• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হঠাৎ উধাও ফেসবুকের টাইমলাইন
ফেসবুকে নিজের বা কোনো বন্ধুর প্রোফাইলে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে একটি লেখা, ‘নো পোস্ট অ্যাভেইলবল’। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে ব্যবহারকারীরা এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে ঠিক কী কারণে এই সমস্যা সে সম্পর্কে এখনো কিছুই জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ফেসবুকের সার্ভারে কারিগরি সমস্যার কারণে সাময়িকভাবে এমনটা হয়েছে। যা কিছু সময়ের মধ্যেই সমাধান হবে। তার আগে নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল, এই মর্মে পোস্ট দিচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা। অধিকাংশরই কথা একই। টাইমলাইনে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।আপনাদেরও কী একই সমস্যা? বিষয়টি নিয়ে কথা হয় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিমন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে আমার এক বন্ধু কী ছবি পোস্ট করেছে, তা দেখতে তার প্রোফাইলে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি কোন পোস্ট নাই। তাকে ফোন দিলে বলে, সে পোস্ট রিমুভ করে নাই। পরে আরেকজনের কাছে শুনে দেখি তারও একই অবস্থা।  একই সুর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মাহমুদের কথাতেও। তিনি বলেন, মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহার করার সময় দেখি টাইমলাইন থেকে সব উধাও। কী আজব ব্যাপার! অন্যদের পোস্ট দেখে জানতে পারি, আসলেই সমস্যাটি হয়েছে। প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সাইট থেকে জানা যায়, মাঝেমধ্যেই এমন ত্রুটি দেখা দেয় ফেসবুকে। তবে তা আবার দ্রুত ঠিকও হয়ে যায়। আশা করা যাচ্ছে, এবারও তেমনটাই হবে। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৩

প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও ছাত্রলীগ নেতা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেতা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার সময় উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বুধিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রোমান খান (২৬) উপজেলার বহুরিয়া গ্রামের আউলাদ খানের ছেলে ও বহুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক বলে জানা যায়। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বুধিরপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাছানের সঙ্গে সখিপুর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ী গ্রামের বারেক মিয়ার মেয়ে চম্পা আক্তার (২৫) এর পারিবারিকভাবে ২০১৭ সালে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৯ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রবাসে থাকার সুযোগে ছাত্রলীগ নেতা রোমান খান চম্পা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। প্রবাসী হাছানের জমানো নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৯ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কারসহ চম্পাকে নিয়ে উধাও হন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রোমান খান।  প্রবাসী হাছানের বাবা দেলোয়ার হোসেন শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উধাও হওয়া ছাত্রলীগ নেতা রোমান খানের মন্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেতাব মাহমুদ বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি। বিষয়টি আপনার মাধ্যমেই শুনতে পেলাম। এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি। আমি খোঁজ নিচ্ছি। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানাও ওসি মো. রেজাউল করিম জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৮

