• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বইমেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি
দুই দিন বর্ধিত বইমেলার আজ শেষ দিন। সে হিসেবে শুরু হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। এবারের একুশে বইমেলার ৩১ দিন শেষে মেলায় নতুন বই এসেছে ৩৭৫১টি। এ বছর মেলায় আনুমানিক ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। ১ মার্চ পর্যন্ত মেলায় এসেছেন প্রায় ৫৯ লাখ দর্শনার্থী। শনিবার (২ মার্চ) মেলার ৩১তম ও শেষ দিনে সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। তিনি বলেন, এ বছর তিন হাজার ৭৫১টি বই প্রকাশিত হয়েছে। আগামী বছর আরও সফল মেলা আয়োজন করা হবে।’ জানা গেছে, গত দুই বছরের তুলনায় অমর একুশে বইমেলায় বইয়ের বিক্রি বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এই বিক্রি ১৩ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ কোটিতে, যা ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে সাড়ে সাত কোটি। যদিও দেশে করোনা অতিমারির শুরুর আগের মাসের বিক্রির তুলনায় এই বৃদ্ধিকে বলা চলে নগণ্য। কারণ, সে বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে বিক্রি হয়েছিল ৮২ কোটি টাকার বই। এবারের অমর একুশে বইমেলাতে প্রায় ৬০ কোটি টাকার মতো বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৬০ লাখ মানুষ মেলাতে প্রবেশ করেছে। শনিবার (২ মার্চ) বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সদস্য-সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলামের পক্ষে একাডেমির প্রশাসন উপবিভাগের উপ-পরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ এ তথ্য জানান। সমাপনি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এতে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিশেষ অতিথি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৮

আরও দুইদিন বাড়লো বইমেলার সময়সীমা
আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর সময়সীমা। ফলে ২৯ ফেব্রুয়ারির পর আগামী ১ ও ২ মার্চ শুক্রবার এবং শনিবারও অনুষ্ঠিত হবে মেলা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি। তিনি জানিয়েছেন,  বইমেলার সময়সীমা দুদিন বাড়ানোর আবেদনে সাড়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত বইমেলা চলবে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নুরুল হুদাও রাত ৯টায় বইমেলার ঘোষণা কেন্দ্র থেকে মেয়াদ বাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সদয় সম্মতিক্রমে বইমেলা দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলার সময় আরও দুই দিন বাড়ানোর জন্য বাংলা একাডেমিকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক বিক্রেতা সমিতি। চিঠিতে বলা হয়, ‘অমর একুশে বইমেলা শুরু হওয়ার প্রথম তিন দিন মেলাপ্রাঙ্গনের প্রস্তুতি ও বৃষ্টিজনিত সমস্যার কারণে মেলায় অংশ নেওয়া প্রকাশকরা যথাযথভাবে বিক্রি শুরু করতে পারেনি। সে কারণে অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। তাই ১ ও ২ মার্চ শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় দুই দিন অমর একুশে বইমেলার সময় বৃদ্ধির অনুরোধ করছি।’ মূলত এই বছর অধিবর্ষ হওয়ার কারণে বইমেলা ২৯ দিন হওয়ার কথা ছিল। এখন দুইদিন বাড়ানোর ফলে এবারের মেলা হচ্ছে ৩১ দিন।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩২

এবার বাংলা একাডেমি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন যারা 
একুশে বইমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি পরিচালিত চারটি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ব্যবস্থাপনা উপকমিটির আহ্বায়ক ড. তপন কুমার বাগচীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে গুণীজনের নামে পুরস্কার দেওয়ার এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর চিত্তরঞ্জন সাহা, মুনীর চৌধুরী, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই ও শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪  পাচ্ছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কথাপ্রকাশ। গত বছর গুণমান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা বই হিসেবে নির্বাচিত মনজুর আহমদ রচিত ‘একুশ শতকে বাংলাদেশ:শিক্ষার রূপান্তর’ এর জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত ‘যাত্রাতিহাস: বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত’ এর জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত ‘কিলো ফ্লাইট’ এর জার্নিম্যান বুকসকে দেওয়া হচ্ছে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার। ২০২৩ সালে গুণমান বিচারে সর্বাধিক সংখ্যক শিশুতোষ বই প্রকাশের জন্য রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ময়ূরপঙ্খি। এবারের বইমেলায় কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪ দেওয়া হবে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেঙ্গল বুকস, নিমফিয়া পাবলিকেশন ও অন্যপ্রকাশকে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২১

