• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিল ইইউ
ইসরায়েলে হামলা করায় ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।  স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ এপ্রিল) ব্রাসেলসে ইউভুক্ত ২৭ দেশের নেতাদের প্রথম বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল প্রতিশোধ নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও সেটি তারা কীভাবে নেবে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে বৈঠকে ইইউ নেতারা ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা ইসরাইলের নিরাপত্তার প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে লেবাননসহ সব পক্ষকে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বৈঠকে শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল বলেছেন, ‘আমরা মনে করি ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য সবকিছু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’  অন্যদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসরাইল নিজস্বভাবে বড় ধরনের হামলার জবাব যেন না দেয়। ইরানের হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি-৭ দেশগুলোর সংঘাত নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে নেতানিয়াহু বলেন, কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায়, আমরা সে সিদ্ধান্ত নেব। নিজেদের রক্ষার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, গত শনিবার ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার রেশ কাটতে না-কাটতেই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বেইত হিল্লেল সামরিক ঘাঁটিতে মোতায়েন করা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সামরিক সংগঠন হিজবুল্লাহ।  মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ দুটি ড্রোন দিয়ে ওই হামলার কথা জানিয়েছে। যদিও এ হামলার বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইইউ
ইসরায়েলে হামলা করায় ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ আঞ্চলিক এ জোটের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন৷ মঙ্গলবার ইইউর রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের পর বোরেল নতুন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কাজ শুরু করার কথা জানান৷ তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, মধ্যপ্রাচ্য একেবারে খাদের কিনারায় এসে পৌঁছেছে৷ তিনি বলেন, আজ মন্ত্রীরা একটা শক্ত অবস্থান নিয়েছেন৷ তারা সবপক্ষকে খাদের কিনারা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন, যেন গর্তে পড়ে না যান৷ আঘাত আর পালটা আঘাত চলতে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে একটা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন বোরেল৷ বোরেল বলেন, ইইউর কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র ইরানের ওপর আরো নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছে৷ জার্মানি, ফ্রান্সসহ আরো কয়েকটি রাষ্ট্র এই প্রস্তাব সমর্থন করেছে৷ কোনো কোনো রাষ্ট্র ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড ফোর্সের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছে৷ সোমবার লুক্সেমবুর্গে পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে আরো আলোচনা হবে৷
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৮

এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি ইইউ যুদ্ধজাহাজ, চক্কর কাটছে হেলিকপ্টার
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ওপর নজর রাখছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন নেভাল ফোর্সের (ইইউএনএভিএফওআর) একটি যুদ্ধজাহাজ। এই মুহূর্তে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজটির বেশ কাছাকাছি অবস্থান করছে ইইউ নেভাল ফোর্সের জাহাজটি। পাশাপাশি তাদের হেলিকপ্টার ঘন ঘন চক্কর কাটছে জিম্মি জাহাজটি ঘিরে।  প্রসঙ্গত, সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের দমনে ‘অপারেশন আটলান্টা’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইইউএনএভিএফওআর। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে নিজেদের এক্স অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ জিম্মি এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে তাদের কার্যক্রমের তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ‘অপারেশন আটলান্টা’। তার মধ্যে একটি ছবিতে ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি থেকে বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে। জাহাজটির দিকে তাকিয়ে আছেন ইইউ নেভাল ফোর্সের দুই সদস্য। যা যুদ্ধজাহাজটি থেকে এমভি আবদুল্লাহ’র খুব কম দূরত্বকেই নির্দেশ করে।  অপর দুটি ছবি ও একটি ভিডিওতে যুদ্ধজাহাজ থেকে ইইউ নেভাল ফোর্সের একটি হেলিকপ্টারকে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়। এর আগেই গত ১৪ মার্চ এক বিবৃতিতে ইইউ নেভাল ফোর্স জানায়, ‘অপারেশন আটলান্টা’র আওতায় তাদের একটি যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছে। বাংলাদেশি ও সোমালিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে তারা। এরপর ১৮ মার্চ রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধারে একযোগে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা। তবে, নাবিকদের নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ এবং সরকার। তাই এর আগে ইইউ নেভাল ফোর্স জিম্মি জাহাজটি উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম তখন বলেছিলেন, ‘আমরা ইইউ নেভাল ফোর্সকে অভিযান পরিচালনার অনুমতি দিইনি। তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করছি, কীভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নাবিক ও ক্রুদের কোনো ক্ষতি ছাড়াই জাহাজটি উদ্ধার করা যায়।’ এ ছাড়া ছিনতাই হওয়া জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে ‘মধ্যস্থতাকারী’ নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল জাহাজের মালিক কবির গ্রুপ।  এরই মধ্যে জানা গেছে, ইইউ নৌবাহিনীকে অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে জিম্মি নাবিকদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে জলদস্যুরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, ইইউ নৌবাহিনীর চাপে নাবিকদের এখন ২৪ ঘণ্টাই জাহাজের ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি-টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে তারা। সর্বশেষ বুধবার প্রথমবারের মতো জলদস্যুরা জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি জানান, তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জিম্মি জাহাজ থেকে যোগাযোগ করেছে জলদস্যুরা। সেইসঙ্গে কথা হয়েছে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেনের সঙ্গেও। তবে, কী আলাপ হয়েছে, তা জানাতে রাজি হননি কবির গ্রুপের এ কর্মকর্তা। শুধু বলেছেন, জলদস্যুরা যেহেতু যোগাযোগ শুরু করেছে, সুতরাং সমঝোতার সুযোগ তৈরি হয়েছে।  এদিকে অভিযান পরিচালনা করে জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে বাংলাদেশি মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, ‘সোমালিয়া কোস্ট লাইনের ভেতরে এমন অভিযান খুব ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সোমালিয়া কোস্টের ভেতর যতগুলো জাহাজ ছিল আজ পর্যন্ত কোনো জাহাজ শান্তিপূর্ণ নেগোসিয়েশন ছাড়া মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। মাল্টিজ জাহাজ রুয়েন, যেটি ভারতীয় বাহিনী কয়েকদিন আগে উদ্ধার করেছে, সেটিও যদি তাদের কোস্ট থেকে বের না হতো, তবে উদ্ধার করা সম্ভব হতো না।’ ‘অপারেশন আটলান্টা’ তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত জলদস্যুতার ঝুঁকি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৫টি নৌযানে ছিনতাই ও ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়েছে দস্যুরা। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছোট নৌযান। বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে তিনটি। তবে সর্বশেষ শুধু বাংলাদেশি জাহাজটিই এখন সোমালিয়ার দস্যুদের কাছে জিম্মি রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদ্দেশে রওনা হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। মোগাদিসু থেকে এক হাজার ১১১ কিলোমিটার পূর্বে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে বাণিজ্যিক কার্গো জাহাজটিকে প্রথমে নেওয়া হয় সোমালিয়ার গারাকাড এলাকায়। উপকূল থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা হয় সেটিকে। এরপর আবার অবস্থান বদলে আবদুল্লাহকে নেওয়া হয় গদবজিরান উপকূল এলাকায়। সেখান থেকে সরিয়ে নোঙর করা হয় উপকূলের মাত্র সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরে। তারপর আরও এগিয়ে উপকূলের পৌনে তিন কিলোমিটার দূরত্বে নেওয়া হয়েছে। জাহাজটিতে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজটি গত তিনদিন ধরে সেখানেই নোঙর করা আছে। 
