• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তাপ কমাতে দৈনিক ৪ লাখ লিটার পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ। গরম বাতাসে শরীরে যেন আগুন ধরে যাবে। এই অবস্থায় সড়কের উত্তাপ কমাতে এবং বায়ু দূষণ রোধে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করা সম্ভব হয়। উত্তর সিটির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় চার লাখ লিটার পানি ছিটানো হয়। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশে ছুটির দিনগুলোতেও পানি ছিটানো অব্যাহত থাকছে। পাশাপাশি ডিএনসিসির স্প্রে ক্যানন দিয়ে বিভিন্ন সড়কে পানি ছিটানোর কাজ চলছে। এটি বায়ু দূষণ রোধের পাশাপাশি উত্তাপ কমাতেও ভূমিকা রাখছে। জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডিএনসিসির অধীন বিভিন্ন সড়কে এসব বিশেষ যানের মাধ্যমে পানি ছিটানো হচ্ছে। গত দুই দিনে দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে মিরপুর টেকনিক্যাল থেকে পানি ছিটানোর কাজ শুরু করা হয়। পরে মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বর, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর, মিরপুর-১৪ নম্বর গোল চত্বর হয়ে আবার টেকনিক্যাল মোড়ে পানি ছিটানো হয়।  এছাড়া, বনানী নেভি গেট থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে ক্যানন-১ এয়ারপোর্ট রোড ও উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ শেষ করে। অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড বা মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে। আজও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এই কার্যক্রম ‍পরিচালিত হচ্ছে  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০২

অগ্নিঝুঁকি কমাতে ডিএনসিসির কড়া নির্দেশনা
অগ্নিঝুঁকি কমাতে আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এতে কার্যালয়ে রক্ষিত নথিপত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রের নিরাপত্তার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন উল হাসান স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, যত্রতত্র ফাইল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখা যাবে না। নিরাপদ স্থানে নথি ও কাগজপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। অগ্নি ঝুঁকি রয়েছে এমন দাহ্য পদার্থ বহন করা যাবে না। অফিস ত্যাগের পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর নথির যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্ধারিত স্থানে রাখতে হবে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে এবং অফিস ত্যাগের পূর্বে সেগুলো বন্ধ করতে হবে।    
২২ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৯

কার্বন নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন লক্ষ্যমাত্রা
কার্বন নিঃসরণ কমানোর নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে জো বাইডেন প্রশাসন৷ বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, সংশোধিত এই নীতিমালা যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পকে ইলেকট্রিক গাড়ি শিল্পে রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে৷ নতুন নীতিমালায় গাড়ি এবং ট্রাকের জন্য নির্ধারিত দূষণ-মান অবশ্য হোয়াইট হাউসের সাম্প্রতিক প্রস্তাবের মতো হয়নি৷ হোয়াইট হাউস ২০৩২ সালের মধ্যে নিঃসরণ কমাতে আরো কঠিন কর্মপরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছিল৷ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্য, বিশেষ করে মিশিগান রাজ্যের গাড়ি শিল্প কারখানা এবং কারখানার কর্মীরা ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতের হার বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করার দাবি জানিয়ে আসছিল৷ তাদের দাবির মুখে পরে ২০৩২ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পকে অন্তত ৩৫ শতাংশ ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতের সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয় পরিবেশ রক্ষা সংস্থা-ইপিএ৷ আগের প্রস্তাবে ২০৩২ সালের মধ্যে মোট গাড়ির অন্তত ৬৭ শতাংশ বৈদ্যুতিক করার কথা বলেছিল তারা৷ দাবির মুখে শিথিল করা প্রস্তাবে ইপিএ আরো বলেছে, কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমানোর জন্য হাইব্রিড, অর্থাৎ তেল এবং বিদ্যুতে চলে এমন গাড়িও বাড়ানো যেতে পারে৷ ইপিএ-র প্রধান মাইকেল রিগান মনে করেন, এমন প্রযুক্তি-নিরপেক্ষ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে পরিবেশ দূষণ হ্রাস যদি সম্ভব না-ও হয়, দূষণের বর্তমান মাত্রা অন্তত ধরে রাখা যাবে৷ তিন বছর আগে জো বাইডেন ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৫০ ভাগ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিলেন৷ আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলে সেই লক্ষ্যমাত্রার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে৷
২১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৮

