• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের সুন্নতে খৎনা, অ্যান্ডোসকপিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রোপচারকালে অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগে বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। ফলে এ নিয়ে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ সব মহলে। এবার তাই অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগে রোগীর মৃত্যু ও আকস্মিক জটিলতা প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৭ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জসীম উদ্দীন হায়দার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা জারি হয়েছে, যেখানে অ্যানেস্থেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধ বদলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওষুধের মান নিশ্চিত করতেও জোর দেওয়া হয়েছে এ নির্দেশনায়।  ‘অ্যানেস্থেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহারে ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক এ চিঠিতে বলা হয়, অ্যানেস্থেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাতে হ্যালোথেনের বিকল্প নির্ধারণ করতে হবে। সেইসঙ্গে অ্যানেস্থেসিয়ার অপপ্রয়োগ প্রতিরোধ করতে সুপারিশ করা হলো এবং এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হলো। নির্দেশনায় বলা হয়, সারাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার কক্ষে ইনহেলেশনাল অ্যানেস্থেটিক হিসেবে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন অথবা সেভোফ্লুরেন ব্যবহার করতে হবে। সেইসঙ্গে দেশের সব হাসপাতালে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন, সেভোফ্লুরেন এবং ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে। অর্থাৎ এ বিষয়ে খরচের পরিমাণ জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া হ্যালোথেন কেনা-বিক্রি এবং ব্যবহার প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের বদলে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্য চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নতুন অ্যানেস্থেসিয়া মেশিন কেনার বেলায় স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে ভেপোরাইজারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। নির্দেশনাটির অনুলিপি ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।    
২৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৬

ওষুধ কিনতে না পেরে রিকশাচালকের আত্মহত্যা
রাজধানীর মগবাজারের মধুবাগে একটি বাসায় জয়নাল আবেদীন (৪৫) নামে এক অসুস্থ রিকশাচালক ওষুধ কিনতে না পেরে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত আটটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ওই রিকশাচালকের ভাতিজা মো. মোতালেব বলেন, চাচা প্রায় তিন বছর ধরে অসুস্থ। অভাব অনটনে থাকায় ওষুধ কিনতে না পেরে নিজের ওপর জিদ করে ধারালো ছুরি পেটে ঢুকিয়ে দেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে, অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার ইসলামপুরে বলেও জানান তিনি।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০১:১৪

শিশুদের বিরল রোগের ‌‌‘জিন থেরাপি’ বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ
মেটাক্রোম্যাটিক লিউকোডিস্ট্রফি বা এমএলডি নামক অতি বিরল রোগের জন্য নতুন একটি জিন থেরাপির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার পাইকারি মূল্য ৪ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার। এটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওষুধ। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত সোমবার ওষুধটির অনুমোদন দেয়।  এমএলডি একটি বিরল এবং মারাত্মক রোগ যা সাত বছরের কম বয়সী শিশুদের আক্রান্ত করে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা কখনও কখনও হাঁটতে এবং কথা বলার ক্ষমতা হারাতে শুরু করে। ওষুধটির প্রস্তুতকারক সংস্থা অরচার্ড থেরাপিউটিকসের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া প্রতি এক লাখ শিশুর মধ্যে একটি শিশু এমএলডি নামক বিরল রোগে আক্রান্ত হয়। বছরে এই সংখ্যা ৪০ শিশুর কম। অরচার্ড থেরাপিউটিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডা. ববি গ্যাসপার বলেছেন, এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ওষুধ। এটিতে শিশুদের বিধ্বংসী রোগকে প্রতিরোধ করার সক্ষমতা রয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২১:০৫

৬ মাসে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি
চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প উত্তরোত্তর উন্নতি করছে। দেশের মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ভাগ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হয়। বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকাসহ সারাবিশ্বের ১৫৭টি দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ওষুধ রপ্তানি করা হয়। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৩ টাকার ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে। ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, দেশে উৎপাদিত ওষুধ বিদেশে রপ্তানিতে উৎসাহিত করতে উৎপাদনকারীদের সরকারিভাবে প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দেশে উৎপাদিত ওষুধের একটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্ট রপ্তানির জন্য ১০ শতাংশ হারে এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানির জন্য ৮ শতাংশ হারে সরকারিভাবে প্রণোদনা প্রদান করা হবে বলে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। যেসব দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ রপ্তানি করা হয় সে দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, আজারবাইজান, ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, ইরান, জর্ডান, জাপান, কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ম্যাকাও, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন, তাইওয়ান, মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিস্তিন, লেবানন, কুয়েত, কাতার, ওমান, উপসাগরীয় দেশসমূহ (জিসিসি), তুর্কমেনিস্তান কাজাকিস্তান, বাহরাইন, ব্রুনাই দারুস সালাম, দুবাই, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল রাশিয়া, রুমানিয়া, স্লোভেনিয়া, স্লোভাকিয়া, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউক্রেন, কিরগিজস্তান, আর্মেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, বুলগেরিয়া, মেসিডোনিয়া, বসনিয়া, ফিনল্যান্ড, ট্রান্সনিস্ট্রিয়া, জর্জিয়া, সাইপ্রাস কসোভো, ত্রিনিদাদ ও টোবাগে, সান মারিনো, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, পালাউ আলজেরিয়া, বুর্কিনা ফাসো, বতসোয়ানা, চাদ, মিশর, গ্যাবন, কেনিয়া, লিবিয়া, লাইবেরিয়া লেসোথো, মরিশাস, নাইজেরিয়া, মালাউই, মালি, সেনেগাল, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, সোয়াজিল্যান্ড, সেচেলেস তানজানিয়া, তিউনিসিয়া, টোগো, উগান্ডা, সিম্বুরেইন রিত্রিয়া, জ্যামাইকা, লাওস মৌরিতানিয়া, কঙ্গো, সোমালি ল্যান্ড, জাম্বিয়া, অ্যাঙ্গোলা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, বার্বাডোস, হাইতি আর্জেন্টিনা, বেলিজ, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টা-রিকা, চিলি, ইকুয়েডর, গুয়েতিমালা, গায়ানা, মরক্কো, মন্টিনিগ্রো, নিকারাগুয়া, পানামা, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা, ভেনেজুয়েলা, ভানুয়াতু, পেরু, সুরিনাম, কুরাকাও, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৮

ভেজাল ওষুধ বিক্রির চেয়ে মাদকের কারবার ভালো : ভোক্তা অধিকার
মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে দেশের একটি অসাধু চক্র। ভেজাল পণ্যের রমরমা কারবার থেকে বাদ যাচ্ছে না স্বাস্থ্য সেবার উপকরণও। নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ, ভুয়া চিকিৎসা সরঞ্জাম বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে ভরে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসি ও দোকানে। এমন সব নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রিকে মানুষ হত্যার মতো অপরাধ উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ভেজাল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রির চেয়ে মাদকের কারবার ভালো। একইসঙ্গে হুশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেছেন, যারা নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রি করছেন, তাদের লাইসেন্স অচিরেই বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে। এদেশে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছেই। আক্রান্ত রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি নিয়মিত ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করানো। ভোগান্তি এড়াতে অনেকে বিভিন্ন কোম্পানির ‘কুইক স্ট্রিপ’ কিনে ঘরে বসেই ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করেন। এর ওপর ভরসা করেই চিকিৎসা, খাদ্যগ্রহণসহ দৈনন্দিন জীবনযাপন করেন। অথচ প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির নকল হচ্ছে দেদার। নকল ডায়াবেটিকস স্ট্রিপসে সয়লাব বাজার। ফলে হাসপাতাল-ক্লিনিকে হরহামেশাই ডায়াবেটিকসের মাত্রা পরীক্ষার ভুলভাল রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে রোগীরা। এমন ঘটনা ৬ ফেব্রুয়ারি হাতেনাতে ধরেন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।  