• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
সংসার নিয়ে মুখ খুললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয় গুণে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। অনেক তারকাই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বললেও ঋতুপর্ণাকে খুব একটা কথা বলতে দেখা যায় না। এবার নিজের সংসার নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।    সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে নিজের কাজ এবং সংসার জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন ঋতুপর্ণা। এসময় অভিনেত্রী বলেন, নারীরা অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে সামলাতে পারে। কিন্তু পুরুষরা সেটা পারে না। এ ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে রয়েছে। ঋতুপর্ণা বলেন, আমার দাদি মাকে দেখেছি, রান্নাঘর থেকে বাইরের জগত সব একা হাতে সামলাতেন। তার কিন্তু স্নাতক স্তরের পড়াশোনাও ছিল না। কিন্তু আমার মনে হয় নারী হিসেবে এমন সহজাত ক্ষমতা ছিল তার, যে একসঙ্গে অনেক দায়িত্ব নিতে পারত। আর এই ক্ষমতা কিন্তু সময় বা পরিস্থিতির জন্য তৈরি হয় না। নারীদের ভেতরেই থাকে।  অভিনেত্রী আরও বলেন, দাদি মা তার মেয়েদের খুব ভালোভাবে শিক্ষিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মস্থলে কাজের ক্ষেত্রেও শতভাগ সহায়তা ও সাপোর্ট করেছে। তারা প্রত্যেকেই ভালো ভালো জায়গায় কাজ করেছে। শুধু তিনি নন, আমার মাকেও দেখেছি একসঙ্গে অনেক দায়িত্ব নিতে। অনেক দিক সামলাতে। তবে মেয়েদের নিজের সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। আমি যদি অসহায়, দুর্বল হিসেবে সকলের সামনে নিজেকে জাহির করি, মানুষও আমাকে ওই চোখেই দেখবে।  তখন আমাকে ঘিরে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের পরিবেশ তৈরি হবে। আমার ভালো লাগা, ইচ্ছা সব আমাকেই দেখতে হবে। না হলে তো কিছুই করা যাবে না। সময়ে এক এক করে প্রিয়জন হারিয়ে যাবে। মানুষ আরও বিচ্ছিন্ন হবে। কিন্তু এ নিয়ে যদি সারাক্ষণ মনখারাপ করি তাহলে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনব। কোনো নারীই যেন করুণার পাত্র হিসেবে নিজেকে তৈরি না করে।   নিজের সংসার নিয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে কাজ শুরু হয়ে যায় আমার। আমার শাশুড়ি মা হাসপাতালে। তার সব দায়িত্ব আমার। মেয়ের খবর রাখা। ছেলেকে ফোন করা। সংসারের নানান কাজের পাশাপাশি সবই চলছে।   তিনি বলেন, আমি এখন মর্যাদা নিয়ে খুব ভাবি। মানুষের কাছে সবকিছু থাকলেও সে মর্যাদাহীন হলে বিপদ। আমি মাটিতে পড়লে নিজেকেই নিজে উঠিয়ে নিয়ে চলি। সংসার আর কাজ দুটোতেই বিশ্বাস করি। ইন্ডাস্ট্রিতেও দীর্ঘদিন ধরে একা যুদ্ধ করছি। বড় প্রযোজনা সংস্থারা যে আমার সঙ্গে আছে, এমনও নয়। আমি নিজেই নিজের জায়গা তৈরি করেছি। নতুনদের সুযোগ দিয়েছি। আমি আমার সবটা দিয়ে কাজ করি। কান্না মুছে হাসি ফিরিয়ে আনি। আমি বৃদ্ধি করতে না পারি, সৃষ্টি তো করি। না হলে থমকে যাব।  সূত্র : আনন্দবাজার   
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১১

ফের ঢাকায় এসেছেন ঋতুপর্ণা
আবারও ঢাকায় এসেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন তিনি। সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতেই মূলত বাংলাদেশে এসেছেন ঋতুপর্ণা।  বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের জন্মমাস স্মরণে আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে আয়োজন হবে এই উৎসবের। এটি আয়োজন করছে সুচিত্রা সেন মেমোরিয়াল ইউএসএ।    জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি জ্যামাইকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই দিনের এই উৎসবের লোগো ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন ঋতুপর্ণা। এবার উৎসবের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন ঋতুপর্ণা।  সুচিত্রা সেন উৎসবের অন্যতম আয়োজক হাসানুজ্জামান সাকী জানান, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে সুচিত্রা সেন উৎসব উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ঋতুপর্ণা।  তিনি আরও বলেন, এর আগে বিচ্ছিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রে দুই বাংলার সিনেমা প্রদর্শনী হয়েছে। এবারই প্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে দুই বাংলার ১০টি ফিচার ফিল্ম, ৫টি তথ্যচিত্র, ৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা প্রদর্শিত হবে। ইতিমধ্যে অনেক চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। সেখান থেকে সিনেমা বাছাই করে উৎসবে প্রদর্শন করা হবে। মূলত উৎসবের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতেই ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সংবাদ সম্মেলন শেষ করে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ফিরে যাবেন ঋতুপর্ণা। সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন  নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, ভারতীয় পরিচালক বেদব্রত পাইন ও নিউ ইয়র্কের স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টসের চলচ্চিত্রবিষয়ক শিক্ষক মেরি লি গ্রিসান্তি।      
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়