• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন ভেটো শতাব্দীর সেরা কূটনীতিক বিপর্যয় : ইরান
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা পরিষদে ওই খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। এই প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন ভেটো শতাব্দীর সেরা কূটনীতিক বিপর্যয়। এক্সে তিনি বলেন, মার্কিন সরকার কর্তৃক গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির জন্য খসড়া প্রস্তাবের ভেটোর পুনরাবৃত্তিকে শতাব্দীর সেরা কূটনৈতিক বিপর্যয় বলা উচিত। তিনি আরও বলেন, বারবার ভেটো প্রয়োগ করায় স্পষ্টতই গাজায় নকল ইসরায়েলি সরকার কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যা এবং পশ্চিম তীরে যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক দায় হোয়াইট হাউসের। বিশ্বকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রকে জবাবদিহি করতে হবে। গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) একটি খসড়া প্রস্তাবে গতকাল যুক্তরাষ্ট্র আবারও ভেটো দেয়। গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে এটি তৃতীয় মার্কিন ভেটো। অবরুদ্ধ গাজা থেকে সব ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতিকে যুক্ত করে ওয়াশিংটন একটি প্রস্তাব প্রচার করার একদিন পর যুক্তরাষ্ট্র এই ভেটো দিল। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা পরিষদে ওই খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। মার্কিন মিত্ররা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হোয়াইট হাউজের ভেটো দেয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব রেজ্যুলেশনে রাফাহ শহরে আগ্রাসন না করার জন্য এর আগে ইসরায়েলকে সতর্কও করেছিলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগে জাতিসংঘের যুদ্ধের বিষয়ে ভোটের সময় ‘যুদ্ধবিরতি’ শব্দটি এড়িয়ে গেছে। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাম্প্রতিক এই ইস্যুতে প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১৩টিই আলজেরিয়ার প্রস্তাবিত এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল আরেক স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্য। নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পাঁচটি। এর মধ্যে রাশিয়া, ফ্রান্স ও চীন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর এককভাবে কোনও প্রস্তাবে ভেটো প্রয়োগ করে তা বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে। যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে নতুন খসড়া প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর অর্থ হলো প্রস্তাবটি গৃহীত হবে না।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১১

মার্কিন হুমকির জবাব দিল ইরান
আমেরিকা আক্রমণ করলে তার জবাব দেওয়া হবে। ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধান এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন। রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি বলেছেন, আমেরিকার হুমকি আমরা শুনেছি। এমন নয় যে আমেরিকা প্রথম এমন হুমকি দিচ্ছে। এখন আমরা দুই পক্ষই দুই পক্ষকে চিনি। ফলে আমেরিকা যেন মনে রাখে, তারা আক্রমণ করলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে। ইরানের সরকারি সংবাদসংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্লামেন্টে জানিয়েছেন, ইরানের উপর আক্রমণ হলে সঙ্গে সঙ্গে তার জবাব দেওয়া হবে। আমেরিকা এইভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। আগেও ইরানের উপর শক্তি প্রয়োগ করেছে আমেরিকা। তাতে লাভ হয়নি। একমাত্র সমাধান রাজনৈতিক আলোচনায়। আমেরিকার বক্তব্য মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, জর্ডানে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে যে আক্রমণ হয়েছিল, তার জন্য দায়ী ইরানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর। এর জবাব দেওয়া হবে। তবে নানা স্তরে সেই জবাব দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরো একটি যুদ্ধ তিনি চান না। কৌশলী আক্রমণ চালানো হবে অপরাধীদের উপর। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধে নামবে না আমেরিকা। হোয়াইট হাউসে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, বহু স্তরীয় আক্রমণ চালানো হবে। সমস্ত কৌশল বাইডেনের উপস্থিতিতে তৈরি করা হচ্ছে। বুধবার হোয়াইট হাউস আবার জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টা হয়ে যাওয়ার পরেও আক্রমণ হচ্ছে না মানে এই নয় যে, আক্রমণ হবে না। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। অতি শীঘ্রই দেওয়া হবে। বস্তুত, এদিন আক্রমণকারীদের বিষয়ে আরো স্পষ্ট তথ্য দিয়েছে হোয়াইট হাউস। তাদের বক্তব্য, ইরানের মদতে একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। একই ছাতার তলায় তারা অবস্থান করছে। তারাই জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণের সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইরান এই গোষ্ঠীগুলিকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে বলে অভিযোগ। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি ইসরায়েল গাজা অভিযান শুরু করার পর সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করেছে। ওই জায়গাগুলিতে বার বার আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এমনকি তারা জর্ডানেও আক্রমণ চালিয়েছে। এদিকে আমেরিকা বুধবার জানিয়েছে, হুতি যোদ্ধাদের একটি রকেট তারা ধ্বংস করেছে। অভিযোগ, ওই মিসাইলটি লঞ্চিং প্যাডে বসানো হচ্ছিল। আগাম খবর পেয়ে আমেরিকা সেখানেই মিসাইলটি ধ্বংস করেছে।  বুধবার রাতে সিরিয়ায় আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। সিরিয়ার সেনাদের বেশ কিছু সামরিক কাঠামো তারা ধ্বংস করেছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। সিরিয়া থেকে ইসরায়েলে আক্রমণ চালানো হচ্ছিল বলে তাদের অভিযোগ।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়