যে স্ট্রিপগুলো বাজারে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার মধ্যে অন্যতম ‘আকু-চেক অ্যাকটিভ স্ট্রিপ’। অথচ এ স্ট্রিপটি চোরাইপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এরপর রাজধানীর নয়াপল্টন, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন এলাকার প্রেস থেকে ব্যাচ নম্বর, বার কোডসহ মোড়ক তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে সেগুলো। আবার, বিদেশ থেকে অনুমোদন ছাড়া ডায়াবেটিস স্ট্রিপ দেশে এনে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নকল মোড়কে বাজারে ছাড়ছে ফার্মা সল্যুশনস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি অন্যরাও এমন কাজ করছে কি না, তার অনুসন্ধান চলছে।  এরই ধারাবাহিকতায় নকল ডায়াবেটিকস স্ট্রিপ বিক্রয় প্রতিরোধে আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও অংশ নেয়।  সভায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচলক ডায়াবেটিস মাপার নকল স্ট্রিপ বাজারজাত করার কারসাজির ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের নকল স্ট্রিপ বিক্রি নিয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে আমাদের একটি টিম তদন্ত শুরু করে। এতে দেখা যায় যে, ফার্মা সলিউশন নামের ওষুধ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এ স্ট্রিপ আমদানি করে বিক্রি করছে। আকু চেক অ্যাকটিভ নামের স্ট্রিপের মোড়কে ‘মেইড ইন জার্মানি’ লেখা। এটার উৎপাদক নাকি জার্মানির প্রতিষ্ঠান রোস।  সফিকুজ্জামান বলেন, সন্দেহ হবার পর লাজ-ফার্মা থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। লাজ-ফার্মাকে ডেকে আনা হয়। তারা জানায়, এটার আমদানিকারক ফার্মা সলিউশন। ঢাকায় ফার্মা সলিউশনের ৪-৫টা ডিপো রয়েছে। তেজকুনিপাড়ার ডিপোতে অভিযান চালানো হলো। কিন্তু তারা মুখে কুলুপ এটে বসলো।  আকু চেক স্ট্রিপ নিয়ে জার্মানির রোস কোম্পানির সঙ্গেও ভোক্তা অধিকারের যোগাযোগ হয়। প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে, তারা এ ব্যাচধারী কোনো স্ট্রিপ উৎপাদনই করেন না। তাহলে দেশের বাজারে এগুলো কোথা থেকে এলো, গায়েবিভাবে এলো কি না, এমন প্রশ্ন রাখেন ভোক্তার অধিকারের ডিজি।  তিনি বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে যেটা বেরিয়ে এলো, তা হলো এগুলো তারা লাগেজ পার্টির মাধ্যমে দেশে এনেছে। ভারত থেকে নকল এসব স্ট্রিপ কাপড়ের লাগেজের মধ্যে করে আসে। তারা শুধু স্ট্রিপ কৌটায় করে নিয়ে আসে। পরে নয়াপল্টনের প্রিন্ট ওয়ান নামের প্রেসে সব কারসাজি করা হয়। ফার্মাসি খাতে কারসাজি চরম হতাশাজনক উল্লেখ করে সফিকুজ্জামান বলেন, জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আপনি জাল টাকা উৎপাদন করে যতটা না ক্ষতি করতে পারবেন, তার চেয়ে নকল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে বেশি ক্ষতি হবে। এর চেয়ে খারাপ কাজ আর কিছু হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রি মানুষ হত্যার মতো অপরাধ। নকল মেডিকেল সামগ্রী বা ওষুধ বিক্রির চেয়ে মাদকের ব্যবসা করা ভালো। চাল-ডালের দাম বাড়ানোর থেকেও অনেক ভয়াবহ অপরাধ এটি। ডায়াবেটিস স্ট্রিপের ভুল রিপোর্টের ফলে ভুল চিকিৎসা পেয়ে মানুষ যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ফার্মা সলিউশনের প্রধান নির্বাহী পল্লব চক্রবর্তী ও প্রিন্ট ওয়ানের সত্ত্বাধিকারী লুৎফর রহমান। তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এবং ক্ষমাও চান। পল্লব চক্রবর্তী নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপের প্যাকেটের বিষয়ে দায় স্বীকার করেন। তবে এ ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মীকে দায়ী করেন। বিভিন্ন যুক্তিও দেন।   লুৎফর রহমান বলেন, ফার্মা সলিউশনকে আমরা বিশ্বাস করে কাজ নিয়েছিলাম। তাদের লেনদেন প্রক্রিয়াও ভালো। আমরা বিশ্বাস করে তাদের কাজ নিয়েছি। দুই ধাপে ১০-১২ হাজার টাকার প্রিন্টিংয়ের বিল পেয়েছি। এরপরও আমাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। তবে আমরা দায় এড়াতে পারি না।  মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এলসি জটিলতার কারণে নকল স্ট্রিপ দেশে আসছে। কিন্তু সেটি রোগীর জন্য ভোগান্তি, যা এফবিসিসিআই সমর্থন করে না। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দায় এফবিসিসিআই নেবে না।  সভায় সবাই নকল স্ট্রিপ আমদানি, তৈরি ও বিক্রি প্রতিরোধের ওপর জোর দেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবি করেন উপস্থিত সবাই। তারা বলেন, বিদেশ থেকে লাগেজের মাধ্যমে যে পণ্যগুলো ঢুকছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এই বিষয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে। মূল কাজটা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২১

