• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
উদ্বিগ্ন স্বজনদের যা বলছেন জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষ
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর তাকে উদ্ধারের জন্য মা জোছনা বেগমের কাছে আকুতি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাত ৮টায় সর্বশেষ মোবাইলে তানভীর মাকে বলেন, ‘আম্মু, ওরা মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। এখনও ইফতার করি নাই। তারা খাবার দিলে ইফতার করব। কবির গ্রুপের চাচার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যেভাবেই হোক, আমাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন, আম্মু।’ ছেলের চিন্তায় জোছনা বেগম বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে ছুটে আসেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে কবির গ্রুপের কার্যালয়ে। জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের কাছে জোৎস্না বেগম কাঁদছেন আর বলছেন, ‘আমার মানিক কোথায়? তারে আমার সামনে আনেন। আমি আমার মানিকরে বুকে নেব।’  এ সময় কেএসআরএমের অফিসে তার পাশেই ছিলেন জিম্মি হওয়া নাবিকদের আরও অন্তত এক ডজন স্বজন।  কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তারা এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি। সাধারণত দু-তিন সপ্তাহ সময় নিয়ে যোগাযোগ করে তারা। আমরা ২৩ নাবিকের সবাইকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে যা যা করার দরকার সব করব।’ প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, ‘জাহাজের ডেক ক্যাডেটের কাছ থেকেই জলদস্যু আক্রমণ হওয়ার কথা প্রথম জানতে পারি আমরা। পরে তার সঙ্গে কথা হয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষেরও।’ বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জাহাজের ডেক ক্যাডেট হোয়াটসআপে মেসেজটি পাঠান আমাদের সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল আলমের কাছে। তিনি জাহাজ নিয়ে দক্ষিণ চায়নাতে রয়েছেন। মেসেজটি তিনি আমাদের সভাপতির কাছে ফরোয়ার্ড করেছেন। এর পরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে চিফ ইঞ্জিনিয়ার আরেকটি মেসেজ দিয়েছেন মালিকপক্ষের প্রধান নিবার্হীর কাছে। সেখানে তারা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন। জাহাজটি জলদস্যুরা সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। আজ সকালে সোমালিয়ার উপকূল থেকে এটি প্রায় ৩০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল।’
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩২

ড. ইউনূস ইস্যুতে জাতিসংঘের স্পষ্ট বার্তা
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রতি সরকারের আচরণে জাতিসংঘ চরমভাবে উদ্বিগ্ন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ড. ইউনূসের গ্রামীণের একাধিক কার্যালয় জোর করে দখলে নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মুখপাত্র ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশে ড. ইউনূসের প্রতি সরকারের বিদ্বেষমূলক আচরণে উদ্বেগের বিষয়টি স্পষ্ট। ড. ইউনূস জাতিসংঘের অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা চরম উদ্বেগের। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সরকার দলীয় লোকেরা তার সব গ্রামীণ কার্যালয় দখল করেছে। সেই সঙ্গে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই সাংবাদিক এসব বিষয় উল্লেখ করে স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করেন- ‌‘এ বিষয়ে আপনি জাতিসংঘ মহাসচিব কী অবগত রয়েছেন?’ জবাবে ডুজারিক বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আবগত। ড. ইউনূস জাতিসংঘের কাছে খুব মর্যাদাবান। তিনি জাতিসংঘের একজন অংশীদার হিসেবে বছরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচীতে দূত হিসেবে অংশ নেন। এমডিজি, এসডিজি গোলসহ সংস্থার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলোতে তিনি সহযোগিতা করেন। ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটছে তা আমাদের চরমভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিরপুর গ্রামীণ টেলিকম ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিযোগ করেন, গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয়ে কয়েকজন গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রামীণ টেলিকম ভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছে। হঠাৎ কী হলো বাইরের কিছু লোক এসে তা জবরদখল করছে। আমরা কোথায় যাবো, কী করবো? পুলিশ আমাদের কথা শুনছে না। তিনি বলেন, নিজের অফিসে ঢুকতে পারবো কি না- এটা এখন বাইরের লোকের এখতিয়ার হয়ে গেছে। আমি দুঃখ-কষ্টে পড়ে গেছি। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আছি। এ ভবনটা আমরা করেছি এটা আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। হঠাৎ চারদিন আগে বাইরের লোক এসে জবরদখল শুরু করে আর আমরা বাইরের লোক হয়ে গেলাম।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২১

বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, উদ্বিগ্ন ববি প্রশাসন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) একের পর এক আত্মহননের ঘটনা চলমান। সবশেষ এক বছরে প্রায় এক ডজন আত্মহত্যাচেষ্টার ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছে শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে দুজন ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন। এভাবে ঘন ঘন আত্মহত্যা চেষ্টার বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখে অবস্থিত একটি মেসে নিজ রুমে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী বৃষ্টি সরকার। গত জুলাইয়ে একই ভাবে আত্মহত্যা করেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী শাহরিন রিভানা। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এদের মধ্যে- বঙ্গবন্ধু হলে ২ ছাত্র, শেরে বাংলা হলে ৩ ছাত্র, শেখ হাসিনা হলে ১ ছাত্রী, মেসে ৩ ছাত্র ও ১ ছাত্রী এবং ঝালকাঠিতে নিজ বাসভবনে ১ ছাত্র আত্মহত্যাচেষ্টা করেছেন। এসব ঘটনার বেশিরভাগই প্রেমঘটিত বিষয়। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় কাজ করা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দা নাবিলা হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ সময় সম্পর্কের টানাপোড়েন ও উদ্বিগ্নতায় কাটায়। তাদেরকে ওখান থেকে বের করে আনার মত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাইকোলজিস্ট নাই। দ্রুত একজন সাইকোলজিস্ট নিয়োগের দাবি জানাই। একই সাথে ক্যাম্পাসে যারা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে তাদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাই।  সম্প্রতি এসব দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নবনিযুক্ত প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইয়ুম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেভাবে ঘন ঘন নিজেদের জীবণনাশের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা শিক্ষক হিসেবে আমাদের রীতিমতো উদ্বিগ্নতায় ফেলেছে। তাদের এরকম সিদ্ধান্তের পিছনের কারণ খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে কাজ চলছে। শীঘ্রই এ ঘটনা রোধে বিভিন্ন কর্মসূচী নেওয়া হবে।  এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.মোঃ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হবে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৬

দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। একইসঙ্গে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণ অনুসন্ধান চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।   বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।  তিনি বলেন, সব পণ্যেরই উৎপাদন এবং মজুদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরও মাছ, মাংস এবং ডিমের  মূল্য কেন বেশি, এসব কেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন।  মন্ত্রী বলেন, কিছু পণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তার কারণ অনুসন্ধানে প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন৷ সেইসঙ্গে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়েও কাজ হচ্ছে। যারা অসৎ ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। আব্দুর রহমান আরও বলেন, যারা সিন্ডিকেট করে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়াচ্ছে, তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। কোথায় কীভাবে কারসাজি হয় সেটি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেইসঙ্গে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সবার জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এরপর বলেন, আসন্ন রমজানে যে সব এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি, সে সব জায়গায় কম মূল্যে মাছ, মাংস ও ডিম  পাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ট্রাকে করে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়