• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘আ.লীগ সরকার সরকারিভাবে ইফতার বন্ধ করেছে’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সরকারিভাবে ইফতার বন্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে গণঅধিকার পরিষদের (নুর) ইফতার অনুষ্ঠানের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সরকারিভাবে ইফতার বন্ধ করেছে। ইফতার আমাদের ঐতিহ্য। এটা আদিকাল থেকেই চলে আসছে। আজকে ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি জানি না, এটা কার জন্য করা হয়েছে। কাদের খুশি করতে করা হয়েছে?’ তিনি বলেন, ‘আজকে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ নেই। আমরা যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি তাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ নিদারুণ অভাবে আছে। এই অভাবের কারণে দেশের এক শ্রেণির মানুষ খাবার খেতে পারছে না।’ গণঅধিকার পরিষদের এই অনুষ্ঠানে পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এবং আলোকচিত্রি শহীদুল আলম।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৫

পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে বিএনপি’র ইফতার
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিলেও ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার পার্টি করেছে বিএনপি। পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েও ভারত সংশ্লিষ্টতা বয়কট করতে পারেনি তারা। ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন না দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।    অনেকদিন ধরে দেশের একটি জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। আর তাতে সমর্থন বয়কটের ডাক দেয় বিএনপি। তাদের মতে, দেশকে স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত করেছে ভারত। সেই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ২০ মার্চ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেন রুহুল কবির রিজভী।  এর আগে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে’ পাশে থাকতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান, দলের নীতি নির্ধারক ‘স্থায়ী কমিটি’-র সদস্য আব্দুল মঈন খান। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে ভারতকে পাশে পাওয়া গিয়েছিল, ‘গণতন্ত্রের লড়াই’-য়েও ভারতের সেই ভূমিকা চান মঈন খান। এদিকে (২৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি’র ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। ইফতারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান তখন জানান, ইফতারে জাতিসংঘ, এনডিআই, আইআরআই এবং ৩৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন ল্যাফেইব, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দির সিম্পসন, জার্মান অ্যাম্বাসেডর আখিম ট্রোসটার, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ প্রমুখ।  এছাড়াও ভারতের হাইকমিশনের আরও কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।  বিএনপি’র ভারত বয়কট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কদিন আগে ওদের নেতা ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিবেন-এগুলো হিপোক্রেসি (ভণ্ডামি) ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বাজার অস্থিতিশীল করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো।    তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভারতের ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে তারা। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা করছে। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চিরাচরিত পাকিস্তানি কায়দায় ভারতের বিরোধিতা শুরু করেছে বিএনপি। তারা যখন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না পায়, তখনই এই একটা ইস্যু সামনে নিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুর আমলেও করেছে, এখন শেখ হাসিনার আমলেও তাই করছে। 
২৬ মার্চ ২০২৪, ০১:২৭

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এমপি শান্তর মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন
ময়মনসিংহ নগরীতে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ইফতার আয়োজন করেছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত। রমজানের প্রথম দিন থেকে একমাস চলবে এই ইফতার আয়োজন কার্যক্রম। আর চেয়ার টেবিলে বসে ইফতার করতে পেরেও খুশি এসব দরিদ্র মানুষগুলো। সরেজমিনে দেখা গেছে রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর মিন্টু কলেজ মাঠে ইফতার করেছেন প্রায় সাত শতাধিক শ্রমজীবী অতিথি। এই অতিথিদের সবাই অসহায় ও হতদরিদ্র শ্রমজীবী।  আয়োজকেরা জানান, প্রতিদিন পঞ্চাশ কেজি চালের সঙ্গে একশত কেজি মুরগি দিয়ে পাঁচ শতাধিক অতিথির জন‍্য খিচুড়ি রান্না করা হয়। সেই খিচুরি, শরবত ও খেজুর দেওয়া হয় ইফতারে।   দেখা যায়, বিকেল ৬টা বাজতেই নগরীর রিক্সা ও অটো চালকরা দলে দলে এসো জড়ো হয় মিন্টু কলেজ গেটে। এরপর তারা কলেজ মাঠের ফাঁকা স্থানে রিক্সা ও অটো সারিবদ্ধ ভাবে রেখে চেয়ারে বসছেন ইফতার করতে। এতে অংশ নিচ্ছেন অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষরাও। জেলা যুবলীগের সদস্য এবিএম আখতারুজ্জামান রবিন জানান, রমজান মাসে আমরা চাই ধনী-গরীব সবাই এক সঙ্গে ইফতার করি। সামর্থ্যবান মানুষগুলো এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে সমাজে এক ধরনের দৃষ্টান্ত স্থাপন হত। এমপি শান্তর উদ্দেশ্য অসহায়দের পাশে দাড়ানো। সেই মনোভাব থেকেই এই আয়োজন।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৬

বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপির ইফতার
বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। যেখানে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের  রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অংশ নেন। রোববার (২৪ মার্চ) গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে এ ইফতার ও দোয়া কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এদিকে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের পর প্রথম দলীয় কোন প্রকাশ্য কর্মসূচিতে অংশ নিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইফতারপূর্ব বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ গভীর অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। এমন অবস্থায় গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে এক তরফা নির্বাচন হয়েছে। যেখানে বিরোধী দলগুলো অংশ নেয়নি। এসব সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবি জানান ফখরুল। ফখরুল বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এ সময় চলমান সংকট নিরসনে গণতান্ত্রিক বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান ফখরুল। পাশাপাশি ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে ভূমিকা রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২০:০৩

পচা ডিম দিয়ে ইফতার তৈরি, ৩ হোটেলকে জরিমানা
রংপুরের তারাগঞ্জ বাজারে পচা ডিম ও নিষিদ্ধ রাসায়নিক সাল্টু ব্যবহার করে হোটেলে তৈরি হচ্ছিল ইফতারসামগ্রী।  শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারাগঞ্জ বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ সময় ইউএনওকে দেখে পালিয়ে যান কারিগররা। পরে ভেজাল খাদ্য তৈরি করায় কয়েকটি হোটেল মালিককে জরিমানা করা হয়। জানা গেছে, পচা ডিম, নিষিদ্ধ রাসায়নিক দ্রব্য সাল্টু দিয়ে তারাগঞ্জ বাজারে ইফতারসামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করে আসছিলেন তারাগঞ্জের কয়েকটি হোটেল মালিক। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল রানা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, হাট ইজারাদার, পুলিশের টিম নিয়ে বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় তারাগঞ্জ বাজারে লাকী হোটেলে পচা ডিম ও নিষিদ্ধ রাসানিক দ্রব্য সাল্টু দিয়ে ইফতার তৈরি করতে দেখেন। ইউএনওকে দেখে পালিয়ে যান কারিগর। ভেজাল খাদ্য তৈরি করায় লাকী হোটেলের মালিক শাহীন ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপর একই অভিযোগে মৃত্যুঞ্জয় হোটেলের মালিক নান্নু রায়কে ৭ হাজার টাকা ও বুড়িরহাট বাজারের গির্জা হোটেলের মালিক গির্জা রায়কে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তারাগঞ্জে ইউএনও রুবেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মানুষ পবিত্র মাহে রমজানে যাতে নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত খাবার খেতে পারে সে জন্য কুর্শা ইউনিয়নের তারাগঞ্জ বাজার ও সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বাজারের বিভিন্ন হোটেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ব্যবসায়ীরা যাতে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করেন সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:১৭

ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের ইফতার 
ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের ইফতার, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে শহরের ফুড সাফারি রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম।  এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান পিপিএম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. এম হারুন-অর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, সদর থানার ওসি শাহিন উদ্দিন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ। ইফতার মাহফিলের আলোচনা সভায় সভাপতিত্বে করেন টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিপলু জামান। পরিচালনা করেন টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান।  এ সময় সিনিয়র সাংবাদিক ইত্তেফাকের বিমল কুমার সাহা, এটিএন নিউজের নিজাম জোয়ারদার বাবলু, চ্যানেল আইয়ের শেখ সেলিম, কালবেলার ব্যুরো চীফ মাহমুদ হাসান টিপু, মানবজমিনের আমিনুল ইসলাম লিটন, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ লোটাস রহমান সোহাগসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:২১