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ পান না ৬৯ শতাংশ রোগী
অর্ধশতাধিক নীতিমালা ও আইন থাকার পরেও এখন পর্যন্ত দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হয়নি। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ পান না ৬৯ শতাংশের বেশি রোগী।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ রোগীকেই বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়।  জন্মের পরপরই মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হয় দেশের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্ল্যানিং মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ (পিএমআর) আয়োজিত এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনটি সেশনে প্রকাশ করা হয় বিষয়ভিত্তিক ১৪টি গবেষণা প্রতিবেদন।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে এই গবেষণাগুলো করা হয়। অধিদপ্তরের নিরাপদ খাদ্য ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে দেশে আইন, নীতিমালা ও বিধিমালা রয়েছে ১৫২টির মতো। আইনের অভাব না থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব একটা নেই। যে কারণে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দেশের হাসপাতালগুলোয় সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণের (আইপিসি) অবস্থা বিষয়ক এক গবেষণায় বলা হয়, বেশিরভাগ হাসপাতালে আইপিসি কমিটি আছে। কিন্তু অধিকাংশ কমিটি কার্যকর নয়। অধিকাংশ হাসপাতালেই নেই আইপিসির জন্য নির্দিষ্ট জনবল। সরকারি ৬০ শতাংশ হাসপাতালে আইপিসি ব্যবস্থাপনা নেই। আর বেসরকারি হাসপাতালের ৫০ শতাংশে নেই এই ব্যবস্থাপনা। ফলে হাসপাতাল থেকে যেসব রোগের সংক্রমণ হয়, সেগুলো বাড়বে। এই সংক্রমণ মারাত্মক ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়। এই গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে ব্যবহার করা হবে, এর একটি গাইডলাইন থাকলেও হাসপাতালগুলোয় তা মানা হয় না।  এক-চতুর্থাংশ হাসপাতালে ‘হ্যান্ড হাইজেনিং স্টেশন’ অর্থাৎ হাত ধোয়ার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেই। প্রতি বেডে একজন রোগী থাকার কথা থাকলেও হাসপাতালগুলোয় বেডের চেয়ে বহুগুণ বেশি রোগী থাকছে।  উন্নত দেশে আইপিসি হার ৩ থেকে ৫ শতাংশ হলেও এশিয়ার দেশগুলোয় এই হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। তথ্যের ঘাটতি-সম্পর্কিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বাস্থ্য খাতের যে ৪০টি সূচক রয়েছে, এসব ক্ষেত্রে সরকার কাজ করলেও পরিপূর্ণ তথ্য নেই। এ ৪০টি সূচকের মধ্যে চারটির কোনো সঠিক তথ্যই নেই। অন্যদিকে, ১০ সূচকের আংশিক তথ্য রয়েছে। আর বাকি ২৬টি সূচকের যাচাই করার মতো তথ্য আছে, তবে তা পরিপূর্ণ নয়। যে চারটি সূচকের কোনো তথ্য নেই, তা হলো জন্মহার, অনিরাপদ পানি ও অনিরাপদ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধির অভাবে মৃত্যুহার, স্বাস্থ্য সুযোগ-সুবিধার অনুপাত (যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যের প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয় ওষুধের সুবিধা রয়েছে) এবং নির্বাচিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার কারণে রক্তপ্রবাহের সংক্রমণের তথ্য। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. কাজী মো. রাশিদ উন নবীসহ ১৩ জন চিকিৎসক একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। সেখানে দেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে নেওয়া রোগীদের সুস্পষ্ট মতামত উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ রোগীকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খেতে হয়। যদিও তাদের হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়ার কথা। এছাড়া ১৮ শতাংশ রোগীকে সরকারি হাসপাতালের সেবা পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়। হাসপাতালে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে অসন্তুষ্ট ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ রোগী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।  স্বাগত বক্তব্য দেন পিএমআরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম।  এছাড়াও আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এবং জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৪

পছন্দের কোম্পানির ওষুধ না লেখায় চিকিৎসককে মারধর, আ.লীগ নেতা হাজতে
