• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
তামিমের সেই বিজ্ঞাপন ইস্যুতে যা বললেন পাপন
বেশ কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে হৈচৈ পড়েছিল দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। মূলত একটি মোবাইল আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠানের প্রচারকে কেন্দ্র করেই এই ফোনালাপ ফাঁস হয়। এবার সেই বিজ্ঞাপন ইস্যুতে কথা বলেছেন যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার দাবি, এখনও সেই বিজ্ঞাপনটি দেখেননি তিনি। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাপন জানান, আমি বিজ্ঞাপনটা দেখিনি, তবে শুনেছি। একজন আমাকে বলেছে যে এ রকম একটা বিজ্ঞাপন হয়েছে। তারা যদি বিসিবির কোনো নিয়ম ভেঙে থাকে, তাহলে বোর্ড তার সিদ্ধান্ত নেবে। পাপন বলেন, এমন কোনো বিজ্ঞাপন কিংবা নাটক করা উচিত না, যেটা কোনো ক্রিকেটারকে হাস্যকরে পরিণত করে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:২০

অবশেষে সাকিব ইস্যুতে মুখ খুললেন ওবায়দুল কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত বিএনএমে সাকিব আল হাসানের যোগ দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক ও ক্রীড়াঙ্গণে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন একটি ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। সাকিবের এমন কাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করে জয় লাভ করেছে। এর আগে সে কোনো দল করেছে কি না সেটা আওয়ামী লীগের কাছে বিবেচ্য নয়। কাদের আরও বলেন, নমিনেশন চাওয়ার আগে সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তাকে প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে। তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক আছে। আমাদের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন ছাড়া সরকারে কেউ ক্ষমতা বসাতে পারবে না। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
২০ মার্চ ২০২৪, ০৮:০১

জাতীয় দলে ফেরা ও সাকিব ইস্যুতে যা বললেন তামিম
সময় যত গড়াচ্ছে তামিম ইকবালের জাতীয় দলে ফেরার পথ ততই কঠিন হচ্ছে। বিপিএলের ফাইনালের ম্যাচ শেষে এই টাইগার ওপেনার জানিয়েছিলেন তাকে দলে ফেরাতে অনেক কিছু ঠিক করতে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করছেন তিনি। রোববার (১০ মার্চ) বিসিবির দুই পরিচালকের সঙ্গে জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন তামিম। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজ ও ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। আলোচনার বিস্তারিত সবকিছু দ্রুত বোর্ড সভাপতিকে জানানো হবে বলে জানা গেছে। বোর্ড সভার এ ব্যাপারে দেশের একটি দৈনিক পত্রিকাকে তামিম বলেছেন, আমার তো নতুন করে কিছু বলার নেই। আগে যা বলেছি, এবারও তাই বলেছি। এর বেশি কিছু বলব না। কারণ, বিসিবি আমার অভিভাবক। সময় হলে তারাই জানাবেন। এ ছাড়াও দেশের বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। তবে সেই ভিডিও প্রকাশ না হলেও তাদের প্রকাশিত টিজারে তামিমকে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা গেছে। যা রীতিমতো আলোচনার শিরোনাম হয়েছে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, আমার জন‍্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা খুব কঠিন। অন্যদিকে সেই টিজারে সাকিব আল হাসানের দিকেও তীর ছুড়তে দেখা গেছে তামিমকে। তাতে ‘অনেক কিছুর’ একটি যে সাকিব সংক্রান্ত তার আভাস অনেকটাই মিলছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিসিবির ঊর্ধ্বতনরা তামিমকে ফেরাতে চান। তবে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ফেরার পর ড্রেসিংরুমের দ্বন্দ্ব ওভাবে প্রকাশ্যে চলা আসার পর ‘অনেক কিছু ঠিক’ আসলেই আর হবে কিনা, সন্দেহ আছে।  আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের ফেরার সম্ভাবনা তাই নেই বললেই চলে। তবে একবার অবসর নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলানোর পর নতুন করে আর অবসর নেওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে হঠাৎ অবসর নেন তামিম। একদিন বিরতি দিয়ে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলে তাকে ছুটি দেওয়া হয়। ছুটি শেষে ফিরলেও বিশ্বকাপে যাওয়া হয়নি তার। সে সময় তামিম ও সাকিবের মধ্যকার দ্বন্দ্ব উঠে আসে পাল্টাপাল্টি সাক্ষাৎকারে।   
১১ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৯