ছুটির দিনে জমজমাট ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
ছুটির দিনে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজধানীর চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে চকবাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর মানুষের ভিড়। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার করার জন্য চকবাজারে এসেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ইফতার বিক্রির দোকানগুলোতে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। ছুটির দিনে বিপুল সংখ্যক মানুষ আসায় ব্যবসায়ীদের বিক্রি হচ্ছে অনেক ভালো। প্রায় ৫০-৬০ বছরের পুরোনো এই ইফতার বাজার নানার মুখরোচক খাবারের জন্য বিখ্যাত। ছোলা-বুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, শাহী জিলাপি, কাচ্চি বিরিয়ানি, ছাড়াও নানার আইটেমের বিরাট সমাহার রয়ছে এই বাজারে। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চার-পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের ইফতার আইটেম রয়েছে চকবাজারে। এর মধ্যে সুতি কাবাব, শামী কাবাব, আস্ত মুরগি, হাঁসের রোস্ট, খাসির লেগ রোস্ট সর্বনিম্ন ৮৫০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  কেরানীগঞ্জ থেকে আসা তানভীর আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে এখানে ইফতার করতে এসেছি। চকবাজারের ইফতারের অনেক নাম শুনেছি। সেজন্য আজকে টেস্ট করার জন্য এসেছি। সব ঘুরে দেখছি। এখনও কিছু কেনা হয়নি। শেষ সময়ে কিনব।  ফার্মগেট থেকে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকে চকবাজারের ইফতার বাজারের ভিডিও দেখে আজকে কিনতে এসেছি। খাসির লেগ রোস্ট, আস্ত হাঁস রোস্ট আর শরবত নিয়েছি। নেওয়াজ গাজী নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, শরবত থেকে শুরু করে ইফতারের অভিজাত সব আইটেম চকবাজারে পাবেন। সারাদেশ ঘুরে যেসব খাবার পাবেন না, সেগুলো এখানে পাবেন। এ ছাড়া দামও মানুষের হাতের নাগালে। এখন বাজারে সব কিছুর দামই বাড়তি। তবুও আমরা এমনভাবে দাম রাখছি যেন ক্রেতাদের ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৬

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ইফতার মাহফিলে সংঘর্ষ, আহত ৪
মুন্সীগঞ্জ সদরের পশ্চিম মুক্তারপুরের চরসন্তোষপুরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন।  রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের ইফতার মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন নাজির ইসলাম (৫৫), খোরশেদা বেগম (৫০), মোহাম্মদ রাজু (৩২) ও সাথি আক্তার (২৫)।  তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, চরসন্তোষপুর গ্রামের নাজির ইসলাম নিজেকে শ্রমিক লীগের ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি দাবি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যানার টাঙিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা তাকে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী উল্লেখ করে ইফতার মাহফিল বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু নাজির ইসলাম অনুষ্ঠান চালিয়ে গেলে এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মারামারির বিষয়ে পঞ্চসার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জানান, নাজির ইসলাম এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো রকম পরামর্শ ছাড়াই মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফয়সাল বিপ্লবের ছবি ব্যবহার করে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন তিনি। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৫

ইফতার করতে গিয়ে পরিচ্ছন্ন শহর নোংরা করল রাজশাহী জেলা আ.লীগ
পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম দেশ-বিদেশে। সেই শহরের অলোকার মোড়ে ইফতারের আয়োজন করে স্থানটিকে রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত করেছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ।  রোববার (১৭ মার্চ) এ ইফতার অনুষ্ঠানের পর ওই এলাকার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। উঠেছে প্রতিবাদ আর নিন্দার ঝড়। ক্ষুব্ধ নগরবাসী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সমালোচনাও করছেন। এ দিকে রোজা শুরুর আগেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইফতার পার্টি না করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এবার ইফতার পার্টি করছে না। তবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ করেছে এর ব্যতিক্রম। রোববার বিকেলে নগরীর অলোকার মোড়ে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা। ইফতার শেষে খাবারের প্যাকেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুরো অলোকার মোড় ও আশপাশের এলাকা নোংরা করা হয়েছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ওই এলাকাজুড়ে। জেলা আওয়ামী লীগের এই কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ নগরবাসী।   নগরবাসী বলছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি রাজশাহী নগরী। পরিচ্ছন্নতায় রাজশাহী নগরীর সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে রাজশাহী মহানগরবাসীও এখন অনেক সচেতন। নগরবাসী কেউ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ও কোন খাবারের প্যাকেট ফেলেন না। কিন্তু আজ নগরীর বাইরে থেকে এসে ইফতার মাহফিল আয়োজন করে শহর নোংরা করে যাওয়া হলো। ইফতারের প্যাকেট ও উচ্ছিষ্ট এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে যাওয়া কোন সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। এটি বহিরাগতদের পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারণ এই শহরের প্রতি তাদের কোনো ভালোবাসা ও দায়িত্ব নেই। বিশিষ্টজনরা আরও বলছেন, ইফতার আয়োজন যারা করেছেন, তাদের উচিত ছিল এলাকাটি পরিষ্কার করা। কিন্তু তারা তা না করে পুরো এলাকাটি নোংরা করে গেছেন। যিনি প্রধান অতিথি ছিলেন, তিনিও কিছু বলেননি। এখন ওই এলাকা দিয়ে চলাফেরা করা কষ্ট হচ্ছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করেন শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে। সেখানে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শহরে এভাবে অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা করে যাবে, এটি কাম্য হতে পারে না। শহর নোংরা করে তারা নিজেদের রুচি ও মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইফতারের আয়োজন এবং শহরকে এভাবে নোংরা করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে তার দলের নেতাকর্মীরা ইফতারের আয়োজন করলেন। এটা গরিব মানুষের সঙ্গে তামাশা। জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল। তারা যেভাবে শহর নোংরা করে গেলেন তা দুঃখজনক। অন্য কেউ করলে অপরাধ, এমপি-মন্ত্রীরা করলে অপরাধ নয় এটা তো হতে পারে না।’ জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের এটা ইফতার পার্টি ছিল না। আমাদের আলোচনা সভা ছিল। এর সঙ্গে নিজেরা ইফতার করেছি, কিছু বিতরণ করা হয়েছে।’ শহর নোংরা করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরা লোক লাগিয়ে দিয়েছি। রাতের মধ্যেই আমরা পরিষ্কার করে ফেলব।’
১৮ মার্চ ২০২৪, ০১:৪৬

