• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘পরিবারের লোকজনও আমাদের শুধু টাকার গাছ মনে করে’
বাংলাদেশের মত নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়ার একটি অন্যতম উপায় প্রবাসী আয়। অথচ বিদেশের মাটিতে রক্ত জল করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এই সব প্রবাসীরা দেশ, সমাজ এমনকি পরিবারের কাছেও অবহেলিত থেকে যান। শ্রীলঙ্কার কথা মনে আছে, ২০২২ সালে দেশটি নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ যে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল তার মূল কারণ ছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে চলে যাওয়া। তখন শ্রীলঙ্কা সরকার অর্থনীতি বাঁচাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা শ্রীলঙ্কানদের দেশে বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর অনুরোধ করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থার সময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়েও জোর আলোচনা শুরু হয়। যা এখনও আমাদের দেশে দারুণ সংবেদনশীল একটি বিষয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নানা সূচকে এগিয়ে থাকা শ্রীলঙ্কার ওই পরিণতি সকলকে বিস্মিত করেছিল। যে অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা দেশের ঝুঁকির দিকগুলো এবং সে ঝুঁকি মোকাবেলায় কোন কোন খাতে কাজ করতে হবে তা তুলে ধরেছিলেন। তাদের সেই আলোচনায় গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে প্রবাসী আয় বাড়ানোর বিষয়টি। দীর্ঘ আট বছর সৌদি আরবে প্রবাস জীবন শেষে ঈদুল ফিতরের দুই দিন আগে দেশে এসেছেন সাতক্ষীরার হাফেজ মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম। যিনি ২০১৭ সালে দালালের মাধ্যমে প্রায় সাত লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে যান। বাংলাকে তিনি শুনিয়েছেন তার দীর্ঘ প্রবাস জীবনে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাওয়ার গল্প। মালির কাজ নিয়ে সৌদি আরব গেলেও সেখানে গিয়ে মোমিনুল সেই কাজ পাননি। বরং তার কফিল (যে মালিক তাকে ভিসা দিয়েছিলেন) তাকে ছেড়ে দিয়ে নিজের মত কাজ খুঁজে নিতে বলেন। উপরন্তু কফিল প্রতিমাসে তার কাছ থেকে ৩০০ রিয়াল চেয়ে বসে। অবশ্যই দিতে হবে, নতুবা কাজ ছেড়ে পালিয়ে গেছে অভিযোগে মিথ্যা মামলার হুমকি দেন। মোমিনুল বলেন, প্রথম তিন মাস তেমন কোনো কাজ পাইনি। খেয়ে-না খেয়ে ছিলাম, কখনো রাস্তায় রাস্তায় থাকতে হয়েছে, কেউ খোঁজ নেয়নি। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অল্প কিছু কাজ করতাম। সাগরে মাছ ধরার জাল বোনার কাজ পেয়েছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ সময় বসে থেকে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি বিধায় কাজ ছেড়ে দেই। কিন্তু কফিলকে প্রতিমাসে তিনশ রিয়াল দিতেই হতো। তিনমাস অনেক কষ্ট করার পর পরিচিত এক চাচার মাধ্যমে একটি বেকারিতে কাজ পাই। তখন মাসে ১৫০০ রিয়াল বেতন পেতাম। এদিকে ছয় মাস পর কফিল মোমিনুলের কাছে চারশ রিয়াল দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তা দিতে রাজি হন এই যুবক। কিন্তু দুই মাস যেতে না যেতেই কফিল মোমিনুলের কাছে পাঁচশ রিয়াল দাবি করে বসেন। আমি তখন তাকে অনুরোধ করি, মাত্র ১৫০০ রিয়াল বেতন পাই। ৫০০ তাকে দিলে আমার তো কিছু থাকে না। বাড়িতে ঋণ শোধের চাপও বাড়ছিল। কিন্তু কফিল টাকা কম নিতে রাজি না। পরে আমি রেগে গিয়ে তাকে বলি আমি আর কোনো টাকাই দিব না। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। ফোনে তার নম্বর ব্লক করি। তখন কফিল আমার নামে মামলা করে দেয়। মামলার কারণে পুলিশের ভয়ে থাকতেন মোমিনুল। লুকিয়ে কাজ করতেন। নিজের কাগজপত্র বৈধ করতে বহুবার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করেনি। জানান, আট বছরের প্রবাস জীবনে তিনবার গ্রেপ্তারও হয়েছে। দুই-একদিন কারাগারে থাকার পর মোটা অংকের অর্থ দিয়ে মুক্তি মিলেছে। অর্থ উপার্জনের জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করেছি। ৪০ ডিগ্রির উপরের তাপমাত্রায় রাতে ১২ ঘণ্টা বেকারিতে কাজ করার পর দিনে আবার পার্টটাইম কাজ করতাম। আল্লাহর রহমতে এক সময় আয় বাড়ে। ঋণ শোধ করে ভবিষ্যতের জন্য বাড়িতে টাকা পাঠাতে শুরু করি। এই আট বছরে একবারও দেশে আসেননি মোমিনুল। কারণ, তার বৈধ কাগজপত্র ছিল না। মোমিনুল যখন প্রবাস জীবনে খানিকটা গুছিয়ে নিয়েছেন তখন হানা দেয় করোনা মহামারি। যদিও করোনা মহামারি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে জানান তিনি। বলেন, ওই সময়ে সম্পূর্ণ লকডাউন ছিল ১৫ দিন। তাছাড়া, কাজ চলেছে। আর বেকারির কাজ তো বন্ধ করার উপায়ও নেই। তাই তার উপার্জনে তেমন প্রভাব পড়েনি। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিত্যপণ্যের দাম দুই-তিনগুণ বেড়ে যায়। আয় না বাড়ায় তাকে তাই খানিকটা চাপে পড়তে হয়। কেউ কেউ তখন কুলিয়ে উঠতে না পেরে দেশে চলে আসে বলে জানান তিনি। বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের আগে সৌদি আরবে আটার দাম ছিল হাফ রিয়াল। যুদ্ধ শুরুর পর তা দুই রিয়াল পর্যন্ত উঠে যায়। এরকম সব পণ্যের দামই কম-বেশি বেড়ে যায়। যে দাম আর খুব একটা কমেনি। আট বছরের প্রবাস জীবন শেষে মোমিনুল একেবারেই দেশে চলে এসেছেন। যেহেতু তার কাগজপত্র বৈধ নয়, তাই ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। তাকে প্রশ্ন করেছিলাম দেশে এখন কী করবেন? তিনি জানান, আরেকটু সময় নিয়ে, একটু ভেবেচিন্তে কোনো একটা ব্যবসা শুরু করবেন। এজন্য পুঁজি দরকার। কতটা পুঁজি নিয়ে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি খানিকটা আক্ষেপের সুরে বলেন, কিছু পুঁজি নিয়ে এসেছি। তবে পরিবার যদি সহযোগিতা করতো তবে আরো বেশি সঞ্চয় হতো। মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমার পরিবার। সবাই শুধু টাকা চায়। আমাদের কথা কেউ ভাবে না। সবাই মনে করে প্রবাসীরা টাকার গাছ। আমরা যে কত কষ্ট করে টাকা কামাই পরিবার সেটা দেখে না।  চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে পারলে আমরা হিরো, না পারলে আমরা ভিলেন। আমাদের ভালো-মন্দের খোঁজ কেউ রাখে না। একই রকম কথা শোনান জনি মন্ডল। ঢাকায় মোটর মেকানিকের কাজ করা এই তরুণ গাড়ির গ্যারেজের কাজ নিয়ে ২০২১ সালের শেষ দিকে করোনা মহামারি যখন বিদায় নিতে শুরু করেছে তখন সৌদি আরব যান। জনি বলেন, শুরুতে ভালোই ছিলাম। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চাল, তেল, আটাসহ সব নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাদের আয় বাড়েনি। এই টাকায় তারা চলতে পারছেন না। বাড়িতে ঠিকমত টাকা পাঠাতে পারেন না। পরিবার থেকেও তখন চাপ আসে। বেশিরভাগ মানুষ তো ঋণ করে বিদেশে আসে। প্রত্যেক বছর আকামা করতেই ১০ হাজার রিয়াল লেগে যায়। অনেকে পোষাতে না পেরে তাই দেশে চলে গেছেন। কাতার প্রবাসী সুমন আহমেদ অবশ্য খানিকটা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছেন। প্রায় নয় বছর ধরে তিনি কাতারে আছেন, সেখানে সেলসে কাজ করেন। নিজের আয়, কাজের পরিবেশ নিয়ে তিনি বেশ সন্তুষ্ট। দুই সন্তানের জনক সুমন আহমেদ দুইবার দেশে থেকে ঘুরে এসেছেন। তার আয়ে পরিবার বেশ স্বচ্ছন্দে চলছে। ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও করতে পারছেন। তিনি বলেন, করোনা মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধ বা গাজা যুদ্ধের কারণে আমাদের কাজের পরিবেশে পরিবর্তন হয়নি। আয়ও একই আছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছিল। তবে এখন তা অনেকটাই কমে এসেছে। আগের মত না হলেও নাগালের বাইরে নয়। নিজের প্রবাস জীবন নিয়ে এক ধরনের সন্তুষ্টি দেখা গেছে সুমন আহমেদের কথায়। তবে সবাই তার মতো ভাগ্যবান নন। বরং বেশিরভাগ প্রবাসীকেই প্রবাসে কষ্টকর এক জীবন পাড়ি দিতে হয়। দেশের জন্য, পরিবারের জন্য শত কষ্ট সহ্য করেও তারা কাজ করে যান। দেশের জন্য শুধু রেমিটেন্স যোদ্ধা আর পরিবারের জন্য টাকা ছাপানোর মেশিন হয়ে নয় বরং সবার কাছে সম্মান আশা করেন তারা।
৯ ঘণ্টা আগে

‘নদীর স্রোতের মতোই আমাদের সংস্কৃতি তীব্র গতিতে বহমান’ 
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের দেশে এখন প্রায় ৩০০ নদী আছে। কিন্তু সেগুলো এখন আর আগুন মুখর নয়। আমাদের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী আছে। এই নদীর স্রোতের মতোই আমাদের সংস্কৃতি তীব্র গতিতে বহমান। অতএব তাকে আটকাবার সাধ্য কারো নেই। সে যত অপচেষ্টা করুক না কেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীর তীরে বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব মাসব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আজকে আমাদের মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ স্বীকৃতি পেয়েছে। তার মধ্য দিয়ে আমাদের লোক সংস্কৃতিকে বিশ্ব অঙ্গনে আমরা উপস্থাপন করতে পেরেছি। আজকে আমাদের রিকশা আর্ট ইউনেস্কো ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ এর অংশ হয়েছে। তার মধ্য দিয়ে আমাদের একেবারে লোকজ শিল্প, মাটি থেকে উঠে আসা শিল্প মাধ্যম সেটি আজকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপিত হয়েছে। আমাদের নকশী কাঁথা, জামদানি, শীতলপাটি এরকম আরও অনেক কিছু আছে। এসব কিছুই আমাদের সংস্কৃতি ও বাঙালি জীবনের অনুষঙ্গ। এগুলোকে অস্বীকার করার কোনো জো নেই। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মা, মাটি ও নদী যেমন আমাদের কাছে সত্য, তেমনি এসব অনুষঙ্গগুলো আমাদের কাছে সত্য। কাজেই যারা আমাদের ইতিহাসের, সত্যের, স্বাধীনতার, মুক্তির ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আর তার জন্য সবচাইতে বড় হবে আমাদের সংস্কৃতি। কাজেই আমাদের এই মুহূর্তে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক জাগরণ। আমি বিশ্বাস করি চাঁদপুরের এই মাসব্যাপী বাঙালির সংস্কৃতিক উৎসব সেই পুনর্জাগরণ আরও অনেকদূর এগিয়ে নেবে আমাদের এই চাঁদপুরের মানুষকে।’ দীপু মনি বলেন, ‘আমরা ভাঙালি আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। আমাদের সংস্কৃতি যার একটি বড় সমৃদ্ধি আছে। আমাদের সাহিত্যের বিশাল একিট সমৃদ্ধের ভান্ডার আছে। আমাদের ভাষা হচ্ছে জীবন্ত একটি ভাষা এবং গতিশীল। চলার পথে কত রকমের ভাষা থেকে আমরা পছন্দে শব্দ নিয়ে নিয়েছি। হাজার হাজার শব্দ। আমরা ফার্সি, আরবি, পর্তুগিজ, জাপানি, চীনা অনেক ভাষা থেকে শব্দ নিয়েছি। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শব্দ বাংলা ভাষার শব্দ ভান্ডারে যুক্ত হচ্ছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলা ভাষার ভাঙালি মানুষ এবং যে বাংলায় আমাদের জন্ম। সে বাংলার ভূ-প্রকৃতি এমন নদী বিধৌত শ্যামল বাংলার মানুষ। আমাদের মননে ও হৃদয়ে সব জায়গায় একটি চাপ খুব স্পষ্ট। আমাদের ইতিহাসের প্রায় পুরোটা সময়ই পরাধীন ছিলাম। কিন্তু আমরা স্বাধীন হতে চেয়েছি। বার বার চেয়েছি, বার বার সংগ্রাম করেছি এবং রক্ত দিয়েছি। কিন্তু আমরা কখনো স্বাধীন হতে পারেনি। তারপর এক সময় আমরা একজন নেতাকে পেয়েছি। তিনি হলেন টুঙ্গিপাড়া থেকে আসা সুঠাম দেহের অধিকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার দীর্ঘ সংগ্রাম ও নেতৃত্বে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটওয়ারী, পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত। সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত। সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন। প্রধান অতিথি বক্তব্য শেষে ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী এই বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে চাঁদপুর প্রেসক্লাব এবং পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে চাঁদপুর পৌরসভা। এর আগে জাতীয় সংগীত, দ্রুব তারা, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের থিম সং ও রমজানেরই রোজার শেষে গানের সঙ্গে মনমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন চাঁদপুর শিশু পরিবারের শিক্ষার্থীরা। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর উপপরিচালক রজত শুভ্র সরকার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক ও বর্তমান কার্যকরি কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৫

পরিবহন শ্রমিক : আমাদের ক্ষোভ বনাম বাস্তবতা
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। এই উৎসবের আমেজ এখন সর্বজনীন। ঈদের এই আনন্দের শুরুটা হয় প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপনে বাড়ির পথে যাত্রা করার সময় থেকে। আমাদের এই ঈদযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ গণপরিবহনের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপাররা। আর তাদের রক্তে রঞ্জিত হল কিনা আমাদেরই হাত! গণমাধ্যমে খবর, বাড়তি ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে যাত্রীদের বেধড়ক পিটুনিতে ইতিহাস পরিবহনের বাসচালক ও সুপারভাইজর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়ার ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ (ডিইপিজেড) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীরা এমন বর্বর হতে পারে, ভাবা যায়?  