• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরকে নিয়োগের দাবি
স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়াসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে তরুণ আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষানীতি, কওমি মাদরাসার শিক্ষা পদ্ধতি-স্বীকৃতি ও বৃহৎ এ জনগোষ্ঠীর শিক্ষাগত যোগ্যতার কার্যকারিতার প্রস্তাবনা দিয়েছেন তারা। বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কওমি মাদরাসা ও দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এসময় তারা শিক্ষানীতি গঠন ও বাস্তবায়ন কমিটিতে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সমাদৃত চিন্তাবিদ আলেমদের রাখার দাবি জানান। একইসঙ্গে শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনও বিষয় না রাখারও দাবি জানিয়েছেন তারা। সভায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামবান্ধব শিক্ষানীতি প্রণয়ন,‌ দশম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা,‌ নূরানী মাদ্রাসাগুলোর সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য কওমি মাদরাসা স্বীকৃত বোর্ডগুলো থেকে নিবন্ধনকে চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন তরুণ আলেমরা। এছাড়াও ২০১২ সালে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির জন্য গঠিত কওমি কমিশনের প্রণীত শিক্ষা কারিকুলামের আলোকে কওমি স্বীকৃতি পূর্ণ বাস্তবায়ন করা,‌ ছাত্র শিক্ষকের মধ্যকার শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক, আদর্শ মানুষ ও সমাজ গঠনে মাদরাসার অবদানকে সর্বময় করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা,‌ কওমি শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া‌ এবং কওমি শিক্ষার্থীদের দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহির্বিশ্বে পড়ালেখার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

দেশে কওমি মাদরাসা থাকা নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরও যাতে কর্মসংস্থান হয় সেটাও আমরা চাই। এ জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন কওমি মাদরাসা নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তার এ বক্তব্যকে বিকৃত করে একটি রাজনৈতিক দল প্রচার করছে বলে দাবি করেন তিনি। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি জেলা থেকে একটি আলোচনা এসেছিল, অনিবন্ধিত, নাম-পরিচয়হীন নুরানি মাদরাসার নামে কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। সেগুলো নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কী? সেই প্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম, যেসব নুরানি মাদরাসা গড়ে উঠছে, সেগুলোর যথাযথ নিবন্ধন আছে কি না, সেগুলোতে কীভাবে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে? অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাতে সাংঘর্ষিক না হয়, সে বিষয়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কীভাবে তা ইউনিফরমিটির মধ্যে আনা যায়। বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নুরানি বা কওমি মাদরাসার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে—এই ধরনের মন্তব্য (কওমি মাদরাসা বন্ধ) আমি করিনি। এই আলোচনা সৃষ্টি করে এক পক্ষ গুজব রটাচ্ছে। গুজব রটিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টির নোংরা অপচেষ্টা করছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা আগে আরও অনেক ধরনের মানহানিকর এবং আপত্তিকর কথা বলছে।  তিনি বলেন, বারবার বলছি, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, অবশ্যই থাকবে। কারণ আমরা আইন দিয়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স স্বীকৃতি দিয়েছেন। কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু সেখানকার শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ন্যূনতম লিটারিসির কথা বলছি, তারা যাতে কর্মসংস্থান পায়, সে সমস্ত বিষয় নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছি, আগামীতেও কাজ করব। তাদের বারবার আমন্ত্রণও জানিয়েছি। এখানে মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার মতো কথা কেউ কখনো বলেননি। তিনি আরও বলেন, একটি পরিকল্পনার মধ্যে থেকে, নিবন্ধনের মধ্যে থেকে, কী পড়ানো হচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে, আমার শিক্ষার্থী, আমাদের এই প্রজন্মকে কী পড়াচ্ছি, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম হোক, কওমি মাদরাসা হোক বা ইংরেজি মাধ্যমে হোক, সেটির ওপর রাষ্ট্রের নজর তো অবশ্যই থাকতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কিছু যদি পড়ানো হয়, সেটা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে হোক; আমরা দেখেছি, অনেক পাবলিশিং হাউজের নাম করে উসকানি দেওয়ার জন্য বই ছাপানো হয়েছে এবং পড়ানো হচ্ছে, সেগুলো আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।  
০৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়