• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি জেলা আ.লীগের
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।    সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।    এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।  অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কী থেকে বহিষ্কার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাইরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।
২২ ঘণ্টা আগে

সংসদ এলাকায় ড্রোন, মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপি পুত্র
সংসদ ভবন, পুরাতন বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন এবং বঙ্গভবনসহ রাজধানীর ভিভিআইপি ও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ। নববর্ষ উপলক্ষে মানিক অ্যাভিনিউ সড়কে আঁকা আল্পনার ছবি ও ভিডিও করতে গত ১৫ এপ্রিল স্পর্শকাতর এই এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে বিপাকে পড়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজার ছেলে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ (২৮)। শেরেবাংলা থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে অবশ্য এ ঘটনায় মুচলেকা দিয়ে  ছাড়া পেয়েছেন তিনি। ড্রোন ওড়ানো প্রসঙ্গে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আঁকা আলপনার একটি ভিডিওগ্রাফি ও ছবি তোলার জন্য তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ড্রোন MAVIC AIR-3 ব্যবহার করেন এবং এটি তার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এলাকাটি রেস্ট্রিক্টেড এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন থাকা উচিত ছিল জানিয়ে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতেও আর কখনও করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন মায়াজ। নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ রয়েছে। বিশেষ করে রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী দেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে (www.caab.gov.bd) দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে। সম্প্রতি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুমতি ছাড়া ড্রোন না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (ইউএভিআরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও ডিভিশনের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি মো. রওশানুল হক সৈকত বলেন, নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর সবদেশেই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। আমাদের দেশেও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ। এটা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী ড্রোন অপারেশন জোন রয়েছে, যেখানে রেড জোনে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। বিমানবন্দর বা বিশেষ কেপিআই রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রেড জোনে ড্রোন উড়ানো যাবে না; এ বিষয়ে সকলেরই সচেতন হওয়া জরুরি। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ওতপ্রোভাবে জড়িত। বঙ্গভবন, গণভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যানসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে ড্রোন ওড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে এডিসি সৈকত বলেন, আশা করি সবাই এ বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকবেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪০

পদত্যাগের হুমকি দিলেন এমপি ওদুদ
যুবলীগ নেতা খায়রুল আলম জেম হত্যার বিচার না পেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওদুদ সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ১নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুরে এক মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, এক বছর হয়ে গেলেও জেম হত্যা মামলার চার্জশিট দিতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। কিন্তু কতিপয় পুলিশের কারণে গোটা পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হলে তা ভাল হবে না। তাই আগামী ১০ দিনের মধ্যে জেম হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়া না হলে মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।  তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-শিবগঞ্জ সড়ক অবরোধ করা হবে। এরপরও না হলে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে। এরপরও না হলে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিষয়টি তুলে ধরা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেম হত্যার বিচার না হলে আমি সংসদ থেকে পদত্যাগ করবো। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকলীগ নেতা আব্দুল হাকিম, আ.লীগ নেতা মজিবুর রহমান, ইফতেখার আহমেদ রঞ্জু প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ এপ্রিল ২৭ রমজানের দিন ইফতারের আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড়ে যুবলীগ নেতা খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় মামলা হলে মামলার অন্যতম আসামি কৃষকলীগ নেতা মেসবাহুল ইসলাম টুটুল আদালতে স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে হত্যার দায় স্বীকারসহ এরসঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৮

দুদকের মামলায় সাবেক এমপি কাদের খানের চার বছরের কারাদণ্ড 
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা কর্নেল (অব.) ডা. আব্দুল কাদের খানকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৭৯১ টাকার অর্থদণ্ডও হয়েছে তার। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তবে, সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাপা নেতাকে ওই অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু এসব তথ্য জানিয়েছেন। জানা যায়, গাইবান্ধা-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলামকে (লিটন) হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার হন কাদের খান। অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তাকে বগুড়া শহরের বাসায় ছয় দিন ‘নজরবন্দি’ করে রাখার পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর কয়েক দিন পরেই কাদের খানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগ, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৬মে রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ। মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে আবদুল কাদের খান ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম গত বছরের ১০ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রায়ের আগে কাদের খানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজার পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৫