বাড়িতে একা পেয়ে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, প্রেমিক উধাও
পঞ্চগড়ে ঈদের দিন পরকীয়ার জেরে শাহনাজ পারভীন (২৪) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মতিয়ারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ শাহনাজ ওই এলাকার আবদুল মজিদের স্ত্রী। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের সঙ্গে একটি ছুরি ও রক্তমাখা প্যান্ট জব্দ করেছে পুলিশ। তবে খুনের সঙ্গে জড়িত বা অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এদিকে সকাল থেকেই পরকীয়া প্রেমিক রাজু পালিয়ে গেছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল মজিদ ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজের সুযোগে প্রতিবেশী রাজু (২৭) নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। ৮-৯ মাস আগে কিছুদিন নিখোঁজও ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। তবে বাড়ি ফিরলে প্রথমে তার স্বামী তার তাকে গ্রহণ করতে রাজি হননি। একপর্যায়ে দুজনে সমঝোতায় আবারও সংসার শুরু হয়। এরপর গত চার মাস আগে স্বামীর সাথে ঢাকায় চলে যান তিনি। তাদের সংসাদের ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও তিন মাসের একটি ছেলে রয়েছে। মঙ্গলবার ঈদের জন্য বাড়ি ফেরেন তারা। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন ঈদের নামাজে গেলে পরকীয়া প্রেমিক রাজু শাহনাজের ঘরে ঢুকে ছুরি নিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে এবং গলা কেটে তাকে হত্যা করে। এ সময় শাহনাজের মেয়ে মাইশা আক্তার চিৎকার করলে পালিয়ে যায় রাজু। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত গৃহবধূর মেয়ে মাইশা আক্তার বলেন, মাকে ছুরি দিয়ে মারে। আমি চিল্লাচিল্লি করলে দৌড়ে পালিয়ে যায় রাজু। গৃহবধূর স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, রাজুর সাথে আমার স্ত্রী মোবাইলে কথা বলত। চলেও গেছিল তার সাথে। তাকে একটি মোবাইল ফোনও দিয়েছিল সে। পরে আমার নামে মামলা করে। আমি সন্তানদের দিকে চেয়ে তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাই। রাজু দীর্ঘদিন ধরেই আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল যে, আমাকে শাহনাজের সাথে সংসার করতে দেবে না।   দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি ছুরি ও রক্তমাখা আলামত জব্দ করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত রাজুকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৪

জনতা ব্যাংকের ভল্ট থেকে উধাও ৫ কোটি টাকা, গ্রেপ্তার ৩
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি জনতা ব্যাংক পিএলসি তামাই শাখা থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সিরাজগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে রোববার রাতে জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম (৩৪) ও ব্যাংক অফিসার রাশেদুল ইসলাম (৩১)। সিরাজগঞ্জ জনতা ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, রোববার জনতা ব্যাংক তামাই শাখায় অডিট করা হয়। অডিটের সময় ক্যাশ ভল্টে ৫ কোটি ২২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা গরমিল পাওয়া যায়। এ সময় তামাই জনতা ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানান টাকাগুলো চুরি হয়েছে। বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ ওসি আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘যেহেতু এটি টাকা লেনদের বিষয়। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যবস্থা নেবেন। আমরা অভিযোগপত্রটি দুদকে পাঠিয়েছি। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৭

গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও এনজিও, ঘরে মিলল কর্মকর্তার মরদেহ
নওগাঁয় সাবিনা ইয়াসমিন (৪০) নামে এক নারী এনজিও কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের রজাকপুর মধ্যপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  সাবিনা ইয়াসমিন জেলার মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়নের চকবালু এলাকার মৃত সৈয়দ পিয়াদার মেয়ে ও একই উপজেলার জোঁতবাজার নুরুল্যাবাদ এলাকার হেলালের স্ত্রী। তিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারটিভ সোসাইটি লি. নামে একটি এনজিওর প্রধান কার্যালয়ে সহকারী হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  বিষয়টি নওগাঁ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান সাগর নিশ্চিত করেছেন। এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন দুলাভাই হোসেন আলী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শত শত মানুষের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় মাল্টিপারপাস এনজিও। বন্ধ হয়ে যায় তাদের সব শাখার কার্যক্রম। এতে বিপদে পড়েন এনজিওর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সাবিনাও চাকরি করার সুবাদে এলাকার পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা আমানত হিসেবে জমা রাখেন ওই এনজিওতে। হঠাৎ এনজিও উধাও হয়ে যাওয়ায় তিনিও বিপদে পড়ে যান। স্থানীয়দের ধারণা, আমানতকারীদের চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। বাড়িওয়ালা লিয়াকত আলী জানান, সাবিনা গত বছরের মার্চ মাসে তার বাসায় ভাড়া ওঠেন। তার স্বামী দেশের বাহিরে থাকেন। অফিসসংলগ্ন বাড়ি হওয়ায় দুই তালার একটি ফ্লাটে ভাড়া নিয়ে তিনি একা থাকতেন। নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল গফুর বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু দরজা জানালা বন্ধ ছিল, তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তারপরও ময়নাতদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে। উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ জেলার মান্দায় আমানতের টাকা ফেরত নেওয়ার চাপে সিরাজুল ইসলাম বকুল (৪৫) নামে এক এনজিও কর্মকর্তা গ্যাসবড়ি (ইঁদুর মারার বিষের ট্যাবলেট) খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়। তিনি সুরমা মাল্টিপারপাসে পলাশবাড়ি শাখায় ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি কশব গ্রামের ইয়াদ আলী সরদারের ছেলে ছিলেন। গত দুই সপ্তাহ আগে এই শাখা কার্যালয় তালাবদ্ধ করে আমানতকারীদের জমা করা অন্তত ৬ কোটি টাকা নিয়ে রাতারাতি উধাও হন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমানতকারীদের চাপের মুখে ৮ মার্চ বিকেলে টাকা ফেরত দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। এ অবস্থায় শুক্রবার দুপুরের দিকে গ্যাসবড়ি (ইঁদুর মারার বিষের ট্যাবলেট) খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজুল ইসলাম। পরে তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে সন্ধ্যার পর তিনি মারা যান। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েন ৮৮ থেকে ৯০ জন আমানতকারী। সংস্থায় জমা করা অন্তত ৬ কোটি টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় তারা। এই টাকা শুধু মাত্র একটি শাখার। এর আরও কয়েকটি শাখা অফিস ছিল। বর্তমানে সবগুলোই বন্ধ রয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