মালয়েশিয়ায় বসতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
শতাধিক দেশের অংশগ্রহণে মালয়েশিয়ায় বসতে যাচ্ছে ‘কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম একাডেমি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন কেএল আইফা'র চেয়ারম্যান টুংকু আজলান ইবনি সুলতান আবু বকর। উৎসবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এখন পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে ৯৮টি দেশের ৩ হাজার ১৩৫ টি। চলতি বছরের ৭ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই চলচ্চিত্র উৎসব।   এবারের উৎসবে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে জানান আয়োজকরা। তারা প্রত্যাশা করছেন সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পরিণত হবে এই আয়োজন। প্রাথমিকভাবে ৯৮ টি দেশ অংশ নিলেও আরও অনেক দেশ অংশ নেবে বলেও প্রত্যাশা করেন আয়োজকরা। এ আয়োজনে সারা বিশ্বের তারকারাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানান তারা। জমকালো এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ ১৬ টি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর জি এম রাসেল রানা। তিনি বলেন, এটি একটি অসাধারণ আয়োজন যেখানে বাংলাদেশকে কান্ট্রি অব অনার হিসাবে সম্মানিত করা হয়েছে। এই আয়োজনে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব চলচ্চিত্র অঙ্গনে বার্তা পৌঁছানোর সুযোগ পাবে। বাংলাদেশকে কান্ট্রি অব অনার ঘোষণায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এ কূটনীতিক।       কেএল আইফা'র চেয়ারম্যান বলেন, সারা বিশ্বের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও তারকাদের ভালো কাজে উৎসাহিত করতে আমাদের এই আয়োজন। কুয়ালালামপুরকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের নতুন ঠিকানা হিসাবে আমরা পরিচিত করাতে চাই বলে মন্তব্য করেন তিনি।   এবারের উৎসবে ফিচার ফিল্ম, টেলিভিশন নাটক, ডকুমেন্টরিস, শর্ট ফিল্ম এন্ড অ্যানিমেশন ক্যাটাগরিতে সেরাদের পুরস্কৃত করা হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে এসব ক্যাটাগরিতে আগ্রহীরা আগামী ৩১ মে ২০২৪ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০২

জাতীয় শিশু পুরস্কারে সেরাদের সেরা মনোরমা ও শাহিনুর
জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২২-এর সেরাদের সেরা নির্বাচিত হয়েছে মনোরমা দাস ধৃতি এবং জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২৩-এর সেরাদের সেরা নির্বাচিত হয়েছে শাহিনুর আক্তার। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। মনোরমা দাস ধৃতি জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় ভরতনাট্যম, সৃজনশীল নৃত্য এবং মণিপুরী নৃত্য বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে সেরাদের সেরা নির্বাচিত হন। জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ তিনটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করা যায়। তিনটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে তিনটিতেই প্রথম স্থান অধিকার করলে তাকে সেরাদের সেরা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।  প্রতিবারের মতো এবারও থানা, উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মোট বিষয় ৩০টি। এই প্রতিযোগিতায় ৮টি বিভাগীয় পর্যায় ক, খ ও গ শাখায় যারা প্রথম স্থান অধিকার করেছে, তারাই অংশগ্রহণ করেছে চূড়ান্তপর্বের প্রতিযোগিতায়। ২০২২ ও ২০২৩-এর জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় সর্বমোট প্রতিযোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ২ হাজার ২৯৩ জন। অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্য ছেলে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৮ জন এবং মেয়ে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৯৯৫ জন। জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২২-এ অংশগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮২৩ জন। এদের মধ্যে ছেলে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯০ জন এবং মেয়ে ২ লাখ ৮ হাজার ৮৩৩ জন। জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২৩-এ অংশগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা ৪ লাখ ৭ হাজার ৪৭০ জন। এদের মধ্যে ছেলে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩০৮ জন এবং মেয়ে ২ লাখ ১০ হাজার ১৬২ জন।  দুই বছর মিলিয়ে বিজয়ী হয়েছে মোট ৪৭৪ জন। যোগ্যতার ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২২ ও ২০২৩-এর। জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পর্কে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন বলেন, আনন্দের বিষয় এবারই প্রথমবারের মতো আমরা সেরাদের সেরা পেয়েছি। জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২২-এর সেরাদের সেরা নির্বাচিত হয়েছে মনোরমা দাস ধৃতি এবং জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২৩-এর সেরাদের সেরা নির্বাচিত হয়েছে শাহিনুর আক্তার। এই দুইজন তিনটি বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।  পুরস্কার বিজয়ী ৪৭৪ জন শিশুর মাঝে আজ পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটল জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২১

