• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইউরোপীয় সংসদে এআই আইন চূড়ান্ত অনুমোদন পেল
ইউরোপীয় সংসদের সদস্যরা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য যুগান্তকারী একটি আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন৷ আইনের পক্ষে ৫২৩টি ও বিপক্ষে ৪৬টি ভোট পড়ে৷ বুধবার (১৩ মার্চ) ইউরোপীয় সংসদে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া এআই নিয়ন্ত্রণকারী আইনটি এ বছরের শেষ দিকে কার্যকর হবে৷ দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন এ আইনটি বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সরকারের জন্যও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের রক্ষা করা ও একই সাথে উদ্ভাবনকে সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই আইনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে৷ আইনটি ঝুঁকি অনুযায়ী বিপজ্জনক বলে বিবেচিত বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আলাদা আলাদা সাজাবে যেন সেগুলো ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে৷ বেশিরভাগ এআই সিস্টেম কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ যেমন স্প্যাম সনাক্তের জন্য ব্যবহৃত মডেল৷ তবে চিকিৎসা, বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোতে এআই-এর উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার আরও বেশি পরীক্ষা করা হবে৷ এই মডেলগুলো তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্ভাব্য ঝুঁকির মূল্যায়ন করতে হবে ও ব্যবহারকারীদের কাছে স্পষ্ট তথ্য সরবরাহ করতে হবে৷ জনসাধারণের কাছে প্রকাশের আগে সে মডেলগুলো আইন মেনে চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে৷ জনপরিসরে রিয়েল-টাইম ফেসিয়াল রিকগনিশন নিষিদ্ধ করা কথা রয়েছে৷ যদিও এ আইন প্রয়োগের জন্য কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে৷ কোনো সংস্থা আইন অমান্য করলে তাদের ৭৫ লাখ ইউরো থেকে তিন কোটি ৫০ লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে৷  এআই আইনটি পৃথকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে৷ এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে আইনটি এ বছরের শেষের দিকে কার্যকর হবে৷ চ্যাটজিপিটি-র মতো জেনারেটিভ এআই মডেলগুলো আইনটি কার্যকর হওয়ার ১২ মাস পর চালু হবে৷ তবে সংস্থাগুলোকে অবশ্যই দুই বছরের মধ্যে অন্যান্য নিয়মের ব্যাপারেও একমত হতে হবে৷ নতুন পাস হওয়া আইনটি কার্যকরের ছয় মাস পর বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এআই সিস্টেমগুলি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে৷
১৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৫

৫০ ইউরোপীয় চিকিৎসককে জরিমানায় ক্ষুব্ধ মোমেন
বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে এসে জরিমানার শিকার হয়েছেন ৫০ জন চিকিৎসক। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোমেন। তিনি বলেন, ৫০ বিদেশি চিকিৎসকের এই টিমকে ব্রিটিশ প্রাইভেট ফাউন্ডেশন (তাফিদা রকিব ফাউন্ডেশন) বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। তারা বিনা পয়সার উন্নত চিকিৎসা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গরিবদের চিকিৎসা দেবেন। ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিদেশি চিকিৎসক বাংলাদেশে চিকিৎসা দিতে পারবেন না। তবে আমাদের বিশেষ অনুরোধে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় তারা এক শর্তে রাজী হন। শর্ত হচ্ছে, স্পন্সর এজেন্সিকে প্রতিজন চিকিৎসক বাবদ ১৩ হাজার টাকা ও ভ্যাট দিতে হবে। তিনি জানান, তাফিদা হলো একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি ৯ বছরের মেয়ের নাম। মেয়েটির বয়স যখন ৪ বছর ছিল, অজানা অসুখের কারণে বহু মাস অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিল। মা-বাবা মেয়েটির হাসপাতাল খরচ বহন করতে না পারায় ব্রিটিশ সরকার তার মেশিন ও ভেন্টিলেটর ডিসকানেন্ট করবে বলে ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে সারা ইউরোপে তোলপাড় হয়ে যায়। তখন ইতালি সরকার শিশুটির দায়িত্ব নেয়। তাফিদা বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ ও ভালো হয়ে উঠেছে। যখন ব্রিটিশ সরকার টাকার কারণে মেয়েটির ভেন্টিলেটর খুলে দিতে চেয়েছিল তখন বহু লোক মেয়েটির জন্য টাকা তোলে। ওই চ্যারিটির টাকায় তাফিদা রকিব ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশে এই ৫০ জন মেডিকেল বিশেষজ্ঞকে আনা-নেওয়া বাবদ প্লেনের টিকিট অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্স বিনা পয়সায় দিয়েছে। স্থানীয় হোটেল এদের থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। অথচ, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) একমাত্র ব্যতিক্রম। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বিদেশি ডাক্তারদের দেশের কোনও হাসপাতালে বিনা পয়সায় রোগী দেখা বা সেবা করা, এমনকি প্রদর্শনী শিক্ষা অপারেশন করাও নিষিদ্ধ। তবে, কয়েক বছর আগে রোকেয়া ও রাবেয়া নামক দুটি সিয়ামিজ শিশুর চিকিৎসা আমাদের সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালের সহযোগিতায় করে  হাঙ্গেরি সরকার এবং সার্থক হয়। সর্বমোট প্রায় ১৩৯ জন (বাংলাদেশি ও বিদেশি) চিকিৎসক ও সহযোগী এতে কাজ করেন। বিএমডিসির কাছ থেকে তখন কোনও অনুমোদন নিতে হয়নি। কোনও চার্জ বা জরিমানা দিতে হয়েছে বলে শুনিনি। বর্তমানে হাঙ্গেরি ও বাংলাদেশের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্রিয় উদ্যোগে রোকেয়া রাবেয়ার কাহিনী উভয় দেশে বহুল আলোচিত। শুধু তাই নয়, রোকেয়া-রাবেয়ার সম্পর্কের পথ ধরে আমার অনুরোধে হাঙ্গেরি সরকার বাংলাদেশের ১৫০ ছাত্রছাত্রীকে ফুল স্কলারশিপ দিচ্ছে। রোকেয়া-রাবেয়ার কারণে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে আমার এখন একান্ত বন্ধু। ড. মোমেন বলেন, ইউরোপের তাফিদা রকিব ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশের প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যাসোসিয়েশন ও আরটিএম বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত চিকিৎসা সেবা বিষয়ক যে কো-অপারেশনের ব্যবস্থা করল, বিএমডিসি তাতে উৎসাহ না দিয়ে বরং জরিমানা করল। বিষয়টি অস্বাভাবিক। জ্ঞান নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকারবদ্ধ। বিএমডিসি প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো সরকারপ্রধানের পদে নির্বাচিত হওয়ায়  অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ব্রাসেলস থেকে এক শুভেচ্ছা বার্তায় সরকারপ্রধানকে এ অভিনন্দন জানান চার্লস মিশেল।     অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনার দেশের একটি নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং অন্যান্য সব স্বার্থের বিষয়ে কাজ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চার্লস মিশেল বলেন, আমাদের সহযোগিতাকে বিস্তৃত এবং আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যে একটি অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোচনা শিগগিরই শুরু হবে। এই চুক্তি আগামী বছরগুলোতে আমাদের সম্পর্কের জন্য একটি শক্ত কাঠামো তৈরি করবে। অভিনন্দন বার্তায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের কাঠামোর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের অংশীদারিত্বকে সমুন্নত রাখতে ও এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা, যার রেকর্ড আর কোনো রাজনীতিকের নেই।  বিজয়ী হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো অব্যাহত রেখেছে। 
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪০

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এতে সব প্রধান দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায় থেকে এ বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মাধ্যকার সম্পর্ক গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মূল্যবোধ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত।  গত রোববার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি আমলে নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।  বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইইউ নির্বাচনকালীন সহিংসতার নিন্দা জানায় এবং নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। নির্বাচনকালে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, যথাযথ প্রক্রিয়া এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে ইইউ সম্মান করে এবং সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে।  বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানকে সম্মান করতে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপের জন্য ইইউ সব পক্ষকে আহ্বান জানায়। গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলো কোনো ধরনের ভয়ভীতি ও বাধা ছাড়াই যেন তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিতের প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইইউ। রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে চিহ্নিত করে- এমন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইইউ কাজ করে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়