বিয়ের তিন দিন আগে বিএনপি নেতার মেয়েকে নিয়ে উধাও ছাত্রলীগ নেতা!
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকার বেড়বাড়াদী গ্রামের মজনুর রহমানের মেয়ে ও হরিনারায়নপুর দোয়ারকাদাস আগরওয়ালা মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহনাজ আরা প্রাপ্তির বুধবার (২০ মার্চ) বিয়ের কথা ছিল। বিয়ের তিন দিন আগে রোববার (১৮ মার্চ) তাকে নিয়ে চম্পট দিয়েছেন আদিপুজ্জামান সংগ্রাম নামে ছাত্রলীগ নেতা। সংগ্রাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রামসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণীর বড় ভাই আসিফ করিম প্রাপ্তি। ঘটনার পর কুষ্টিয়াজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।  জানা গেছে, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকার বেড়বাড়াদী গ্রামের মজনুর রহমানের মেয়ে ও হরিনারায়নপুর দোয়ারকাদাস আগরওয়ালা মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহনাজ আরা প্রাপ্তি রোববার দুপুরে হরিনারায়নপুর বাজারে যান কেনা কাটা করতে। কেনাকাটা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বেড়বাড়াদী এলাকা থেকে হরিনারায়নপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আদিপুজ্জামান সংগ্রাম কলেজছাত্রী প্রাপ্তিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তার ওই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রামসহ কয়েকজন প্রাপ্তিকে সিএনজিযোগে তুলে নিয়ে যায়।  এ বিষয়ে কলেজছাত্রী প্রাপ্তির বড় ভাই আসিফ করিম প্রাপ্ত জানান, ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রাম প্রায়ই তার বোন প্রাপ্তিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া দিতো না বোন প্রাপ্তি। রোববার দুপুরে আবারও প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে প্রাপ্তি। তাই জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় প্রাপ্তিকে। এ ঘটনায় ইবি থানায় সংগ্রাম ও তার বাবা আজগর আলী এবং একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সোহানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি।  অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে পুলিশ বোনকে উদ্ধারে চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় পুলিশ সংগ্রামের বাবা আজগর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান প্রাপ্ত।  এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি মোহাম্মদ মামুন রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত সংগ্রামসহ কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে। মোবাইলের সূত্র ধরে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আদিপুজ্জামান সংগ্রামের এমন কাণ্ডে তোলপাড় চলছে কুষ্টিয়া ছাত্রলীগে। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক জানান, ছাত্রলীগের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। সংগ্রামের বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুনেছি। তবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৭