বিশ্বকাপের তদন্ত রিপোর্ট ইস্যুতে বিসিবিকে কড়া হুঁশিয়ারি সুজনের
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না হলেও দেশের বেসরকারি একটি গণমাধ্যম বিসিবির সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে টাইগারদের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার মূল কারণ, বিসিবির দুই পরিচালকের হস্তক্ষেপ। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে থাকা বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরই দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির দুই পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন ও জালাল ইউনুসের দিকে আঙুল উঠেছে । এরপরই অন্য একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন সুজন।  এ সময় তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সুজন বলেন, আমি দেখলাম যে দুই পরিচালকের কথা বলা হচ্ছে। আমার কথা হলো, মিডিয়াতে ছোট ছোট করে তথ্য ছড়িয়ে লাভ কি। আমাদের বলে দিক, যে তোমাদের কারণে বিশ্বকাপ খারাপ হয়েছে। কিন্তু বিসিবিকে প্রমাণ করতে হবে, কিভাবে আমরা হস্তক্ষেপ করেছি। তিনি বলেন, মিডিয়াকে ফুসফাস করে না বলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলে দেন আমার এবং জালাল ইউনুসের জন্য বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্স হয়েছে। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করছি, তাদের বলতে হবে কেনো তারা মিডিয়াকে এই কথা বলেছে। আর তদন্ত রিপোর্টে কে কি বলেছে দেখাতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, আমাদের সম্মান আছে। আমরাও দেশের জন্য খেলেছি, আমি অধিনায়ক ছিলাম। আমাদের সম্মান নিয়ে যদি কেউ খেলা করে, তার কারণটা জানা খুবই জরুরী। তিনি আরও বলেন, হস্তক্ষেপ বলতে তদন্ত কমিটি কি বুঝিয়েছে সেটা জানতে হবে। আমরা কি করেছি, আমরা কি বলেছি এই ক্রিকেটারকে খেলাও এবং অন্যজনকে খেলিও না? এগুলো জানতে হবে। আমি তো দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো জায়গাতেই ছিলাম না।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৬

‘মিয়ানমার ইস্যুতে আমরা কখনোই আগ্রাসী ভূমিকায় যাবো না’
মিয়ানমার ইস্যুতে আমরা কখনোই আগ্রাসী ভূমিকায় যাবো না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪’ এর তৃতীয় দিনের কার্য অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে। তবে আমাদের ওপর আগ্রাসনের কোনো আশঙ্কা দেখি না। তারপরও আমরা প্রস্তুত। আমরা বিশ্ব শান্তির জন্য কাজ করবো। আমরা কখনোই আগ্রাসী ভূমিকায় যাবো না। তিনি বলেন, মিয়ানমারে বিভিন্ন বহিঃশক্তি সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। কোথাও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হলে সবাই এখন নাক গলাতে চায়। আমরা ওই ব্যাপারে (মিয়ানমার পরিস্থিতি) মোটেও নাক গলাতে চাই না। আমাদের জনগণ যাতে শান্তিতে থাকে এবং রোহিঙ্গা যারা আছে তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সজাগ থাকি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে, আমরা বিশ্ব শান্তির জন্য কাজ করবো, আমরা কখনোই আগ্রাসী ভূমিকায় যাবো না। এজন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে পরিস্থিতি অনেক উদ্বেগজনক। ওখানে সিভিল প্রশাসন যেমন সম্পৃক্ত, তেমনি বিজিবিও সম্পৃক্ত। সেনাবাহিনী ততটা সম্পৃক্ত নয়। কারণ, এখনও যুদ্ধ লাগেনি যে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আমরা কোনো সময় আগ্রাসী ভূমিকা নেবো না। কিন্তু আমরা প্রস্তুত, আমাদের ওপর যদি কোনো রকম আক্রমণ আসে, আমরা ব্যবস্থা নেবো। এটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, এটা তো পরিকল্পিত কিছু না। এখানে দুই পক্ষেরই দোষ থাকে। আমাদেরও দোষ, বর্ডারের ওপারে যারা থাকে তাদেরও দোষ। এটাকে কিলিং না বলে ইনসিডেন্ট বলা যায়। চোরাচালানকারিরা এতটাই ফেরসাস হয় যে, মাঝে মধ্যে তারা বিএসএফকে আক্রমণ করে বসে। তখন তারা গুলি করতে বাধ্য হয়। আমাদের পক্ষ থেকেও গুলি হয় মাঝে মধ্যে। ডিসিদের হেলিকপ্টার ব্যবহারের প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা হেলিকপ্টার ব্যবহার অনেক কমিয়ে দিয়েছি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তেলের ওপর প্রভাব পড়েছে। যার কারণে হেলিকপ্টার ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিসিরা বলছিলেন, তারা চাহিদা অনুযায়ী পান না। এটা হয়তো সাময়িক। তবে যেকোনো সময় যে কারও অসুবিধা হলেই হেলিকপ্টার সাপোর্ট দেওয়া হবে। সিভিল মিলিটারি রিলেশনশিপের (সিএমআর) বিষয়ে তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, সিএমআর যেন আরও উন্নত হয় সেজন্য আলোচনা হয়েছে। এ আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ ছিল। ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব এসেছে। এটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেবো। ওনারাও (ডিসি-বিভাগীয় কমিশনার) চাচ্ছে আমাদের কাছাকাছি আসতে, আমরাও চাচ্ছি ওনাদের কাছাকাছি যেতে। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্য অনেক বেশি। ওনারা আমাদের এখানে ট্রেনিং করতে আসেন, আমরাও যাই। এতে আমাদের বন্ধুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে থাকছে ৩৫৬ প্রস্তাব। প্রস্তাবগুলোর জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনে বিকাশ, আইনকানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে।   
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৬

