েছে। এই আইনের সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত কোনও কর প্রযোজ্য হবে না। বৈঠকের পর গিলগিট বালতিস্তান সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে সমস্যার সমাধান করবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনাকারী কমিটির সদস্য গোলাম আব্বাস বলেন, কর স্থগিতের প্রজ্ঞাপনের পর ২১ দিনের জন্য অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে বা বিলম্বের কৌশল অবলম্বন করা হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নেমে আসবে। তারা আশাবাদী যে, সরকার কাজ করবে এবং চুক্তি মেনে চলবে। পাবলিক অ্যাকশন কমিটির পক্ষ থেকে এহসান আলী এডভোকেট অবস্থান ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীদের নিয়মিত অবহিত করবেন এবং জনগণকে তাদের বার্তা দেবেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৫

কর কমিশনারের কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ
জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কর কমিশনারের (আপীল) কার্যালয়, কর আপীল অঞ্চল-৪ ঢাকা। প্রতিষ্ঠানটি পৃথক দুই পদে মোট চারজনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনের আবেদন করতে পারবেন। যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: কর কমিশনারের (আপীল) কার্যালয়, কর আপীল অঞ্চল-৪ ঢাকা চাকরির ধরন: স্থায়ী প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ কর্মস্থল: ঢাকা বয়স: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩২ বছর। আবেদন ফি: টেলিটক প্রি-পেইড সিমের মাধ্যমে ১নং পদের জন্য ২২৩ টাকা, ২নং পদের জন্য ১১২ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে। আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহীরা tax4.teletalk.com.bd এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সময়সীমা: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩২

বিয়ে করলেই কর দিতে হবে নগর কর্তৃপক্ষকে (ভিডিও)
এবার বিয়ে করলেই কর দিতে হবে নগর কর্তৃপক্ষকে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এ ব্যবস্থা চালু করেছে। সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, বিয়ে ব্যবস্থা শৃঙ্খলার আওতায় আনতে ৭৫টি ওয়ার্ডেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম বিয়েতে দিতে হবে ১০০ টাকা। এরপর প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় তার অনুমতি সাপেক্ষে দ্বিতীয় বিয়েতে পাঁচ হাজার, প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় অনুমতি সাপেক্ষে তৃতীয় বিয়েতে ২০ হাজার এবং একইভাবে চতুর্থ বিয়েতে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। আর স্ত্রী যদি মানসিক ভারসাম্যহীন বা বন্ধ্যা হয় সেক্ষেত্রে পরবর্তী বিয়ের জন্য দিতে হবে ২০০ টাকা। আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ অনুযায়ী এ কর আদায় হবে। এক্ষেত্রে কনে পক্ষের কোনো টেনশন নেই। কারণ টাকা গুণতে হবে পাত্র পক্ষকে। আগে থেকেই এমন আইন থাকলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে এই প্রথম। ধারাবাহিকভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে এ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রথমে ম্যানুয়ালি টাকা আদায় করা হলেও পরবর্তীতে অনলাইনে পরিশোধের ব্যবস্থা থাকবে।  শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে বিয়েতে অতিথি নিয়ন্ত্রণ কর আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪১

পারিশ্রমিকের দশ লাখ টাকা ফান্ডে দিলেন তারা
ছোটপর্দার শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ। ছোটপর্দার শিল্পীদের জন্য এই সংগঠনটি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন সময় প্রমাণ মিলেছে। এবার ফের বিষয়টি বলার মতো ঘটনা ঘটল। নিজেদের পারিশ্রমিক ১০ লাখ টাকা সংঘের ফান্ডে প্রদান করলেন সংগঠনটির চার নেতা।  তারা হলেন- অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু খাদেম এবং আইন ও কল্যাণ সম্পাদক উর্মিলা শ্রাবন্তী কর।  একটি জাতীয় ইভেন্ট থেকে পারিশ্রমিক হিসেবে ওই অর্থ পেয়েছিলেন তারা। প্রত্যেকে তাদের আড়াই লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক ফান্ডে জমা করেছেন। অভিনয়শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়। এ প্রসঙ্গের সভাপতি নাসিম বলেন, আমরা ফান্ড গঠন করার লক্ষ্যে এটা করেছি। সামনে অনেক পরিকল্পনা আছে। এগুলো বাস্তবায়ন করব।  অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে সাজু খাদেম বলেন, আমাদের শিল্পীদের কল্যাণ ও সার্বিক সহযোগিতার জন্যই এই ফান্ড করা। আমাদের অ্যাক্টরস ইকুইটির ফান্ড যেন আরও সমৃদ্ধ হয়, সে কারণেই ফান্ডে টাকাটা জমা করা। আমরা চাই আমাদের ফান্ড সমৃদ্ধ থাকুক।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫১

মৃত্যুর তিন বছর পর কর ফাঁকির মামলায় মুক্তি পেলেন ম্যারাডোনা
ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর কেটে গেছে তিন বছরেরও বেশি সময়। তবে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চলা কর ফাঁকির মামলা থেকে মুক্তি পেলেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। ইতালির সুপ্রিম কোর্ট ম্যারাডোনাকে কর-ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। কর ফাঁকির অভিযোগ করা মামলা শেষ পর্যন্ত আদালত জানান , ম্যারাডোনা নির্দোষ ছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনে নেপলসে থাকাকালে কখনোই কর ফাঁকি দেননি তিনি। রায়ের পর তার আইনজীবী অ্যাঞ্জেলো পিসানি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এটা শেষ হলো। আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, ম্যারাডোনা কখনোই কর ফাঁকি দেননি। সর্বকালের সেরা ফুটবলার খ্যাত ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি লিখটেনস্টাইনের প্রক্সি কোম্পানি ব্যবহার করে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তখনকার ক্লাব নাপোলি থেকে পাওয়া ইমেজ স্বত্বের কর ফাঁকি দিয়েছিলেন। ৩০ বছর ইতালিয়ান রাজস্ব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মামলা চলার পর নির্দোষ প্রমাণ হলেন ম্যারাডোনা। ১৯৯৩ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত টানা চলতে থাকে বিচারিক কার্যক্রম। যদিও শেষ পর্যন্ত এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অবশ্য ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি অভিযোগে তদন্ত শুরু হয় ১৯৯০ সালে। মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগও পরবর্তীকালে সামনে আনা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় ইতালি সফরকালে ম্যারাডোনার বেশ কিছু সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা থেকে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে যোগ দেন ম্যারাডোনা। তার হাত ধরে পুরোপুরি বদলে যায় ক্লাবটি। ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০ সালে নাপোলিকে লিগ শিরোপা এবং ১৯৮৮-৮৯ সালে উয়েফা কাপ জেতান এই কিংবদন্তি ফুটবলার। ম্যারাডোনার এ অবদান এখনো শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন নেপলসের আধিবাসীরা। ভালোবেসে অনেকে তাকে ‘নেপলসের রাজা’ বলেও ডাকেন।   
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়