• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
১৭ কবরের মাটি সরানো, এলাকায় চাঞ্চল্য
পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন খাশ আমিনপুর কবরস্থান থেকে ১৭টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন প্রায় কয়েক হাজার উৎসুক জনতা।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে স্থানীয় ব্যক্তিরা হঠাৎ কবরস্থান জিয়ারত করতে এসে দেখতে পান ১৭টি কবরে মরদেহ নেই। চুরি হওয়া এক লাশের স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। মহাসড়কের পাশে এ কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। আমাদের দাবি পুলিশ দ্রুত এ ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে। এ দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ। ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, সকালে স্থানীয়রা কবরস্থানে গেলে এ ঘটনা সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওসি আরও বলেন, কবরগুলোর ওপরের মাটি সরানো। সেখানে কোনো মরদেহ নেই। কিন্তু চুরি হয়েছে কি না এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে কঙ্কালগুলো হারিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৮

কবিরাজি চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কবর থেকে তোলা হলো মরদেহ
শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলায় কবিরাজের চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আল ইসলাম নামের সেই শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হলে আদালতের নির্দেশে এক মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ মার্চ) শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে তোলা হয় আল ইসলামের মরদেহ। নিহত আল ইসলাম (২৯ দিন) জাজিরা ইউনিয়নের খোসাল শিকদার কান্দি গ্রামের রাসেল মাঝির ছেলে। পুলিশ জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ২৯ দিনের শিশু আল ইসলামকে প্রথমে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার পরিবার। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সদর হাসপাতালেও আল ইসলামের উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। শিশুটির মা-বাবা তাকে ঢাকার নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় জাজিরা উপজেলার কবিরাজ মাহমুদ আকন কান্দি যিনি রহিম খান ওরফে রহিম ফকির নামে পরিচিত তিনি শিশুটির বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘ঢাকা নেওয়ার দরকার নেই। এটা কবিরাজি চিকিৎসা। তুমি আমার কাছে নিয়ে আসো। আমি তোমার ছেলেকে সুস্থ করে দেব।’  পুলিশ আরও জানায়, তার কথায় বিশ্বাস করে বাবা রাসেল মাঝি শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে শিশুটিকে রহিম ফকিরের কাছে নিয়ে যান। এরপর রহিম ফকির শিশু আল ইসলামকে প্রতিদিন ৩ বার কবিরাজি চিকিৎসা প্রদান করেন। ফকিরের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আল ইসলাম মারা যায়। পরে শিশু আল ইসলামের বাবা রাসেল মাঝি ৫ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশকে। পুলিশ শিশুটি দাফনের ১ মাস ৩ দিন পর জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুর রহমানের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠান। শিশুটির বাবা রাসেল মাঝি কান্নজড়িত কণ্ঠে বলেন, কেউ যেন ফকিরের (কবিরাজ) কথা বিশ্বাস না করে। ফকির আমার ছেলেকে শেষ করে দিছে। আমি এর বিচার চাই। জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে শিশু আল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর আল ইসলামের মরেদহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

