• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আ.লীগের এমপি-মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন করতে মানা
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। যারা এ নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে দল বহিষ্কারাদেশসহ কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন,  এ ধরনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। তারা নিজ নিজ বিভাগে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৈঠকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকগণ, দপ্তর সম্পাদক ও উপ-দপ্তর সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদককে সারাদেশে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাদের স্বজন ও পরিবারের সদস্য নির্বাচন করছেন, সে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে মাদারীপুর সদরের সংসদ সদস্য ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এবং নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরীকে ফোন করে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক। জানা যায়, শুধু সন্তান, পরিবার বা নিকটাত্মীয় ছাড়াও মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের প্রকাশ্যে বা গোপনে উপজেলা নির্বাচনে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না হওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, স্থানীয় পর্যায়ে নিজের প্রভাব বাড়ানোর জন্য মন্ত্রী–সংসদ সদস্যরা আত্মীয়–পরিজন ছাড়াও ‘মাই ম্যান’ তৈরি করার লক্ষ্যে পছন্দের প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামছেন। এতে দলের তৃণমূলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে দলের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও ব্যবহারের চেষ্টা করছেন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা। এ জন্যই কড়া অবস্থান। এ বিষয়ে আরও জানা যায়, ২ মে সংসদের আগামী অধিবেশন বসছে। ওই অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকা হতে পারে। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে তার অবস্থান তুলে ধরবেন। প্রভাব বিস্তার থেকে বিরত থাকার বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদেরও বৈঠক হতে পারে। সেখানেও বিষয়টি আলোচিত হবে। প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল। আর দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, এ ধাপে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২১ এপ্রিল, বাছাই ২৩ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। এই নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। নির্বাচন কমিশন জানায়, দেশের ৪৮১টি উপজেলায় চার ধাপের নির্বাচন শুরু হবে ৮ মে, শেষ হবে জুনের প্রথম পক্ষে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই ধাপের তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে

প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটে যাচাই-বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে ১ হাজর ৭৮৬ জন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল)  মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর তিনি এ তথ্য জানান।  অশোক কুমার দেবনাথ জানান, মোট ১ হাজার ৮৯০ জন প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৮৬ জন। প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপের নির্বাচনের জন্য কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৬

উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ইসি আলমগীর
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে শুধু প্রার্থী নয়, কেউ প্রভাব বিস্তার করলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, এখানে কে কার আত্মীয় এগুলো নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কারও দেখার বিষয় নয়। যে কেউ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে নরসিংদী জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, নির্বাচনটা হতে হবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। জাতীয় নির্বাচন থেকে আরও ভালো নির্বাচন হবে উপজেলা নির্বাচন। এ জন্য যা যা করার দরকার তা, করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনে যেন কেউ প্রভাব বিস্তার না করেন সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কেউ যদি চাপ অনুভব করেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ করুন। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম। এ সময় পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মৌসুমী সরকার রাখীসহ জেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা, র‍্যাব, জেলার ছয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৩

তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট
তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে। দেশে ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে। এবার চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টিতে ভোট হবে, পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলার মধ্যে ২১টিতে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকি ৯১টি উপজেলার ভোট হবে কাগজের ব্যালটে। এ নিয়ে তিন ধাপে ৪২২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলো। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৮ মে ১৫০ উপজেলায়, দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে ১৬১ উপজেলায় ভোট হবে। আর চতুর্থ ধাপের ভোট হওয়ার কথা ৫ জুন। তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হবে- ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, দিনাজপুর জেলার খানসামা, সদর ও চিরিরবন্দর; লালমনিরহাট সদর; রংপুর জেলার গংগাচড়া ও সদর; কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বর; গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ। রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার শাজাহানপুর, সদর ও শিবগঞ্জ; নওগাঁ জেলার আত্রাই ও রাণীনগর, রাজশাহী জেলার পবা ও মোহনপুর; নাটোর জেলার গুরুদাসপুর ও বড়ইগ্রাম; সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর (ইভিএম) ও চৌহালী (ইভিএম); পাবনা জেলার সদর (ইভিএম), আটঘরিয়া (ইভিএম) ও ঈশ্বরদী (ইভিএম)। বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া (ইভিএম) ও ভান্ডারিয়া (ইভিএম); ভোলা জেলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া; বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা। খুলনা বিভাগের যশোর জেলার সদর (ইভিএম), অভয়নগর (ইভিএম) ও বাঘারপাড়া (ইভিএম); বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া ও সদর। মানিকগঞ্জ জেলার সদর (ইভিএম) ও সাটুরিয়া (ইভিএম); ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা ও সদরপুর; শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা (ইভিএম) ও গোসাইরহাট (ইভিএম), নরসিংদী জেলার শিবপুর ও রায়পুরা; টাঙ্গাইল জেলার সদর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর; মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান ও শ্রীনগর; কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, তাড়াইল, করিমগঞ্জ ও মিঠামইন। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া, ঈশ্বরগঞ্জ ও ত্রিশাল; জামালপুর জেলার মেলান্দহ (ইভিএম) ও মাদারগঞ্জ (ইভিএম); নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুড়ী। চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর; কুমিল্লা জেলার বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর ও দেবীদ্বার; চাঁদপুর জেলার কচুয়া (ইভিএম) ও ফরিদগঞ্জ (ইভিএম); ফেনী জেলার সোনাগাজী, সদর, দাগনভূঞা; নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, সদর ও কোম্পানীগঞ্জ; লক্ষ্মীপুর জেলার সদর; চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা, বোয়ালখালী, পটিয়া ও চন্দনাইশ; কক্সবাজার জেলার উখিয়া (ইভিএম), টেকনাফ (ইভিএম) ও রামু (ইভিএম), খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি; রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ার চর, লংগদু ও বাঘাইছড়ি। সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক ও দোয়ারা বাজার; সিলেট জেলার বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার; মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল; হবিগঞ্জ জেলার লাখাই, সদর ও শায়েস্তাগঞ্জ।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪০

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতের ৭০ নেতা
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলা ভোটে অংশ নিচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অন্তত ৪৫ জন নেতা মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আর জামায়াতে ইসলামীর  ২২ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ছিল প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। ১৫০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নেতা আছেন কমবেশি ৪৫ জন।আর জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ২২ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ১ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন। প্রার্থী হওয়ার বিএনপির নেতারা বলছেন, এবার উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। তাই মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। জনগণের জন্য কাজ করতে ভোটে অংশগ্রহণ ছাড়া বিকল্প নেই।  যেসব বিএনপি  নেতা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জামা দিয়েছেন তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ উপজেলায় মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল; নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আয়েন উদ্দিন ডালিম; মহাদেবপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু; কুমিল্লার মেঘনায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন; একই উপজেলার নাঙ্গলকোটে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আশরাফ হোসেন আলিম ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাইহান; ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির মোহাম্মদ বাবর আলী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও ইয়াজদানী আলীম আল রাজী; ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান পল্লব চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।  একইভাবে নাটোর সদর উপজেলায় বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার ও বিএনপি কর্মী সাবেক ভিপি মো. ইসতেয়াক আহম্মেদ (হিরা); একই জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি সরদার আফজাল হোসেন; পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ফায়জুল কবির তালুকদার; বান্দরবন সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুছ; নওগাঁর মহাদেবপুরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন; সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভাস চেয়ারম্যান গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। একইভাবে আরও অনেক উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন।  এছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাহেনা বেগম হাছনা। জামায়াতের যেসব নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন-: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আব্দুর রশিদ পাটোয়ারী, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় নায়েবে আমির মাওলানা মো. আতাউর রহমান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির ওলিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাবেক জামায়াত নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, দিনাজপুরের বিরামপুরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হক, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান এবং সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এর বাইরে বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। এবার মোট চার ধাপে ৪৮০টি উপজেলা পরিষদে ভোট হওয়ার কথা। এর মধ্যে প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে দুটি উপজেলার (নারায়ণগঞ্জ সদর ও কুমারখালী) ভোট স্থগিত করা হয়। প্রথম ধাপের মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল। মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোট গ্রহণ ৮ মে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৫

উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
আগামী ৮ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কোনো ধাপেই অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সোমবার রাত ১০টায় শুরু করে গভীর রাতে শেষ হয় বৈঠকটি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।   প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে। এদের আমলে কখনোই জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে দখলদার শাসকগোষ্ঠী। এতে আরও বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সব জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেককে মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনও কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গুম-খুন অব্যাহত থাকে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল— বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে আগের মতোই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৩

উপজেলা নির্বাচন / এমপি-মন্ত্রীদের যে নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।   তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও থাকবে না। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ  হস্তক্ষেপ করবে না। বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন। গাজায় ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রুপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, সারা বিশ্বই আজ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধাংদেহী মনোভাব সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে। আজকে গাজায় গণহত্যার নায়ক নেতানিয়াহু একই রুপে আবির্ভুত হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতানিয়াহু জাতিসংঘ মানে না, হোয়াইট হাউসকে তোয়াক্কা করে না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা শোনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে। ইতোমধ্যে গাজায় ১৪ হাজার শিশুকে হত্যা করে ফেলছে।   তিনি আরও বলেন, ইরানের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ ইসরায়েলকে শান্ত থাকতে বলেছে। কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন। যাকে ইচ্ছা ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। তার দাপট হিটলারকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২

প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৮৯১
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৮ মে। এই ধাপের নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন দাখিলের সময় শেষ হয়েছে আজ বিকেল ৪টায়। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ১৫০টি উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্তি সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেছেন, এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। এতে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তপসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত, যা নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিলে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এ ছাড়া প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক। এদিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে সামনে রেখে। তফসিল অনুযায়ী, এ ধাপে ১৬১ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হচ্ছে আগামী ২১ এপ্রিল। এরপর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের জন্য ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণের জন্য ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল এবং আপিল নিষ্পত্তির জন্য ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী ২৯ মে ও ৫ জুন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৩

উপজেলা নির্বাচন / মন্ত্রী-এমপিদের অগ্রিম সতর্কবার্তা দিলেন কাদের
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে অগ্রিম সতর্কবার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ বার্তা দেন। কাদের বলেন, গত ৭ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরপেক্ষভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় একটি মাইলফলক। নির্বাচন বানচালের বহুমুখী ষড়যন্ত্র ছিল। সেই প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এসেছিল এবং নির্বাচনে সুস্পষ্টভাবে জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে।  ‘ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন দুটি ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে এবং ধাপে ধাপে উপজেলা পরিষদসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিয়োজিত প্রশাসনও শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে।’ বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, কেউ কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করলেও দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মাক সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণের মতামতের সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটবে এবং ভোটাররা নির্বিঘ্নে নিজেদের ভোট প্রদান করবে।  কাদের বলেন, নির্বাচনে কোনো প্রকার অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বিনষ্ট করার কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার জন্য মন্ত্রীসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি ও নেতাকর্মীদের প্রতি সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪০

সাভার উপজেলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল
সাভার উপজেলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ( ১ এপ্রিল) সাভার সিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে সাভার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল গণি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা বলেন ,সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তাই তাদের প্রতিটি সংবাদ যেন দেশ ও জাতির কল্যাণে হয় সেভাবে বস্তুুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, সাভার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য্য, বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. সেলিম মন্ডল, ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী লিয়াকত হোসেন, ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব), সাভার পৌর কাউন্সিল রমজান আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমান অভি, সাভার থানা যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মহসিন মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেত্রী মিসেস মাহবুবা পারভীন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কবিরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়