প্রেমিকের সঙ্গে উধাও নববধূ, শ্বশুরবাড়িতেই আত্মহত্যা স্বামীর 
চাঁদপুরে প্রেমিকের সঙ্গে নববধূ চলে যাওয়ার খবর শুনে শ্বশুরবাড়িতেই আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়ায় নববধূর ভাড়া বাসার একটি কক্ষে বিষপানে আত্মহত্যা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত ইবাদ খান (৩০) চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫ নম্বর রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা বেগম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খানের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে মার্কেটিংয়ে কাজ করতেন। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৮ মার্চ চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের বিআইডব্লিওটিএর চাঁদপুর শাখার পরিদর্শক পাইলট দিদারুল আলমের মেয়ে খাদিজা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় ইবাদ খানের। সোমবার (১১ মার্চ) খাদিজার স্বামীর বাড়িতে আসার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থ দাবি করে পরদিন মঙ্গলবার আসবেন বলে জানান। কিন্তু সোমবার রাতেই তিনি একটি চিঠি লিখে তার প্রেমিকের কাছে চলে যান। খবর পেয়ে ইবাদ খান মঙ্গলবার তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে বিষয়টি জানান। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তিনি বিষপান করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। নববধূ খাদিজা আক্তারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৫

জাকারবার্গের স্ত্রীর লকেট হারানোর পর উধাও হয় ফেসবুক!
ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়েতে যোগ দিয়েছেন দেশ-বিদেশের বড় বড় ব্যক্তিত্বরা। বিয়েতে ছিলো তিন দিনের প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, ইভাঙ্কা ট্রাম্পসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বড় বড় ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। আর সেখানেই ঘটে স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের লকেট হারানোর ঘটনা। শনিবার ( ৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, একজন রেডিট প্ল্যাটফর্মে গিয়ে বিষয়টি শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমার বন্ধু আম্বানি অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে থাকা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করেছিল। বন্ধুটি আমাকে জানিয়েছে চলমান উৎসবের মধ্যেই মার্ক জুকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের গলার লকেট হারিয়ে যায়। এতে প্রি-ওয়েডিং ব্যাশের মধ্যেই ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। জুকারবার্গ দম্পতির সঙ্গে সেখানে উপস্থিত অতিথিরা সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে দুলটির সন্ধান করে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। পরে লকেটটি ফিরে পেয়েছেন কি না সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। এই ঘটনা সামনে আসতে না আসতেই তাতে মজার মজার সব মন্তব্য পড়েছে। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, এই দুল হারানোর ঘটনাটাই নাকি ৫ মার্চে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম উধাও হওয়ার প্রধান কারণ। আরেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, একজন অতিথি তার গয়না হারাচ্ছেন, কেউ খাবারের বিষয়ে অভিযোগ করছেন এবং অন্যরা কী পোশাকে পরবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন; সব মিলিয়ে আর পাঁচটা ভারতীয় বিয়ের মতোই ছিল আম্বানিদের এই অনুষ্ঠান। জুকারবার্গকে চমকে দিয়েছিল অনন্তর হাতে থাকা একটি দামি ঘড়িও। আম্বানিদের ছোট ঠেলে একটি নীলকান্তমণি লাগানো রবিলন ঘড়ি পরেছিলেন। যা নিজের বিশেষত্বের জন্য বিখ্যাত। এর আনুমানিক মূল্য ২.২ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় রুপিতে তা প্রায় ১৮.২ কোটি)।  বিলাসবহুল ঘড়িটি ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ এবং তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানকে অভিভূত করে। জুকারবার্গ ঘড়ির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘আমি সত্যিই ঘড়ির প্রতি আগ্রহী নই একেবারেই, কিন্তু এটা দেখার পরে মনে হচ্ছে আমিও ঘড়িতে আগ্রহী হতে পারি।’
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৬