চাচার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বৃষ্টি
অবশেষে ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন পারিবারিক কবরস্থানে চাচার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি শেষে ১১ দিন পর অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নয়, বৃষ্টি খাতুন নামেই মরদেহ ফিরে পান বাবা। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলের পর সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় কুষ্টিয়ার খোকসায় নিজ বাড়িতে আনা হয় বৃষ্টির মরদেহ।  জানাজা শেষে সোমবার (১১ মার্চ) রাত ১০টায় বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের ও হোটেল মালিকের শাস্তি দাবি করেছেন স্বজনরা। মরদেহ আসছে এমন খবরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টির বাড়িতে ভিড় করেন স্বজন ও এলাকাবাসী। রাতে সাড়ে ৮টায় সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছায় তার নিজ বাড়িতে। এ সময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নিজেদের সামনে বেড়ে ওঠা বৃষ্টির পরিচয় নিয়ে বিতর্কে ক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা। তবে দীর্ঘ ১১ দিন পরে মরদেহ ফিরে পেয়ে ও জন্মস্থানে দাফন করতে পেরে স্বস্তিতে স্বজন ও স্থানীয়রা। তখনও বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন বৃষ্টির মা বিউটি খাতুন। তার আহাজারি থামানো যায়নি। বলছিলেন, বৃষ্টির মতো ভাগ্য যেন আর কারও না হয়। আর সন্তানের মরদেহের জন্য ১১ দিন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে পাগল প্রায় বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ বেইলি রোডের হোটেল মালিকের বিচার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সেখানে কোনো নিয়ম মানা হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। কিছু ঘটলে দ্রুত নেমে বাইরে যাওয়ারও ব্যবস্থা সেখানে নেই। তার মেয়ে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা গেলেও বাইরে বের হতে পারেননি। বৃষ্টির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। মরদেহ আসা এবং জানাজা ও দাফন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন ছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, বৃষ্টির বাবার সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তীতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন। তবে বৃষ্টি নিজেকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রি নামে পরিচয় দিতো এমন অভিযোগে ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
১২ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩১

একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু, খোঁড়া হচ্ছে কবর
রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাজপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে, পরিবারেও চলছে মাতম।  শুক্রবার (১ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, কাউসারের বাড়িতে আনা হয়েছে পাঁচটি খাটিয়া। সারিবদ্ধভাবে খোঁড়া হচ্ছে পাঁচটি কবর। বাদ আসর জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। নিহতরা হলেন, উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার (৫০), তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৫), মেয়ে কাশফিয়া (১৭) ও নূর (১৩) এবং ছেলে আব্দুল্লা (৭)। তারা রাজধানীর মধুবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। নিহত কাউসারের চাচাতো ভাই সৈয়দ আবুল ফারাহ তুহিন জানান, দেড় মাস আগে ইতালি থেকে দেশে ফেরেন কাউসার। বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যান। সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে কাউসার, তার স্ত্রী স্বপ্না, মেয়ে কাশফিয়া ও নূর এবং ছেলে আব্দুল্লাহ নিহত হন। তিনি আরও জানান, দুপুরে রাজধানী থেকে মরদেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে রওনা দিয়েছেন স্বজনরা। বাদ আসর জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। তদের মধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ছিল। এরপর তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হয় ক্রেতাদের। অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার ছিল রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল না ভবনে। ফলে আগুনের তীব্রতাও ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩২