এ ঘটনায় যথারীতি দুটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে: ১. পরিবহন খাত কতটা নিয়ন্ত্রণহীন হলে যাত্রী-শ্রমিকের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে? এভাবে ভাবতে গেলে অবশ্য যাত্রী কর্তৃক পরিবহন শ্রমিক হত্যার বিষয়টি হালকা হয়ে যায়। ২. বেশি ভাড়া চাইলেই মেরে ফেলতে হবে? হামলা করতে হবে? উত্তর অবশ্যই না। এসব প্রশ্নের উত্তর ভাবতে ভাবতে এবার কিছু বিষয়ে আলোকপাত করা যাক। পরিবহন শ্রমিকরা বাড়তি ভাড়া চাওয়াটা আইনত বৈধ না হলেও কোন যুক্তিতে আসলে তারা এটা দাবি করছে? এটার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? সহজ করে যদি ভাবি, তাতে কিছু ব্যাপার উঠে আসে। আপনার আমার যেমন ঈদ আনন্দ আছে, তাদেরও তা আছে। আর প্রিয়জনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য এই সময়ে আমাদের যে বাড়তি খরচ রয়েছে, পরিবহন শ্রমিকরা নিশ্চয়ই এর বাইরে নয়। এখন আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন, তবে এই মাসে বাড়তি বিক্রি কিংবা মুনাফা থেকে রমজান-ঈদের বাড়তি খরচ মেটাতে পারবেন। সবথেকে বড় কথা আপনি ব্যবসায়ী হিসেবে খুব সহজে এসব খরচের যোগান দিতে পারেন। আর চাকরিজীবীদের জন্য বেতনের সাথে বোনাস তো আছেই। দেশে বর্তমানে অর্ধ কোটিরও বেশি গণপরিবহন শ্রমিক রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যাদের বাড়তি কোনো আয়ের নিয়মতান্ত্রিক কোনো সুযোগ নেই। দৈনিক যে মজুরি, সেটাও চলার জন্য যথেষ্ট নয়।  বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্যমতে, দেশে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধিত মোটরযান ৫৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৪১টি। এ সংখ্যা থেকে ব্যক্তিগত শ্রেণির ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪টি গাড়ি বাদ দিলে আর থাকে ৫৪ লাখ ৩০৭টি। এর মধ্যে বাস ৫৪ হাজার ১৫৮টি, কাভার্ডভ্যান ৪৭ হাজার ৬৪টি, মাইক্রোবাস ১ লাখ ২০ হাজার ৯৩টি, মিনিবাস ২৮ হাজার ৩০৯টি, হিউম্যান হলার ১৭ হাজার ৩৮৭ এবং মোটরসাইকেল আছে ৪২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩০টি। ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ, ২০০৬ সালের শ্রম আইন এবং সর্বশেষ সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী নিয়োগপত্র, বেতন, মজুরি, বোনাস, ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি অতিপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ থাকলেও বেশিরভাগ বেসরকারি পরিবহন মালিক অতি মুনাফার লোভে চালক-শ্রমিকদের এসব বিষয় নিশ্চিত করেন না। অর্থাৎ আইন থাকলেও রাষ্ট্রীয় তদারকি অভাবে তার বাস্তবায়ন নাই। অন্যদিকে কল্যাণ তহবিলের নামে শ্রমিকদের কাছ থেকে শ্রমিক সংগঠন নিয়মিত যে চাঁদা নেয় তা থেকেও দুর্দিনে তেমন কোনো সাহায্য পান না তারা। তাই কোনো দিন গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের কাটাতে হয় মানবেতর জীবনযাপন। অনেকটা দিনে এনে দিনে খাওয়ার মত সাদামাটা জীবন। মোদ্দাকথা মালিক, শ্রমিক সংগঠন ও সরকার সব পক্ষেরই উদাসীনতার বলি দেশের অন্যতম বৃহৎ এ খাতের শ্রমিকেরা।  সাপ্তাহিক কিংবা সরকারি ছুটির দিন, আমাদের জীবনে সব থাকলেও এ খাতের মানুষগুলো কখনো সেসব ছুটির স্বাদ নিতে পারেন না। আমাদের গতিময় জীবনকে নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য বছরের প্রতিটা দিন নিরাপদ কোনো ভবিষ্যৎ না থাকা সত্ত্বেও তারা শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। বিরামহীন ঘাম ঝরিয়ে যাওয়া এই মানুষগুলোরও ইচ্ছে হয়, এই ঈদে প্রিয়মুখে হাসি ফোঁটাতে, প্রিয়জনদের সাথে ঈদ কাটাতে। আমাদের মত ঘরে থেকে পরিবার, স্বজন কিংবা বন্ধুদের সাথে ঈদ উদযাপনের সুযোগ যদিও তাদের নেই। এতে যে আমাদের ঈদযাত্রা, ছুটিতে ঘুরাঘুরি বন্ধ হয়ে যাবে! নিজেদের ঈদ আনন্দ বিসর্জন দেওয়ার বিনিময়ে এই মানুষগুলো শুধু চেয়েছে বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানদের চেহারায় ঈদ আনন্দ দেখতে। যৎসামান্য ঈদ উপহার পরিবারের সদস্যদের দিতে। আর এটা নিশ্চিত করতে বাড়তি যে অর্থের প্রয়োজন সেটার যোগান আসলে কোথায়? না পাচ্ছে বিধিসম্মত কোন বেতন-বোনাস, না আমরা দিচ্ছি কোন বকশিস? তাই হয়তো কিছু টাকা বাড়তি নেয় ভাড়া হিসেবে। তাতে যদি ঈদ আনন্দটা পাওয়া যায়। সেটা অবশ্য বছরের পর বছর ধরে আমরা দিয়ে আসছি। যদিও তাদের চাওয়ার ধরন খুব একটা সুন্দর না। এটাকে আবদারের চেয়ে অধিকার হিসেবে দেখিয়ে ফেলে। এটাও তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। প্রয়োজন আছে বলেই যে যাত্রীদের কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া আদায় করবে সেটা কখনো কাম্য নয়। ঠিক এ জায়গায় আমরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠি, অপরাধ জেনেও তাদের গায়ে হাত তুলছি।   