যে কারণে ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রোজা শুরুর আগেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইফতার পার্টি না করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্দেশনার পর প্রশ্ন ওঠে- কেনো এরকম একটা নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। রোজা শুরুর দিন থেকে তা স্পষ্ট হতে শুরু করে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি সংগঠনগুলো ইফতার সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পালন করেন। এরইমধ্যে আয়োজনটি ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।  দ্বিতীয় রমজানের দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বেই অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে আবারও শেখ হাসিনা ‘ইফতার পার্টি না করার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছেন’ বলে বৈঠক শেষে জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব মাহবুব হোসন। একইসঙ্গে ওইদিন শেখ হাসিনা বলেন, যারা ইফতারে আগ্রহী ও সাধ্য আছে তারা যেন ইফতার পার্টির টাকা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে তার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনগুলো কাজ শুরু করে। কিন্তু ইফতার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, কেবল এবারই নয়, গতবারও কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে এবং প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে কোন ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়নি। গতবার অপচয় রোধে ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে খরচ কমাতে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সাধারণত গণভবনসহ বিভিন্ন জায়গায় খুবই আড়ম্বরপূর্ণ ইফতার পার্টি হয়। এই সামাজিক অনুষ্ঠানে যারা যায় তাদের সবারই কিন্তু ইফতার করার সামর্থ্য থাকে। তাই সরকার ও দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যারা গরীব তাদের কাছে ইফতার সামগ্রী বিতরণের জন্য। রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। সেই নির্দেশনার অংশ হিসেবেই ছাত্রলীগ দেশজুড়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণের এই কার্যক্রম শুরু করেছে।  ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমির হামজা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই পবিত্র রমজান মাসে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে নির্দেশনা দিয়েছেন তারই অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ। আমরা মাসজুড়ে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। ইফতার সামগ্রী সহায়তা পাওয়া রমিজান বানু বলেন, রোজায় খরচ একটু বেশি হয়। আমরা সাধারণত ভাত দিয়ে ইফতারি করে থাকি, ঘরে শরবতের ব্যবস্থা করতেও হিমশিম খাই। এই সামগ্রী পাওয়ার কারণে এবার অন্যভাবে ইফতার করতে পারবো। কোনরকম হয়রানি ছাড়া এই যে সামগ্রী বিতরণ সেটার ব্যবস্থা যিনি করেছেন আল্লাহ তার ভালো করুক। এদিকে রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ মেনে অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে শেখ হাসিনার পক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পবিত্র রমজান মাসে আওয়ামী লীগ অস্বচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দলের সবাইকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। কেবল ঢাকায় নয়, স্থানীয়ভাবেও নেতাকর্মীরা এই কর্মযজ্ঞে যুক্ত হয়েছেন। রোজই ইফতারির আগে বিভিন্ন স্পটে দলীয় উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী দেওয়া মাসব্যাপী অব্যাহত থাকবে।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়