• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অভিনেতা ঋতুরাজ আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা ঋতুরাজ সিং। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৯।  ঋতুরাজের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন অভিনেতার বন্ধু অমিত বহল। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ঋতুরাজ ভালো ছিল না। কয়েক দিন আগেই অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে সে।  কিন্তু গতকাল হঠাৎ ঋতুরাজের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ফের তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই হার্ট অ্যাটাক হয় তার।  ১৯৬৪ সালের ২৩ মে রাজস্থানের কোটায় সিসোদিয়া রাজপুত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ঋতুরাজ। খুব ছোটবেলায় পড়াশোনার জন্য দিল্লিতে পাড়ি জমান এই অভিনেতা। এরপর সেখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখান থেকে ১২ বছর বয়সে আবারও ভারতে ফিরে আসেন তিনি।     ১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে আসা বিশিষ্ট নাট্যকার ব্যারি জনের নাট্য শিক্ষার সংস্থা থিয়েটার অ্যাকশন গ্রুপ বা ‘ট্যাগ’-এ অভিনয় শিক্ষা শুরু করেন ঋতুরাজ। স্টার প্লাসের ‘অনুপমা’, ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহেলাতা হ্যায়’, ‘দিয়া অউর বাতি হাম’, ‘বানেগি আপনি বাত’, ‘শপথ’, ‘আহাত’, ‘লাডু’সহ সহ বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতির তুঙ্গে ছিলেন ঋতুরাজ। একসময় মঞ্চে কাজ করেছেন। পরে নাম লেখান টিভি ধারাবাহিকে। এছাড়া ‘বান্দিশ ব্যান্ডিট’, ‘মেড ইন হেভেন’র মতো ওয়েব সিরিজ এবং ‘বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া’, ‘সত্যমেব জয়তে টু’ এবং ‘ইয়ারিয়ান ২’র মতো সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন ঋতুরাজ। বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী সিনেমাতেও দেখা গেছে তাকে। অভিনেতার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সিনেমাপাড়ায়।   সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৩

পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একইদিনে
আগামীকাল পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন এবং বাংলা সনের একাদশ মাস। বসন্ত মানে পূর্ণতা। বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব। গত বারের মতো এবারও বাঙালি বসন্ত উৎযাপন করবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। গত বছরেও ভালোবাসা দিবসের দিনেই পালিত হয়েছিল পহেলা ফাল্গুন। বদলে গেছে বাংলা বর্ষপঞ্জি। নতুন সংশোধিত বর্ষপঞ্জিতে পহেলা ফাল্গুন অর্থাৎ বসন্তের প্রথম দিনেই হচ্ছে ভালোবাসা দিবস। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্ত উৎসব পালনের রীতি চলে আসছে। বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। তবে খুব বেশি ঘটা করে পালন হয় ১৫৮৫ সালে সম্রাট আকবর বাংলা বর্ষপঞ্জি হিসেবে আকবরি সন বা ফসলী সনের প্রবর্তন করার পর। একইসঙ্গে প্রবর্তিত হয় প্রতি বছর ১৪টি উৎসব পালনের রীতিও। এর মধ্যেই অন্যতম ছিল বসন্ত উৎসব। ফাল্গুনের প্রথম দিনকে বাংলাদেশে পহেলা ফাল্গুন ও বসন্ত বরণ উৎসব হিসেবে উদযাপন করা হয় যা ১৯৯১ সালে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ কর্তৃক আয়োজন করা হয়। শীতের রুক্ষতাকে পিছনে ফেলে প্রকৃতিকে আবার নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার আগমনী বার্তা নিয়ে আসে বসন্ত। গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়। ফুলের মুকুল আসে। পাখি গান গায়। আর বাতাসে ভাসে মিষ্টি ফুলের ঘ্রাণ। প্রজাপতিরা রঙিন ডানা মেলে জানায় ঋতুরাজের আগমনী বার্তা। বসন্ত শুধু প্রকৃতিতেই নয় মানুষের মনেও জাগায় প্রাণের ছোঁয়া। তাই বসন্তের প্রথম দিনটিকে উদযাপন করতে সবাই মেতে ওঠে উৎসবে। নিজেকে সাজিয়ে তোলে বসন্তের রঙে। ফাল্গুন নামটি এসেছে মূলত ফাল্গুনী নামে নক্ষত্র থেকে। বেশ আয়োজন করেই বাঙালি বরণ করে নেয় ঋতুরাজ বসন্তকে। তাই তো ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক কাল বসন্ত। বর্তমানে বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে বসন্ত বরণ। সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে বসন্তের প্রথম দিন তথা পহেলা ফাল্গুন অন্যতম বৃহৎ সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়