আচ্ছা, আমরা কি কখনো ভেবেছি, পরিবহন শ্রমিকদের ত্যাগ, বঞ্চনার কথা। অনেক না পাওয়ার জীবনে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি টাকা আদায়ের পেছনের কথা। হয়তো ভাবি না। আমরা শুধু খিটখিটে মেজাজের পরিবহন শ্রমিকদের রূঢ় আচরণটাই দেখি। আমাদের চোখে এরা আজন্ম লোভী, শিষ্টতাহীন, অশিক্ষিত এক শ্রেণি, তাইতো? লোভ, শিষ্টাচারের আর শিক্ষার কথাই যেহেতু এসেছে তাহলে বলুন, দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী বড় পদের বড়কর্তারা কি লোভহীন? তবে হাজার কোটি টাকা যায় কোথায়? যখন সেবা প্রত্যাশী হিসেবে তাদের কাছে যান তখন কতটাই বা শিষ্টাচার উনারা প্রদর্শন করেন? এখানেই আমরা চুপ, নীরবে মেনে নিই সব। যত প্রতিবাদ আর ক্ষোভ এসব দুর্বল, কম শিক্ষিত মানুষগুলোর উপর। তাদের কাছ থেকে সুন্দর আচরণ প্রত্যাশার আগে কখনো ভেবে দেখি না যে, হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষগুলোর বিদ্যার দৌড়ই বা কতটুকু? যেখানে শিক্ষিত বড় কর্তাদের উচ্চতর ডিগ্রি, বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ থাকার পরও সদয় আচরণ অনিশ্চিত, সেখানে লেখাপড়া না জানা, ন্যূনতম প্রশিক্ষণ না পাওয়া এই পরিবহন শ্রমিকদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত ব্যবহার আশা করা কতটা সমীচীন? আর আমরা নিজেরাই বা তাদের প্রতি কতটা সম্মান দেখাই? সর্বশেষ কবে তাদেরকে ‘আপনি’ সম্বোধন করেছি তা মনে আছে? কখনো তাদের জিজ্ঞেস করেছি, ‘শুভ সকাল! কেমন আছেন?’ এসব আমরা ভাবতেও পারি না। সবমিলিয়ে আস্থা আর সম্মানের জায়গায় বিশাল পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে সহজে অনুমেয়, উভয় পক্ষের মনে এ ক্ষোভের জন্ম একদিনে হয়নি। দিনে হাড়ভাঙা পরিশ্রম আর রাতের বেলা বাসের করিডোর কিংবা ছাদে মশার কামড়ে ঘুমানো। ভাসমান এ জীবন যাদের তাদের জন্য এগিয়ে আসতে হবে রাষ্ট্রকে। পরিবহন খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে শুধুমাত্র দুর্ঘটনা রোধে আইন করে চালক-সহকারীর শাস্তি নিশ্চিত করলেই হবে না। সেইসাথে প্রয়োজন তাদের জীবনমান উন্নয়নে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যার অংশ হিসেবে শ্রমিকদের যথাযথ মজুরি, বোনাস, চিকিৎসাভাতা, ইনসুরেন্সের, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি নিশ্চিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নজরদারি ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাতে মালিকপক্ষ ও সরকার উভয় পক্ষের ভূমিকা থাকবে। অর্থের যোগান মালিকপক্ষ দিবে, আর পৃষ্ঠপোষকতা থাকবে সরকারের। এর পাশাপাশি যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পরিবহন পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীদের সাথে সুন্দর আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। এই ব্যাপারে যাত্রীদেরও সচেতন করার কর্মসূচি হাতে নেওয়া যেতে পারে। সবমিলিয়ে বলা যায়, রাষ্ট্রপক্ষ সরব হলে মালিকপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোও তাদের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসবে। তাতে যাত্রী-শ্রমিক অসন্তুষ্টি দূর হয়ে পরিবহন খাতে সত্যিকারের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। সৃষ্টি হবে ন্যায্য ভাড়া আদান-প্রদানের পরিবেশ।  লেখক : বিভাগীয় প্রধান, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
১০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৮

