• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২২ বছর পর গ্রেপ্তার
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মনিরুল আলম মিনার (৪৩) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর পর পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে ফেনী শহরের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মনিরুল আলম মিনার ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়া এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে। র‍্যাব এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত ১০টার দিকে মাস্টারপাড়ায় অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিনারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ফেনী মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০০২ সাল থেকে পলাতক ছিলেন। ফেনী র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, ১৭ বছরের সাজা ও ১০ হাজার টাকার দণ্ড এড়াতে মিনার দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নিজের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে পালিয়ে ছিলেন। গতকাল রাতে শহরের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, র‍্যাবের কাছে গ্রেপ্তার মনিরুল অস্ত্র মামলায় আজ দুপুরে মিনারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৯

পুলিশের ঘুষিতে আসামি নিহত
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গেলে পুলিশের কিল-ঘুষিতে রমিজ মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুঙ্গাছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন জানান, তাহিরপুর থানার এএসআই জিয়া উদ্দিন বুরুঙ্গাছড়া গ্রামে পরোয়ানাভুক্ত আসামি রমিজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় রমিজ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে কিল-ঘুষি মারে পুলিশ। একপর্যায়ে তাকে নারিকেলের ডাগুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তাৎক্ষণিক নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রমিজ।  এ সময় নিহতের পরিবারের লোকজন পুলিশকে বলে, আপনাদের মানুষ, আপনারা নিয়ে যান। পরে এএসআই জিয়া উদ্দিন মরদেহ ফেলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার এএসআই জিয়া উদ্দিন বলেন, আসামি ধরতে গেলে ঘটনাস্থল থেকে রমিজ মিয়া পালিয়ে যায়। এরপর আমি থানায় চলে আসি।  তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজিম উদ্দিন বলেন, রমিজ মিয়ার নামে তাহিরপুর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার মৃত্যুর বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০২

বরিশাল মেডিকেলে প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুন
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার এক আসামির হাতে আরেক আসামি খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে দু’আসামিকে বেধড়ক পেটান ওই আসামি। পরে আহতদের চতুর্থ তলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।  সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুর ১টায় এক আসামির মৃত্যু হয়। নিহত আসামির নাম মো. মোতাহার (৬০)। নিহত মো. মোতাহার বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে।  তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। জানা যায়, আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে। হামলাকারী তরিকুল ইসলাম (২৫) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নগরের কোতয়ালি মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক। তিনি বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী আসামি তরিকুল অপর ২ আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারবো না। এ দিকে হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। এ ব্যাপারে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।  দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

থানায় ঢুকে পুলিশকে মারপিট, আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা 
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভেতরে ঢুকে পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে মাদকসহ একাধিক মামলার আসামিকে ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে শাজাহানপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান, আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সাদ্দাম রবীন, রমজান আলী, বোরহান উদ্দিন, মিরাজুল রহমান, আমিনুল ইসলাম ও মিঠুন মিঞা।  এ সময় ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, জমি দখল, সরকারি কাজে বাধা, মাদক আইনে অন্তত ৮-১০টি মামলা রয়েছে। এর আগে সরকারি টেন্ডার চুরির ঘটনায় মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বরখাস্ত হয়েছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।   ওসি শহিদুল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টায় আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মদ্যপ অবস্থায় মাদক, ২টি বার্মিজ চাকুসহ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিঠুনের নামে হত্যা, মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় প্রবেশ করে আসামি মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমাকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও নুরুজ্জামানের লোকজন অন্য পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। মারপিটে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  ওসি বলেন, আহতদের মধ্যে এসআই আনিছুর রহমান, কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, রুহুল আমিন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় জেলা পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেন। ওসি আরও বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় থানায় প্রবেশের পর পুলিশকে আহত করে আসামি ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আরও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৭

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
যশোরের ঝিকরগাছার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও মাদকব্যবসায়ী আব্দুল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে শার্শার দৌলতপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মাদক মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকে আব্দুল করিম বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা। র‌্যাব জানায়, করিম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ২০১০ সালের ২২ জুন ঝালকাঠি জেলা থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ আটক হন। এ ঘটনায় মামলার পর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। সবশেষ আব্দুল করিমকে আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ সময় তিনি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। র‌্যাব আরও জানায়, তাদের কাছে খবর আসে বেনাপোলের দৌলতপুরে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪১