নবজাতক হাসপাতালে ফেলে উধাও বাবা-মা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক নবজাতককে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন বাবা-মা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নবজাতকটিকে ২৬ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রেখে ইমার্জেন্সি থেকে ভর্তির কাগজ আনার কথা বলে বাবা-মা পরিচয় দেয়া দুজন আর ফিরে আসেননি। শিশুটিকে বর্তমানে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নার্স ও আনসার সদস্যরা জানান, প্রায় ৩০ বছর বয়সী দুজন ছেলে মেয়ে নবজাতকটি ওয়ার্ডে নিয়ে আসে। চিকিৎসা চলা অবস্থায় গেট থেকে ভর্তির কাগজ নিয়ে আসার নাম করে তারা চলে যায়। তারপর আর ফিরে আসেনি।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিকেলে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলে বাচ্চাকে দুজন তরুণ তরুণী শ্বাস কষ্টের কথা বলে ভর্তি করাতে নিয়ে আসে। নার্সরা নবজাতককে ভর্তির কাগজ আনার কথা বললে তারা ভর্তির কাগজ আনার কথা বলে নার্সের তত্ত্বাবধানে বাচ্চাটিকে রেখে চলে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এখন পর্যন্ত শিশুটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে আছে। আজ রোববারও কেউ শিশুটির খোঁজ নিতে আসেনি। তাই আমরা বিষয়টি সমাজসেবা অধিদপ্তরকে অবগত করেছি। ইতিমধ্যে নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নবজাতককের বাবা-মাকে খুঁজে না পেলে আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ইএমও) ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, শিশুটি এখন সুস্থ আছে, এরইমধ্যে হাসপাতালে রেখে যাওয়া সেই নবজাতকটির বিষয়ে সব জয়াগায় জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো তার প্রকৃত অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হতে পারে। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২০

শিশু সন্তানকে নিয়ে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী, থানায় অভিযোগ দায়ের   
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের উত্তর কৌশল্যা বড় বাড়ির সৌদি প্রবাসী মো. গিয়াস উদ্দিন স্ত্রী শাহনাজ আক্তার ঝর্ণা গত ৫ ফেব্রুয়ারি  রাজাপুরের ভাড়া বাসা থেকে তার ছয় বছরের কন্যা সন্তানসহ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন নিয়ে উধাও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে  জানা যায়, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের তাহিরপুর ভূঁইয়া বাড়ির আবুল কাশেমের মেয়ে শাহনাজ আক্তার ঝর্ণার সঙ্গে প্রায় ১৩ বছর পূর্বে প্রবাসী মো. গিয়াস উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ছয় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের ৫ বছর আগে থেকে মো. গিয়াস উদ্দিন সৌদি আরব থাকতেন। বিয়ের পর প্রায় ১৩ বছর ধরে প্রবাস জীবনের সব টাকা স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ও বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতেন মো. গিয়াস উদ্দিন। স্বামী বিদেশ থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন তার স্ত্রী। বিষয়টি জানাজানি হলে মো. গিয়াস উদ্দিনের ছয় বছরের মেয়ে তাসলিমা আক্তার চাঁদনি, ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণ ও সংসারের আসবাবপত্র নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১২টায় রাজাপুরের ভাড়া বাসা থেকে পালিয়ে যান ওই গৃহবধূ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে প্রবাসী মো. গিয়াস উদ্দিনের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সৌদি প্রবাসী মো. গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী পলাতক শাহনাজ আক্তার ঝর্ণা এবং তার মেয়ে তাসলিমা আক্তার চাঁদনির খোঁজ কেউ দিতে পারলে সন্ধান দাতাকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে গিয়াস উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আবুল হাসিম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় অভিযোগ করেন বাদী। মামলাটি তদন্তের জন্য এস আই আরিফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি সরেজমিনে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়