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ী ১৬ জনের হাতে সম্মাননা তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‌‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। মোট ১১ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কথাসাহিত্য, নাটক, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণা এবং ফোকলার ক্যাটাগরিতে এবার যৌথভাবে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ বছর যারা পুরস্কার পেয়েছেন- কবিতায় শামীম আজাদ, কথাসাহিত্যে নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সালমা বাণী, প্রবন্ধ/গবেষণায় জুলফিকার মতিন, অনুবাদে সালেহা চৌধুরী, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে মৃত্তিকা চাকমা ও মাসুদ পথিক, শিশুসাহিত্যে তপংকর চক্রবর্তী, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় আফরোজা পারভীন ও আসাদুজ্জামান আসাদ, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ও মো. মজিবুর রহমান, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশ বিজ্ঞানে ইনাম আল হক, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনিতে ইসহাক খান এবং ফোকলোরে তপন বাগচী ও সুমনকুমার দাশ। পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ও লেখকদের হাতে দুই লাখ টাকার চেক, একটি করে সম্মাননা পত্র ও সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়। ১৯৬০ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।  
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৭

বিকেলে বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বছর ঘুরে আবারও এলো ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। প্রতিবছরের মতো এবারও ভাষা শহীদদের স্মরণে মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা জানান, প্রধানমন্ত্রী বইমেলা উদ্বোধনের পাশাপাশি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ বিতরণ করবেন। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগৃহীত রচনা: দ্বিতীয় খণ্ড’ সহ কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন।  এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’ এবার বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এ বছর বইমেলায় মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাসব্যাপী সেমিনারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য ছবি আঁকা, সংগীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকবে। এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ও পুনর্মুদ্রিত ১০০ বই। বইমেলায় অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন এবং শিশুকিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য ১টি স্টল থাকবে। বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিরাপত্তার জন্য মেলায় তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা রয়েছে। বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৩

বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন জাকির তালুকদার
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এই তথ্য জানান। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর এক লাখ টাকা অর্থমূল্য ফেরতের ব্যাংক চেকের ছবি এবং পুরস্কার ফেরত দেওয়ার চিঠি সংযুক্ত করে দিয়ে স্ট্যাটাসের ক্যাপশনে জাকির তালুকদার লিখেছেন, ‌‘পাঠিয়ে দিলাম। খুব ভারমুক্ত লাগছে।’ কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার তার ‘মুসলমানমঙ্গল’ গ্রন্থের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১০ বছর পর তিনি এটি ফেরত দিলেন।  জাকির তালুকদার বলেন, বাংলা একাডেমির গণতন্ত্রহীনতা, প্রতিষ্ঠানের মানের নিম্নগামিতা, আমলাতান্ত্রিকতা, ২৫ বছর ধরে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন না দিয়ে নিজেদের পছন্দমত একাডেমি চালানোর জন্য বাংলা একাডেমি সচেতন মানুষের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের মান যখন নিম্নগামী হতে থাকে, তখন এই পুরস্কার অর্থহীন হয়ে যায়। এজন্যই আমি পুরস্কার ফেরত পাঠিয়েছি। এদিকে গত ২৪ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ ঘোষণা করা হয়। সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এ বছর ১৬ জন পুরস্কার পাচ্ছেন। কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদারের ২৪টির বেশি সাহিত্যকর্ম আছে। এর মধ্যে ‘পিতৃগণ’, ‘কুরসিনামা’, ‘কবি ও কামিনী’, ‘ছায়াবাস্তব’, ‘রাজার সেপাই’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৩