২৫ দিন ধরে ধর্ষণ : চার আসামি ফের রিমান্ডে
রাজধানীতে একটি বাসায় শেকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় চার আসামিকে ফের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত আসামিদের প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন সান, হিমেল, রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর। এর আগে, ৩ দিনের রিমান্ড শেষে এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একইসঙ্গে আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শেকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় এক তরুণীকে। পরে ওই তরুণীর চিৎকারে এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।  এরপর ভুক্তভোগী তরুণী ৩১ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৩

শিকলে বেঁধে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ : চার আসামি ফের রিমান্ডে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শিকলে বেঁধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই তরুণীর প্রেমিক সানসহ চার আসামির ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা— হিমেল, রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক ফারুকুল ইসলাম তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করেন এবং পুনরায় পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে মোহাম্মদপুর থানার (নারী-শিশু) সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক উত্তম কুমার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত সোমবার (১ এপ্রিল) এ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।  জানা যায়, মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শিকলে বাঁধা অবস্থায় ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। নবীনগর হাউজিংয়ের ওই বাসায় তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগে ৩১ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এর আগে তরুণীর চিৎকারে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক ব্যক্তি ফোন করলে পুলিশ তরুণীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩২

টাঙ্গাইলে শিক্ষক হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল হক হত্যা মামলার আসামি ছবুরকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর সদস্যরা।  সোমবার মধ্য রাতে সখীপুর পৌরসভার কাঁচাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃত ছবুর ভূঞাপুর উপজেলার সারপলশিয়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে।  র‍্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার সারপলশিয়া দাখিল মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল হক হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছবুর পালিয়ে ছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের একটি আভিযানিক দল সোমবার দিবাগত রাতে সখীপুর পৌরসভার কাঁচাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আজ দুপুরে তাকে ভূঞাপুর থানার হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান র‍্যাব কমান্ডার।  উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল হক মিয়া তার পাওনা টাকা চাইতে জয়নব বেগমের বাড়িতে যান। কিন্তু ওইদিন শিক্ষক আব্দুল হক মিয়া বাড়ি ফিরে না এলে পরের দিন আব্দুল হক মিয়ার স্ত্রী মোসা. আয়শা খাতুন ভূঞাপুর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামি জয়নবের দেখানো মতে বাড়ির উঠানের বালুর নিচ হতে আব্দুল হক মিয়ার মরদেহ উত্তোলন করেন। এ ঘটনায় স্ত্রী মোসা. আয়শা খাতুন বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ছবুর সহ ৪ জন এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ভূঞাপুর থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৫

আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ ডাকাতি মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তার এনামুল হক মানিক (৩২) জেলার সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের শ্যামের গাঁও গ্রামের আবদুর রবের ছেলে। পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে নোয়াখালী-ফেনী মহাসড়কের রসুলপুর ইউনিয়নের বায়তুল জামে মসজিদ সংলগ্ন মোক্তার বাড়ির ব্রিজের ওপর থেকে ডাকাত সদস্য এনামুল হক মানিককে গ্রেপ্তার হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়। নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি একজন পেশাদার ডাকাত ও অস্ত্রধারী। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে।     
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪০

ষাটোর্ধ্ব নারীকে গলাকেটে হত্যায় জড়িত আসামি গ্রেপ্তার
নরসিংদীতে ষাটোর্ধ্ব বয়সী এক নারীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মঞ্জুরুল ইসলাম রিজুকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।  রোববার (৩১ মার্চ) নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওই নারীর কাছ থেকে লুণ্ঠন করা কানের দুল, নাকের ফুলসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় জেলা পুলিশ। নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুত্রের সঙ্গে হাজতে পরিচয়ের সূত্রে গত ২৬ মার্চ বিকেলে পলাশ উপজেলার চরগরদী এলাকার ওই নারীর বাড়িতে যায় হত্যাকারী রিজু। একা পেয়ে ওই নারীর পরনে থাকা গয়না ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে ষাটোর্ধ্ব ওই নারীকে নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় রিজু। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তী তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত রিজুকে। রিজু সদর উপজেলার চিনিশপুর এলাকার মাইনউদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি গত দেড় বছর আগে তার নিজ দাদিকে হত্যার পর জেলে ছিলেন।  এ সময় নারীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় স্বর্ণের দুল, নাকের ফুল এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটিও উদ্ধার করে পুলিশ।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়