যানজট কমাতে রাস্তায় পে-পার্কিং চালু করতে যাচ্ছে চসিক
চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট কমাতে শহরের রাস্তায় পে-পার্কিং ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। এ ব্যবস্থায় টাকার বিনিময়ে সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করতে দেওয়া হবে চালকদের। এতে বন্দর নগরীর যানজট কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও সংশ্লিষ্টদের।  রোববার (৩ মার্চ) চসিক সম্মেলন কক্ষে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই পে-পার্কিং চালুর জন্য সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও বি-ট্র্যাক সলিউশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী। চসিক জানায়, আগামী ৭ মার্চ থেকে নগরীর নির্ধারিত স্থানে পে-পার্কিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করবে বি-ট্র্যাক সলিউশন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পে-পার্কিং চালু করতে পারবে বলে আশা করছে তারা। যানজট কমাতে নগরীর প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পে-পার্কিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মন্তব্য করে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে যে যানজট লেগে আছে, তা নিরসনের জন্য চসিক ও সিএমপি ট্রাফিক বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে আপাতত আগ্রাবাদ এলাকায় পে-পার্কিংয়ের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বি-ট্র্যাক সলিউশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়িত হলে পরবর্তীতে আরও পে-পার্কিং প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, নগরের নিউ মার্কেট এলাকায় ফুটপাতগুলো অবৈধ দখল মুক্ত করে সেখানে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। নগরবাসী যেন ফুটপাতে অবাধে ও নিরাপদভাবে চলতে পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি আছে চসিকের।  সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরকালে চসিক মেয়র ও প্রধান নির্বাহী ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী এবং প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৯

খরচ কমাতে বাড়িতে গাঁজা চাষ, বাগান মালিকসহ গ্রেপ্তার ৪
গাঁজা তো কিনে সেবন করতে হয়। যদি গাছই লাগানো যায়! এতে নিজের চাহিদা যেমন পূরণ হবে তেমনি বিক্রি করে বাড়তি আয় করা যাবে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এমন পরিকল্পনা থেকেই বাড়ির আঙিনার পাশে বাঁশের চাটাই দিয়ে চারপাশে বেড়া তৈরি করে গাঁজার চাষ করেন বীরবল (৪০) নামের এক ব্যক্তি। এ খবর জানতে পেরে পুলিশ অভিযান চালায় তার বাড়িতে।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই গাঁজা গাছের মালিকসহ গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিনজনকে। গ্রেপ্তারকৃত অন্য তিনজন হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সত্যজিৎ (৩০), সাতপাড়া গ্রামের শাহ আলম (৩৫) ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সুলতানপুর গ্রামের উপেন দাস (৫৫)।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তাকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে বীরবল নামের ওই ব্যক্তি নিজের বাড়ির আঙিনাতেই সযত্নে রোপণ করেছিলেন গাঁজার গাছ। তিনি নিজেও একজন গাঁজা সেবনকারী। বাইরে থেকে কিনতে গেলে খরচ বেশি হয়। তাই নিজেই বীজ রোপণ করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি নিজের গাছের গাঁজা বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন দেখছিলেন। বিক্রিও শুরু করেছিলেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান ও অরুপ কুমার রায়সহ পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে অভিযান চালায়। সেসময় ১৩ কেজি ওজনের ১১ ফিট লম্বা গাঁজার গাছ ও ৭০ গ্রাম গাঁজাসহ গাঁজা সেবনের সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।  তিনি আরও জানান, বসতবাড়িতে গাঁজার গাছ চাষাবাদ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে হেফাজতে রেখে সেবনের অপরাধে চার জনের নাম উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আজ রোববার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬

‘সীমান্ত হত্যা কমাতে নন-লেথাল অস্ত্র ব্যবহারে সম্মত হয়েছে ভারত’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সীমান্ত হত্যা কমাতে নন-লেথাল অস্ত্র (প্রাণঘাতী নয় এমন) ব্যবহারের বিষয়ে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। ভারতে তিন দিন সফর শেষে দেশে ফেরার পর সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।  মন্ত্রী বলেন, আমরা সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। সীমান্ত এলাকায় হত্যার ঘটনা কমাতে নন-লেথাল অস্ত্র ব্যবহারে আমরা একমত হয়েছি। এ ছাড়া নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে। হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা তিস্তার পানি বণ্টন নিয়েও আলোচনা করেছি। আপনারা জানেন যে, তিস্তা চুক্তি কেন্দ্রের (ভারতের কেন্দ্র সরকার) ওপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে রাজ্যের ওপর। ভারতের নির্বাচন আগামী মাসে। তার (ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) সঙ্গে যেটা আলোচনা হয়েছে, নির্বাচনের পর এই বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাব এবং একইভাবে গঙ্গার পানি বণ্টনের নবায়নের বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে আলোচনা করেছি। এদিকে দিল্লি সফরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। মিয়ানমারে এখন যে সংঘাত চলছে এটা আমাদের অঞ্চলে সমস্যা সৃষ্টি করছে সেটা থেকে উত্তরণে আমরা একযোগে কাজ করব কিভাবে, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতের সহায়তা চেয়েছি। মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত কীভাবে কাজ করবে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, দুই দেশ তাদের (মিয়ানমারের) সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করি। সুতরাং, মিয়ানমারে কোনো পরিস্থিতি হলে সেটা আমাদের যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং উদ্বিগ্ন করে তাদেরও (ভারতকে) করে। প্রতিবেশীকে নিয়ে দুজনের উদ্বেগ। আমাদের অনেকগুলো বিষয় আছে, একসঙ্গে কাজ করার মতো। ভারতের ভিসা পেতে বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সময়ে যেসব বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, সে বিষয়টি দিল্লি সফরে তুলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, দুই দেশের মানুষে মানুষের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ বাড়ানো যায়, সেটা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। ভিসা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। ভিসা দেয়ার পরিমাণ বাড়ছে, কিন্তু ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে ধরণের বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি; যাতে আরও সহজ করা যায়। ভারত থেকে পণ্য আমদানির বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভার‌তের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের স‌ঙ্গে বৈঠকে রমজানের আগে ভারতকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং ১ লাখ টন চিনি রপ্তানি করতে অনুরোধ করেছি। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সেটা ভালোভাবে নিয়েছেন। এর আগে তারা ২০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ১০ হাজার টন চিনি রপ্তানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। গত ৭-৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফরে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৩

বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে দরকার জনসচেতনতা : দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিবুর রহমান বলেছেন, বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর নিমিত্ত জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও পৌরসভা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়গুলো প্রচারের জন্য পোস্টার-ব্যানার প্রস্তুত করে জেলা, উপজেলা সদর, স্কুল, কলেজ, হাট বাজার ও জনসমাগম হয় এমন স্থানে লাগানো এবং মসজিদ, মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইমাম-পুরোহিতদের মাধ্যমে প্রচার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) এবং গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের অধিক বজ্রপাত প্রবণ ১৫টি জেলায় ৩৩৫টি বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অধিক বজ্রপাতপ্রবণ ১৫ জেলায় প্রাণহানি রোধে ৬ হাজার ৭৯৩টি বজ্রনিরোধক দণ্ড স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে বজ্রপাত থেকে সুরক্ষার জন্য ৬ হাজার ৭৯৩টি বজ্রনিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হবে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪২

