• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মডেলিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মাসে আয় ১২ লাখ টাকা
বর্তমান এই সময়ে সব কিছুতেই লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। রোবটের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে বিভিন্ন সময়। আর এবার  এবার মডেলিংয়ে আসলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আয়তানার গোলাপি চুল, সুন্দর চোখ, বয়স ২৫। কাজ করে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে। মাসে আয় করে ১২ লাখ টাকার কাছাকাছি। যে কেউ এই মডেলকে দেখে মুগ্ধ হবেন। কিন্তু আয়তানার বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। কারণ, সে ভার্চুয়্যাল জগতের বাসিন্দা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি প্রোগ্রাম। স্পেনের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) মডেল সে। তাকে তৈরি করেছে স্পেনের দ্য ক্লুলেস নামের একটি সংস্থা। আয়তানাকে তৈরির আগে দ্য ক্লুলেসের উদ্যোক্তা ও নকশাবিদ রুবেন ক্রুজকে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছিল। তার সংস্থার কাছে তেমন কোনো গ্রাহক ছিল না। ইউরোনিউজকে ক্রুজ সেই সময়ের কথা তুলে ধরে বলেন, কঠিন এক সময়ে আতিয়ানা জন্ম নেয়। আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করতে বুঝতে পেরেছিলাম যে অনেক কাজ আমাদের বাতিল হচ্ছে। অনেক সমস্যার আমরা সমাধান করতে পারছি না। এর পেছনে কারণ ছিল, অনেক মডেল বা ইনফ্লুয়েন্সার ঠিকমতো কাজ করছে না। ক্রুজ বলেন, ওই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা নিজেদের ইনফ্লুয়েন্সার তৈরির কথা ভাবি। এমন একটি ইনফ্লুয়েন্সার তৈরি করতে চেয়েছিলাম যে মডেল হিসেবে কাজ করবে এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ড তার প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের আশা, এ ধরনের কৃত্রিম মডেল ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনী প্রচারে খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২১:০৭

২২ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৫২০৮ কোটি টাকা
চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২২ তারিখ পর্যন্ত দেশে বৈধপথে ১৪১ কোটি ৪৪ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ২২ দিনে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স বা  প্রবাসী আয় এসেছে ৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার বা ৭০৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুয়ায়ী, চলতি মাসের ২২ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার বা ২ হাজার ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অপরদিকে বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৭৫ কোটি টাকার বেশি, এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার বা ১৩ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে তা ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর আগে, ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০৮