আত্মসমর্পণ করে কারাগারে সাবেক এমপি মান্নান
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এর আগে আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আব্দুল মান্নান। তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। অপরদিকে দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য জানান। চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. আব্দুল মাজেদ ঢাকা-১ প্রধান কার্যালয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। এই ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা। জানা গেছে, গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক পরিচালক মেজর মান্নানের মেয়ে তানজিলা মান্নান, বিআইএফসির সাবেক এভিপি অ্যান্ড ইউনিট হেড আহমেদ করিম চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র অফিসার (বিজনেস) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র অফিসার ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার এস এম মোস্তাফিজুর রহমানও আসামি।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়তে সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ চাই : এমপি জাহাঙ্গীর
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন পদে মুরাদনগরের কৃতি সন্তানরা কাজ করছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন মুরাদনগরের মেধাবী সন্তানরা। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী পাঁচ বছরে ‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়ে তুলতে চাই। বুধবার (২৭ মার্চ) বুয়েট কেমিকৌশল বিভাগের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভা এবং ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এতে মুরাদনগরের কৃতি সন্তান বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম খান। সঞ্চালনা করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রাজ্জাক। মুরাদনগরের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বর্তমানে নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার উপর ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।  রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, মুরাদনগর উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক সন্তান বিসিএস ক্যাডার হিসেবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নানা পদে দায়িত্ব পালন করছেন। মুরাদনগরের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী আকারে বিভক্ত করে কাজ করতে হবে। সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কাজগুলোর দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য ড. মো. হেলাল উদ্দিন এনডিসি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বাস্তবায়নাধীন মুরাদনগরের প্রকল্পগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের উপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নেয়া প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন এবং তা সঠিকভাবে ও মানসম্মত হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা প্রয়োজন। এজন্য স্থানীয়দের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।  বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট ড. মহিদুস সামাদ খান বলেন, মুরাদনগরে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বাংলাদেশের তিনটি গ্যাসক্ষেত্র এই এলাকায় হওয়ায় শিল্প কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রপ্তানি-নির্ভর শিল্পে সরকারি প্রণোদনার দিকে দৃষ্টি দেয়া এবং চীন, জাপানসহ বিভিন্ন বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।  ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) এমডি আব্দুল্লাহ নোমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর জোর দিয়ে বলেন, মুরাদনগর উপজেলাকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারলে তা শুধু স্থানীয় চাহিদাই মেটাবে না, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় খাদ্যপণ্য রপ্তানিতেও ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।  মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর তার বক্তব্যে মুরাদনগরের আধুনিকায়নে তার বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্মার্ট উপজেলা কমপ্লেক্সের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে, যেখানে থাকবে ফ্রি ওয়াইফাই জোন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের জন্য মুরাদনগরে হাই স্পিড ডাটা কানেক্টিভিটি, শেখ রাসেল আইটি ইউনিভার্সিটি স্থাপন, ইপিজেড স্থাপন, এগ্রো বেইজড প্রকল্পের সংখ্যা বাড়ানো, নারী কর্মসংস্থান, বেকারত্ব নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং বর্জ্য থেকে জ্বালানি তৈরিসহ নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মো. আব্দুল হাকিম খান বলেন, একটি জনপদকে কয়েক হাজার বছর এগিয়ে দিতে পারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি মুরাদনগরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।  অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল হক, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নাছিম খান, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক (মহাব্যবস্থাপক-প্রকল্প) মো. বোরহান উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম খান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. গোলাম ফারুক, বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, অধ্যাপক ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক সাজিদ মুহাইমিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, ঢাকাস্থ মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের শিক্ষার্থীবৃন্দ।  উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ মুরাদনগরের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, ঐতিহ্যবাহী শ্রীকাইল কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, বেকার সমস্যার সমাধান, যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, মুরাদনগরসংলগ্ন প্রস্তাবিত ঢাকা চট্টগ্রাম রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপন, শিল্পায়ন ও আধুনিক কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে ‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়ার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২২

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এমপি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা 
বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু ও তার স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে এ দম্পতির বিরুদ্ধে।  সোমবার (২৫ মার্চ) দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুই মামলার একটিতে রেজাউল করিম বাবলুর বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক এমপি বাবলু স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে আয় ও ব্যয় মিলিয়ে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য। অপর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রেজাউল করিম বাবলুর স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুন একজন গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও তার বিরদ্ধে ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। তার সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় ১ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকার। অর্জিত সম্পদের বিপরীতে তার দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১৫ লাখ টাকা। যা বাদ দিলে নিট সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকা। এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার নিট আয় পাওয়া যায় ২১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। বাকি ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার সম্পদ অবৈধ বলে বেরিয়ে এসেছে দুদকের অনুসন্ধানে। গত ২০ মার্চ এ বিষয়ে পৃথক দুটি মামলার অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। রেজাউল করিম বাবলু একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। বগুড়া-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।  
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:১০