ফিলিস্তিনি ইস্যুতে আবারও তোপের মুখে খাজা
গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর হামলার প্রতিবাদে বার্তা দিতে চেয়ে একের পর এক তোপের মুখে পড়ছেন অজি ওপেনার উসমান খাজা। কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালে ব্যাট ও জুতায় কোনো বার্তায় কিংবা প্রতীকের ব্যবহার করতে কড়া বার্তা জানায় আইসিসি। শেষ পর্যন্ত ‘শান্তির প্রতীক’ ঘুঘু পাখির স্টিকার লাগিয়েছিলেন খাজা। এবার সেই স্টিকারও তাকে তুলে ফেলতে হয়েছে খাজাকে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়েলিংটন টেস্টে তিনি ব্যাটে একটি জলপাই গাছের ডাল ধরা ঘুঘু পাখির স্টিকার লাগিয়ে খেলছিলেন। ম্যাচের তৃতীয় দিন মানবাধিকারের বার্তা দেওয়া তার সেই স্টিকারও খুলে ফেলতে হয়েছে। এবারও খাজাকে আইসিসির পক্ষ থেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইসিসি থেকে তাকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন কোনো বার্তা দেওয়া যাবে না, যার মধ্যে রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে। সিরিজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ায় কুইন্সল্যান্ডের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় ব্যাটে জলপাই গাছের ডাল ধরা ঘুঘুর স্টিকার লাগিয়েই খেলেছিলেন খাজা। তা নিয়ে আপত্তি করেনি আইসিসি।  কিন্তু সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির আপত্তি রয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাচের ক্ষেত্রে । যদিও আপত্তির কথা আগেই জানতেন খাজা। তবুও ব্যাট থেকে স্টিকারটি না খুলেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমেছিলেন খাজা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার আগে সেই স্টিকার খুলেই ফেলতে হল তাকে। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই বিশেষ স্টিকার লাগানো ব্যাট নিয়ে খেলেননি খাজা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ব্যাটে চিড় ধরলে নতুন ব্যাট চেয়ে পাঠান খাজা। একাদশের বাইরে থাকা ম্যাট রেনশ খাজার কিট ব্যাগ থেকে একাধিক ব্যাট নিয়ে মাঠে যান। সেখান থেকে তিনি একটি ব্যাট বেছে নেন। কিন্তু তাতে ঘুঘুর স্টিকার থাকায় ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। বাধ্য হয়ে স্টিকারটি তুলে ফেলেন।  এর আগে ফিলিস্তিনে নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে আর্মব্যান্ড পরায় আইসিসির কাছে শাস্তি পান খাজা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সময় কোনো আর্মব্যান্ড পরার জন্য ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসি থেকে অনুমতি নিতে হয়।  পার্থে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেললেও তার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও আইসিসি থেকে অনুমতি নেননি খাজা। যাতে আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন ভঙ্গ করেছেন খাজা। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ১২ মাসের মধ্যে চারবার এমন অপরাধ করলে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়।  
০২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৮

