• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সিঙ্গাপুর থেকে স্বল্পমেয়াদে এলএনজি সরবরাহে নীতিগত অনুমোদন দিল সরকার 
সিঙ্গাপুরের গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃক স্বল্পমেয়াদে এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধনী-২০২১)-এর আওতায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। এ সময় তিনি জানান, দুই বছরের জন্য এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই নীতিগত অনুমোদনের পরে প্রস্তাবটি ক্রয়কমিটিতে পাঠানো হয়। তখন টাকার অঙ্ক জানা যায়। অপর এক প্রস্তাবে একই আইনের আওতায় কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৬০০ এমএমসিএফডি রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রস্তাবিত দেশের তৃতীয় এফএসআরইউ স্থাপনে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের (এসওএসসিএল) সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।  চুক্তিটি সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের (এসওএসসিএল) পরিবর্তে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোং লিমিটেডের সঙ্গে করা হয়েছে। এটি সামিটেরেই আরেকটি কোম্পানি; শুধু নামটা পরিবর্তন হয়েছে। 
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

সিঙ্গাপুর থেকে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত
সিঙ্গাপুর থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় করা হবে ৪২৯ কোটি টাকা। সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড’ এ এলএনজি সরবরাহ করবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ (সংশোধনী ২০২১) এর আওতায় এ গ্যাস আনা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এর দাম পড়ছে ৯ দশমিক ৯৩ মার্কিন ডলার। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্সেস এগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই করা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কোটেশন সংগ্রহ করে এক কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। তিনি আরও জানান, সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড’ থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪২৯ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর আগে, গত ২২ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড’ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ দশমিক ৮৮ মার্কিন ডলার হিসাবে ওই কার্গোটি আমদানিতে ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ মোট ব্যয় হবে ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১১

বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে কাতার-যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির মধ্যে চুক্তি 
বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের জন্য কাতারের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানি কাতার এনার্জি ও যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এই দুই কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, বছরে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ টন করে টানা ১৫ বছর দুই কোম্পানি বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহ করবে। ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে সরবরাহ শুরু হবে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার এই দুই কোম্পানির মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি ইউরোপীয় ও এশীয় দেশগুলোর কাছে এলএনজি সরবরাহেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কাতার এনার্জি। এজন্য নর্থ ফিল্ড এক্সপ্যানশন বা সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব সরবরাহ চুক্তির ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে কাতারের এলএনজি উৎপাদন ৭৭ মিলিয়ন টন থেকে ১২৬ মিলিয়ন টনে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাতার এনার্জির তথ্য অনুযায়ী, কাতারের কাছ থেকে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে ৮ লাখ ৫০ হাজার টন এবং ২০২৮ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে ১০ লাখ টন এলএনজি কিনে বাংলাদেশের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। কাতার এনার্জির প্রধান নির্বাহী (সিও) সাদ আল–কাবি এক বিবৃতিতে বলেন, নতুন চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এরমধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জ্বালানির চাহিদা যেমন মিটবে, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথেও খানিকটা এগিয়ে যাবে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১০

এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন, হতে পারে লোডশেডিং
কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং হতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। শনিবার (২০ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। সাময়িক এ সমস্যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তারা বলেছে, সমস্যার দ্রুত সমাধানে কাজ চলছে। এতে বলা হয়, মহেশখালীতে টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় বর্তমানে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কম হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অতি দ্রুত সমাধানে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের কিছু কিছু এলাকায় খুবই স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন জানান, মহেশখালীতে টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটিতে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এতে সাময়িকভাবে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে দেশের কিছু অঞ্চলে হয়তো লোডশেডিং হতে পারে।   সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় কাজ করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এটি সাময়িক সমস্যা; যা দ্রুত কেটে যাবে। গ্রাহকদের অনাকাঙ্ক্ষিত অসুবিধার জন্য মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এর আগে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে আনা মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল সময়মতো চালু করতে না পারায় শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দেশের পূর্বাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ ছয় জেলায় গ্যাস সরবরাহে বিপর্যয় ঘটে। বিতরণ কোম্পানির আগাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হঠাৎ বিপর্যয়ে রান্না করতে না পেরে খাবারের কষ্টে পড়েন সাধারণ গ্রাহকেরা। পাশাপাশি শিল্পকারখানার উৎপাদনও বিঘ্নিত হয়। ছয় জেলার মধ্যে রয়েছে কর্ণফুলী বিতরণ কোম্পানির (কেজিডিসিএল) আওতাধীন চট্টগ্রাম, বাখরাবাদের কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর এবং তিতাসের নারায়ণগঞ্জ। জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা এলএনজির বড় অংশ এসব জেলায় সরবরাহ করা হয়।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়