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এমপি শান্তর মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন
ময়মনসিংহ নগরীতে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ইফতার আয়োজন করেছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত। রমজানের প্রথম দিন থেকে একমাস চলবে এই ইফতার আয়োজন কার্যক্রম। আর চেয়ার টেবিলে বসে ইফতার করতে পেরেও খুশি এসব দরিদ্র মানুষগুলো। সরেজমিনে দেখা গেছে রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর মিন্টু কলেজ মাঠে ইফতার করেছেন প্রায় সাত শতাধিক শ্রমজীবী অতিথি। এই অতিথিদের সবাই অসহায় ও হতদরিদ্র শ্রমজীবী।  আয়োজকেরা জানান, প্রতিদিন পঞ্চাশ কেজি চালের সঙ্গে একশত কেজি মুরগি দিয়ে পাঁচ শতাধিক অতিথির জন‍্য খিচুড়ি রান্না করা হয়। সেই খিচুরি, শরবত ও খেজুর দেওয়া হয় ইফতারে।   দেখা যায়, বিকেল ৬টা বাজতেই নগরীর রিক্সা ও অটো চালকরা দলে দলে এসো জড়ো হয় মিন্টু কলেজ গেটে। এরপর তারা কলেজ মাঠের ফাঁকা স্থানে রিক্সা ও অটো সারিবদ্ধ ভাবে রেখে চেয়ারে বসছেন ইফতার করতে। এতে অংশ নিচ্ছেন অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষরাও। জেলা যুবলীগের সদস্য এবিএম আখতারুজ্জামান রবিন জানান, রমজান মাসে আমরা চাই ধনী-গরীব সবাই এক সঙ্গে ইফতার করি। সামর্থ্যবান মানুষগুলো এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে সমাজে এক ধরনের দৃষ্টান্ত স্থাপন হত। এমপি শান্তর উদ্দেশ্য অসহায়দের পাশে দাড়ানো। সেই মনোভাব থেকেই এই আয়োজন।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৬

রাজশাহী-৪ আসনের এমপি আবুল কালামকে শোকজ
শিষ্টাচারবহির্ভূত ও সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্য প্রদানের জন্য রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে শোকজ করা হয়েছে। গত ১৯ মার্চ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া দলের সভাপতির পক্ষ থেকে শোকজ নোটিশটি আবুল কালাম আজাদের কাছে পাঠান। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এমপি নোটিশটি গ্রহণ করেছেন। নোটিশ গ্রহণ পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দলের সভানেত্রীর কার্যালয় ধানমন্ডিতে যথাযথ নিয়ম মেনে জবাব প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। নোটিশে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে আপনার দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। শিষ্টাচারবহির্ভূত আপনার প্রদত্ত এসব বক্তব্য কার্যত সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতে আরও বলা হয়, আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না-তার ব্যাখ্যাসহ লিখিত জবাব নোটিশ প্রাপ্তির পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দলের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছাতে হবে। এ বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি।
২২ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৮

সংসদ ভবনে এমপি আব্দুল হাইয়ের জানাজা অনুষ্ঠিত
জাতীয় সংসদ ভবনে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার (১৭ মার্চ) মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পাঁচ নম্বর সংসদ সদস্য ভবন প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।  জানাজা শেষে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ হুইপদের পক্ষে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।  এছাড়া, আওয়ামী লীগ ও ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। জানাজার নামাজে জাতীয় সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।  ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে চতুর্থ জানাজা শেষে সংসদ সদস্য আব্দুল হাইকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে। গত ১৬ মার্চ ভোরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ইন্তেকাল করেন। মরহুমের মরদেহ সেদিনই রাত ১টা ৫০ মিনিটে  ফ্লাইটযোগে থাইল্যান্ড থেকে ঢাকায় আনা হয়। এরপর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পাঁচ নম্বর সংসদ সদস্য ভবন প্রাঙ্গণে আনা হয়। ২০০১ সাল থেকে নৌকা প্রতীকে টানা পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মো. আব্দুল হাই। মাঝে কিছুদিন তিনি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১২:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়