২২ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৭

গাজার দুর্ভিক্ষের জন্য ইসরায়েল দায়ী : ইইউ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের জন্য ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল। এই পরিস্থিতিকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। খবর আনাদোলু এজেন্সির। সোমবার (১৮ মার্চ) থেকে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউ’র অন্যতম অঙ্গসংস্থা ইউরোপিয়ান হিউম্যানিটেরিয়ান ফোরামের ২ দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে জোসেপ বরেল বলেন, গাজা এখন আর দুর্ভিক্ষের প্রান্তে নেই, সেই স্তর অতিক্রম করে এখন দুর্ভিক্ষের মধ্যে পৌঁছেছি, যা উপত্যকার হাজার হাজার মানুষের জন্য সীমাহীন ভোগান্তি এনে দিয়েছে। ইইউ পররাষ্ট্র নীতি বিভাগের প্রধান বলেন, যুদ্ধের জেরে গাজা শিগগিরই এমন একটি অঞ্চলে পরিণত হতে চলেছে, যেখানে কোনো প্রকার আইনের শাসনের অস্তিত্ব থাকবে না এবং সামগ্রিকভাবে ফিলিস্তিন একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপ নিচ্ছে এমন একটি রাষ্ট্র যা কিনা জন্মের আগেই ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আর এই পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী ইসরায়েল। গাজার যুদ্ধে ক্ষুধাকে তারা যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।এতে নারী ও শিশুসহ হাজার ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্থিনির এক তৃতীয়াংশই জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা দেশ ও সংস্থার ত্রাণের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে উপত্যকায় ত্রাণের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে খাদ্যের অভাবে পশুখাদ্য, গাছের পাতা খেতে বাধ্য হচ্ছেন গাজার লোকজন। ইতোমধ্যে সেখানে খাদ্যের অভাবে মৃত্যু শুরু হয়েছে। দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৭

জিম্মি জাহাজে অভিযানে ঢাকার অনুমতি চেয়েছিল ইইউ
বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ অ্যাকশনে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের অনুমতি চেয়েছিল। তবে নাবিক, ক্রু এবং অন্যদের প্রাণনাশের আশঙ্কায় বাংলাদেশ সরকার অ্যাকশনের অনুমতি দেয়নি। শনিবার (১৬ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমান পুরো এলাকা সার্চ করে আমাদের জাহাজটি সোমালি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে সেই তথ্য নিশ্চিত করে। সেখানে কাছাকাছি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ তাৎক্ষণিক দস্যুদের চ্যালেঞ্জ করার জন্য আমাদের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের লোকজনের প্রাণরক্ষায় আমরা সে পথে যাইনি। এখন নেগোশিয়েশন চলছে কীভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নাবিক, ক্রুদের কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই জাহাজটি উদ্ধার করা যায়। তিনি আরও বলেন, জাহাজ চলাচল নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদ রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশের টহল জাহাজ গভীর সমুদ্রে থাকে। এসব জাহাজের বিশেষ কাজ জলদস্যুতা প্রতিরোধ করা। তবে হুতিদের প্রতি এটেনশন দিতে কিছু জাহাজ ব্যস্ত থাকার গ্যাপে সুযোগ নিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। বেশ কয়েক মাস যাবত তারা বড় জাহাজ জিম্মি করার অপেক্ষায় ছিল। সাগরের প্রায় ১৩০০ নটিক্যাল মাইল ভেতরে গিয়ে তারা আক্রমণটি করেছে। ওই পথে জাহাজ চলাচলে সতর্কতা অবলম্বনের একটি নোটিশ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাহাজ সঠিক পথেই ছিল। বৃটেনের তরফে সেটা জারিকৃত সেই ডেঞ্জার জোনের একশত নটিক্যাল মাইল দূর দিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশের জাহাজটি। তবে ২৫০ থেকে ৩০০ নটিক্যাল মাইল ভেতর দিয়ে গেলে হয়তো বিপদ এড়ানো যেতো।  সবশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় দফায় গ্যারাকাড উপকূল থেকে ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে সোমালিয়ার ‘গোদবজিরান’ উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করা হয়েছে। জলদুস্যদের পক্ষ থেকে শনিবার পর্যন্ত জাহাজের মালিকপক্ষ বা সরকারি কোনো সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।’
