• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, অতঃপর....
শরীয়তপুরের জাজিরায় দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন। গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন বেপারী জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য। জানা গেছে, গত শনিবার রাতে জাজিরার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের সৈয়দ তাজুল ইসলাম তার চাচাতো বোনের বিয়েতে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীসহ তার সমর্থকদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার রাতে বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ওই দিন রাতেই তাজুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।  জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, বিয়ে বাড়িতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৪

‘আ.লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি রমজানে কতগুলো ইফতার পার্টি করেছে তা গণনার জন্য সরকার লোক নিয়োগ করেছে। বিএনপি রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখতে ইফতার মাহফিলে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিএনপি বিশ্বাসী নয়।  ‘বিএনপি রমজানে এক হাজার ইফতার পার্টি করেছে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জাবাবে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন।  তিনি বলেন, ঈদ মানে আনন্দ-খুশি। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ আনন্দ উপভোগ করতে পারেনি। উন্নত মানের খাবার কেনার সঙ্গতি ছিল না। অত্যন্ত কষ্টে দিন যাপন করছে দেশের মানুষ। অথচ, আওয়ামী লীগ কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তাদের নেতাকর্মীদের আনন্দের শেষ নেই। বিএনপির এই নেতা বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। হতাহত হয়ে মৃত্যু শোক যেন ঈদের খুশির আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। মানুষ আগুনে পুড়ে, পানিতে ডুবে ও সড়ক দুর্ঘটনায় মরলেও সেতুমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না। ওবায়দুল কাদের সাহেব ও বাকি মন্ত্রীদের মনে স্বস্তি থাকলেও সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি নেই। রিজভী বলেন, বিএনপির জনগণের স্বার্থের দিকে দৃষ্টি দেওয়া একটি রাজনৈতিক দল। তাদেরকে এতো নিপিড়ন ও নির্যাতন করার পরেও তারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। যতই নির্যাতন ও হুমকি আসুক গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে আছে এবং থাকবে।  
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০০

আ.লীগ নেতার গাড়িতে মুহুর্মুহু ককটেল হামলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামের গাড়িতে মুহুর্মুহু ককটেল হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে দুজন আহত হয়েছেন।  রোববার (২৪ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার চৌধুরী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জানা গেছে, এ হামলায় এতে আবদুস সালাম প্রাণে বেঁচে গেলেও তার গাড়িচালক আবদুর রহিম ও জেলা পরিষদের অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ আহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাইভেটকারটিও। আহত গাড়িচালক আবদুর রহিম জানান, রাজশাহীতে কাজ শেষে আমরা বাড়িতে ফিরছিলাম। চৌধুরী মোড়ে পৌঁছামাত্রই মহাসড়কের পাশ থেকে আমাদের গাড়ি লক্ষ করে ১০টির অধিক ককটেল হামলা চালানো হয়। এতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে আমি এবং মামুন স্যার আহত হই। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান জানান, ককটেল হামলায় গাড়ির গ্লাস ভেদ করে ককটেলের স্প্লিন্টার মামুন ও তার ডান হাতে লেগে আহত হন। পরে মামুনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম জানান, আমাদের হত্যা করতেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ককটেল হামলা চালানো হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই হত্যা করতে এই হামলা ঘটিয়েছে।  
২৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৬

উঠান বৈঠকে ককটেল হামলা, কুসিক মেয়র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
জমে উঠেছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচন। প্রচার প্রচারণায় সরগরম নির্বাচনী মাঠ। এরই মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মনিরুল হকের উঠান বৈঠকে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে মনিরুল হকের মালিকানাধীন হোটেলে ভাঙচুরের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।  সোমবার (৪ মার্চ) রাত ১০টায় প্রার্থীর নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হামলার জন্য বাস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের দায়ী করেছেন মনিরুল হক। প্রার্থী মনিরুল হক অভিযোগ করেন, সোমবার বাদ আসর কুমিল্লা নগরীর ৯নং ওয়ার্ড বাগিচাগাঁও এলাকায় ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক শুরুর পূর্বে মানুষজন যখন এখানে জড়ো হন তখনই পার্শ্ববর্তী একটি ভবনের ছাদ থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এ ছাড়াও একজন যুবক বোরকা পড়ে বৈঠকে হামলার চেষ্টা করে। মনিরুল হক সাক্কু অভিযোগ করেন, বাগিচাগাঁওয়ে উঠান বৈঠকে হামলার কিছুক্ষণ পরে নগরীর রেসকোর্স এলাকায় অবস্থিত তার মালিকানাধীন হোটেল রেডরুফ-ইন-এ হামলা চালানো হয়। এ সময় হোটেলে ভাঙচুরসহ হোটেলটির সুপারভাইজার কবির হোসেন, স্টাফ ফারুক, রুহুল আমিন ও নাসিরকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় সমর্থক বাস প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।  এছাড়াও গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিনই তার উঠান বৈঠকে হামলা ও কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৭:০১

জজ কোর্ট চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ
আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে জজ কোর্ট চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভোটগ্রহণ চলাকালে কোর্ট চত্বরে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এদিন সকাল ৯টায় দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের এক পর্যায়ের ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে কিছু সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হলে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এদিকে দুপুরে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান কমিটির নেতারা ভোটকেন্দ্রে এসে জোরপূর্বক ভোটগ্রহণ স্থগিত করান বলে অভিযোগ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। ঘটনায় সময় হাতাহাতি ঠেলাঠেলিতে বিএনপি সমর্থিত কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছে বলেও জানান তারা। এর আগে, বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবার নির্বাচনে ভোটার ২১ হাজার ১৩৭ জন। যার মধ্যে প্রথম দিনে চার হাজার ১৩০ জন ভোট দেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