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট উচ্ছেদ ও সরকারি ব্যয় কমাতে হবে (ভিডিও)
বাজারে বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে টাকাকে আরও মূল্যবান করতে নীতি সুদ হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি কমাতে তেমন অবদান রাখবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, বাজারে কার্যকরভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে একচেটিয়া বাজার ব্যবস্থা ও সিন্ডিকেট উচ্ছেদের পাশাপাশি সরকারি ব্যয় কমাতে হবে। নীতি সুদ হার মাত্র ২৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কি সম্ভব? এই প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিবিদ সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার তারা কম করে হলেও ১০০ বেসিস পয়েন্ট প্রতিমাসে বৃদ্ধি করেছিল। এখন আপনি যদি প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে আসলে ২৫ পয়েন্ট বাস্তবসম্মত হবে কি না? তাহলে আমি মনে করি তা গ্রহণযোগ্য কোনো পরিবর্তন আনবে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার মান নিয়ন্ত্রয়ণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যতই পলিসি নিক; সরকারি ব্যয় কাটছাঁট আর সিন্ডিকেট নির্মূল করা না গেলে, তা কোনো কাজেই আসবে না। অর্থনীতিবিদ ড. আবু আহমেদ বলেন, সরকারি ব্যয় কাটছাঁট করতে হবে। বাজার ব্যবস্থাপনা যদি কিছু লোকের হাতে চলে যায় এবং তারা যদি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব মুদ্রানীতি কোনো কাজে আসবে না। এদিকে আইএমএফের ক্রলিং পেগ নীতি মেনে ডলারের বিনিময় হার আরও বাজারভিত্তিক করার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্লেষকরা। আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত এবং মুদ্রানীতির কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যে স্বস্তির পাশাপাশি অর্থনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, যতোই আমরা পলিসি ঘোষণা করি না কেন, যদি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ না থাকে তাহলে আকাঙ্ক্ষার জায়গায় পৌঁছাতে পারব না।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৪

দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমাতে হবে : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলা জটের কারণে জনগণ একদিকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়, অন্যদিকে নানা রকম হয়রানি ও জনদুর্ভোগের শিকার হয়। তাই দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নারী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেলরা (এএজি) মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। পরে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।  মামলাজট নিরসনে অনেকগুলি ফাস্ট ট্রাক করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ডিএজি ও এএজিদের উদ্দেশে আনিসুল হক বলেন, হাইকোর্টে অনেক রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। এগুলোর ‘ইন্টিমেশন’ তাড়াতাড়ি করতে হবে। তিনি বলেন, হাইকোর্টে সবচেয়ে বেশি হয় ‘স্টে’ যা ‘ভ্যাকেট’ করার জন্য প্রত্যাশী মন্ত্রণালয় বা সংস্থা সলিসিটর অফিসের মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে পারে। সেটা যদি একটু তাড়াতাড়ি প্রসেস করে তথ্যাবলি আইন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়, তাহলে ডিসপোজাল বা নিষ্পত্তির ব্যাপারে দ্রুত কাজ করা সম্ভব।  তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টে সবচেয়ে বেশি হয় ‘স্টে’, যা ‘ভ্যাকেট’ করার জন্য প্রত্যাশী মন্ত্রণালয় বা সংস্থা সলিসিটর অফিসের মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে পারে। সেটা যদি একটু তাড়াতাড়ি প্রসেস করে তথ্যাবলি আইন মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ডিসপোজাল বা নিষ্পত্তির ব্যাপারে তড়িৎ কাজ করা সম্ভব হবে। আনিসুল হক বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তিনি ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন করেছিলেন এবং এই আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই সংস্থার কার্যক্রম স্থবির হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আবারও সরকার গঠন করলে এই সংস্থাকে সচল করা হয় এবং গত ৫ থেকে ৭ বছরে এটি একটি সিস্টেমের মধ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণেও একটি আইনগত সহায়তা প্রদান অফিস চালু করা হয়েছে।  তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং যে নেতৃত্ব দিয়েছে সেটা বিগত নির্বাচনে জনমতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়