পছন্দের কোম্পানির ওষুধ না লেখায় এক নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনার মামলার আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবর ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম মৃধাকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শরীয়তপুরের ডামুড্যা বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত জুলহাস মাদবর ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও তার ভাগনে শহিদুল ইসলাম মৃধা ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রোমোশন অফিসার। ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন নারী চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বীর সঙ্গে কিছুদিন আগে ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রোমোশন অফিসার শহিদুল ইসলাম মৃধার পছন্দের ওষুধ লেখা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে। বিষয়টি শহিদুল ইসলাম মৃধা তার মামা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান সম্পাদক জুলহাস মাদবরকে জানান। এরপর গত বুধবার রাতে চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বীর বাড়ির কাছে তার পথরোধ করে হামলা চালান জুলহাস মাদবর, তার ছেলে ডামুড্যা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি লিখন মাদবর ও শহিদুল ইসলাম মৃধা। এ সময় নুসরাত তারিন তন্বীর চিৎকারে বাসা থেকে তার মা মাসুমা খাতুন ও চিকিৎসক স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় নুসরাত তারিন তন্বী ও মাসুমা খাতুনকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নুসরাত তারিন তন্বীর স্বামী মঞ্জুরুল ডামুড্যা থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই দিন দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবর ও শহিদুল ইসলাম মৃধাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  নারী চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বী বলেন, ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম বারবার তার কোম্পানির ওষুধ লিখতে আমাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। আমি তার দাবি না মানায় সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গতকাল রাতে শহিদুল, স্থানীয় জুলহাস মাদবর, তার ছেলে লিখন মাদবরসহ বেশ কয়েকজন লোক আমার ওপর হামলা চালায়। তারা ধাতব পদার্থ দিয়ে আমার মুখে আঘাত করলে আমি জখম হই।  পরে আমার চিৎকার শুনে আমার মা আর স্বামী আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। আমি বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমরা সরকারি চাকরি করতে গিয়ে গ্রামে সেবা দিতে আসছি, কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এমন হামলা মেনে নেওয়া যায় না। আমি এর বিচার দাবি করছি। নারী চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বীর স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ওরা চেয়েছিল ওদের কিছু মানহীন ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখতে। কিন্তু একজন চিকিৎসক হিসেবে একটি কোম্পানির ওষুধ ঢালাওভাবে লেখার সুযোগ নেই, তাই আমার স্ত্রী তাদের কথায় রাজি হয়নি। ওরা স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কাল রাতে আমার স্ত্রী ও আমাদের ওপর হামলা চালায়। চিকিৎসকেরা  সেবা দিতে গ্রামেগঞ্জে কাজ করে, এভাবে আমাদের ওপর হামলা হলে কেউ আর চিকিৎসা সেবা দিতে গ্রামে আসবেন না। আমরা এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।  আহত মাসুমা খাতুন বলেন, আমি আমার মেয়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে এগিয়ে যাই। পরে গিয়ে দেখি আমার মেয়েকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়। একজন নারী চিকিৎসক এখানে নিরাপদ না। আমরা কীভাবে থাকব। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবরের মামাতো ভাই এনামুল হক ইমরান বলেন, আমার ভাই কারও ওপরে হামলা করেনি। জুলহাস ভাইয়ের সঙ্গে চিকিৎসক ও তার মায়ের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পড়ে গিয়ে উনি আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ল্যাবএইড ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি শহীদ ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক তন্বীর ওপরে হামলা চালিয়েছে। এতে তিনি ও তার মা আহত হয়েছেন। তন্বীর মুখমণ্ডলে জখমের আঘাত রয়েছে। বর্তমানে উনি তার মা’সহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, একটি কোম্পানির ওষুধ না লেখা নিয়ে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৫

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় ফার্মেসিকে জরিমানা
