• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফরিদপুরে মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডে এলাকা রণক্ষেত্র, ২ ভাই নিহত
ফরিদপুরের মধুখালী মন্দিরের কালী প্রতিমায় আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হামলায় সহোদর দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের বারোয়ারী মন্দিরে আগুনের ঘটনা ঘটে। এরপর এই আগুন দেওয়ার অভিযোগে মন্দিরের পাশের স্কুলে নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের ওপর হামলা চালান স্থানীয়রা। নিহত শ্রমিকরা হলেন- মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে আশরাফুল (২১) ও আরশাদুল (১৫)।  জানা গেছে, হিন্দু অধ্যুষিত পঞ্চপল্লী গ্রামের ওই বারোয়ারি মন্দিরের কালী প্রতিমায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা মন্দির থেকে ২০ গজ দূরের পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশরুম নির্মাণকাজে নিয়োজিত মুসলিম সাত শ্রমিককে সন্দেহ করে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে অবরুদ্ধ করে মারপিট করে। খবর পেয়ে মধুখালী থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে গেলে হামলাকারীরা তাদেরও অবরুদ্ধ করে রাখে, এবং হতাহতদের উদ্ধারে বাধা দেয়। পরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মাগুরা জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ৪ জনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা যান। আহত আরও দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন সাংবাদিকদের জানান, মাগরিবের নামাজ শেষে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার অজিত বাবুর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান হাজার হাজার জনতা। তিনি জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনকে ফোনে অবহিত করেন। পরবর্তীতে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।  জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মধুখালী সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, একটি মন্দিরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। বিক্ষুব্ধ লোকজন নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে, মারপিট করেছে। এতে দুই ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশ সুপার জানান, শত শত মানুষ এই হামলায় অংশ নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংখ্যক শটগানের ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হলেও ঠিক কতজন সদস্য আহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারিনি। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তালুকদার জানান, তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের জন্য বলা হয়েছে। তারা শুক্রবার সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে।
১২ মিনিট আগে

‘দেশের পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার’
দেশের পাহাড়ি এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ব্যাংক ডাকাতি, থানায় হামলা, অস্ত্র লুটপাট ও অপহরণের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের। রংপুরে সাত দিনের সফরের ১ম দিনে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে এর আগেও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে। সে হিসেবে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। সুশাসনের অভাব এবং সরকারের জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়ত হচ্ছে।  জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশের কোনো দুর্ঘটনা এখন আর কোনো দুর্ঘটনা না এটা এখন স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদাসিনতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকার কারণে বারবার ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা, থানায় হামলাসহ সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে।  সে সমস্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ সময় জেলা প্রশাসক মোবাশ্বর হাসানসহ জেলা ও মহানগরের স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৩

থমথমে থানচি, আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই
বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে থানচি বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকে।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও পুলিশের সতর্ক পাহারা দেখা গেছে। বাজার এলাকা থেকে চান্দের গাড়িতে স্থানীয়দের এলাকা ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে পুলিশ বলছে, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। সরেজমিনে থানচি এলাকায় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার থানচি পাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করা হয়েছে পুলিশ পাহারায়। থানা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের এই মসজিদে নামাজ শুরুর আগেই অস্ত্র হাতে অবস্থান নেয় পুলিশ। সকাল থেকে ট্রাকে করে নারী-পুরুষদের এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে। এ সময় তাদের সঙ্গে খাবার ও অতিরিক্ত কাপড় দেখা গেছে। থানচি সদর উপজেলার বাজারের বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বন্ধ। যারা খুলেছেন, তারাও আছেন আতঙ্কে। থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, গতকালের হামলার পর সন্ত্রাসীরা থানার এক থেকে দেড় কিমি এলাকার মধ্যে অবস্থান করছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। আমাদের ধারণা, পুলিশের ওপর হামলা করে তারা নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে ও অস্ত্র লুটের পরিকল্পনা করছে। আগামীকাল রাতে দুটি জায়গা থেকে তাদের দুটি দল তইক্ষণ পাড়া ও শাহজাহান পাড়া থেকে হামলা চালিয়েছে। থানার জন্য বাড়তি ফোর্স আনা হয়েছে এবং আরও ফোর্স আনা হচ্ছে। সবাই অস্ত্র নিয়ে থানায় চারপাশে সতর্ক অবস্থানে আছে। প্রসঙ্গত, বান্দরবানের দুই উপজেলায় গত মঙ্গলবার রাতে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। পরে গভীর রাতে আলীকদম উপজেলায় পুলিশ ও সেনাদের একটি যৌথ তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে গতকাল কারা গুলি চালিয়েছে, এ বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। যদিও এর আগে মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ এবং পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে বলা হয়েছিল। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র‍্যাব। শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৯

স্বজনদের আহাজারিতে ভারী ঢাকা মেডিকেল এলাকা
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হচ্ছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণ কক্ষে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে। কক্ষের বাইরে দগ্ধদের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। এ এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। দ্রুতবেগে ছুটছে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স৷ আহতদের নিয়ে ফিরছে হাসপাতালে। সবাই চিন্তিত, সবার চোখে পানি। চারদিকে মানুষের কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায়,  রদেহ নিতে স্বজনরা অপেক্ষা করছেন। এসময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে।স্বজনরা পূর্ণ ঠিকানাসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়ে মরদেহ বুঝে নেওয়ার অপেক্ষা করছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সর্বশেষ রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমকে ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন আগুনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুক সাংবাদিকদের জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আরও একজন মারা গেছেন।
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫

ঘুমধুমে ৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, সীমান্ত এলাকা মানবশূন্য 
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ১৮ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলছে গোলাগুলি। এ ঘটনায় ঘুমধুম সীমান্তের ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ও সীমান্তে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। এতে সীমান্তঘেঁষা এলাকা প্রায় মানবশূন্য হয়ে পড়েছে। তবে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন। জেলা প্রশাসক জানান, বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ছাত্রছাত্রী ও সীমান্তে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  জেলা প্রশাসক আরও জানান, সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকাগুলোতে কয়েকজন পুরুষ ছাড়া বাকি সবাই নিজ উদ্যোগে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ রাখার হবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, রোববার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে প্রবীর ধরসহ (৫৮) স্থানীয় তিন বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গোলাগুলির সময় একটি মর্টারশেল সীমান্ত অতিক্রম ওই এলাকার একটি বাড়িতে এসে পড়ে। রোববার সকাল থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের ৯৫ জন বিজিপি সদস্য বিজিবির ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়