• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দ্বিতীয় মেয়াদে আইএসইউর উপাচার্য ড. আব্দুল আউয়াল
দ্বিতীয় মেয়াদে অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খান ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন । রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন আগামী ৪ বছরের জন্য এ পদে তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অনুমোদন অনুসারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খানকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়।   আইএসইউ’র উপাচার্য হিসেবে আবারো নিয়োগ পাওয়ায় অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন এবং ভাইস-চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান।    জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষক হিসেবে বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি জার্নালে এই অধ্যাপকের ৫০-এর অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ৬০-এর অধিক এমফিল ও পিএইচডি গবেষকের তত্ত্বাবধায়ক এবং পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।   ড. আব্দুল আউয়াল ঝালকাঠির রাজাপুর থানাধীন সাতুরিয়া গ্রামে ১৯৪৮ সালে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম রুস্তুম আলী খান ও মাতা ছাহেরা খাতুন। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে ব্যাচেলর অব কমার্স ও ১৯৭০ সালে মাস্টার অব কমার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেনে আব্দুল আউয়াল।   ১৯৮৭ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেসের অধ্যাপক ও ডিন হিসেবে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন হিসেবে ২০ বছরেরও বেশি সময় অধ্যাপনা করেছেন ড. আউয়াল।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪০

আদালতের রায়ের বিষয়ে যা বললেন বুয়েট উপাচার্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেছেন, ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে হাইকোর্ট যা বলেছেন, তা আমাদের মানতে হবে।  সোমবার (১ এপ্রিল) এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। আদালতের আদেশের পর বুয়েট উপাচার্য বলেন, হাইকোর্ট আদেশে যা বলছেন তা আমাদের মানতে হবে। আদালতের আদেশ আমাদের জন্য শিরোধার্য। আমাদের আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা যাবে না। আমরা এখনো হাইকোর্টের আদেশ পাইনি। আদেশ পেলেই আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করব। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা আজ সোমবার স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতের এ আদেশের ফলে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা থাকছে না আর। ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’র বৈধতা নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম আজ রিট আবেদনটি করেন। ইমতিয়াজ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৯

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু নিয়ে যা জানালেন উপাচার্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার জানিয়েছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যাম্পাসে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, পূর্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যদি বুয়েটে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হলে তাদেরকেই আবার উদ্যোগী হতে হবে। এ জন্য রাজনীতি শিখতে হবে। তারা যদি চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেন, তখন হয়তো রাজনীতি চালু হতে পারে। এ সময় আন্দোলনকারীদের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান বুয়েট উপাচার্য। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ছাত্র নেতাদের নির্যাতনে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার নিহত হন। সে সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্বিবদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি রাজনীতি। বরং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ফায়দা নিচ্ছে উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। এদিকে গত ২৮ মার্চ মধ্য রাত থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ আনা হয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫১

বুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে যা জানালেন উপাচার্য
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সঙ্গে আমরাও সহমত, তবে এগুলো পূরণে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‌‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। কিন্তু সকাল ৯টা, দুপুর ২টা—এভাবে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। দাবি পূরণ করার জন্য যা যা করার, করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’  তিনি বলেন, ‘নিয়মের বাইরে আমি কিছু করতে পারব না। নিয়মবহির্ভূতভাবে একজনকে বহিষ্কার করলে সেটা আদালতে টিকবে না। নিয়মের মধ্যে সবকিছু করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। যেহেতু রোজার মাস, সময় একটু বেশি দেওয়া উচিত ছিল।’ এর আগে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রবেশ এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর প্রতিবাদসহ পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। সকাল ৭টায় তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।  তবে বিক্ষোভ শেষ করার আগে শিক্ষার্থীরা রোববারও টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও গত বুধবার মধ্যরাতের পর বহিরাগত কিছু নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান। বুধবার মধ্যরাতের পর ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ প্রবেশ ও রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন। যিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এ ঘটনায় শুক্রবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস। এদিন পাঁচ দফা দাবিতে দুপুর আড়াইটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টানা বিক্ষোভ করেন তারা। তারা দাবি আদায়ে শনিবার ও রোববারের পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা স্থগিত করিনি। শিক্ষার্থীরা বর্জন করেছেন। তারা পরীক্ষা স্থগিতের আবেদনও করেননি। তারা আবেদন করলে আমরা বিবেচনা করতাম। তারা এখানে ভুল করেছেন। পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু তারা পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী ঘণ্টা বাজবে, ছাত্ররা আসুক না আসুক—এমন ঘটনা বুয়েটে আগেও ঘটেছে। পরে তারা পরীক্ষার জন্য আবেদন করলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বিবেচনা করতে পারে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশের বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব যে, কেন তিনি ঢুকতে দিলেন। তার তো ঢুকতে দেওয়া উচিত হয়নি। গভীর রাতে কেউ (ক্যাম্পাসে) ঢুকলে এটা অবশ্যই অমানবিক বা অনিয়মতান্ত্রিক। কে ঢুকেছে, তাকে তো আগে চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত না করে তো শাস্তি দেওয়া যাবে না। তার জন্য সময় প্রয়োজন। যদি কোনো নিরাপত্তারক্ষী বহিরাগত ব্যক্তিদের ঢুকতে দিয়ে থাকেন, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব’  
৩০ মার্চ ২০২৪, ২২:৫০