পেঁয়াজ আমদানিতে আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমাদের এ পেঁয়াজ আনার মধ্যে অনেক ঝুঁকি ছিল। ফাইনালি আমরা যখন ভারতের অনুমতি পেলাম তখনও অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। কারণ, দেশে পেঁয়াজের দাম কমে যায় কি না। আবার রোজা শেষ হওয়ার আগে আসবে কি না। তারপরও আমারা এ ঝুঁকি নিয়েছি। আমি মনে করি ঝুঁকিটা সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভারত সরকার আবুধাবিতে ১২০০ ডলারে এই পেঁয়াজ বিক্রি করছে। আমরা সেখানে ৮০০ ডলারে নিয়ে এসেছি। আমরা অনেক নেগোশিয়েট করেছি। কারণ, তারা যে দাম ধরিয়ে দিয়েছিল সেই দামে আমরা ভর্তুকি দিয়ে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তে পারব না। আমাদের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব অনেক পরিশ্রম করেছেন। সঙ্গে ছিলেন টিসিবির টিম।  পেঁয়াজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই পেঁয়াজ অন্তত ১৫ দিন সংরক্ষণ করে বাজারে বিক্রি করা যায়। আমরা এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছি। এখন আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হলো। বাকি পেঁয়াজগুলো আনতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কত সময়ে আমরা পেঁয়াজগুলো ভারত থেকে আনতে পারব। তিনি আরও বলেন, এখন ১৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে। বাকি পেঁয়াজগুলো ধীরে ধীরে চলে আসবে। আমরা চাই না আমাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। ভারতের বাইরে আমাদের পেঁয়াজের জায়গা হচ্ছে মিশর ও তুর্কি। সেখান থেকে জাহাজে পেঁয়াজে আনতে হয় এবং এটা আনতে অনেক সময় লাগে। ভারতে নির্বাচন চলছে। তাদের ওখানে কৃষক আন্দোলন চলছে। এরপরও কিন্তু তারা তাদের কমিটমেন্ট রেখেছে। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে তারা তাদের কথা রেখেছে। তাদের ট্রেন আমাদের সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত এসে পেঁয়াজ দিয়ে গেছে। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান প্রমুখ।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৮

অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ : রাষ্ট্রপতি
অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসএ্যাবিলিটি (এনডিডি) বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথ আরও প্রসারিত হবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় এ বছরও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাহাবুদ্দিন বলেন, এ উপলক্ষে আমি দেশের সকল অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনসূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।  দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপ্রধান।  তিনি বলেন, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ। সরকার প্রতিবন্ধী ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত আন্তরিক। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমন্বিত উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে সরকার ইতোমধ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০১৩’, ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’, ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮’ এবং ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। প্রতিবন্ধিতার ধরণ ও মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসা ও থেরাপি সেবা প্রদানের পাশাপাশি পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অটিস্টিক ব্যক্তিদের কাউন্সেলিং ও থেরাপি সেবা প্রদানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতোমধ্যে অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে সাহাবুদ্দিন বলেন, এছাড়া অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং অন্যান্য এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিগণের জীবনমান উন্নত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।   তিনি বলেন, অটিজম ও এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনব্যাপী সেবা ও ভালোবাসার প্রয়োজন হয়। তাই অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং ও রেফারেল সেবা এবং সহায়ক উপকরণ ও সহায়ক প্রযুক্তি প্রদান করে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন। সূত্র : বাসস  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১

আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকব। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি তাদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভারত সরকার এই যুদ্ধের সময় এক কোটি মানুষের জায়গায় করে দিয়েছিল। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমানসহ অনেকেই।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪

গণহত্যার ইতিহাস সম্পর্কে জানা আমাদের কর্তব্য : ডা. দীপু মনি 
