• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি নেই
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।  সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। জাহিদ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার ফুসফুসের পানি অপসারণ করা হয়েছে। তবে অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি নেই। বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষাও করা হয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা প্রতিদিনই বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করছেন। ম্যাডাম সিসিইউতে আছেন। মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিক তার শারীরিক অবস্থা মনিটরিং করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।  এদিকে খালেদা জিয়াকে দেখতে সোমবার দুপুরে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। পরে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে, গত ৩০ মার্চ মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২২

স্বস্তির বৃষ্টিতে ঢাকার বায়ুমানের উন্নতি
বৃষ্টির কারণে ঢাকার বায়ুমানের কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। রাজধানী ঢাকার স্কোর ৮৬ অর্থাৎ এখানকার বায়ু ‘ভালো’ বা মাঝারি মানের। অন্যদিকে, বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ ভারতের দিল্লি।   রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টা ৭ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা দিল্লির স্কোর হচ্ছে ২০১ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই এবং শহরটির স্কোর ১৭৯। এর অর্থ সেখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। এই শহরটির দূষণ স্কোর ১৬৬ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর। স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। দিনদিন দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি কোটি মানুষের জীবন। গবেষণা বলছে, বৈশ্বিক বায়ুদূষণের হটস্পট হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়া। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৯

স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। সোমবার (৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সদ্য যোগদান করা ডা. রোকেয়া সুলতানার সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেসেজ একদম পরিষ্কার। তিনি দেশের স্বাস্থ্যখাতে দৃশ্যমান উন্নতি করতে চান। এক্ষেত্রে আমি এবং প্রতিমন্ত্রী দুজনেই প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশাটা বুঝি ও জানি। আমরা সেভাবেই কাজ এগিয়ে নিতে চাই যাতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণ হয়। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যতটা কনসার্ন ততোটা কনসার্ন আর কেউ সম্ভবত নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে অনেক কিছুই চিন্তা কারণে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে একজন ডাক্তার থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও একজন পেশাদার ডাক্তারকেই দিলেন তিনি। সদ্য যোগ দেওয়া স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রাজনীতি করেছি কোনো পদ-পদবি পাওয়ার আশায় নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এত বড় সম্মান দিয়েছেন দেশের মানুষের সেবা করার জন্য। ৩৩ বছর আমি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছি। স্বাস্থ্যখাতের মাঠ পর্যায় থেকে ওপর পর্যন্ত আমার জানা আছে। চাকরি জীবনে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ১৯৮০ সাল থেকে একসঙ্গে কাজ করেছি। আশা করছি, আমরা একসঙ্গে মিলে এবার স্বাস্থ্যখাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে পারব। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট, ডিজিডিএসহ স্বাস্থ্যখাতের সকল অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবরা বক্তব্য রাখেন।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৬

হরতাল-অবরোধেও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশের উন্নতি 
খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি ৩ শতাংশ উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৩) হাউজহোল্ড ফুড সিকিউরিটি সার্ভে ব্রিফে এই তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনকেন্দ্রিক হরতাল-অবরোধের মধ্যেও খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতি অব্যাহত ছিল। খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির আগের মাসের তুলনায় ৩ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। ফসল কাটার সময় কৃষি আয়ের কারণে কিছুটা আয় বৃদ্ধি এবং ক্রয়ক্ষমতার স্থিতিশীলতা ছিল। তবে যারা দিনমজুর এবং সল্প সময়ে কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল তাদের ওপর এর প্রভাব ব্যতিক্রম ছিল। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পরিবারগুলোও এই মাসে আয় বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। রাজনৈতিক হরতাল ও অবরোধের কারণে কয়েকটি এলাকায় কিছু কঠিন সময়ের খবর পাওয়া গেলেও দেশব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। জরিপ বলছে, প্রতিবেদনের সময়কালীন মাসগুলোতে ভারী বর্ষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ধান ও সবজি চাষের কর্মসংস্থানের কারণে তাদের আয়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। বর্ষা মৌসুমের পর নতুন নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় আয় বাড়ার কথাও জানান শ্রমিকরা। জরিপে দেখা গেছে, নিম্ন আয়ের ৩০ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, যেখানে মাঝারি আয়ের পরিবারে এই হার ৮ শতাংশ এবং উচ্চ আয়ের পরিবারে ৩ শতাংশ। উন্নতি সত্ত্বেও উচ্চ খাদ্যের দাম, উচ্চ স্বাস্থ্য ব্যয় এবং ঋণ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চালিকা শক্তি হিসাবে রয়ে গেছে। উচ্চ খাদ্যের দাম নিয়ে উদ্বেগ একই রয়ে গেছে এবং প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবার বলেছে যে, এই বৃদ্ধি তাদের গভীর উদ্বেগ এবং তাদের বর্ধিত আয়ের স্তর নির্বিশেষে তাদের কল্যাণকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫২