তদন্ত কমিটি গঠন, ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : বুয়েট উপাচার্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে সময় সাপেক্ষ বিষয় এটি। নিয়ম অনুয়ায়ী শাস্তি দেয়া হবে। শনিবার (৩০ মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন। বুয়েট উপাচার্য বলেন, আগামী ৮ তারিখের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ছাত্রদের দাবির বিষয়ে ভেবে দেখা হবে। এদিকে ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে মূল ফটক ছেড়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ইস্যুর সঙ্গে জড়িত ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৬ জনকে ২টার মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কারের আল্টিমেটাম দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। এর আগে তারা সকাল থেকে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত অনুপ্রবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে শুক্রবার বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি পেশ করেছিলাম। তারা বলেন, বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের প্রথম দাবি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বির ইমতিয়াজ রাব্বির স্থায়ী একাডেমিক বহিষ্কার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। উক্ত ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সাথে বুয়েটের বাকি যেসকল শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল তাদের একাংশের নাম পরিচয় আমরা ছবি এবং ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে চিহ্নিত করেছি। তারা হলো এ. এস. এম. আনাস ফেরদৌস, মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল, অনিরুদ্ধ মজুমদার, জাহিরুল ইসলাম ইমন এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদিন রিফাত। বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধানের নিয়ম ভঙ্গের দায়ে এবং বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অপশক্তি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করায় এদের সকলের বুয়েট থেকে স্থায়ী একাডেমিক এবং হল বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪২

শিক্ষা-সেবা-গবেষণায় প্রাধান্য দেবে বিএসএমএমইউ : নতুন উপাচার্য
বিএসএমএমইউর ইতিহাসে অবিশ্বাস্য এক সংবর্ধনার আয়োজন। শাহবাগ মোড় থেকে বি-ব্লকের প্রধান ফটক পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুল ছিটিয়ে ও ঢোলের বাদ্যে বরণ করে নেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হককে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১২তম উপাচার্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এর আগে তিনি জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছিলেন এবং সেই সময়ে মানুষের অন্ধত্ব নিবারণে অনেকগুলো মৌলিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে দেশ সেরা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই উপাচার্যের। এ ছাড়াও তিনি ঢাকা মেডিকেল ও মিটফোর্ড হাসপাতালের অধ্যাপক ছিলেন দীর্ঘদিন। ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর ছিলেন, এরপর ডিরেক্টর ছিলেন আরও পাঁচ বছর। সবশেষে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আড়াই বছর। তার একইসঙ্গে ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশনেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ডা. দীন মোহাম্মদের কর্মপরিকল্পনা, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। ডা. দীন মোহাম্মদ বলেন, বিএসএমএমইউতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সবাইকে নিয়ে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিশ্বমানের আধুনিক ও স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।  তিনি আরও বলেন, কারো অন্যায় আবদার গ্রহণযোগ্য হবে না, দেওয়া হবে না প্রশ্রয়। দায়িত্বশীল প্রত্যেককেই রাখা হবে নজরদারিতে। প্রয়োজনে সরিয়ে দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।  বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ডা. দীন মোহাম্মদ তার কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে বলেন, আমার চাওয়া হলো আদর্শ শিক্ষক তৈরি করা। যারাই এখান থেকে শিক্ষক হয়ে বের হবেন, তারা যেন আদর্শ শিক্ষক হয়, তারা যেন তাদের দায়িত্বের প্রতি কমিটেড হয়, সেই ধরনের শিক্ষকই আমরা তৈরি করতে চাই। এরসঙ্গে খুবই ওতপ্রোতভাবে জড়িত হলো গবেষণা। মেডিকেল প্রফেশন কখনোই সামনের দিকে এগোবে না যদি মানসম্মত গবেষণা না থাকে। যতদিন আমি ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করব ততদিন গবেষণার দিকটাও আমি প্রাধান্য দেবো। এক কথায় চিকিৎসা শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা ও গবেষণা এ তিন বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এটা যেহেতু জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আমি চাই এটি একটি গৌরবোজ্জ্বল বিশ্ববিদ্যালয় হবে, কোনোকিছুর প্রভাবমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত একটি প্রশাসন হবে, এখানে বিশ্বমানের স্বাস্থ্য সেবা হবে। আমি চাই মানুষ যেন এখানে এসে বঞ্চিত না হয়, চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারিত না হয়। এ বিষয়গুলো অবশ্যই আমি নিশ্চিত করবো। এ ছাড়াও নিজেকে শেখ হাসিনার প্রতিনিধি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সর্বশক্তি নিয়োগ করে মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাবো। প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। তাতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮’ এর ১২ ধারা অনুসারে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হককে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে নিয়োগ করা হলো। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চার বছরের জন্য তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন। ভিসি পদে তিনি তার অবসর অব্যাবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাব্নে। তিনি বিধি অনুযায়ী উপাচার্যের পদ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। ভিসি হিসেবে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৬' এর ১৪ ধারা অনুযায়ী তার দায়িত্বাবলি পালন করবেন। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যেকোনও সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ ২৯ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। বিএসএমএমইউ’র বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন বিশিষ্ট চোখ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক। চোখের চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ সম্মাননা ডা. আলীম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন তিনি। আগামী ২৮ মার্চ অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষ হবে। অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক আন্তর্জাতিক মানের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী এলাকায়।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৭