বাথরুমে ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশ সদস্যসহ আহত ৩
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বড় কসবা এলাকায় বাথরুমে ককটেল বিস্ফোরণে দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামিয়া মিশনের পেছনে একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- গৌরনদী মডেল থানার এসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল মো. মিজান এবং ওই বাড়ির মালিক মাসুম হাওলাদার। মাসুমের অবস্থা গুরুতর। প্রত্যক্ষদর্শী মাসুমের আত্মীয় সেন্টু হাওলাদার জানিয়েছেন, বাথরুমে বাজারের ব্যাগে ককটেলসদৃশ বস্তু দেখতে পান বাড়ির মালিক মাসুম। পরে বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অবহিত করা হয়। সেখান থেকে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ গিয়ে মাসুমকে বাজারের ব্যাগটি বের করতে বলে। তিনি ব্যাগটি বের করার সময় ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হন তিনি। এ ছাড়া একজন এসআই পায়ে আঘাত পান এবং অপর এক পুলিশ সদস্যের বিকট শব্দে কানে সমস্যা হয়েছে। তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সে মাসুমকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ সদস্যদের বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে তিনি জানতে পেরেছেন। গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওই বাড়িতে মাসুম একাই বসবাস করেন। বাড়িতে একসঙ্গে তিনটি বাথরুম রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ব্যবহারের অযোগ্য হওয়ায় খোলা ছিল। যেটি ব্যবহার করা হতো সেটি তালাবদ্ধ থাকে। কিন্তু মাসুম সকালে ওই বাথরুমটি খোলা দেখতে পান। এরপর সেখানে গিয়ে একটি বাজারের ব্যাগ দেখে তা খুললে সেখানে লাল টেপ পেঁচানো বোমাসদৃশ বস্তু দেখে ট্রিপল নাইনে ফোন করেন। এরপর এসআই কামালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ব্যাগটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে তা বিস্ফোরিত হলে মাসুম ও কামাল আহত হন। এ ছাড়া শব্দে এক কনস্টেবলের কান স্তব্ধ হয়ে যায়। তিনি কানে শুনতে পারছেন না। আহতদের বরিশাল মেডিকেল এবং পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেখানে একাধিক ককটেল ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সংখ্যাটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। কে বা কারা এ ককটেল রেখেছিল, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল- এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৬

আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে ৪০ ককটেল বিস্ফোরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপ ৪০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ককটেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মিরাটুলি বাবুপুর এলাকায় বাসিন্দাদের ঘুম ভেঙে যায়। এতে কেউ হতাহত না হলেও এখনও ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষের মধ্যে রয়েছে আতঙ্ক। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সোমবার সকালে মিরাটুলি বাবুপুর মোড় এলাকায় দুই গ্রুপ ৪০টি ককটেল বিস্ফোরণ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করে। পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।  তিনি বলেন, এলাকা এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মামলার আসামি তালিকায় দুই গ্রুপের ৪০ থেকে ৪৫ জনের নাম থাকবে।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১১

আধিপত্য বিস্তারে শিবগঞ্জে ৪০ ককটেল বিস্ফোরণ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ৪০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুই পক্ষ। এ সময় কয়েকটি বসত বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়।    সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের ওপর সুন্দরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুই পক্ষই পিছু হটে। স্থানীয়রা বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে স্থানীয় বিএনপি নেতা বাবু আলীর নেতৃত্বে ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল ককটেল ফাটাতে ফাটাতে সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আঙ্গুর আলীর বাড়ির দিকে এগোতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে আঙ্গুর আলীর লোকজন প্রতিরোধ গড়লে পিছু হটে বাবুর লোকজন। এ সময় শতাধীক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৯

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। এ সময় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ঘটকচরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহবার সরদারের ঘরবাড়ি দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঘটকচর এলাকার জয়নাল মাদবর ও জহির ঢালীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। এইর জেরে সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটকবাজার ও তার আশপাশে হামলা চালায়। আতঙ্ক ছড়াতে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়। এতে আহত হয় অন্তত ৫ জন। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র। ফের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এই ঘটনার পর আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আধিপত্য ধরে রাখতে এই দুটি গ্রুপ সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেই যাচ্ছে। এদের দৃশ্যমান কোনো বিচার না হওয়ায় তারা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যার ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহবার সরদারের ছেলে জনি সরদার বলেন, এলাকার আধিপত্য নিয়ে প্রায়ই আমাদের ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়। আবার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা হামলাকারীরা আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙেচুরে তছনছ করে দেয়। এর কঠিন বিচার চাই। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জয়নাল মাদবর ও জহির ঢালী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ও মামলা হয়। কিন্তু এরা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৩

ইবিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬টি ককটেল উদ্ধার 
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন স্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৬টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় এসব ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে এ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ছয়টি ককটেল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে রাতে লালন শাহ হলের পকেট গেটে দুইটি এবং সকালে জিয়া হলের সামনে একটি, ব্যবসায় অনুষদ ভবনের পাশে দুইটি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে একটি ককটেল পাওয়া গেছে। পুলিশের সহযোগিতায় সবগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, গভীর রাতে গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমে তথ্যটি জানতে পারি। এখন পর্যন্ত ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ইবি থানা পুলিশের সহায়তায় সবগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ক্যাম্পাস খোলার পরেই এমন ঘটনা আতঙ্কজনক। স্পেশাল টিম এনে পুরো ক্যাম্পাসে অভিযান চালানো হবে।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়