ঢাকায় এক কবর দেড় কোটি টাকা, মেয়াদ কত বছর?
৮ ফিট বাই ৪ ফিটের একটি কবরের দাম দেড় কোটি টাকা। তবুও সারাজীবনের জন্য নয়, মাত্র ২৫ বছর পর একই কবরে জায়গা হবে অন্য কারো। ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে কবরস্থান আছে মাত্র ৯টি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় তিনটি এবং উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আছে ছয়টি। এসব কবরস্থানে নতুন করে আর জায়গা বাড়ানোর সুযোগ নেই। তাই মরদেহ দাফনে জায়গার স্বল্পতার কারণে এবং কবর সংরক্ষণে নাগরিকদের নিরুৎসাহিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কবর সংরক্ষণ ফি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। অঞ্চলভেদে রাজধানী ঢাকায় একটি কবরের দাম সর্বো‍চ্চ দেড় কোটি টাকা। মাসিক হিসেবে ধরলে ভাড়া গুনতে হয় প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা। দেড় কোটি টাকার এই কবর আগে বিক্রি হতো ৪৫ লাখ টাকায়। কিন্তু গত বছর হঠাৎ করেই দাম বাড়িয়ে তিনগুণ করা হয়েছে। তবে শুধু টাকা থাকলেই পাওয়া যাবে না এই কবর। লাগবে উচ্চপর্যায়ের তদবিরও। মাসে ৫০ হাজার টাকা হারে কবর ভাড়া করলেও শেষ পর্যন্ত একই কবরে দাফন করা হবে অন্য কাউকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনভুক্ত বনানী কবরস্থান চালু হয় ১৯৭৩ সালে। ১০ একর আয়তনের কবরস্থানটিতে ২২ হাজার কবর রয়েছে। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এখানে কাউকে কবর দিতে গেলে ১৫ লাখ টাকা খরচ হতো। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কবরস্থানের জায়গা সংরক্ষণ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল উত্তর সিটি করপোরেশন। ২০০৮ সাল থেকে পুনরায় বিভিন্ন মেয়াদে কবর সংরক্ষণ শুরু করে ডিএনসিসি। তথ্যসূত্রে জানা যায়, কবর সংরক্ষণের নিয়ম চালু করার পর থেকে ১৫ বছরের জন্য সংরক্ষণ ফি ছিল ২৪ লাখ টাকা। কিন্তু গত বছর সেটা বাড়িয়ে করা হয় ১ কোটি টাকা। আর ২৫ বছরের জন্য ৪৫ লাখ থেকে এক লাফে বাড়িয়ে করা হয়েছে দেড় কোটি টাকা, যা মাসিক ভাড়া হিসেবে ধরলে প্রতি মাসে দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা। অন্যদিকে উত্তরা ৪নং সেক্টরে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণের জন্য ফি ছিল মাত্র ৬ লাখ টাকা, এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা। আর ২৫ বছরের জন্য করা হয়েছে ১ কোটি টাকা। উত্তরা ৬নং সেক্টরে ১৫ বছরের কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ৬ লাখ টাকা, এখন খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখে। আর ২৫ বছরের জন্য ১১ লাখ টাকা থাকলেও এখন গুনতে হবে ৭৫ লাখ টাকা। মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ১৫ বছরের জন্য ছিল ৬ লাখ টাকা, এখন তার জন্য দিতে হয় ২০ লাখ টাকা। ২৫ বছরের জন্য এই কবরস্থানে আগে ছিল ১১ লাখ টাকা, বর্তমানে তার জন্য খরচ করতে হবে ৩০ লাখ টাকা। এ ছাড়া রায়েরবাজার কবরস্থানে ১৫ বছরের জন্য সংরক্ষণ ফি ছিল ৬ লাখ টাকা এখন বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। আর ২৫ বছরের জন্য ১১ লাখ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধনাঢ্য পরিবারের কেউ মারা গেলে প্রিয়জনের কবর সংরক্ষণ করতে চান অনেকে। যার ফলে আর কোনো জায়গা থাকছে না কবরস্থানে। তাই কবর সংরক্ষণে নিরুৎসাহিত করতেই টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। যদিও সংরক্ষণ করা এই কবরে পুনরায় কবর দিতে গেলে কবরস্থান ভেদে দিতে হয় নতুন ফি।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩০

মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে এসে প্রাণ গেল প্রবাসী মুছার
চট্টগ্রামের রাউজানে মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে মোহাম্মদ মুছা (৪৫) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়া মসজিদের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় কয়েক যুবক। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি পড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। মারা যাওয়া মোহাম্মদ মুছা হাজীপাড়া গ্রামের প্রয়াত কবির আহমদের ছেলে। দুই সন্তানের জনক মুছা দীর্ঘদিন ওমান প্রবাসী ছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। ওঠেন তার স্ত্রীর বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। সেখান থেকেই গতকাল বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে রাউজান এসেছিলেন তিনি। মুছার ভাই মোহাম্মদ ইউছুপ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে আমি রাউজান হাজীপাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষ করে পাশে থাকা বাবার কবর জিয়ারত শেষ করি। এ সময় হঠাৎ দুই যুবক এসে আমার ভাইকে ডেকে মসজিদের পাশে টয়লেটের সামনে নিয়ে মারধর শুরু করে। এ সময় দুই যুবকের সঙ্গে যোগ দেয় আরও কয়েকজন। তাদের নির্যাতনে আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওমানে মুছা বিএনপির রাজনীতি করতেন বলে জানান তার ভাই। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তি মসজিদ থেকে বের হয়ে পড়ে গিয়েছিল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। 
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়