১৭ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৪

অ্যাপ কর্মীদের অধিকার রক্ষায় সম্মত ইইউ
উবার, ডেলিভারুর মতো বিভিন্ন অ্যাপ-এ কাজ করা কর্মীদের মধ্যে কারা চাকরিজীবীদের মতো অধিকার অর্জন করবেন, তা ঠিক করতে প্রস্তাবিত আইনে সোমবার সম্মত হয়েছেন ইইউ সদস্য দেশগুলোর শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রীরা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখের মতো কর্মী গিগ অর্থনীতিতে কাজ করেন৷ বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ, ফুড ডেলিভারি অ্যাপ, ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো গিগ অর্থনীতির অংশ৷ দ্য প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্ক ডাইরেক্টিভ-এ বলা হয়েছে, যে প্ল্যাটফর্ম তার কর্মীদের কাজের পারফরম্যান্সের উপর নজর রাখে এবং কর্মীদের কত টাকা দেওয়া হচ্ছে এবং তারা কত ঘণ্টা কাজ করছেন, সেইসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে, সেই প্ল্যাটফর্মের কর্মীদের কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরিজীবী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২১ সালে অ্যাপ কর্মীদের অধিকার রক্ষায় আইন তৈরি শুরু করে৷ গত ডিসেম্বরে তারা একটি খসড়ায় সম্মত হয়৷ এরপর সেটির অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ কিন্তু ফ্রান্সের নেতৃত্বে কয়েকটি দেশ এটি আটকে দেয়৷ সে কারণে ইইউ আলোচকেরা আবার আলোচনায় বসে আইনে কিছু পরিবর্তন আনেন৷ সমালোচকেরা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তাবিত আইনটি অনেক দুর্বল হয়ে গেছে৷ সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ মন্ত্রীদের বৈঠকে আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ জার্মানি এতে সমর্থন দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে৷ আর ফ্রান্স বিরোধিতা করেছে৷ তবে যে দেশগুলো এটি সমর্থন করেছে সেসব দেশে ইইউর মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বেশি বাস করেন৷ তাই নিয়ম অনুযায়ী, আইনটি এখন পাসের জন্য ইইউ সংসদে পাঠানো হবে৷ সেখানে এটি সহজে পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ আইনটি পাস হলে সদস্যরাষ্ট্রগুলো, একজন কর্মীকে কী বিবেচনায় চাকরিজীবী বলে গণ্য করা হবে, তার জন্য নিজেদের মতো করে নির্ণায়ক ঠিক করবে৷ সোমবার মন্ত্রীরা আইনে সম্মত হওয়ার পর এক্স-এ বিষয়টি শেয়ার করেছে ইইউর বর্তমান সভাপতি দেশ বেলজিয়াম৷ এতে বলা হয়, আপনাদের ঘরে যারা খাবার ডেলিভারি করেন তাদের জন্য উন্নততর কর্ম পরিবেশ৷ ইউরোপীয় কাউন্সিল মনে করছে, আইনটি ইইউতে গিগ অর্থনীতিতে কাজ করা কর্মীদের ন্যূনতম সুরক্ষা নিশ্চিত করবে৷
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৯

ধর্ষণের আইনি সংজ্ঞা নিয়ে একমত হতে ব্যর্থ ইইউ দেশগুলো
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে নতুন নীতিমালার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও ধর্ষণের একক কোনো সংজ্ঞার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি ইইউ দেশগুলো৷ এতে নারীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে জার্মানি ও ফ্রান্স৷ ধর্ষণের একক সংজ্ঞা নির্ধারণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা কয়েক মাস ধরে আলোচনা করছিল৷ এই বিষয়ে শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন৷ তাই সেটি ছাড়াই নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে অভিন্ন গাইডলাইন বা নীতিমালা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের কাছে আলোচনার এই ফলাফল তুলে ধরেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আইরিশ সদস্য ফ্রান্সেস ফিটজগেরাল্ড৷ তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছে যে, নারীর প্রতি সহিংসতাকে আমরা আমাদের সমাজের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করব৷ তবে ধর্ষণের সংজ্ঞা নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পার্লামেন্টের রক্ষণশীল দল ইউরোপীয় পিপলস