ভর্তি পরীক্ষায় ওএমআর শিট ছেঁড়া ইস্যুতে মুখ খুললেন অভিযুক্ত পরিদর্শক
দেশের অন্যতম সমালোচিত বিষয় সদ্য সমাপ্ত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে হুমাইরা ইসলাম ছোয়া নামে এক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার অভিযোগ। এতদিন নিজেকে আড়াল করে রেখে অবশেষে মুখ খুললেন অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলাম। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সময় শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২৩ নম্বর রুমে কী ঘটেছিল তা জানিয়েছেন ডা. নাফিসা। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। ডা. নাফিসা বলেন, ওই দিন ওএমআর ফরম ছিঁড়ে ফেলা কিংবা পরীক্ষার্থীর কাছে ইলেকট্রিক ডিভাইস পাওয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তাই অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর চেহারা আমার মনে নেই। তবে তদন্ত কমিটির সঙ্গে আবারও সেই হল পরিদর্শনে গিয়ে নিশ্চিত হয় আমি হলের ওই প্রান্তেই যায়নি। ওই খাতায় আমার স্বাক্ষরও নেই। তিনি বলেন, ওই দিন খুব স্বাভাবিক পরিবেশেই ৮২৩ নম্বর রুমে পরীক্ষা হয়। ওএমআর ছেঁড়াতো দূরের কথা, কোনো অনাকাঙিক্ষত ঘটনাই ঘটেনি। এমন অভিযোগে আমি অনেক বিচলিত।   অভিযুক্ত পরিদর্শক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ১০টা বাজলে রুম আটকে দিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গণনা করা হয়। ওই দিন হল সুপার ১০৬ জন পরীক্ষার্থী গণনা করেন। অনুপস্থিত ছিল ২ জন। পরীক্ষা শেষে খাতা গণনা করে নেওয়া হয়েছে। কোনো ডিভাইস পাওয়া বা এরকম কিছু হলে হল সুপার এ বিষয়ে সাধারণত নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে জানান। কিন্তু সেদিন আমার রুমে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। সুন্দর মতো পরীক্ষা নিয়ে আমরা বের হয়ে আসি। আমাকে যতটুকু দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, আমি সেটাই পালন করেছি। তিনি বলেন, ওই দিন একজন শিক্ষার্থীও ভুল করেননি, ফলে ওএমআর শিটও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়নি। তার খাতায় আমার সাইন নেই; থাকারও কথা না। কারণ, ওই সাইডে অভিযোগকারীর রোলও পড়েনি। ডা. নাফিসা বলেন, নিজেকে আমি আড়াল করিনি। এটা আমার দুর্ভাগ্য। আমাকে তারা যে নম্বরে ফোন করেছেন, পরিদর্শকের তালিকায় আমার যে নম্বর ছিল, সেটা টাইপিং মিসটেকজনিত ভুল ছিল। পরে এ বিষয়ে হল সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া আমি নিয়মিত হাসপাতালেও যাচ্ছি। কিন্তু হাসপাতালে আমাকে যে বিভাগে খোঁজা হয়, আমি সেই বিভাগে ছিলাম না। আমার প্লেসমেন্ট ছিল অন্য জায়গায়। আমার নামটা সরাসরি চলে আসায় আমার সন্দেহ হয়েছিল যে আমার নামে কিছু ছড়াতে পারে, সেজন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভেট করি। এদিকে অভিযোগকারী পরীক্ষার্থী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দেন। তাতে বলা হয়, নারী শিক্ষার্থীর কেন্দ্র ছিল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা)। পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের সন্দেহে একজন পর্যবেক্ষক ওই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পর্যবেক্ষক তার ভুল বুঝতে পারেন এবং নতুন ওএমআর শিট দেন। তবে তখন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। বারবার অনুরোধ করার পরও পরীক্ষা পর্যবেক্ষক তাদের জন্য পরীক্ষার সময় বাড়াননি। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার অভিযোগ তদন্ত করতে ৪ সদস্যের কমিটি করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। আশ্বাস দেওয়া হয় সঠিক তদন্তের। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। তারা জানিয়েছে এমন কোনো কোনো ঘটনাই ঘটেনি এই হলে। তাহলে হুমাইরার অভিযোগ কি একেবারেই মিথ্যা?
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০০