যেভাবে সোমালীয় জলদস্যুদের উত্থান, যেমন আয় তাদের
সোমলীয় জলদস্যুরা ফের ব্যাপক বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাঝখানে বেশ কয়েক বছর কিছুটা নীরব ছিল বিশ্বের কুখ্যাত এই দস্যুবাহিনীটি। লোহিত সাগরে হুথিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলো বেশি ব্যস্ত থাকার সুযোগে ভারত মহাসাগরের গালফ অফ এডেনে তারা ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এই দস্যুরা ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ ২৩ জন নাবিকসহ জিম্মি করেছে। জাহাজটি ইতোমধ্যে তারা সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে কর্মরতরা অডিওবার্তায় জানিয়েছে। ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণও চেয়ে বসেছে ভয়াবহ এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠিটি। ব্যর্থতায় নাবিকদের একে একে সাবাইকে মেরে ফেরার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।  যেভাবে উত্থান এই জলদস্যুদের : ইতালিয়ান ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে ১৯৬০ সালে সোমালিয়ার জন্ম। পরের দুই দশকের বেশি সময় যুদ্ধবিগ্রহে বিধ্বস্ত সোমলিয়াতে কার্যকর কোন সরকার ছিল না। এই সময়টায় আফ্রিকার মধ্যে দীর্ঘতম উপকূল সমৃদ্ধ দেশটির জলসীমার নিরাপত্তায় কোনো কোস্টগার্ড বা বাহিনী ছিল না। এতে এই অঞ্চলে বিদেশি মাছ ধরা নৌযানের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়তে থাকে। স্থানীয় জেলেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। ফলে, তারা দস্যুবৃত্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে। ইন্ডিয়ান ওশান কমিশনের সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতেও ওই সময়ের দস্যুতার নেপথ্যে এই কারণ হিসেবে দেখা হয়েছে। তাছাড়া, মৎস্য শিকারের চেয়ে দস্যুতায় আয়ের পরিমাণও অনেকগুণ বেশি। তবে, কয়েক বছর তাদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ওই রুটে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ায়। এর ফলে ২০১২ সাল নাগাদ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে আসে দস্যুবৃত্তি। ইউরোপিয়ান নৌবাহিনীর অপারেশন কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল ডানকান পটস তখন বিবিসিকে বলেছিলেন, সামুদ্রিক দস্যুতার ‘বিজনেস মডেল’ কার্যকরভাবে ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছেন তারা। সাম্প্রতিক হামলা : কিন্তু গত কয়েক মাসে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা বেড়েছে। পূর্ব আফ্রিকার উপকূলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বা ইইউন্যাভ ফর আটালান্টা। তাদের মতে, গত বছরের নভেম্বরে থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে সোমালি উপকূলে অন্তত ১৪ টি জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়েছে। এর মধ্যে ইরানের পতাকাবাহী একটি মাছ ধরার নৌকা এবং লাইবেরিয়ান-পতাকাবাহী সেন্ট্রাল পার্ক নামের একটি জাহাজের জেলে ও নাবিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সেন্ট্রাল পার্কের উদ্ধার তৎপরতায় মার্কিন নৌবাহিনী জড়িত ছিল। পরে তারা জানায়, এটা স্পষ্টতই দস্যুতা এবং আক্রমণকারীরা সম্ভবত সোমালিই ছিল। ডিসেম্বরে এমভি রুয়েন নামে মাল্টার পতাকাবাহী একটি জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়। এখনও জাহাজের নিয়ন্ত্রণ হামলাকারীদের হাতে। জিম্মি আছেন ১৭ জন ক্রু। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো- আইএমবি’র মতে, এটি ছিল ছয় বছরের মধ্যে সোমালিয়ায় প্রথম সফল হাইজ্যাকিং। আইএমবি একটি প্রভাবশালী অলাভজনক সংস্থা যা সামুদ্রিক অপরাধ মোকাবেলা করার লক্ষ্যে কাজ করে।   ভারতীয় নৌবাহিনীর ব্যাপক অভিযান জানুয়ারিতে এক সপ্তাহে তিনটি অভিযানে ১৯ জন জিম্মিকে মুক্ত করতে সমর্থ হয় তারা। তাদের মধ্যে ১১ জন ইরানি নাগরিক বাকিরা পাকিস্তানি। ভারতীয় বাহিনীর তরফে জানানো হয়, ‘এদের সবাই সোমালি দস্যুদের হাতে বন্দী ছিলেন।’ বিবিসি’র রিয়েলিটি চেক টিমের প্রতিবেদন বলছে, শুধু ২০১৮ সালেই পূর্ব আফ্রিকান জলসীমায় ১১২ টি নৌ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যার সর্বশেষ শিকার বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ২৩ জন ক্রু সহ জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় জলদস্যুরা। দস্যুদের উদ্দেশ্য কী? আয় কেমন? ২০০৫ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সময়কালে হর্ন অফ আফ্রিকার দস্যুরা কী পরিমাণ অর্থ আদায় করেছে তার একটি আনুমানিক হিসাব করেছে বিশ্বব্যাংক। সেই হিসাব অনুযায়ী জলদস্যুরা ক্রুদের জিম্মি করে সাড়ে তিনশো থেকে সোয়া চারশো মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ আদায় করেছে। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে নাইজেরিয়ার ফেডারেল ইউনিভার্সিটির লেকচারার স্যামুয়েল ওয়েওল বলেন, ছিনতাইয়ের পেছনে মূল লক্ষ্য মুক্তিপণ আদায় বলেই ধারণা করা যায়। অন্তত সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর নেপথ্য এটিই মূল কারণ। ২০১১ সালে একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করে দস্যুরা। দুশো মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের জ্বালানি ছিল নৌযানটিতে। আটক দুই ফিলিপিনো ক্রুকে হত্যা করা হয়। সূত্র : বিবিসি
১৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৯