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গণহত্যার ইতিহাস সম্পর্কে জানা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৫ মার্চের পর পুরো সময়জুড়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও যুদ্ধাপরাধ এবং যে গণহত্যা করা হয়েছে, এই গণহত্যার ইতিহাস সম্পর্কে জানা, এটি লিপিবদ্ধ করা, বদ্ধভূমিগুলোকে চিহ্নিত করা, স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা, শহীদদের সম্মান করা এটি আমাদের জাতীয় কর্তব্য এবং দায়িত্ব। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ডা. দীপু মনি বলেন, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে এবং এটা আমরা যতদিন মনে রাখব, যতদিন শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় তাদের স্মৃতিকে ধরে রাখব, ততদিন এ দেশটি তার সঠিক পথে থাকবে। তারা দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ সরাকরি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৯

আমাদের বিচ্ছেদ ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন : স্বাগতা
ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা। চলতি বছর শুরুর দিকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের পর প্রাক্তন ও বার্তমান স্বামীকে নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এসব কথা কানে না নিয়ে আপন গতিতে এগিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। ব্যস্ত ছিলেন পরিবার ও কাজ নিয়ে। দুই মাস পর এবার মুখ খুললেন স্বাগতা। তিনি বলেন, এর আগেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কারণ, ভালো না বেসে বিয়ে করে কারও সঙ্গে সংসার করা কঠিন। এটা আমার কাছে অসম্ভব। আমি ভালোবেসেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে আইন মোতাবেক। মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পারে। এটা আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। জীবন কি সবসময় এক রকম চলে? সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, এই সমাজে মেয়ে হয়ে একা থাকা কঠিন। যখন আমি একা থাকলাম, তখন দেখলাম, যার বয়স ১৬ সেও আমার প্রেমিক, আবার যার বয়স ৭০, সেও আমার প্রেমিক। এমন অনেকেই প্রেম করতে চায়। তখন দেখা গেল, আমার কাজের বাইরে প্রেমিক ঠেকানো একটা বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়াল। এটা তো আমি চাই না। কেন আমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ দেব? তখন মনে হলো, আমার অভিভাবক লাগবে। এই জন্য আমি আবার প্রেমে পড়ি। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। প্রথম বিয়ের ৭ বছরের মাথায় বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে হয় স্বাগতাকে। সেই সংসারে মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে চাপের মধ্যেও থাকতে হয়েছে। যে কারণে একটা সময় বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। আর অভিনয়শিল্পী হওয়ার কারণে প্রায়ই তাকে শুনতে হয় বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা। কথাগুলো এমন- ‘তারকারা সংসার করতে পারে না’, ‘কেন সংসার ভাঙে’, ‘কেন তারকারা একের অধিক বিয়ে করে’ ইত্যাদি। বিভিন্ন সময় এমন প্রশ্ন মুখ বুজে সহ্য করলেও এবার চটেছেন এই অভিনেত্রী। স্বাগতা বলেন, আমি আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র সেলিব্রিটি। আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে সবার পরে আমার ডিভোর্স হয়েছে। আমার ক্লাসের ৮০ ভাগ মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারা তো সেলিব্রিটি না। শুধু আমাদের সঙ্গে ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন। আপনাদের মন্তব্যের কারণে আমি সেলিব্রিটি হয়েও সাত বছর মার খেয়েছি, মা-বাবাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই শুনেছি। তারপরও আমি সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইনি। কারণ, আপনারা গালিগালাজ করবেন। কষ্ট করেও আমি সংসার করতে চেয়েছি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কখনোই কথা বলিনি, বলতে চাইনি। আর ডিভোর্স নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলা বন্ধ করুন। যৌক্তিক কথা বলুন। না জেনে কারও ওপর দোষ চাপাবেন না।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৫

‘সাংবাদিকদের প্রশ্নের সুর বদলেছে, এটাই আমাদের বড় সাফল্য’