ড. ইউনূস ইস্যুতে জাতিসংঘের স্পষ্ট বার্তা
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রতি সরকারের আচরণে জাতিসংঘ চরমভাবে উদ্বিগ্ন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ড. ইউনূসের গ্রামীণের একাধিক কার্যালয় জোর করে দখলে নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মুখপাত্র ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশে ড. ইউনূসের প্রতি সরকারের বিদ্বেষমূলক আচরণে উদ্বেগের বিষয়টি স্পষ্ট। ড. ইউনূস জাতিসংঘের অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা চরম উদ্বেগের। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সরকার দলীয় লোকেরা তার সব গ্রামীণ কার্যালয় দখল করেছে। সেই সঙ্গে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই সাংবাদিক এসব বিষয় উল্লেখ করে স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করেন- ‌‘এ বিষয়ে আপনি জাতিসংঘ মহাসচিব কী অবগত রয়েছেন?’ জবাবে ডুজারিক বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আবগত। ড. ইউনূস জাতিসংঘের কাছে খুব মর্যাদাবান। তিনি জাতিসংঘের একজন অংশীদার হিসেবে বছরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচীতে দূত হিসেবে অংশ নেন। এমডিজি, এসডিজি গোলসহ সংস্থার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলোতে তিনি সহযোগিতা করেন। ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটছে তা আমাদের চরমভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিরপুর গ্রামীণ টেলিকম ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিযোগ করেন, গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয়ে কয়েকজন গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রামীণ টেলিকম ভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছে। হঠাৎ কী হলো বাইরের কিছু লোক এসে তা জবরদখল করছে। আমরা কোথায় যাবো, কী করবো? পুলিশ আমাদের কথা শুনছে না। তিনি বলেন, নিজের অফিসে ঢুকতে পারবো কি না- এটা এখন বাইরের লোকের এখতিয়ার হয়ে গেছে। আমি দুঃখ-কষ্টে পড়ে গেছি। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আছি। এ ভবনটা আমরা করেছি এটা আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। হঠাৎ চারদিন আগে বাইরের লোক এসে জবরদখল শুরু করে আর আমরা বাইরের লোক হয়ে গেলাম।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২১

ফিলিস্তিন ইস্যুতে পশ্চিমারা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়েছে : রুশ রাষ্ট্রদূত
ফিলিস্তিন ইস্যুতে পশ্চিমারা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দর মান্তিতস্কি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা (পশ্চিমা দেশগুলো) ইউক্রেন ইস্যুতে অনেক সোচ্চার, গাজায় গণহত্যা নিয়ে নিশ্চুপ রয়েছে। তবে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও রাশিয়া একই মনোভাব পোষণ করে থাকে। তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সাইডলাইনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করবেন। তবে এ নিয়ে ঢাকা-মস্কোর সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। আলেক্সান্দর মান্তিতস্কি বলেন, বাংলাদেশ ভারসাম্যের কূটনীতি করে চলেছে। বাংলাদেশের এই কূটনীতিকে আমরা প্রশংসা করি। এ ছাড়া বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার সঙ্গে রুবল বিনিময়ে আলোচনা চলছে। এটা করতে পারলে দুই দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে। মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে রাশিয়া অস্ত্র সরবরাহ করছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক দেশই মিয়ানমারকে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। আমরা বাংলাদেশকেও অস্ত্র সরবরাহ করি। তবে আমরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন চাই। এ নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিকাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৬

‘ভারত সফরে মিয়ানমার ইস্যুতে আলোচনা হবে’
নয়াদি‌ল্লি সফ‌রে মিয়ানমা‌র সীমান্তের চলম‌ান প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান। তিন দি‌নের সফ‌রে আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) দি‌ল্লি যাওয়ার কথা র‌য়ে‌ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। সেখানে মিয়ানমারের ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতে গিয়ে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, সিকিউরিটি অ্যাডভাইজারের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে সার্বিক বিষয়গুলো আলোচনা করব। যেহেতু মিয়ানমার ভারতেরও প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আমাদেরও প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তিনি আরও বলেন, আমরা এরই মধ্যে সবসময়ই ভারতের সহযোগিতা চেয়ে এসেছি। মিয়ানমার থেকে যাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের সহায়তা আমরা বহু আগে থেকেই চেয়েছি। সুতরাং এ বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবেই আলোচিত হবে। এদিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশে দুজনের মৃত্যু এবং সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। পরে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে আসেন রাষ্ট্রদূত। জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মুহাম্মদ মাইনুল কবির তাকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানান। এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে বান্দরবানের এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২২৯ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। একইদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা তাদের নাগরিক ও সীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। এখন তাদেরকে বিমান নাকি নৌকায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সীমান্ত পরিস্থিতি এবং তৃতীয় দেশ বা জাতিসংঘের যুক্ততা নিয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত যথেষ্ট সুরক্ষিত আছে। তারা পালিয়ে আসায় তাদের আশ্রয় দিয়েছি। যেহেতু দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে, সেহেতু তৃতীয় পক্ষকে এখানে জড়িত করার কোনো প্রশ্ন নেই।’
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়