চলতি বছরে যত আয় বিসিবির
আর্থিক দিক বিবেচনায় বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সম্প্রতি দুই বোর্ড সভায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রায় ৩৫৬ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন বিসিবি। তাই বাজেট বিবেচনায় বেশ ভালো আয়েরও সম্ভাবনা আছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থার। দেশের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা থেকে চলতি বছরে লভ্যাংশ বাবদ প্রায় ৭২ কোটি টাকা পাবে বিসিবি। এদিকে গত বছরের নভেম্বরে টি-স্পোর্টস অ্যান্ড কনসোর্টিয়ামের কাছে ২ বছরের জন্য টিভি স্বত্ব বিক্রি করেছে বিসিবি। চলতি বছরে সেখান থেকে ১১ কোটি টাকা পাবে পাপনের বোর্ড। অন্যদিকে ইমপ্রেস মাত্রা কনসোর্টিয়ামের কাছে সাড়ে তিন বছরের জন্য মাঠের বিজ্ঞাপন স্বত্ব বিক্রি করেছে বিসিবি। চলতি বছরে এই খাত থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা পাবে বিসিবি। বর্তমান ড্রিংকিং পার্টনার টি কে গ্রুপ থেকে প্রায় ৬৫ লাখ পেতে পারে বিসিবি। অন্যদিকে রবি অজিয়াটা লিমিটেড থেকে চলতি বছরে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা পাচ্ছে বিসিবি। শুধু জাতীয় পুরুষ দলের জন্য এই টিভি স্বত্ব পাচ্ছে বিসিবি। নারী দল ও বিপিএলের হিসেবে এখনও বাকিই থাকছে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৩

চলতি মাসের ৮ দিনে এলো ৫১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
মার্চ মাসের প্রথম আট দিনে দেশে এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ৫ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (১০ মার্চ) এই তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯৭ লাখ ২০ হাজার ডলার।  একই সময়ে দেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ৪৪ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার ডলার। ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। ওই মাসে গড়ে প্রতিদিন সাত কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৩ ডলার দেশে আসে। আগের বছরের মার্চ মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ছয় কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৬ ডলার। সে হিসাবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসী আয়ের গতি কমেছে। তবে রোজার শুরু থেকে ঈদ পর্যন্ত প্রবাসী আয় বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।
১০ মার্চ ২০২৪, ২১:৫০

রপ্তানি আয়ে টানা তিন মাস রেকর্ড 
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পর টানা তিন মাস রপ্তানি আয় ৫০০ কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বছরওয়ারি ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি আয়ে এই ঊর্ধ্বমুখী গতির খবর শুধু উদযাপনের কারণ নয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যও এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে পোশাক রপ্তানি প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়ে ৪৫০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের ৩৯৫ কোটি ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বেশি। নিটওয়্যার রপ্তানি প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, গত বছরের একই মাসে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।  ইপিবির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সার্বিক রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৭০৭ কোটি ডলার। পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশের বেশি, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। তবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে ওভেন পোশাক রপ্তানিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ এবং নিটওয়্যার বেড়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত একই সময়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের হ্যাটট্রিকের রেকর্ড অর্জন করেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পণ্য রপ্তানি ৫৭২ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা এখন পর্যন্ত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডিসেম্বরে দেশটি ৫৩১ কোটি ডলার আয় করেছে। গত অর্থবছরের নভেম্বর মাসে দেশের রপ্তানি আয় ছিল ৫০৯ কোটি ডলার, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে আয় হয়েছে যথাক্রমে ৫৩৭ কোটি ডলার ও ৫১৪ কোটি ডলার। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে পোশাক খাতে শিপমেন্ট প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর এই শিল্পে গ্যাসের দাম, মজুরি বৃদ্ধি এবং পোশাকের চাহিদায় বিশ্বব্যাপী মন্দার মতো কিছু চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠেছে।’ আগামী দিনগুলো আরও ভালো হবে বলেও জানান তিনি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৪