একুশে বইমেলা / পুরোদমে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে বাঙালির প্রাণের ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী চলবে এই মেলা। তাই জোরেশোরে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল মাঠজুড়ে পুরোদমে চলছে স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণকাজ। বাঁশের খুঁটি ও ফ্রেমিংয়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছু কিছু স্টলের কাঠামো এরইমধ্যে দাঁড়িয়ে গেছে। কেউ আবার কাউন্টার শেল্ফ তৈরি, রং-চং আর লাইটিংয়ের কাজে ব্যস্ত।  মেলার প্যাভিলিয়ন তৈরিতে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক বলেন, অল্প সময়ের মধ্য চাপ নিয়ে স্টল-প্যাভিলিয়ন করতে হয়। সময় একটু বেশি পেলে ভালো হয়। তারপরেও অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও মিস্ত্রি পুরোদমে কাজ করছেন। স্টল নির্মাণ, বইয়ের তাক নির্মাণ এবং ভেতরের ডেকোরেশনের জন্য আলাদা আলাদা মিস্ত্রি কাজ করছেন। আশা করছি, মেলা শুরুর আগেই সব কাজ শেষ হবে।  প্রকাশনীর মালিক ও তাদের প্রতিনিধিরা বলছেন, কাঠমিস্ত্রি, রং মিস্ত্রি, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, ডিজাইনারসহ নানা পেশার মানুষের শ্রমে-ঘামে গড়ে ওঠে একেকটি স্টল। আশা করছি, এবারও মেলায় প্রচুর পাঠক আসবে। বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমি মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মেলার পূর্বপ্রস্তুতি ও পর্যবেক্ষণের জন্য সাতটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি গতবার যেসব অভিযোগ ছিল এবার থাকবে না। প্রকাশনী নিয়েও অস্থিরতা নেই। তিনি আরও বলেন, বিগত বছরের মতো এবারও মেলার অবকাঠামোগত বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে। একটা গলির সামনে দাঁড়ালে এর শেষ মাথা দেখা যাবে। গুচ্ছ আকারে থাকবে না। প্যাভিলিয়ন ও স্টলের লাইন আলাদা থাকবে, যাতে স্টল খুঁজে পেতে সহজ হয়। এদিকে বইমেলা ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যা থাকছে-    ১. প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে।   ২. বইমেলার ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে।   ৩. সিসিটিভি দিয়ে মেলার ভেতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।   ৪. নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় থাকবে ওয়াচ টাওয়ার ও ফায়ার টেন্ডার এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও থাকবে।   ৫. অনুষ্ঠানস্থল সুইপিং করা, সাদা পোশাকে বিশেষ টিম মোতায়েন, বিলবোর্ড, ব্যানার ও মাইকিং করে দিক-নির্দেশনা দেয়া হবে।   ৬. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটরিং এবং মেলাপ্রাঙ্গণ ড্রোন দিয়ে মনিটরিং করা হবে।   ৭. সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল টিমও স্ট্যান্ডবাই থাকবে বইমেলায়।   ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ, চুরি-ছিনতাই, অগ্নিকাণ্ড এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। নতুন আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মেট্রোরেল। কারণ আমরা দেখেছি নাশকতাকারীরা মেট্রোরেলেও নাশকতা করার চেষ্টা করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় চটের ওপর ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। যা আজ অমর একুশে বইমেলায় পরিণত হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯

এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ ঘোষণা করা হয়েছে। সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এ বছর ১৬ জন পুরস্কার পাচ্ছেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। মোট ১১ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে কথাসাহিত্য, নাটক, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণা এবং ফোকলার ক্যাটাগরিতে এবার যৌথভাবে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এ বছর যারা পুরস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন- কবিতায় শামীম আজাদ, কথাসাহিত্যে নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সালমা বাণী, প্রবন্ধ/গবেষণায় জুলফিকার মতিন, অনুবাদে সালেহা চৌধুরী, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে মৃত্তিকা চাকমা ও মাসুদ পথিক, শিশুসাহিত্যে তপংকর চক্রবর্তী, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় আফরোজা পারভীন ও আসাদুজ্জামান আসাদ, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ও মো. মজিবুর রহমান, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশ বিজ্ঞানে ইনাম আল হক, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনিতে ইসহাক খান এবং ফোকলোরে তপন বাগচী ও সুমনকুমার দাশ। অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পুরস্কার প্রদান করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়