• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টিকিট ছাড়া পার্কে ৫ শিশু, কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন ইউএনও
শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসন পরিচালিত একটি পার্কে টিকিট ছাড়া প্রবেশ করায় ৫ শিশুকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিনের নির্দেশে দুজন গ্রাম–পুলিশ ও আনসার সদস্যদের প্রহরায় শিশুদের তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর পার্ক থেকে তাদের আটক করেন গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। পরে তাদের ওই শাস্তি দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর পার্কটি ঈদের দিন চালু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পার্কের দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন। সীমানা প্রাচীর দিয়ে পার্কটির চারপাশ আটকে একটি প্রবেশদ্বার রাখা হয়েছে। পার্কের ভেতরে শিশুদের খেলার জন্য বসানো হয়েছে ১৫-১৬টি বিভিন্ন রাইড। এ ছাড়া পার্কে প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। সোমবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার হাতিরকান্দি, তুলাসার ও স্বর্ণঘোষ এলাকার ১০ থেকে ১৩ বছর বয়সী কয়েকজন শিশু পার্কের আশপাশে খেলাধুলা করছিল। এ সময় তারা নিরাপত্তা প্রহরীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমানা প্রাচীর টপকে পার্কে প্রবেশ করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে গ্রাম–পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের মধ্যে ৫ জনকে আটক করেন। অভিযোগ উঠেছে, পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন ওই শিশুদের মধ্যে চারজনকে কানে হাত দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন। ওই ঘটনার সময় পার্কে উপস্থিত অনেক দর্শনার্থী মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলেন ও ভিডিও ধারণ করেন।  পার্কে দায়িত্বে থাকা প্রহরী জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী বলেন, দেয়াল টপকে কিছু ছেলে পার্কে প্রবেশ করে। পরে তাদের ধরে শাস্তি দেওয়ার জন্য পানিতে দাঁড় করে রাখা হয়। তবে কানে ধরার বিষয়টি আমি জানি না। ভুক্তভোগী এক শিশু বলে, আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। আমার সাথে থাকা অনেকে ভেতরে ঢুকছে, তাই আমিও ওদের সাথে ঢুকছি। পরে আনসাররা মিলে আমাকে সন্ধ্যা থেকে ৯টা পর্যন্ত আটকে রাখছে। ইউএনও এসে আমাকে কান ধরে রাখতে বলছে আর পার্ক বন্ধ হওয়া পর্যন্ত আটকে রাখতে বলছে। ভুক্তভোগী আরেক শিশু বলে, আমরা বুঝতে পারলে ঢুকতাম না। আমাদের অনেকক্ষণ দাঁড় করাইয়া রাখায় পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। ওনারা অনেক রাগারাগি করছে। আমরা আর কখনো পার্কে যাব না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকজন দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকলে গ্রাম–পুলিশ ও দায়িত্বরত যারা ছিলেন তারা ওদেরকে ধরে আটকে রাখেন। আমি গিয়ে কাউন্সিলিং করে ছেড়ে দিই। ওরা দুয়েকজন হয়তো ভয়ে কানে হাত দিয়েছিল।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৪

হাশেমের পরিবারের মুখে হাসি ফোটালেন সন্দ্বীপের ইউএনও
সন্দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. হাশেম। স্ত্রী ও দু্ই মেয়ে নিয়ে তার সংসার। ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে অভাব অনটনে সংসার চালিয়ে আসছেন হাশেম। সম্বল বলতে মাথা গোজার জন্য বসত ভিটা ছাড়া কিছুই নেই। এদিকে পুত্র-সন্তানহীন হাশেমের বড় মেয়ে প্রতিবন্ধী। বড় মেয়ে প্রতিবন্ধী হওয়ায় ছোট মেয়েকে বিয়ে দিতে বন্দোবস্ত করলেও আর্থিক সংকটে পেরে উঠতে পারছিলেন না। এলাকার স্থানীয় এক সমাজকর্মীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী। তিনি মানবিক সহায়তা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সন্দ্বীপের অনেক প্রবাসী বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন।  অসহায় হাশেমকে সন্দ্বীপের আমানউল্লাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার ক্যাপ্টেন আজাদুর রহমান একটি অটোরিকশা উপহার দেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার উপস্থিতিতে হাশেমের হাতে চাবি তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া প্রবাসী ও বিত্তবানদের প্রেরিত অর্থ ৮০ হাজার টাকা হাশেমের মেয়ের নামে কৃষি ব্যাংক সন্দ্বীপ শাখায় ডিপোজিট করে রাখা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোরশেদ আলম চৌধুরী আরটিভিকে বলেন, হাশেম খুবই অসহায়ভাবে দিনতিপাত করছে। তার বাড়িতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। হাশেমের সহায়তায় সন্দ্বীপের বিত্তবানরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে তাতে আমি মুগ্ধ। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি হাশেম স্বাবলম্বী হতে পারবে। অটোচালক হাশেম আরটিভিকে বলেন, জীবনে কেউ আমাকে এভাবে সহযোগিতা করেনি৷ ইউএনওর মাধ্যমে ক্যাপ্টেন আজাদ ভাই এর কাছ থেকে অটোরিকশা পেয়েছি। মেয়ের বিয়ের জন্য ৮০ হাজার টাকা পেয়েছি। এ ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়