পার্টির এই ভাইস-প্রেসিডেন্ট৷ বলেন, ধর্ষণের সম্মতি ভিত্তিক সংজ্ঞার বিষয়টি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ধর্ষণ বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন৷ ইইউর বিভিন্ন দেশের ফৌজদারি আইনে ধর্ষণের ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে৷ নতুন করে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতেও এর পরিবর্তন হচ্ছে না৷ আলোচনায় ধর্ষণের একক সংজ্ঞা নির্ধারণের ব্যাপারে অনাস্থা জানিয়েছে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা দ্য কাউন্সিল অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন৷ শুধু হ্যাঁ মানেই হ্যাঁ নারী অধিকার এনজিও ইউরোপিয়ান উইমেনস লবির ২০২৩ সালের অক্টোবরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ১৪টি সদস্য রাষ্ট্রের আইন ধর্ষণের ক্ষেত্রে শুধু হ্যাঁ মানেই হ্যাঁ এমন দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থন করে৷ অর্থাৎ, যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবশ্যই নারীর পরিষ্কার সম্মতি থাকতে হবে৷ এই দেশগুলোর মধ্যে আছে, সুইডেন, স্পেন, ক্রোয়েশিয়া, গ্রিস৷ অন্যদিকে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া না মানে না এমন নীতি অনুসরণ করে, যেখানে ধর্ষণের শিকার বা অভিযোগকারীকে প্রমাণ করতে হয় যে তিনি যৌনকর্মে মৌখিক আপত্তি জানিয়েছিলেন৷ ইউরোপিয়ান উইমেনস লবির তথ্য অনুযায়ী, বাকি ১১টি দেশে সহিংসতা প্রতিরোধ বা বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে ধর্ষণের অপরিহার্য উপাদান হিসেবে দেখা হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, ইটালিসহ পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশ৷ ২০২২ সালে ইউরোপীয় কমিশন এই বিষয়ে একটি অভিন্ন আইনেরপ্রস্তাব রাখে৷ এর মূলে ছিল নারীর প্রতি সহিংসতা ও গৃহ সহিংসতা রোধে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে ইইউর সব দেশের গ্রহণ করা ইস্তাম্বুল কনভেনশনের লক্ষ্যগুলোকে বাস্তবায়ন করা৷ সদস্য দেশগুলোর মতপার্থক্য ইস্তাম্বুল কনভেনশনে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তির সাথে তার অসম্মতিতি যৌন প্রকৃতির কোনো কর্মে লিপ্ত হওয়াকে অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবে৷ এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা সংক্রান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবিত একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে কোন নারীকে কারো সাথে তার অসম্মতিতে যৌন সংসর্গে বাধ্য করানো শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে৷ এই প্রস্তাবে শুধু হ্যাঁ মানেই হ্যাঁ এমন নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল৷ কিন্তু ইইউ কাউন্সিল তাদের ২০২৩ সালের মে মাসের প্রতিবেদন থেকে ধারাটি বাদ দেয়৷ দুই সপ্তাহ আগে জার্মানির বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশমান ব্রাসেলসে অনানুষ্ঠানিক এক আলোচনায় বলেছেন, কাউন্সিলের আইনি পরামর্শদাতারা ও অন্য অনেক সদস্য রাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ইউরোপীয় মৌলিক আইনে এই ধারাটির জন্য আইনি ভিত্তি যথেষ্ট নয়৷ বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী ফ্রান্স ও হাঙ্গেরিও এই অবস্থান নিয়েছিল৷ অন্যদিকে ফিটজগেরাল্ড জানিয়েছেন, ইইউ সদস্যদের ২৭টির মধ্যে ১৩টি দেশ সম্মতি ভিত্তিক সংজ্ঞার পক্ষপাতি ছিল৷ এ ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান নিয়ে বাকি সদস্যরা নারী ও নারী অধিকার কর্মীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ জার্মানির ১০০ জন বিশিষ্ট নারী দেশটির বিচারমন্ত্রীকে অবস্থান পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন৷ আর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউরোপিয়ান উইমেন্স লবি বলেছে, নীতিমালা থেকে কাউন্সিলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আটকে দেয়ার সিদ্ধান্তে তারা গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছে৷ সেই সাথে ইস্তাম্বুল কনভেনশন অনুযায়ী সম্মতির ভিত্তিতে ধর্ষণের একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সংজ্ঞা নির্ধারণে পাঁচ নম্বর ধারাটি মুছে ফেলার জন্য ফ্রান্স ও জার্মানির চাপের প্রেক্ষিতে নেয়া সিদ্ধান্ত আপত্তিকর বলে উল্লেখ করেছে তারা৷ সংগঠনটির