• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
নেত্রকোণায় চাঞ্চল্যকর সুইটি হত্যার রহস্য উদঘাটন
নেত্রকোণার পূর্বধলায় চাঞ্চল্যকর সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি (১৮) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল হত্যাকারী মো. এনামুল হককে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) পূর্বধলা থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে খলিশাপুর বোনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এনামুল হক উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ী) গ্রামের মৃত মঞ্জুল হকের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার ঢেউয়াখোলা ইউপির চর শ্রীরামপুর গ্রামের মো. সুবহান'র মেয়ে সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি খলিশাউড়ের রাজিবপুর গ্রামে তার বৃদ্ধ নানা-নানির দেখভাল করার জন্য গত এক বছর যাবৎ তার নানার বাড়িতে থাকতো। সেখানে খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ী) গ্রামের মো. এনামুল হকের সঙ্গে সুইটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় সুইটি ইরাক প্রবাসী শরিফুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে পারিবারিকভাবে বিবাহের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। কিন্তু এনামুল হক বিয়ের সংবাদ মেনে নিতে পারেনি এবং সুইটিকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। গত ১০ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার পর এনামুল সুইটিকে বাড়ি থেকে মোবাইলে কল দিয়ে স্থানীয় রাজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পূর্ব কোনায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রকার আলাপ আলোচনা করেন। একপর্যায়ে তিনি একাই সুইটির গায়ে থাকা ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং হত্যার পর লাশ নিয়ে সুইটির নানা মো. আবুল কাশেম'র টিনের বসত ঘরের সামনের খোলা বারান্দার ওড়না দ্বারা ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর ভিকটিমের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করে। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি হত্যার আসামি মো. এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়