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও অবৈধ ইনসুলিন পাওয়ায় চাঁদপুর শহরের মিলন ফার্মেসিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ জরিমানা আদায় করে। অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন রুবেল। তিনি জানান, শহরের ছায়াবানী মোড়ে মিলন ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও অবৈধ ইনসুলিন পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  অভিযানে সহযোগিতা করে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৭

ওষুধের দাম বাড়াতে চান শিল্প মালিকরা
অভ্যন্তরীণ বাজারে ওষুধের দাম আরও বাড়াতে চাচ্ছেন শিল্প-মালিক সমিতির নেতারা। এর পেছনে ব্যাংক ঋণের সুদ, জ্বালানি খরচ এবং ডলারের চড়া দরের অজুহাত দিচ্ছেন তারা। বাংলাদেশ ওষুধশিল্প মালিক সমিতির নেতাদের ভাষ্য, সার্বিকভাবে ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামের সমন্বয় দরকার। বৃহৎ এই শিল্পের ৮০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। ফলে ডলারের চড়া মূল্যের কারণে সংকটে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। এ ছাড়া জ্বালানি সরবরাহ কমে যাওয়ায় পুরোদমে চলছে না কারখানাগুলো। সার্বিকভাবে যা বাড়িয়েছে উৎপাদন ব্যয় এবং ব্যবসার খরচ। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে আবারো দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন মালিক সমিতির নেতারা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মুক্তাদির বলেন, এখন ডলারের দাম বেড়ে অফিসিয়ালি ১১০ থেকে ১১১ টাকা হয়েছে। আগে যা ছিল ৮৬ টাকা। আমরা ওষুধের কাঁচামাল আমদানি করতে ১১৯ থেকে ১২০ টাকায় ডলার কিনছি। ফলে পর্যায়ক্রমে ওষুধের দর বিন্যস্ত করার চিন্তা করছি।     প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আগে ডলারের মূল্য ছিল ৮৬ টাকা। এখন সেটা ১১০ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই খরচ বেড়ে গেছে। ফলে ওষুধের দাম বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। অন্যথায় ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে। এভাবে তো ব্যবসা চলতে পারে না।‘  সময়ের সঙ্গে ওষুধশিল্পের বিকাশ ঘটলেও কাঁচামাল উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। এমনকি বছর দশেক আগে এপিআই পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এখনও পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। এমন অবস্থায়  প্রয়োজনে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করে হলেও সেখানে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর  উপদেষ্টা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ওষুধের বাজার প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার। যার ৯৮ শতাংশের জোগানই আসে দেশীয় কারখানাগুলো থেকে। তাছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রপ্তানি হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার পণ্য। গেলো বছরের একই সময়ের তুলনায় যা বেড়েছে সোয়া ৮ শতাংশ। বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ।  
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৮

রোজ গ্যাসের ওষুধ খেলে হতে পারে যেসব সমস্যা
অনিয়মিত ও ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে অনেকেই আছেন যারা শারীরিক নানান সমস্যায় ভোগেন। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও অন্যান্য নানান কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই আছেন যারা প্রায়ই গ্যাসের ওষুধ খান। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই প্রতিদিন সকালে এই গ্যাসের ওষুধ গ্রহণ করেন। কিন্তু এই অভ্যাসের ফলে শরীরে কি প্রভাব পড়ছে জানেন কি- *যদি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সকাল-বিকেল নিয়মিত এই গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়া হয় তাহলে, পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ পুরোপুরি শূন্য হয়ে যেতে পারে। খাদ্যনালীতে ছোট ছোট ঘা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে।  *সকালে ঘুম থেকে উঠেই গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যে সকল খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়, সেই সকল খাবার খাওয়া বেছে বেছে বন্ধ রাখতে হবে। *যদি খুদা না পায়, তাহলে খাবার খাওয়ার কোনও দরকার নেই। দরকার পড়লে এক গ্লাস পানি খাওয়া যেতে পারে। যখন খাবারের প্রতি অনুভূতি আসবে তখনই খাবার খেতে হবে। *এসব করার পরেও যদি গ্যাসের সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। কনফার্ম হতে হবে গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স পজিটিভ কিনা। যদি পজিটিভ থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি যে ওষুধ দেবেন, সেগুলো খাওয়া যেতে পারে। 
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়