নীতি ও প্রচার কর্মকর্তা আইরিন রোসালেস এটিকে সম্পূর্ণ ভণ্ডামি বলে অভিহিত করেছেন৷ এর মাধ্যমে সবচেয়ে জঘন্যতম সহিংসতা থেকে নারী ও মেয়েদের রক্ষার সুযোগ শোচনীয়ভাবে হাতছাড়া করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ তবে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধের নতুন এই নীতিমালায় যৌনাঙ্গচ্ছেদ ও জোরপূর্বক বিয়ের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে অনাকাঙ্খিতভাবে অন্তরঙ্গ ছবি ছড়িয়ে দেয়া এবং অযাচিতভাবে আপত্তিকর ছবি পাঠানো এবং সাইবারস্টকিংকে (ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে ভয়ভীতি প্রদর্শন) বেআইনি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে৷ নীতিমালাটি গৃহীত হওয়ার জন্য তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউন্সিল ও পার্লামেন্টে স্বীকৃতি পেতে হবে৷ এরপর সদস্য রাষ্ট্রগুলো তিন বছরের মধ্যে সেটিকে নিজ দেশের আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় ইইউ : রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৪ বিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগ রয়েছে। এটা আরও বাড়াতে চাই। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আমরা খুবই আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তার পরিকল্পনা জানতে পেরে আমরা বেশ আশাবাদী। কাজেই বাংলাদেশের সহায়তা অংশীদার হিসেবে কাজ করার বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেড়েছে। ২০২৬ সালের পরিকল্পনা নিয়ে হুইটলি বলেন, জিএসপি প্লাসে সহজ রূপান্তর চাচ্ছি। স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ সহজ হোক, আমরা সেটিই চাচ্ছি। আমরাও এ বিষয়ে জোর দিচ্ছি। কারণ, এটা বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশে কাজ করছি আমরা। সেসব ক্ষেত্রে বাজেট সহায়তা নিয়েও কথা বলেছি আমরা। ইউরোপীয় চেম্বারস অব কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে কীভাবে সহায়তা করতে পারি, সেদিকেই আমরা বেশি আলোকপাত করছি। শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানান হোয়াইটলি।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৩

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার চায় ইইউ
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।   এর আগে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে তৃতীয় ‘ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টারিয়াল ফোরাম’-এর সাইডলাইনে ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস জুটা আরপিলাইনেন এবং ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জ্যানেজ লেনারসিচের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে ইইউর সহযোগিতা বৃদ্ধি ও জোরদার অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একত্রে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন দুই ইউরোপীয় কমিশনার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেল ফন্টেলেসের সঙ্গেও এ দিন ফলপ্রসূ মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, পর্তুগাল ও লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঙ্কে ব্রুইনস স্লট, অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো, পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জোয়াও গোমেস ক্রাভিনহো এবং লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিসের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী। এ ছাড়া লুক্সেমবার্গের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেল এবং স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানজা ফাজনের সঙ্গেও ফলপ্রসূ মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০২

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে ইইউ রাষ্ট্রদূত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হেড অব ডেলিগেশন এবং রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক ও বৈশ্বিক সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকের পর চার্লস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বার্তায় বলেন, বৈশ্বিক ও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মধ্যে।  
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়