যেকোনো মূল্যে সিন্ডিকেট সভা চান বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী ডা. রাসেল আহমেদ ও শিপনসহ কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া ও উপাচার্যের শেষ সিন্ডিকেট মিটিংকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) থমথমে পরিবেশ বিরাজ করেছে।  এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। তবে যেকোনো মূল্যে শেষ সিন্ডিকেট মিটিং করে এডহকে নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করে যেতে চান বিদায়ী উপাচার্য। রোববার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আজ বিদায়ী উপাচার্যের শেষ সিন্ডিকেট মিটিং হওয়ার কথা। এটিকে কেন্দ্র করে যেন কোনোরকম অস্বাভাবিক পরিস্থিতি রোধে সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে শেষ সিন্ডিকেট মিটিংটি সম্পন্ন করে যেতে চান উপাচার্য। জানা গেছে, ডা. মিল্টন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবার উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ সিন্ডিকেট মিটিং করতে চান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টার হলে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল কথা বলেননি। এর আগে শনিবার (২৩ মার্চ) উপাচার্যের শেষ মেয়াদে এডহকে নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিদের চাকরি স্থায়ীকরণ বন্ধ ও নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগপন্থি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সংগঠনের শিক্ষকরা। এ সময় ওই চিকিৎসকদের বের করে দেওয়া হয়।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:১০

অবন্তিকার মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক খেলা খেলতে দেওয়া হবে না : জবি উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক কোনো খেলা খেলতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আইন বিভাগের আয়োজনে ফাইরুজ অবন্তিকার শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ড. সাদেকা হালিম বলেন, গত নভেম্বরে অবন্তিকা প্রক্টর অফিসে যে অভিযোগ দিয়েছে তা কেন আমলে নেওয়া হয়নি তার জন্য সাবেক প্রক্টর মোস্তফা কামালকে তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হবে, জবাবদিহিতা করতে হবে।তার সঙ্গে সাবেক প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্যকেও ডাকা হবে। যদি অভিযোগপত্রটি আমলে নেওয়া হতো তাহলে আজকের প্রেক্ষাপট এভাবে নাও হতে পারতো। অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য আমি আমার শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।  সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমি অনুরোধ করবো অবন্তিকাকে কোনোভাবে যাতে মেন্টাল ডিসঅর্ডার দিয়ে বিবেচনা না করা হয়। দেশে নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শুধু সমাজের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে আমিও তো বুলিংয়ের শিকার হয়েছি। তবে আমি বুলিং নিতে পারি।কারণ, ৩০ বছর ধরে সহ্য করে আসছি। ড. সাদেকা হালিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকল্যাণ প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়াবো। এতে শুধু একজন পুরুষ পরিচালক থাকবে না একজন নারীও থাকবেন। জবি উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাসের যৌন নিপীড়ন বন্ধে তৈরি বক্সগুলো পরিষ্কার করে নতুন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বক্সগুলোর তালার চাবি আমার কাছে থাকবে। আমি নিজে বক্সগুলো খুলে চেক করবো। যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এমনকি ছেলে শিক্ষার্থীরাও তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।   এ সময় অবন্তিকার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে সহপাঠীদের সঙ্গে শেয়ার করা সবকিছু তদন্ত কমিটিকে জানাতে বলেন জবি উপাচার্য। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, আইন অনুষদের ডিনসহ সব অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৯

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।   মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে আগামী চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। আদেশে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. মো আবু তাহেরকে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে সাময়িকভাবে শর্ত সাপেক্ষে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।  অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের জন্মস্থান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। সেখানকার কাঞ্চনা হাইস্কুল মাধ্যমিকের পর চট্টগ্রাম কলেজে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে উচ্চতর শিক্ষা এবং গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৪ সালে ওই বিভাগে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। দেশ-বিদেশে তার শতাধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার রচিত ব্যবসায় প্রশাসনবিষয়ক ১৫টি গ্রন্থ অনার্স এবং মাস্টার্স পর্যায়ে পাঠ্য হিসেবে পঠিত হচ্ছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪

অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যা বললেন জবি উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম জানিয়েছেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনাটি বড় পরিসরে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোববার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস দেন তিনি। ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনাটি বড় পরিধিতে তদন্ত করতে হবে। এরপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। তাই এ ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগবে।’ এদিকে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। কুমিল্লার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হওয়ার পর তাদের আটক করা হয়। তাদেরকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের রোববার হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ মার্চ রাতে জবির সহকারী ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। পরে উপাচার্য এসে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়