গত বছরটা দুর্দান্তভাবে কাটিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। চলতি বছরে তাদের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট মাইটি অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঘরের মাঠে অজিদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে টাইগ্রেসরা। এই ম্যাচের আগে নিজেদের সাফল্য নিয়ে কথা বলেছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। বুধবার (২০ মার্চ) মিরপুরে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাব নিগার সুলতানা বলেন, প্রথম যে বিষয় মেনশন করি। আমরা যখন ভারতের বিপক্ষে খেলি তখন সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্নগুলো ছিল অন্যরকম।  ‘আপনারা জিততে পারবেন কি না, কী হতে পারে? এটাই আমার কাছে একটা সাফল্য মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলছি কেউ (ওরকম) প্রশ্ন করে নাই। এটা কিন্তু কাইন্ড অব টিমের জন্য একটা সাফল্য। তার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’  ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও এবারের চ্যালেঞ্জটা আরও বড়। কারণ, প্রতিপক্ষ হলো নারী ক্রিকেটের সবচেয়ে শক্তিশালী দল এবং টি-টোয়েন্টিতে ছয়বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। এই চ্যালেঞ্জের কথা অজানা নয় বাংলাদেশ অধিনায়কেরও। তবে হোম কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে চান তিনি। নিজেদের শক্তির জায়গা নিয়ে টাইগ্রেস অধিনায়ক বলেন, প্রথমত হলো হোম কন্ডিশন। আমার কাছে মনে হয়, কন্ডিশনের দিক থেকে তারা অনেক বেশি অচেনা। কখনই যেহেতু খেলে নাই এখানে...। কিন্তু সম্প্রতি তাদের অনেক খেলোয়াড় কিন্তু আইপিএল খেলে আসছে। কম-বেশি বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার উইকেট কিন্তু প্রায় একই থাকে। তারা একটু হলেও জানে যে কেমন কন্ডিশনে খেলা হবে। তিনি বলেন, আর যদি আমাদের দিক থেকে চিন্তা করি অবশ্যই দেখেন আমরা সম্প্রতি যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলে আসছি আমাদের ব্যাটিংটা অনেক বেশি শক্তিশালী মনে হয়েছে। আবার হোমে যখন ভারত, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছি তখন মনে হয়েছে বোলিংটা স্ট্রং।  ‘এটা আমাদের দলের জন্য ভালো দিক দুটি বিভাগই অনেক বেশি ভালো অবস্থায়। এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ম্যাচে কোন ইউনিট দলের জন্য বেশি কন্ট্রিবিউট করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, তারা (অস্ট্রেলিয়া) বিশ্বের ভালো দল এবং ব্শ্বি চ্যাম্পিয়ন। তাদের বিপক্ষে খেলা আমাদের জন্য বলবো যে বড় একটা অভিজ্ঞতা পুরো দলের জন্য। এখন অবধি আমরাও যেভাবে খেলে আসছি গত ৬-৭ মাস ক্রিকেট খেলছি, তারা অবশ্যই হালকাভাবে আমাদেরকে নেয়নি।  ‘সেটা বোঝা যায় তাদের স্কোয়াড দেখেই। বিশ্বকাপও এখানে। তো সবকিছু মিলিয়ে অবশ্যই যতগুলো সিরিজ খেলছি ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা বলেন- তারা ভালো দল ছিল।’
২০ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৯

বঙ্গবন্ধু আমাদের বাতিঘর : কাদের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির দুঃখ কষ্টে একমাত্র বাতিঘর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি আছেন, থাকবেন। আমাদের সব দুর্যোগে, সংকটে বঙ্গবন্ধু চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকবেন। তিনি বাঙালির দুঃখ কষ্টে একমাত্র বাতিঘর। যিনি আমাদের অবিরাম পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন।  তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম। বাংলাদেশ স্বাধীনতা হতো কি না সন্দেহ, যদি এ জনপদে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার জন্ম না হতো। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতা দিয়ে তিনি যে উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, তিনি না থাকলেও তার সেই উত্তরাধিকারের কোনোদিন মৃত্যু হবে না। এই লিগ্যাসি অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু নেই। তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিরাম লড়াই করে যাবো। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার, উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভিযাত্রা অব্যাহত রাখবো।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১০:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়