‘জনগণের উন্নতি দেখলে সমালোচনাকারীরা বিমর্ষ হয়ে পড়ে’
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সমালোচনা করেন- দুঃখের বিষয় যে, তারা সঠিক তথ্যটা জাতির সামনে তুলে ধরেন না। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা তাদের চরিত্র। মনে হয়, বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি দেখলে তারা বিমর্ষ হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় ইশতেহার নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশের মধ্যে বিরাট ব্যবধান। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। মানুষ আজ স্বপ্ন দেখে উন্নত জীবনের। স্বপ্ন দেখে সুন্দরভাবে বাঁচার।  তিনি বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ বছরে বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক অবস্থা কেমন ছিল; আর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কতটুকু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে আমি সেই চিত্রটাই তুলে ধরছি- প্রবৃদ্ধি ৭.২৫ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি। বাজেটের আকার ১২ গুণ বৃদ্ধি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ১৩ গুণ বৃদ্ধি। জিডিপির আকার ১২ গুণ বৃদ্ধি। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৩৬ গুণ বৃদ্ধি। রপ্তানি আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি। বার্ষিক রেমিটেন্স ৬ গুণ বৃদ্ধি। বৈদেশিক বিনিয়োগ এফডিআই ৫ গুণ বৃদ্ধি। একজন কৃষি-শ্রমিকের ক্রয় ক্ষমতা ৩ গুণ বৃদ্ধি। শ্রমিকদের মজুরি ৯ গুণ বৃদ্ধি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬ গুণ বৃদ্ধি। রপ্তানি আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি। দারিদ্র্য হার ৪১.৫১ শতাংশ থেকে ১৮.৭ শতাংশে হ্রাস। অতি দারিদ্র্য হার ৫ গুণ কমেছে। সুপেয় পানি ৫৫ শতাংশ থেকে ৯৮.৮ শতাংশ বৃদ্ধি। স্যানিটারি ল্যাট্রিন ৪৩.২৮ শতাংশ থেকে ৯৭.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি। শিশু মৃত্যুহার হাজারে ৮৪ থেকে কমে ২১ জন। মাতৃ মৃত্যুহার প্রতি লাখে ৩৬০ জন থেকে কমে ১৫৬ জন। মানুষের গড় আয়ু হয়েছে ৭২.৮ বছর। ‌‘এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৮ গুণ বৃদ্ধি। বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগের হার ২৮ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি। সাক্ষরতার হার ৭৬.৮ শতাংশ বৃদ্ধি। কারিগরি শিক্ষা ২২ গুণ বৃদ্ধি। দানাদার শস্য উৎপাদন ৪ গুণ বৃদ্ধি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু করেছি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, পাতাল রেলের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছি। রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছি। উদ্বোধন করা হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পাতাল সড়কপথ- ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ নির্মাণ করেছি। কক্সবাজারে দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন স্থাপন করে ঢাকা-কক্সবাজার রেল রুট চালু করেছি। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে,’ বলেন শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, অর্থনীতির যেকোনো সূচকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০০৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়ে উৎকর্ষতা সাধন হয়েছে। ২০০৯ সালে জিডিপির পরিমাণ ছিল মাত্র ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে জিডিপির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোট ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ৭ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পায়। ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত ২২ হাজার কোটি টাকার মন্দ ঋণ ছিল; যা মোট ঋণের ১০.৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকার মন্দ ঋণ; যা মোট প্রদত্ত ঋণের ৯.৯ শতাংশ। এর আগে, গত ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে’ উত্তরণের প্রতিশ্রুতি দেন টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা। তরুণদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বাজারমূল্য ও আয়ের মধ্যে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনাসহ নানান অঙ্গীকার করেন তিনি। এ ছাড়া ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে ২০ ডিসেম্বর সিলেটে মাজার জিয়ারত ও জনসভায় যোগদানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৪০টি জেলা-উপজেলায় দলের নির্বাচনী জনসভায় সরাসরি অথবা ভার্চুয়ালি যোগ দেন তিনি। সবশেষে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের জনসভার মধ্য দিয়ে তার নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়