টেলিগ্রাম থেকে টাকা আয় করবেন যেভাবে
টেলিগ্রাম বর্তমানে একটি জনপ্রিয় অ্যাপ। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতো টেলিগ্রাম অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু তা থেকে টাকা উপার্জন করার উপায় খুবই কম। তবে সেই ছবি পালটাতে চলেছে কোম্পানি।  টেলিগ্রামের সিইও জানান, টেলিগ্রাম থেকে এবার মোটা টাকা আয় করতে পারবেন চ্যানেল মালিকরা। প্ল্যাটফর্মটি কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের পাশাপাশি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য একাধিক ফিচার আনতে চলেছে কোম্পানি। চ্যাটিংয়ের পাশাপাশি গ্ৰুপ ও চ্যানেলেও দারুণ সব সুবিধা যোগ হবে এমনটা ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপকে জোর টেক্কা দিচ্ছে মেসেজিং অ্যাপ; যা এখন আর শুধু মেসেজিংয়ে সীমাবদ্ধ নেই, হয়ে উঠেছে ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টেলিগ্রাম চ্যানেল মালিকেরা বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। মেসেজিং অ্যাপে ব্যবহারকারীদের অ্যাড দেখানো হবে। সেখান থেকে আয় করা টাকার একটি বড় অংশ দেওয়া হবে চ্যানেল মালিকদের। তিনি জানিয়েছেন, অ্যাড থেকে আসা রেভেনিউয়ের অর্ধেক দেওয়া হবে চ্যানেল মালিকদের। এছাড়াও ফাইন্যান্সিয়াল রিওয়ার্ড দেওয়া হবে তাদের। টিওএন ব্লকচেইনের ভিত্তিতে তৈরি হবে অ্যাড প্ল্যাটফর্ম। টোনকয়েন ক্রিপটোকারেন্সিতে এই রিওয়ার্ড পাবেন তারা। ১০০টি দেশে কন্টেন্ট এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল মনিটাইজ করার অপশন আনা হচ্ছে। যার ফলে লাভবান হবেন টেলিগ্রামের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। এক নজরে দেখে যাক কীভাবে টেলিগ্রাম থেকে আয় করা সম্ভব- চ্যানেলে অ্যাড দিন : চ্যানেলে অ্যাড দিয়ে টেলিগ্রাম থেকে প্রচুর আয় করা সম্ভব। ইদানিং টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আপনার চ্যানেলটি যারা সাবস্ক্রাইব করবে, তাদের ওই বিজ্ঞাপন দেখাবে। এর ফলে লাভ হবে আপনার। ভার্চুয়াল টেলিগ্রাম অ্যাসিট্যান্ট : টেলিগ্রাম থেকে অর্থ আয় করতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে পারেন আপনি। একজন ভার্চুয়াল টেলিগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে আপনাকে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের সাহায্যের করতে হবে। এর জন্য আপওয়ার্ক বা ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে প্রথমে‌। এই কাজ করতে পারলেই মোটা টাকা আয়ের সুযোগ আছে। অনলাইন ক্লাস : টেলিগ্রামের মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইন ক্লাস করানো যায়। এর জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। তারপর সেখানে ছাত্রছাত্রীদের যোগ করুন। একবার যোগ হলে তারা সহজেই আপনার পোস্টগুলো দেখতে পারবে। চ্যানেল তৈরি করুন : সবার কাজে লাগে এমন একটি বিষয় নিয়ে চ্যানেল বানান। তাতে কন্টেন্ট আপলোড করুন নিয়মিত। চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে হলে একটি মূল্য ধার্য করুন। এতেই বাড়বে আয়ের পরিমাণ।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৫

গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় ফেব্রুয়া‌রি‌তে
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত জুন মা‌সে প্রবাসীরা ২২০ কো‌টি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। সোমবার (৩ মার্চ) রেমিট্যান্সের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে ২১০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৯ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৪

২৪ দিনে প্রবাসী আয় ১৮ হাজার কোটি টাকা
চলতি মাসের (ফেব্রুয়ারি) প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসীরা ১৬৫ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ১৮ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে, চলতি বছরের প্রথম মাসে (জানুয়ারি) প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৯ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৪

১৬ দিনে প্রবাসী আয় ১১৫ কোটি ডলার
চলতি মাসের (ফেব্রুয়ারি) ১৬ দিনে প্রবাসীরা ১১৪ কো‌টি ৯৯ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বৈধপথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্স ডলারপ্রতি ১১০ টাকা হিসেবে ১২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা।  পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৫ কোটি ৬৫ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৯ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়