• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথ মহাসচিবের অভিনন্দন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) প্যাট্রিসিয়া তার এক্স হ্যান্ডলে এ অভিনন্দন বার্তা দেন। কমনওয়েলথ মহাসচিব এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন। জাতীয় অগ্রাধিকার অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের জন্য কমনওয়েলথ প্রস্তুত। বাংলাদেশের জনগণ এবং আমাদের কমনওয়েলথ পরিবারের সদস্যদের জন্য কমনওয়েলথ আপনার সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ। My congratulations to Prime Minister @SheikhHasina on your electoral victory. The @Commonwealthsec stands ready to partner with Bangladesh to achieve national priorities, & looks forward to working with you for the people of #Bangladesh, & all members of our #CommonwealthFamily — Patricia Scotland KC (@PScotlandCSG) January 9, 2024 এর আগে ৯ দেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা। ৮ জানুয়ারি অভিনন্দন জানায় রাশিয়া, চীন, ভারতসহ কয়েকটি দেশ। গত রোববার (৭ জানুয়ারি) সারাদেশের ২৯৯টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ২২৫টিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫১টি বা তার বেশি আসনে যে দল জয়ী হন তারাই সরকার গঠন করেন। যেহেতু আওয়ামী লীগ ১৫১টির বেশি আসনে বিজয়ী হয়েছে। ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এর আগে, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১১

নির্বাচন নিয়ে কমনওয়েলথ সেক্রেটারির বক্তব্যে ‘নাখোশ’ বিএনপি
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের বক্তব্যের  প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলাদেশে নির্বাচনের ঠিক ২ দিন আগে বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে ৭ জানুয়ারি জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচন হতে চললেও ওইদিন ‘একটি অনুকূল পরিবেশে নাগরিকদের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে’ বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক ও নাগরিক নেতাদের অবদান রাখতে আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে বিএনপি আরও জানায়, কমনওয়েলথ মহাসচিবের এমন আহ্বান বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণকে হতবাক করেছে। যারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শাসন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু তিনি প্রহসনমূলক ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মিস করেছেন। তার বক্তব্য বাংলাদেশের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা বিশ্বাস করি তার বক্তব্য গণতন্ত্রপন্থী বাংলাদেশিদের আকাঙ্ক্ষা ও আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী, যারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। ‘প্যাটিসিয়া স্কটল্যান্ডকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যে, বাংলাদেশের সব প্রধান গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল আসন্ন নির্বাচন বয়কট করেছে। শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত ডামি/স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ক্ষমতাসীন দলের আশীর্বাদ নিয়ে ভুয়া বিরোধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো হয়। যেহেতু নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যেই পূর্বনির্ধারিত এবং জনগণের কাছে প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্য থেকে বেছে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কোনো অনুকূল পরিবেশ এবং সমান খেলার সুযোগ নেই, ভোটাররাও একতরফা ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে। শাসকদল এখন ভোট কেন্দ্রে জনগণের উপস্থিতি প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন অনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে ভোটার বা ভোটার নন এমন ব্যক্তিদেরকে বলপ্রয়োগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানো যায়। এ ধরনের কাল্পনিক গল্পগুলো স্থানীয় মিডিয়া (সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও), সোশ্যাল মিডিয়া এবং খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া দ্বারা ভালোভাবে কভার করা হয়েছে। তবে কমনওয়েলথ সচিবালয় এবং পরিদর্শনকারী কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিৎ যে, গত ৩ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং নির্বিচারে ব্যাপক গ্রেপ্তারের মতো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে দুঃশাসন, সন্ত্রাস ও ভয়ের অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। কাল্পনিক অভিযোগে কারাগারে বন্দী বিএনপির মহাসচিব ও এর শীর্ষ নেতাসহ ২৭ হাজারের বেশি বিরোধী ভিন্নমতাবলম্বী নেতাকর্মী। পুলিশ হেফাজতে অসংখ্য মানুষ নিহত, নির্যাতন ও মারা গেছেন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদার যারা আইনের শাসন এবং উদার মূল্যবোধে বিশ্বাসী তারাও বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে, সব গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন থেকে বাধ্য করে, ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে এবং ডামি প্রার্থী, ডামি নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং ডামি ভোটারদের দ্বারা একটি মঞ্চস্থ নির্বাচনের পরিকল্পনা করে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী শাসন পরিচালনা করছে। এটি একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি কমনওয়েলথের অঙ্গীকার স্বীকার করে। কমনওয়েলথের মহাসচিব যদি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতির প্রতিধ্বনি করতে চান, যেমন তিনি তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, জনগণ তার কাছে একটি নিরপেক্ষ সরকার ও প্রশাসনের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করে। কিন্তু তার বক্তব্য বাস্তবতার সংস্পর্শের বাইরে, কারণ ৭ জানুয়ারি এ প্রহসনমূলক অনুশীলনটি জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণার অনুচ্ছেদ ২১ এবং ২১-এর অধীনে কোনও মানদণ্ডের নির্বাচন হিসাবে স্বীকৃত বা আখ্যায়িত হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতাও পূরণ করে না।’
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৯

কমনওয়েলথ দলের সঙ্গে বিএনপির দেড় ঘণ্টার বৈঠক
ঢাকায় সফররত কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে বিএনপি। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে এ বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় ৬টা ৪৫ মিনিটে। বৈঠকে কমনওয়েলথের ১০ সদস্য দলের নেতৃত্ব দেন জ্যামাইকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী অরিতি ব্রুস গোল্ডিং।  এ ছাড়া বিএনপির পক্ষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্ব চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ অংশ নেন। এর আগে, এদিন সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগ। বৈঠকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার বিষয়ে ফের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে কমনওয়েলথ দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।  তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দের সময় ছিল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে ৫ জানুয়ারি সকালে। ভোটগ্রহণ সাত জানুয়ারি।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়